২৬ জুলাই ২০২৫

বরকতময় কুরআন

 ◑ অপমান নয়, সম্মান চান?


যে পাঠক এই লেখা পড়ার তাওফীক লাভ করেছেন, তাঁকে বলছি। 


আমার ধারণা, মহান আল্লাহ আপনার মঙ্গল চান। 


সুতরাং আপনি কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ুন এবং অনুধাবন করুন।


আমি আপনাকে কয়েকটি উপদেশ দিচ্ছি, যদি আপনি তা মেনে চলেন, তাহলে আল্লাহ আপনার জন্য আকাশ-পৃথিবীর বরকত উন্মুক্ত করবেন। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করবেন এবং সুমহান সম্মানিত প্রতিপালক আপনাকে সম্মান দান করবেন।


বলছি, আপনি কুরআনকে আপনার জীবন-সাথী বানিয়ে নিন, নিত্য সঙ্গী হিসাবে তার সাহচর্যে থাকুন। ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে এবং অবসর সময়ে কুরআন পাঠ করুন। দেখে অথবা মুখস্থ পড়ুন। লম্বা সফরে যানবাহনে পড়ুন। পড়ার অসুবিধা থাকলে শুনুন। আর আজ-কাল তা খুবই সহজ। 


আল্লাহর কসম! আপনি দেখবেন, আপনার সময়ে বরকত পাচ্ছেন। আপনার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছেন। হৃদয়ে স্বস্তি ও সুখ উপলব্ধি করছেন। আপনার চলার পথ আলোকিত হচ্ছে। বিশেষ করে যদি আপনি কুরআনের অর্থ হৃদয়ঙ্গম করে পাঠ করেন। 


এ হলো সুমহান আল্লাহর বাণীর বরকত।


কুরআনের নিত্য সঙ্গী হন, আপনি এর বরকত জীবনের প্রতি মুহূর্তে লাভ করতে থাকবেন। মহান আল্লাহ বলেছেন,


{كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ} (29) سورة ص


`এটি একটি অত্যন্ত বরকতপূর্ন কিতাব, যা (হে মুহাম্মদ!) আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি.' (স্বাদ ২৯)


কুরআন যেখানেই স্থানলাভ করে, সেই স্থানকেই বরকতময় করে তোলে। 


একজন মুফাস্সির বলেছেন, `আমরা কুরআন নিয়ে ব্যস্ত হয়েছি, যার ফলে দুনিয়ার কল্যাণ ও বরকত আমাদেরকে পরিপ্লুত করেছে।'


যিয়া মাকদেসী যখন হাদিসের জ্ঞান অনুসন্ধানে ব্রতী হতে চাইলেন, তখন ইব্রাহিম বিন আব্দুল ওয়াহেদ মাকদেসী তাঁকে ওসিয়ত করে বলেছিলেন, `তুমি বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত কর এবং তা পরিহার করো না, তাহলে তুমি যা অনুসন্ধান করবে তা তোমার জন্য সেই পরিমান সহজ হয়ে যাবে, যে পরিমান তুমি তিলাওয়াত করবে।'


যিয়া বলেন, `আমি এই ওসিয়ত মেনে তার বহু ফললাভ করেছি। যত কুরআনের প্রতি ধ্যান দিয়েছি, তত হাদিসের জ্ঞান লাভ করেছি।'


একজন সালাফ বলেছেন, `যত আমি আমার নিয়মিত কুরআন পাঠের সময় বৃদ্ধি করেছি, তত আমি আমার সময়ে বরকত দেখতে পেয়েছি। আর আমি তা বৃদ্ধি করতে করতে ১০ পারা করে ফেলেছি।'


আব্দুল মালেক বিন উমাইর বলেছেন, `সবার চাইতে বেশি স্বচ্ছ ও পরিপক্ব জ্ঞানী ব্যক্তি তিনি, যিনি বেশি বেশি কুরআন অধ্যয়ন করে থাকেন।'


কুরতুবী বলেছেন, `যিনি কুরআন পাঠ করেন, তিনি জ্ঞান দ্বারা উপকৃত হতে থাকেন; যদিও তাঁর বয়স ১০০ বছর পৌঁছে যায়।'


আপনার তিলাওয়াতের সময় না হয়ে উঠলে কোনো পছন্দের কারীর তিলাওয়াত শুনতে থাকুন। আপনার বাড়ি ও গাড়িতে কুরআন বাজুক।


যেহেতু কুরআন শুনলে আপনাকে রহমত দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে,করুণাপ্রাপ্ত হবেন আপনি। মহান আল্লাহ বলেছেন,


{وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ} (204) سورة الأعراف


`যখন কুরআন, তোমাদের সামনে পড়া হয়, তখন তা মনোযোগ সহকারে  শোনো এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে৷ ' (আ'রাফ ২০৪)


আর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কখনো অপরের মুখে তিলাওয়াত শুনতে ভালোবাসতেন, যদিও কুরআন তাঁর ওপরেই অবতীর্ণ হতো। 


জেনে রাখবেন,আপনি যত বেশি পরিমাণ কুরআন শিখবেন,তিলাওয়াত করবেন,শুনবেন, মুখস্থ করবেন, মানে বুঝবেন, আমল করবেন, তত বেশি আপনার জন্য রহমত অবতীর্ণ হবে,তত বেশি আপনি শারীরিক ও হার্দিক আরোগ্য লাভ করবেন। আপনার মানসিক অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা দূর হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন,


{وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا} (82) سورة الإسراء


`আমি এ কুরআনের অবতরণ প্রক্রিয়ায় এমন সব বিষয় অবতীর্ণ করছি যা মুমিনদের জন্য নিরাময় ও রহমত এবং জালেমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না৷' (বানী ইস্রাঈল ৮২)


ইবনুল জাওযী বলেন, `কুরআন তিলাওয়াত হার্দিক রোগে আরোগ্যের কাজ করে,যেমন দৈহিক রোগে মধু কাজ করে।'


শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন,`আমি আল্লাহ তায়ালার কিতাব অব্যাহতভাবে পড়া ছাড়া এমন কোনো জিনিস দেখিনি,যা বুদ্ধি ও আত্মাকে খোরাক বেশি জোগাতে পারে, শরীরকে নীরোগ রাখতে পারে এবং সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দান করতে পারে।'


মহানবী ------বলেছেন,


{اقرأوا القرآن فإنه يأتي يوم القيامة شفيعًا لأصحابه}


``তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ তা কিয়ামতের দিন পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারীরূপে আবির্ভুত হবে। '' (মুসলিম ১৯১০ নং)


তাঁর এই বাণীতেই যদি বিশ্বাসী হন,তাহলে তা আপনার দিবারাত্রি কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন হওয়ার কারণ হিসাবে যথেষ্ট। কারণ বর্কতময় কুরআন কিয়ামতে আপনার জন্য সুপারিশ করবে। যেদিন আপনার মা,বাবা,সন্তান,ভাই ইত্যাদি আপনাকে দেখে পালিয়ে যাবে। 


নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, 


((يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، فَيَقُولُ : يَا رَبِّ ، حَلِّهِ ، فَيُلْبَسُ تَاجَ الْكَرَامَةِ ، ثُمَّ يَقُولُ : يَا رَبِّ ، زِدْهُ ، فَيُلْبَسُ حُلَّةَ الْكَرَامَةِ ، ثُمَّ يَقُولُ : يَا رَبِّ ، ارْضَ عَنْهُ ، فَيَرْضَى عَنْهُ ، فَيُقَالُ لَهُ : اقْرَأْ وَارْقَ ، وَتُزَادُ بِكُلِّ آيَةٍ حَسَنَةً)).


`কুরআন ক্বিয়ামাত দিবসে হাযির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভু! একে (কুরআনের বাহককে) অলংকার পরিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু! তাকে আরো পোশাক দিন। সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু! তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি এক এক আয়াত পাঠ করতে থাক এবং উপরের দিকে উঠতে থাক। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সাওয়াব (মর্যাদা) বাড়ানো হবে।' (তিরমিযী ২৯১৫নং) 


কুরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য এতটুকু খুশীর খবরই যথেষ্ট।


আর  সতর্ক থাকুন,যাতে কোনোভাবে কুরআন থেকে দূরে সরে না যান। নচেৎ পরিণাম হবে ধ্বংস ও সর্বনাশ। 


মহান আল্লাহ বলেছেন,


{وَهُمْ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَيَنْأَوْنَ عَنْهُ }


`তারা এ মহাসত্যবাণী গ্রহণ করা থেকে লোকদেরকে বিরত রাখে এবং নিজেরাও এর কাছে থেকে দূরে পালায়৷' আর তারপরই বলেছেন,


{ وَإِن يُهْلِكُونَ إِلاَّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ} (26) سورة الأنعام


`অথচ আসলে তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করেছে৷ কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করে না৷' (আনআম ২৬) 


আল্লাহর কসম করে বলতে পারি, যারা কুরআন থেকে উদাসীন, যাদের কুরআনের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখে না, তারা বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত।


কুরআন-ওয়ালারা আল্লাহর বিশেষ লোক। আপনি তাঁদের দলভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। তাঁদের মজলিসে বসার চেষ্টা করুন। কারণ তাঁরা এমন সম্প্রদায়, যাঁদের সাথে উপবিষ্ট ব্যক্তি বঞ্চিত হয় না।


মহান আল্লাহ বলেছেন,


{ وَمَن يَبْخَلْ فَإِنَّمَا يَبْخَلُ عَن نَّفْسِهِ } (38) سورة محمد


`যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে৷' (মুহাম্মদ ৩৮)


তিনি আরো বলেছেন,


{إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ (87) وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُ بَعْدَ حِينٍ} (88) سورة ص


`এ তো একটি উপদেশ সমস্ত পৃথিবীবাসীর জন্য উপদেশ এবং সামান্য সময় অতিবাহিত হবার পরই এ সম্পর্কে তোমরা নিজেরাই জানতে পারবে৷ ' (স্বাদ ৮৭-৮৮)


হে আল্লাহ! তুমি কুরআনকে আমাদের হৃদয়ের বসন্ত কর। আমাদের বক্ষের জ্যোতি কর। আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করার এবং উদ্বেগ চলে যাওয়ার কারণ বানিয়ে দাও। আর কিয়ামতে তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও।  আমীন।


সংগ্রহ ও ভাবানুবাদ : আব্দুল হামীদ আল-ফাইজি আল-মাদানী

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আল্ কুরআন, সুরা ইয়াছিন ৩৬

 


আল্ কুরআন, সুরা ইয়াছিন ৩৬ 

অনুবাদ, অর্থ  সহ সুরা ইয়াছিন ঃ-

(36:0)

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

(36:1)

یٰسٓۚ

অনুবাদ:    ইয়া-সীন।

(36:2)

وَ الْقُرْاٰنِ الْحَكِیْمِۙ

অনুবাদ:    বিজ্ঞানময় কুরআনের কসম,

(36:3)

اِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَۙ

অনুবাদ:    তুমি নিঃসন্দেহে রসূলদের অন্তর্ভুক্ত,

(36:4)

عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍؕ

অনুবাদ:    সরল-সোজা পথ অবলম্বনকারী

(36:5)

تَنْزِیْلَ الْعَزِیْزِ الرَّحِیْمِۙ

অনুবাদ:    (এবং এ কুরআন) প্রবল পরাক্রমশালী ও করুণাময় সত্তার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত,

(36:6)

لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَّاۤ اُنْذِرَ اٰبَآؤُهُمْ فَهُمْ غٰفِلُوْنَ

অনুবাদ:    যাতে তুমি সতর্ক করে দাও এমন এক জাতিকে যার বাপ-দাদাকে সতর্ক করা হয়নি এবং এ কারণে তারা গাফলতিতে ডুবে আছে।

(36:7)

لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلٰۤى اَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ

অনুবাদ:    তাদের অধিকাংশই শাস্তি লাভের ফায়সালার হকদার হয়ে গেছে, এজন্যই তারা ঈমান আনে না।

(36:8)

اِنَّا جَعَلْنَا فِیْۤ اَعْنَاقِهِمْ اَغْلٰلًا فَهِیَ اِلَى الْاَذْقَانِ فَهُمْ مُّقْمَحُوْنَ

অনুবাদ:    আমি তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি, যাতে তাদের চিবুক পর্যন্ত জড়িয়ে গেছে, তাই তারা মাথা উঠিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

(36:9)

وَ جَعَلْنَا مِنْۢ بَیْنِ اَیْدِیْهِمْ سَدًّا وَّ مِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَاَغْشَیْنٰهُمْ فَهُمْ لَا یُبْصِرُوْن

অনুবাদ:    আমি তাদের সামনে একটি দেয়াল এবং পেছনে একটি দেয়াল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। আমি তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি, এখন তারা কিছুই দেখতে পায় না।

(36:10)

 

وَ سَوَآءٌ عَلَیْهِمْ ءَاَنْذَرْتَهُمْ اَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا یُؤْمِنُوْن

অনুবাদ:    তুমি তাদেরকে সতর্ক করো বা না করো তা তাদের জন্য সমান, তারা মানবে না।

(36:11)

اِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِۚ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَّ اَجْرٍ كَرِیْمٍ

অনুবাদ:    তুমি তো তাকেই সতর্ক করতে পারো যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে, তাকে মাগফেরাত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিদানের সুসংবাদ দাও।

(36:12)

اِنَّا نَحْنُ نُحْیِ الْمَوْتٰى وَ نَكْتُبُ مَا قَدَّمُوْا وَ اٰثَارَهُمْۣؕ وَ كُلَّ شَیْءٍ اَحْصَیْنٰهُ فِیْۤ اِمَامٍ مُّبِیْنٍ۠

রুকু-১

অনুবাদ:    আমি অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো, যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে চলছি এবং যা কিছু চিহ্ন তারা পেছনে রেখে যাচ্ছে তাও আমি স্থায়ী করে রাখছি। প্রত্যেকটি জিনিস আমি একটি খোলা কিতাবে লিখে রাখছি।

(36:13)

 

وَ اضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلًا اَصْحٰبَ الْقَرْیَةِۘ اِذْ جَآءَهَا الْمُرْسَلُوْنَۚ

অনুবাদ:    তাদেরকে দৃষ্টান্তস্বরূপ সেই জনপদের লোকদের কাহিনী শোনাও যখন সেখানে রসূলগণ এসেছিল।

(36:14)

اِذْ اَرْسَلْنَاۤ اِلَیْهِمُ اثْنَیْنِ فَكَذَّبُوْهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوْۤا اِنَّاۤ اِلَیْكُمْ مُّرْسَلُوْنَ

অনুবাদ:    আমি তাদের কাছে দু’জন রসূল পাঠিয়ে ছিলাম এবং তারা দু’জনকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল; তখন আমি তৃতীয় জনকে সাহায্যার্থে পাঠিয়ে ছিলাম এবং তাঁরা সবাই বলেছিল, “তোমাদের কাছে রসূল হিসেবে আমাদের পাঠানো হয়েছে।”

(36:15)

قَالُوْا مَاۤ اَنْتُمْ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَاۙ وَ مَاۤ اَنْزَلَ الرَّحْمٰنُ مِنْ شَیْءٍۙ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا تَكْذِبُوْنَ

অনুবাদ:    জনপদবাসীরা বললো, “তোমরা আমাদের মতো কয়েকজন মানুষ ছাড়া আর কেউ নও এবং দয়াময় আল্লাহ‌ মোটেই কোন জিনিস নাযিল করেননি, তোমরা স্রেফ মিথ্যা বলছো।”

(36:16)

 

قَالُوْا رَبُّنَا یَعْلَمُ اِنَّاۤ اِلَیْكُمْ لَمُرْسَلُوْنَ

অনুবাদ:    রসূলরা বললো, আমাদের রব জানেন আমাদের অবশ্যই তোমাদের কাছে রসূল হিসেবে পাঠানো হয়েছে

(36:17)

وَ مَا عَلَیْنَاۤ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ

অনুবাদ:    এবং সুস্পষ্টভাবে পয়গাম পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আমাদের ওপর আর কোন দায়িত্ব নেই।

(36:18)

قَالُوْۤا اِنَّا تَطَیَّرْنَا بِكُمْۚ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهُوْا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَ لَیَمَسَّنَّكُمْ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیْمٌ

অনুবাদ:    জনপদবাসীরা বলতে লাগলো, “আমরা তো তোমাদেরকে নিজেদের জন্য অমঙ্গলজনক মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে আমরা তোমাদেরকে প্রস্তরাঘাতে নিহত করবো এবং আমাদের হাতে তোমরা বড়ই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।

(36:19)

قَالُوْا طَآئِرُكُمْ مَّعَكُمْؕ اَئِنْ ذُكِّرْتُمْؕ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُوْنَ

অনুবাদ:    রসূলরা জবাব দিল, তোমাদের অমঙ্গল তোমাদের নিজেদের সাথেই লেগে আছে। তোমাদের উপদেশ দেয়া হয়েছে বলেই কি তোমরা একথা বলছো? আসল কথা হচ্ছে, তোমরা সীমালংঘনকারী লোক।

(36:20)

وَ جَآءَ مِنْ اَقْصَا الْمَدِیْنَةِ رَجُلٌ یَّسْعٰى قَالَ یٰقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِیْنَۙ

অনুবাদ:    ইতিমধ্যে নগরীর দূর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌঁড়ে এসে বললো, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! রসূলদের কথা মেনে নাও।

(36:21)

اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا یَسْــٴَـلُكُمْ اَجْرًا وَّ هُمْ مُّهْتَدُوْنَ

অনুবাদ:    যারা তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চায় না এবং সঠিক পথের অনুসারী, তাদের কথা মেনে নাও।


(36:22)

وَ مَا لِیَ لَاۤ اَعْبُدُ الَّذِیْ فَطَرَنِیْ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ

অনুবাদ:    কেন আমি এমন সত্ত্বার বন্দেগী করবো না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে?

(36:23)

ءَاَتَّخِذُ مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَةً اِنْ یُّرِدْنِ الرَّحْمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغْنِ عَنِّیْ شَفَاعَتُهُمْ شَیْــٴًـا وَّ لَا یُنْقِذُوْنِۚ

অনুবাদ:    তাঁকে বাদ দিয়ে কি আমি অন্য উপাস্য বানিয়ে নেবো? অথচ যদি দয়াময় আল্লাহ‌ আমার কোন ক্ষতি করতে চান তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে লাগবে না এবং তারা আমাকে ছাড়িয়ে নিতেও পারবে না।

(36:24)

اِنِّیْۤ اِذًا لَّفِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ

অনুবাদ:    যদি এমনটি করি তাহলে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়ে পড়বো।

(36:25)

اِنِّیْۤ اٰمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُوْنِؕ

অনুবাদ:    আমি তো তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, তোমরাও আমার কথা মেনে নাও।


(36:26)

قِیْلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَؕ قَالَ یٰلَیْتَ قَوْمِیْ یَعْلَمُوْنَۙ

অনুবাদ:    (শেষ পর্যন্ত তারা তাঁকে হত্যা করে ফেললো এবং) সে ব্যক্তিকে বলে দেয়া হলো, “প্রবেশ করো জান্নাতে।” সে বললো, “হায়! যদি আমার সম্প্রদায় জানতো

(36:27)

بِمَا غَفَرَ لِیْ رَبِّیْ وَ جَعَلَنِیْ مِنَ الْمُكْرَمِیْنَ

অনুবাদ:    আমার রব কোন জিনিসের বদৌলতে আমার মাগফিরাত করেছেন এবং আমাকে মর্যাদাশালী লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!”

(36:28)

وَ مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلٰى قَوْمِهٖ مِنْۢ بَعْدِهٖ مِنْ جُنْدٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَ مَا كُنَّا مُنْزِلِیْنَ

অনুবাদ:    এরপর তার সম্প্রদায়ের ওপর আমি আকাশ থেকে কোন সেনাদল পাঠাইনি, সেনাদল পাঠাবার কোন দরকারও আমার ছিল না।

(36:29)

اِنْ كَانَتْ اِلَّا صَیْحَةً وَّاحِدَةً فَاِذَا هُمْ خٰمِدُوْنَ

অনুবাদ:    ব্যস, একটি বিস্ফোরণের শব্দ হলো এবং সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেলো।


(36:30)

یٰحَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِۣۚ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا كَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ

অনুবাদ:    বান্দাদের অবস্থার প্রতি আফসোস, যে রসূলই তাদের কাছে এসেছে তাঁকেই তারা বিদ্রূপ করতে থেকেছে।

(36:31)

اَلَمْ یَرَوْا كَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنَ الْقُرُوْنِ اَنَّهُمْ اِلَیْهِمْ لَا یَرْجِعُوْنَؕ

অনুবাদ:    তারা কি দেখেনি তাদের পূর্বে কত মানব সম্প্রদায়কে আমি ধ্বংস করেছি এবং তারপর তারা আর কখনো তাদের কাছে ফিরে আসবে না?

(36:32)

وَ اِنْ كُلٌّ لَّمَّا جَمِیْعٌ لَّدَیْنَا مُحْضَرُوْنَ۠

রুকু-২

অনুবাদ:    তাদের সবাইকে একদিন আমার সামনে হাজির করা হবে।


(36:33)

وَ اٰیَةٌ لَّهُمُ الْاَرْضُ الْمَیْتَةُ ۚۖ اَحْیَیْنٰهَا وَ اَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ یَاْكُلُوْنَ

অনুবাদ:    এদের জন্য নিষ্প্রাণ ভূমি একটি নিদর্শন। আমি তাকে জীবন দান করেছি এবং তা থেকে শস্য উৎপন্ন করেছি, যা এরা খায়।


(36:34)

وَ جَعَلْنَا فِیْهَا جَنّٰتٍ مِّنْ نَّخِیْلٍ وَّ اَعْنَابٍ وَّ فَجَّرْنَا فِیْهَا مِنَ الْعُیُوْنِۙ

অনুবাদ:    আমি তার মধ্যে খেজুর ও আংগুরের বাগান সৃষ্টি করেছি এবং তার মধ্যে থেকে ঝরণাধারা উৎসারিত করেছি,

(36:35)

لِیَاْكُلُوْا مِنْ ثَمَرِهٖۙ وَ مَا عَمِلَتْهُ اَیْدِیْهِمْؕ اَفَلَا یَشْكُرُوْنَ

অনুবাদ:    যাতে এরা তার ফল ভক্ষণ করে। এসব কিছু এদের নিজেদের হাতের সৃষ্ট নয়। তারপরও কি এরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না?

(36:36)

سُبْحٰنَ الَّذِیْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْۢبِتُ الْاَرْضُ وَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَ مِمَّا لَا یَعْلَمُوْنَ

অনুবাদ:    পাক-পবিত্র সে সত্ত্বা যিনি সব রকমের জোড়া সৃষ্টি করেছেন, তা ভূমিজাত উদ্ভিদের মধ্য থেকে হোক অথবা স্বয়ং এদের নিজেদের প্রজাতির (অর্থাৎ মানব জাতি) মধ্য থেকে হোক কিংবা এমন জিনিসের মধ্য থেকে হোক যাদেরকে এরা জানেও না।


(36:37)

وَ اٰیَةٌ لَّهُمُ الَّیْلُ ۚۖ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَاِذَا هُمْ مُّظْلِمُوْنَۙ

অনুবাদ:    এদের জন্য রাত হচ্ছে আর একটি নিদর্শন। আমি তার উপর থেকে দিনকে সরিয়ে দেই তখন এদের ওপর অন্ধকার ছেয়ে যায়।


(36:38)

وَ الشَّمْسُ تَجْرِیْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَاؕ ذٰلِكَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِؕ

অনুবাদ:    আর সূর্য, সে তার নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ধেয়ে চলছে। এটি প্রবল পরাক্রমশালী জ্ঞানী সত্তার নিয়ন্ত্রিত হিসেব।


(36:39)

وَ الْقَمَرَ قَدَّرْنٰهُ مَنَازِلَ حَتّٰى عَادَ كَالْعُرْجُوْنِ الْقَدِیْمِ

অনুবাদ:    আর চাঁদ, তার জন্য আমি মঞ্জিল নির্দিষ্ট করে দিয়েছি, সেগুলো অতিক্রম করে সে শেষ পর্যন্ত আবার খেজুরের শুকনো ডালের মতো হয়ে যায়।


(36:40)

لَا الشَّمْسُ یَنْۢبَغِیْ لَهَاۤ اَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَ لَا الَّیْلُ سَابِقُ النَّهَارِؕ وَ كُلٌّ فِیْ فَلَكٍ یَّسْبَحُوْنَ

অনুবাদ:    না সূর্যের ক্ষমতা আছে চাঁদকে ধরে ফেলে এবং না রাত দিনের ওপর অগ্রবর্তী হতে পারে, সবাই এক একটি কক্ষপথে সন্তরণ করছে।


(36:41)

وَ اٰیَةٌ لَّهُمْ اَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّیَّتَهُمْ فِی الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِۙ

অনুবাদ:    এদের জন্য এটিও একটি নিদর্শন যে, আমি এদের বংশধরদেরকে ভরা নৌকায় চড়িয়ে দিয়েছি


(36:42)

وَ خَلَقْنَا لَهُمْ مِّنْ مِّثْلِهٖ مَا یَرْكَبُوْنَ

অনুবাদ:    এবং তারপর এদের জন্য ঠিক তেমনি আরো নৌযান সৃষ্টি করেছি যেগুলোতে এরা আরোহণ করে।

(36:43)

وَ اِنْ نَّشَاْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِیْخَ لَهُمْ وَ لَا هُمْ یُنْقَذُوْنَۙ

অনুবাদ:    আমি চাইলে এদেরকে ডুবিয়ে দেই, এদের কোন ফরিয়াদ শ্রবণকারী থাকবে না এবং কোনভাবেই এদেরকে বাঁচানো যেতে পারে না।

(36:44)

اِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَ مَتَاعًا اِلٰى حِیْنٍ

অনুবাদ:    ব্যস, আমার রহমতই এদেরকে কূলে ভিড়িয়ে দেয় এবং একটি বিশেষ সময় পর্যন্ত জীবনের দ্বারা লাভবান হবার সুযোগ দিয়ে থাকে।

(36:45)

وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ اتَّقُوْا مَا بَیْنَ اَیْدِیْكُمْ وَ مَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ

অনুবাদ:    এদেরকে যখন বলা হয়, তোমাদের সামনে যে পরিণাম আসছে এবং যা তোমাদের পেছনে অতিক্রান্ত হয়েছে তার হাত থেকে বাঁচো, হয়তো তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হবে (তখন এরা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়) ।

(36:46)

وَ مَا تَاْتِیْهِمْ مِّنْ اٰیَةٍ مِّنْ اٰیٰتِ رَبِّهِمْ اِلَّا كَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِیْنَ

অনুবাদ:    এদের সামনে এদের রবের আয়াতসমূহের মধ্য থেকে যে আয়াতই আসে এরা সেদিকে দৃষ্টি দেয় না

(36:47)

وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ اَنْفِقُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُۙ قَالَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنُطْعِمُ مَنْ لَّوْ یَشَآءُ اللّٰهُ اَطْعَمَهٗۤ   ط   اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ

অনুবাদ:    এবং যখন এদেরকে বলা হয়, আল্লাহ‌ তোমাদের যে রিযিক দান করেছেন তার মধ্য থেকে কিছু আল্লাহ‌র পথে খরচ করো তখন এসব কুফরীতে লিপ্ত লোক মু’মিনদেরকে জবাব দেয় “আমরা কি তাদেরকে খাওয়াবো, যাদেরকে আল্লাহ‌ চাইলে নিজেই খাওয়াতেন? তোমরা তো পরিষ্কার বিভ্রান্তির শিকার হয়েছো।”


(36:48)

وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰى هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ

অনুবাদ:    এরা বলে, “এ কিয়ামতের হুমকি কবে পুরা হবে? বলো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

(36:49)

مَا یَنْظُرُوْنَ اِلَّا صَیْحَةً وَّاحِدَةً تَاْخُذُهُمْ وَ هُمْ یَخِصِّمُوْنَ

অনুবাদ:    আসলে এরা যে জিনিসের দিকে তাকিয়ে আছে তা তো একটি বিস্ফোরণের শব্দ, যা সহসা এদেরকে ঠিক এমন অবস্থায় ধরে ফেলবে যখন এরা (নিজেদের পার্থিব ব্যাপারে) বিবাদ করতে থাকবে

(36:50)

فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ تَوْصِیَةً وَّ لَاۤ اِلٰۤى اَهْلِهِمْ یَرْجِعُوْنَ۠

অনুবাদ:    এবং সে সময় এরা কোন অসিয়াতও করতে পারবে না এবং নিজেদের গৃহেও ফিরতে পারবে না।

(36:51)

وَ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ فَاِذَا هُمْ مِّنَ الْاَجْدَاثِ اِلٰى رَبِّهِمْ یَنْسِلُوْنَ

অনুবাদ:    -তারপর একটি শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে এবং সহসা তারা নিজেদের রবের সামনে হাজির হবার জন্য নিজেদের কবর থেকে বের হয়ে পড়বে।

(36:52)

قَالُوْا یٰوَیْلَنَا مَنْۢ بَعَثَنَا مِنْ مَّرْقَدِنَاﱃ هٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمٰنُ وَ صَدَقَ الْمُرْسَلُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  (ভীতহয়ে)তারাবলবে,     يَاوَيْلَنَا =  আমাদেরদুর্ভোগহায়,     مَنْ =  কে,     بَعَثَنَا =  আমাদেরকেউঠালো,     مِنْ =  হতে,     مَرْقَدِنَا =  আমাদেরঘুমেরস্হান,     هَٰذَا =  এটাই,     مَا =  (তাই)যার,     وَعَدَ =  প্রতিশ্রুতিদিয়েছিলেন,     الرَّحْمَٰنُ =  দয়াময়,     وَصَدَقَ =  এবংসত্যইবলেছিলেন,     الْمُرْسَلُونَ =  রাসূলগণ,


অনুবাদ:    ভীত হয়ে বলবে, “আরে কে আমাদেরকে আমাদের নিঁদমহল থেকে উঠিয়ে দাঁড় করালো?” ----“এটা সে জিনিস যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ‌ দিয়েছিলেন এবং রসূলদের কথা সত্য ছিল।”


(36:53)

اِنْ كَانَتْ اِلَّا صَیْحَةً وَّاحِدَةً فَاِذَا هُمْ جَمِیْعٌ لَّدَیْنَا مُحْضَرُوْنَ


শব্দার্থ:        إِنْ =  না,     كَانَتْ =  হবে,     إِلَّا =  এছাড়া,     صَيْحَةً =  মহাগর্জন,     وَاحِدَةً =  একটিমাত্র,     فَإِذَا =  অতঃপরতখনই,     هُمْ =  তাদের,     جَمِيعٌ =  সকলকেই,     لَدَيْنَا =  আমাদেরকাছে,     مُحْضَرُونَ =  উপস্থিতকরাহবে,


অনুবাদ:    একটিমাত্র প্রচণ্ড আওয়াজ হবে এবং সবকিছু আমার সামনে হাজির করে দেয়া হবে।

(36:54)

فَالْیَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَیْــٴًـا وَّ لَا تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ


শব্দার্থ:        فَالْيَوْمَ =  অতঃপর(বলাহবে)আজ,     لَا =  না,     تُظْلَمُ =  অবিচারকরাহবে,     نَفْسٌ =  কাউকে,     شَيْئًا =  কিছুই,     وَلَا =  আরনা,     تُجْزَوْنَ =  প্রতিফলদেওয়াহবে,     إِلَّا =  এব্যতীত,     مَا =  যা,     كُنْتُمْ =  তোমরা,     تَعْمَلُونَ =  কাজকরতেছিলে,


অনুবাদ:    আজ কারো প্রতি তিলমাত্র জুলুম করা হবে না এবং যেমন কাজ তোমরা করে এসেছ ঠিক তারই প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে

(36:55)

اِنَّ اَصْحٰبَ الْجَنَّةِ الْیَوْمَ فِیْ شُغُلٍ فٰكِهُوْنَۚ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     أَصْحَابَ =  অধিবাসীরা,     الْجَنَّةِ =  জান্নাতের,     الْيَوْمَ =  আজ,     فِي =  থাকবে,     شُغُلٍ =  (মজার)মগ্ন,     فَاكِهُونَ =  আনন্দে,


অনুবাদ:    ---জান্নাতীরা আজ আনন্দে মশগুল রয়েছে।


(36:56)

هُمْ وَ اَزْوَاجُهُمْ فِیْ ظِلٰلٍ عَلَى الْاَرَآئِكِ مُتَّكِــٴُـوْنَ


শব্দার্থ:        هُمْ =  তারা,     وَأَزْوَاجُهُمْ =  ওতাদেরস্ত্রীরা(হবে),     فِي =  মধ্যে,     ظِلَالٍ =  ছায়ার,     عَلَى =  উপর,     الْأَرَائِكِ =  সুসজ্জিতআসনে,     مُتَّكِئُونَ =  হেলানদিয়েবসবে,


অনুবাদ:    তারা ও তাদের স্ত্রীরা ঘন ছায়ায় রাজকীয় আসনে হেলান দিয়ে বসে আছে।

(36:57)

لَهُمْ فِیْهَا فَاكِهَةٌ وَّ لَهُمْ مَّا یَدَّعُوْنَۚۖ


শব্দার্থ:        لَهُمْ =  তাদেরজন্যে(থাকবে),     فِيهَا =  তারমধ্যে,     فَاكِهَةٌ =  ফলমূল,     وَلَهُمْ =  ওতাদেরজন্যে(থাকবে),     مَا =  যা,     يَدَّعُونَ =  তারাচাইবে,


অনুবাদ:    সব রকমের সুস্বাদু পানাহারের জিনিস তাদের জন্য সেখানে রয়েছে, যা কিছু তারা চাইবে তা তাদের জন্য হাজির রয়েছে।

(36:58)

  سَلٰمٌ قَوْلًا مِّنْ رَّبٍّ رَّحِیْمٍ


শব্দার্থ:        سَلَامٌ =  সালাম,     قَوْلًا =  বলা(হবে),     مِنْ =  পক্ষহতে,     رَبٍّ =  রবের,     رَحِيمٍ =  (যিনি)পরমদয়ালু,


অনুবাদ:    দয়াময় রবের পক্ষ থেকে তাদেরকে “সালাম” বলা হয়েছে

(36:59)

وَ امْتَازُوا الْیَوْمَ اَیُّهَا الْمُجْرِمُوْنَ


শব্দার্থ:        وَامْتَازُوا =  এবং(বলাহবে)তোমারাআলাদাহয়েযাও,     الْيَوْمَ =  আজ,     أَيُّهَا =  হে,     الْمُجْرِمُونَ =  অপরাধীরা,


অনুবাদ:    ---এবং হে অপরাধীরা! আজ তোমরা ছাঁটাই হয়ে আলাদা হয়ে যাও।

(36:60)

اَلَمْ اَعْهَدْ اِلَیْكُمْ یٰبَنِیْۤ اٰدَمَ اَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّیْطٰنَۚ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌۙ


শব্দার্থ:        أَلَمْ =  দিইনিকি,     أَعْهَدْ =  আমিনির্দেশ,     إِلَيْكُمْ =  তোমাদেরপ্রতি,     يَابَنِي =  হেসন্তান,     آدَمَ =  আদমের,     أَنْ =  যে,     لَا =  না,     تَعْبُدُوا =  তোমরাদাসত্বকরো,     الشَّيْطَانَ =  শয়তানের,     إِنَّهُ =  সেনিশ্চয়ই,     لَكُمْ =  তোমাদেরজন্যে,     عَدُوٌّ =  শত্রু,     مُبِينٌ =  প্রকাশ্য,


অনুবাদ:    হে আদম সন্তানেরা! আমি কি তোমাদের এ মর্মে হিদায়াত করিনি যে, শয়তানের বন্দেগী করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু


(36:61)

وَّ اَنِ اعْبُدُوْنِیْﳳ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ


শব্দার্থ:        وَأَنِ =  এবং(এও)যে,     اعْبُدُونِي =  আমারইতোমরাইবাদতকরো,     هَٰذَا =  এটাই,     صِرَاطٌ =  পথ,     مُسْتَقِيمٌ =  সরলসঠিক,


অনুবাদ:    এবং আমারই বন্দেগী করো, এটিই সরল-সঠিক পথ?

(36:62)

وَ لَقَدْ اَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِیْرًاؕ اَفَلَمْ تَكُوْنُوْا تَعْقِلُوْنَ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবং(এসত্ত্বেও)নিশ্চয়ই,     أَضَلَّ =  সেপথভ্রষ্টকরেছে,     مِنْكُمْ =  তোমাদেরমধ্যহতে,     جِبِلًّا =  বড়দলকে,     كَثِيرًا =  অনেক,     أَفَلَمْ =  তবুওকিনা,     تَكُونُوا =  হবে,     تَعْقِلُونَ =  তোমরাবুঝতে,


অনুবাদ:    কিন্তু এ সত্ত্বেও সে তোমাদের মধ্য থেকে বিপুল সংখ্যককে গোমরাহ করে দিয়েছে, তোমাদের কি বুদ্ধি-জ্ঞান নেই?

(36:63)

هٰذِهٖ جَهَنَّمُ الَّتِیْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ


শব্দার্থ:        هَٰذِهِ =  এইসেই,     جَهَنَّمُ =  জাহান্নাম,     الَّتِي =  যার,     كُنْتُمْ =  তোমাদের,     تُوعَدُونَ =  প্রতিশ্রুতিদেয়াহয়েছিলো,


অনুবাদ:    এটা সে জাহান্নাম, যার ভয় তোমাদের দেখানো হতো।

(36:64)

اِصْلَوْهَا الْیَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ


শব্দার্থ:        اصْلَوْهَا =  তাতেতোমরাপ্রবেশকরো,     الْيَوْمَ =  আজ,     بِمَا =  বিনিময়েযা,     كُنْتُمْ =  তোমরা,     تَكْفُرُونَ =  অস্বীকারকরছিলে,


অনুবাদ:    দুনিয়ায় যে কুফরী তোমরা করতে থেকেছো তার ফলস্বরূপ আজ এর ইন্ধন হও।

(36:65)

اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى اَفْوَاهِهِمْ وَ تُكَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ


শব্দার্থ:        الْيَوْمَ =  আজ,     نَخْتِمُ =  সীলকরেদিবোআমরা,     عَلَىٰ =  উপর,     أَفْوَاهِهِمْ =  তাদেরমুখগুলোর,     وَتُكَلِّمُنَا =  এবংআমাদেরসাথেকথাবলবে,     أَيْدِيهِمْ =  তাদেরহাতগুলো,     وَتَشْهَدُ =  এবংসাক্ষ্যদিবে,     أَرْجُلُهُمْ =  তাদেরপাগুলো,     بِمَا =  ঐবিষয়েযা,     كَانُوا =  করেছিলো,     يَكْسِبُونَ =  তারাকামাই,


অনুবাদ:    আজ আমি এদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছি, এদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং এদের পা সাক্ষ্য দেবে এরা দুনিয়ায় কি উপার্জন করে এসেছে।


(36:66)

وَ لَوْ نَشَآءُ لَطَمَسْنَا عَلٰۤى اَعْیُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَاَنّٰى یُبْصِرُوْنَ


শব্দার্থ:        وَلَوْ =  এবংযদি,     نَشَاءُ =  চাইআমরা,     لَطَمَسْنَا =  দিতেপারিঅবশ্যই,     عَلَىٰ =  আমরাআলোনিভিয়ে,     أَعْيُنِهِمْ =  তাদেরচোখের,     فَاسْتَبَقُوا =  তারাঅতঃপরচলতেচাইতো,     الصِّرَاطَ =  পথে,     فَأَنَّىٰ =  তখনকেমনকরে,     يُبْصِرُونَ =  তারাদেখতেপাবে,


অনুবাদ:    আমি চাইলে এদের চোখ বন্ধ করে দিতাম, তখন এরা পথের দিকে চেয়ে দেখতো, কোথা থেকে এরা পথের দেখা পাবে?


(36:67)

وَ لَوْ نَشَآءُ لَمَسَخْنٰهُمْ عَلٰى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوْا مُضِیًّا وَّ لَا یَرْجِعُوْنَ۠


শব্দার্থ:        وَلَوْ =  এবংযদি,     نَشَاءُ =  চাইআমরা,     لَمَسَخْنَاهُمْ =  তাদেরকেআমরাঅবশ্যইবিকৃতকরেদিতেপারি,     عَلَىٰ =  উপর,     مَكَانَتِهِمْ =  তাদের(নিজনিজ)অবস্থানেই,     فَمَا =  অতঃপরনা,     اسْتَطَاعُوا =  তারাসমর্থহবে,     مُضِيًّا =  আগেযেতে,     وَلَا =  আরনা,     يَرْجِعُونَ =  পিছনেফিরতে,


অনুবাদ:    আমি চাইলে এদের নিজেদের জায়গায়ই এদেরকে এমনভাবে বিকৃত করে রেখে দিতাম যার ফলে এরা না সামনে এগিয়ে যেতে পারতো, না পেছনে ফিরে আসতে পারতো।

(36:68)

وَ مَنْ نُّعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِی الْخَلْقِؕ اَفَلَا یَعْقِلُوْنَ


শব্দার্থ:        وَمَنْ =  এবংকোনোব্যক্তি,     نُعَمِّرْهُ =  যাকেদীর্ঘায়ুদিইআমরা,     نُنَكِّسْهُ =  উল্টিয়েদিইআমরাতার,     فِي =  মধ্যে,     الْخَلْقِ =  আকৃতি-প্রকৃতির(বুদ্ধিওযোগ্যতার),     أَفَلَا =  তবুওকিনা,     يَعْقِلُونَ =  তারাজ্ঞানবুদ্ধিকাজেলাগায়,


অনুবাদ:    যে ব্যক্তিকে আমি দীর্ঘ আয়ু দান করি তার আকৃতিকে আমি একেবারেই বদলে দেই (এ অবস্থা দেখে কি) তাদের বোধোদয় হয় না?


(36:69)

وَ مَا عَلَّمْنٰهُ الشِّعْرَ وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لَهٗؕ اِنْ هُوَ اِلَّا ذِكْرٌ وَّ قُرْاٰنٌ مُّبِیْنٌۙ


শব্দার্থ:        وَمَا =  এবংনা,     عَلَّمْنَاهُ =  তাকেআমরাশিখিয়েছি,     الشِّعْرَ =  কবিতা,     وَمَا =  আরনা,     يَنْبَغِي =  শোভাপায়(এটা),     لَهُ =  তারজন্যে,     إِنْ =  না,     هُوَ =  তা,     إِلَّا =  এছাড়া,     ذِكْرٌ =  উপদেশ,     وَقُرْآنٌ =  ও(পাঠযোগ্যকিতাব)কোরআন,     مُبِينٌ =  সুস্পষ্ট,


অনুবাদ:    আমি এ (নবী)-কে কবিতা শিখাইনি এবং কাব্য চর্চা তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো একটি উপদেশ এবং পরিষ্কার পঠনযোগ্য কিতাব,

(36:70)

لِّیُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَیًّا وَّ یَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكٰفِرِیْنَ


শব্দার্থ:        لِيُنْذِرَ =  সতর্ককরেযেন,     مَنْ =  (এমনপ্রত্যেককে)যে,     كَانَ =  হলো,     حَيًّا =  জীবিত,     وَيَحِقَّ =  এবংপ্রতিষ্ঠিতহতেপারে(যেন),     الْقَوْلُ =  (শাস্তির)বাণী,     عَلَى =  বিরুদ্ধে,     الْكَافِرِينَ =  কাফিরদের,


অনুবাদ:    যাতে সে প্রত্যেক জীবিত ব্যক্তিকে সতর্ক করে দিতে পারে এবং অস্বীকারকারীদের ওপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।


(36:71)

اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِّمَّا عَمِلَتْ اَیْدِیْنَاۤ اَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مٰلِكُوْنَ


শব্দার্থ:        أَوَلَمْ =  নিকি,     يَرَوْا =  তারাদেখে,     أَنَّا =  যেআমরা,     خَلَقْنَا =  আমরাসৃষ্টিকরেছি,     لَهُمْ =  তাদেরজন্যে,     مِمَّا =  সেসবথেকেযা,     عَمِلَتْ =  সৃষ্টিকরেছে,     أَيْدِينَا =  আমাদেরহাতগুলো,     أَنْعَامًا =  (যেমন)গবাদিপশু,     فَهُمْ =  এখনতারাই,     لَهَا =  সেগুলোর,     مَالِكُونَ =  মালিক,


অনুবাদ:    এরা কি দেখে না, আমি নিজের হাতে তৈরী জিনিসের মধ্য থেকে এদের জন্য সৃষ্টি করেছি গবাদি পশু এবং এখন এরা তার মালিক।


(36:72)

وَ ذَلَّلْنٰهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوْبُهُمْ وَ مِنْهَا یَاْكُلُوْنَ


শব্দার্থ:        وَذَلَّلْنَاهَا =  এবংসেগুলোকেআমরাবশীভূতকরেছি,     لَهُمْ =  তাদেরজন্যে,     فَمِنْهَا =  অতঃপর(রয়েছে)সেগুলোরকিছুকিছু,     رَكُوبُهُمْ =  তাদেরবাহনও(যেমনউট),     وَمِنْهَا =  এবংসেগুলোরকিছুকিছু,     يَأْكُلُونَ =  তারাআহারওকরে,


অনুবাদ:    আমি এভাবে তাদেরকে এদের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিয়েছি যে, তাদের মধ্য থেকে কারো ওপর এরা সওয়ার হয়, কারো গোশত খায়


(36:73)

وَ لَهُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ وَ مَشَارِبُؕ اَفَلَا یَشْكُرُوْنَ


শব্দার্থ:        وَلَهُمْ =  এবংতাদেরজন্যেরয়েছে,     فِيهَا =  সেগুলোরমধ্যে,     مَنَافِعُ =  (নানারকম)উপকার,     وَمَشَارِبُ =  এবং(নানাপ্রকার)পানীয়,     أَفَلَا =  তবুওকিনা,     يَشْكُرُونَ =  তারাকৃতজ্ঞহবে,


অনুবাদ:    এবং তাদের মধ্যে এদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা ও পানীয়। এরপর কি এরা কৃতজ্ঞ হয় না?


(36:74)

وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لَّعَلَّهُمْ یُنْصَرُوْنَؕ


শব্দার্থ:        وَاتَّخَذُوا =  এবং(এসত্ত্বেও)তারাগ্রহণকরেছে,     مِنْ =  মধ্যহতে,     دُونِ =  ছাড়া,     اللَّهِ =  আল্লাহ,     آلِهَةً =  উপাস্যরূপে(অন্যদেরকে),     لَعَلَّهُمْ =  তারাযাতে,     يُنْصَرُونَ =  তারাসাহায্যপাবে,


অনুবাদ:    এ সবকিছু সত্ত্বেও এরা আল্লাহ‌কে বাদ দিয়ে অন্য ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে এবং এদেরকে সাহায্য করা হবে এ আশা করছে।

(36:75)

لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ نَصْرَهُمْۙ وَ هُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُّحْضَرُوْنَ


শব্দার্থ:        لَا =  না,     يَسْتَطِيعُونَ =  তারাসমর্থহবে,     نَصْرَهُمْ =  তাদেরসাহায্যকরতে,     وَهُمْ =  বরংতারাই(হয়েআছে),     لَهُمْ =  তাদেরজন্যে,     جُنْدٌ =  সৈন্য(রক্ষাকারীরূপে),     مُحْضَرُونَ =  সদাউপস্থিত,


অনুবাদ:    তারা এদের কোন সাহায্য করতে পারে না বরং উল্টো এরা তাদের জন্য সদা প্রস্তুত সৈন্য হয়ে বিরাজ করছে।


(36:76)

فَلَا یَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْۘ اِنَّا نَعْلَمُ مَا یُسِرُّوْنَ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ


শব্দার্থ:        فَلَا =  কাজেইনা(যেন),     يَحْزُنْكَ =  তোমাকেদুঃখদেয়,     قَوْلُهُمْ =  তাদেরকথা,     إِنَّا =  আমরানিশ্চয়ই,     نَعْلَمُ =  জানিআমরা,     مَا =  যা,     يُسِرُّونَ =  তারাগোপনকরে,     وَمَا =  আরযা,     يُعْلِنُونَ =  তারাপ্রকাশকরে,


অনুবাদ:    হ্যাঁ, এদের তৈরী কথা যেন তোমাকে মর্মাহত না করে এদের গোপন ও প্রকাশ্য সব কথাই আমি জানি।


(36:77)

اَوَ لَمْ یَرَ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ نُّطْفَةٍ فَاِذَا هُوَ خَصِیْمٌ مُّبِیْنٌ


শব্দার্থ:        أَوَلَمْ =  নিকি,     يَرَ =  দেখে,     الْإِنْسَانُ =  মানুষ,     أَنَّا =  যেআমরা,     خَلَقْنَاهُ =  তাকেআমরাসৃষ্টিকরেছি,     مِنْ =  থেকে,     نُطْفَةٍ =  শুক্রবিন্দু,     فَإِذَا =  অথচপরে,     هُوَ =  সে(হয়েছে),     خَصِيمٌ =  ঝগড়াটে,     مُبِينٌ =  প্রকাশ্য,


অনুবাদ:    মানুষ কি দেখে না, তাকে আমি সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে এবং তারপর সে দাঁড়িয়ে গেছে স্পষ্ট ঝগড়াটে হয়ে?

(36:78)

وَ ضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّ نَسِیَ خَلْقَهٗؕ قَالَ مَنْ یُّحْیِ الْعِظَامَ وَ هِیَ رَمِیْمٌ


শব্দার্থ:        وَضَرَبَ =  এবংপেশকরে,     لَنَا =  আমাদেরজন্যে,     مَثَلًا =  উপমা,     وَنَسِيَ =  অথচসেভুলেযায়,     خَلْقَهُ =  তারসৃষ্টিকে,     قَالَ =  সেবলে,     مَنْ =  কে,     يُحْيِي =  প্রাণদিবে,     الْعِظَامَ =  হাড়ে,     وَهِيَ =  যখনতা(হয়েযাবে),     رَمِيمٌ =  পচাগলাজরাজীর্ণ,


অনুবাদ:    এখন সে আমার ওপর উপমা প্রয়োগ করে এবং নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায় বলে, এ হাড়গুলো যখন পচে গলে গেছে এতে আবার প্রাণ সঞ্চার করবে কে?

(36:79)

قُلْ یُحْیِیْهَا الَّذِیْۤ اَنْشَاَهَاۤ اَوَّلَ مَرَّةٍؕ وَ هُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِیْمُۙ


শব্দার্থ:        قُلْ =  বলো(তাদেরকে),     يُحْيِيهَا =  তাতেপ্রাণদিবেন,     الَّذِي =  (তিনিই)যিনি,     أَنْشَأَهَا =  তাসৃষ্টিকরেছেন,     أَوَّلَ =  প্রথম,     مَرَّةٍ =  বার,     وَهُوَ =  এবংতিনি,     بِكُلِّ =  সম্পর্কেসবকিছু,     خَلْقٍ =  (তাঁর)সৃষ্টির,     عَلِيمٌ =  সম্যকঅবগত,


অনুবাদ:    তাকে বলো, এদেরকে তিনি জীবিত করবেন যিনি প্রথমে এদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং তিনি সৃষ্টির প্রত্যেকটি কাজ জানেন।


(36:80)

الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الشَّجَرِ الْاَخْضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنْتُمْ مِّنْهُ تُوْقِدُوْنَ


শব্দার্থ:        الَّذِي =  যিনি,     جَعَلَ =  সৃষ্টিকরেছেন,     لَكُمْ =  তোমাদেরজন্যে,     مِنَ =  থেকে,     الشَّجَرِ =  গাছ,     الْأَخْضَرِ =  সবুজ,     نَارًا =  আগুন,     فَإِذَا =  অতঃপর,     أَنْتُمْ =  তোমরা,     مِنْهُ =  তাথেকে,     تُوقِدُونَ =  আগুনজ্বালো,


অনুবাদ:    তিনিই তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তা থেকে নিজেদের চুলা জ্বালিয়ে থাকো।


(36:81)

اَوَ لَیْسَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤى اَنْ یَّخْلُقَ مِثْلَهُمْﳳ بَلٰىۗ وَ هُوَ الْخَلّٰقُ الْعَلِیْمُ


শব্দার্থ:        أَوَلَيْسَ =  ননকি(সেইআল্লাহ),     الَّذِي =  যিনি,     خَلَقَ =  সৃষ্টিকরেছেন,     السَّمَاوَاتِ =  আকাশসমূহ,     وَالْأَرْضَ =  ওপৃথিবীকে,     بِقَادِرٍ =  সক্ষম,     عَلَىٰ =  এক্ষেত্রে,     أَنْ =  যে,     يَخْلُقَ =  সৃষ্টিকরবেন,     مِثْلَهُمْ =  তাদেরমতো,     بَلَىٰ =  হ্যাঁনিশ্চয়ই,     وَهُوَ =  এবংতিনিই,     الْخَلَّاقُ =  মহাস্রষ্টা,     الْعَلِيمُ =  সর্বজ্ঞ,


অনুবাদ:    যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন না? কেন নয়, যখন তিনি পারদর্শী স্রষ্টা।

(36:82)

اِنَّمَاۤ اَمْرُهٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَیْــٴًـا اَنْ یَّقُوْلَ لَهٗ كُنْ فَیَكُوْنُ


শব্দার্থ:        إِنَّمَا =  কেবল,     أَمْرُهُ =  তাঁরনির্দেশহয়,     إِذَا =  যখন,     أَرَادَ =  ইচ্ছেকরেন,     شَيْئًا =  কিছু(করতে),     أَنْ =  যে,     يَقُولَ =  বলেন,     لَهُ =  তাকে,     كُنْ =  হও,     فَيَكُونُ =  তখনইহয়েযায়,


অনুবাদ:    তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন তখন তাঁর কাজ হয় কেবল এতটুকু যে, তিনি তাকে হুকুম দেন, হয়ে যাও এবং তা হয়ে যায়।

(36:83)

فَسُبْحٰنَ الَّذِیْ بِیَدِهٖ مَلَكُوْتُ كُلِّ شَیْءٍ وَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ۠


শব্দার্থ:        فَسُبْحَانَ =  অতএবমহানপবিত্র,     الَّذِي =  (সেইসত্ত্বা)তিনিই,     بِيَدِهِ =  যারহাতে(আছে),     مَلَكُوتُ =  সার্বভৌমক্ষমতা,     كُلِّ =  সব,     شَيْءٍ =  জিনিসের,     وَإِلَيْهِ =  এবংতাঁরইদিকে,     تُرْجَعُونَ =  তোমাদেরকেফিরিয়েনেয়াহবে,


অনুবাদ:    পবিত্র তিনি যার হাতে রয়েছে প্রত্যেকটি জিনিসের পূর্ণ কর্তৃত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।

সুরা ইয়াসিন অবলম্বনে কবিতা


২৭ জানুয়ারী ২০২৫

জামাতে নামাজ পড়ার হুকুম কি?


সালফে সালেহীন একদল আলেমের মতে ফরজ সালাত জামাআতের সাথে আদায় করা হুশ জ্ঞানসম্পন্ন প্রত্যেক বালেগ সক্ষম পুরুষের জন্য ফরজে আইন, এমনকি সফরে থাকলেও। অপর আরেক দল আলেমের মতে জামাআতে নামায ওয়াজিব। কেননা, জামাআতে সালাত আদায়ের নির্দেশ কুরআনে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,


“তোমরা সালাত আদায় কর ও যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর (অর্থাৎ জামাআতের সাথে সালাত আদায় কর)।” (সূরা ২; বাকারা ৪৩)। আর যারা জামাআতে সালাত আদায় করবে না তাদেরকে শাস্তির হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এর দলীল হিসেবে উলামায়ে কেরাম এ আয়াতটি উল্লেখ করেছেন,


“যেদিন (যাবতীয়) রহস্য উদঘাটিত হয়ে পড়বে, তখন তাদের সাজদাবনত হওয়ার আহ্বান জানানো হবে, এসব (হতভাগ্য) ব্যক্তিরা (কিন্তু সেদিন সাজদা করতে) সক্ষম হবে না, (সেদিন) তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী হবে, অপমান তাদের ভারাক্রান্ত করে রাখবে; (দুনিয়ায়) যখন তাদের (আল্লাহর সম্মুখে) সাজদা করতে ডাকা হয়েছিল, (তখন) তারা সুস্থ (সক্ষম) ছিল।” (সূরা ৬৮; কলম ৪২-৪৩)


হাশরের মাঠে আল্লাহ যখন সিজদা করতে বলবেন, তখন (জামাত তরককারীরা) সিজদা করতে পারবে না। তাদের পিঠ বাকা করতে পারবে না।(বুখারী: ৪৯১৯)। হাদীসে এ বিষয়ে অনেক তাকিদ দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে:


(১) জামাআতে সালাত আদায় যেমন আল্লাহর নির্দেশ, তেমনি রাসূলেরও নির্দেশ। তিনি বলেছেন, “যখনই সালাতের সময় হবে তখনই তোমাদের কেউ একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যাষ্ঠ ব্যক্তিকে ইমাম বানিয়ে (জামাআতের সাথে) সালাত আদায় করবে।” (বুখারী: ৬২৮)। আর রাসূলের এ নির্দেশ জামাআতে সালাত ওয়াজিব প্রমাণ করে।


(২) বিপরীতে যারা জামাআতে হাজির হয় না তাদের বাড়ি-ঘর রাসূলুল্লাহ (স) আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন। (বুখারী: ৬৪৪)


(৩) অন্ধ ব্যক্তিকেও জামাত ত্যাগ করার অনুমতি রাসূলুল্লাহ (স.) দেননি। একবার উম্মে মাকতূম নামে এক অন্ধ লোক নবীজিকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন অন্ধ লোক। ঘরটিও আমার দূরে, আমাকে পথ দেখিয়ে যে চালায় সেও ঠিকমতো কথা শুনে না। অতএব, আমি কি (জামাআতে না এসে) নিজ ঘরে সালাত আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ (স.) প্রশ্ন করলেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? সাহাবী উম্মে মাকতুম বললেন, হা। জবাবে রাসূলুল্লাহ (স.) বললেন, তোমার জন্য কোন অনুমতির সুযোগ দেখছি না (অতএব, জামাআতে শরীক হতেই হবে)। (আবু দাউদ: ৫৫২)।


(৪) আযান শুনতে পেয়েও বিনা উযরে মসজিদে এসে জামাআতে শরীক না হলে তার সালাত হবে না (ইবনে মাজাহ: ৭৯৩)। সৌদি আরবের খ্যাতনামা মুফতী শেখ ইবনে বায (রহ) বলেন, তার সালাত পরিপূর্ণ হবে না; অপূর্ণাঙ্গ থাকবে।


(৫) জামাআতে সালাত আদায় না করা মুনাফেকীর লক্ষণ।(মুসনাদে আহমাদ- ২/২৯৩)


(৬) আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা) বলেছেন, কোন মুসল্লি ফজর ও এশার জামাআতে না এলে তার সম্পর্কে আমরা খারাপ ধারণা করতাম। (অর্থাৎ সে মুনাফিক কি-না এ সন্দেহ করতাম)। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা- ১/৩৩২)।


(৭) জামাত ত্যাগকারীদের অন্তরে আল্লাহ খতম (সিল) মেরে দেন। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জামাত ত্যাগ করার বিষয়ে তোমরা সতর্ক থেকো। কেননা, জামাআতে সালাত আদায় না করলে আল্লাহ তাদের দিলে মোহর মেরে দিবেন। ফলে তারা গাফেলদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবে।(ইবনে মাজাহ: ৭৯৪)


(৮) জামাত ত্যাগকারীদের উপর শয়তানের আধিপত্য বিস্তার হয়। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, লোকালয়ে হোক বা বনে-জঙ্গলে হোক কমপক্ষে তিনজন লোক একত্রে বসবাস করলেও তারা যেন জামাআতে সালাত আদায় করে। তা না হলে শয়তান তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে। (আবু দাউদ: ৫৪৭)


(৯) আযান হওয়ার পর উযর ছাড়া জামাআতে শরীক না হয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া হারাম। (মুসলিম)।

 (১০) জামাআতে কে কে এলো না, রাসূলুল্লাহ (স.) তা অনুসন্ধান করতেন। (আবু দাউদ: ৫৫৪) এতে প্রতীয়মান হয় যে জামাআতে সালাত ওয়াজিব ।


(১১) এতদসঙ্গে সাহাবায়ে কেরামেরও এ বিষয়ে ‘ইজমা' যে জামাআতে সালাত আদায় ওয়াজিব। (তিরমিযী: ২১৭)।


(১২) কেউ যদি দিনগুলোতে রোযা রাখে, আর রাতগুলোতে সালাত আদায় করে, কিন্তু জুমুআ ও জামাআতে না আসে তবে সে জাহান্নামের আগুনের বাসিন্দা। (তিরমিযী: ২১৮ দুর্বল)


(১৩) যুদ্ধের ময়দানে শত্রুদের আক্রমণের মুখেও জামাআতে সালাত আদায় রহিত ছিল না।(সূরা ৪; নিসা ১০২)


(১৪) ফজর ও এশার জামাআতে যারা হাজির হয় না তাদেরকে এ অনুপস্থিতি মুনাফেকীর লক্ষণ হিসেবে হাদীসে চিহ্নিত হয়েছে।


(১৫) সাহাবী ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, মানুষকে দু’জন লোকের কাঁধে ভর করে হাঁটিয়ে এনে (জামাআতের) কাতারে খাড়া করানো হতো। (মুসলিম)


(১৬) সালফে সালেহীনদের কেউ কেউ জামাত ছুটে গেলে কাঁদতেন, অন্যেরা তাকে সান্ত্বনা দিতো।


(১৭) সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব বলেন, সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেও কোন দিন তার (জামাত ছুটেনি) তাকবীরে উলা ছুটেনি। পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত সালাতে কোন দিন কারো পিঠ দেখেননি অর্থাৎ প্রথম কাতারে তিনি সালাত আদায় করেছেন, কারো পিছনে নয়।


(১৮) ইবনে জামাআহ বলেন, যেদিন তার মা মারা যান, সেদিনটিতে ছাড়া চল্লিশ বছরেও তার কোন দিন তাকবীরে উলা ছুটেনি।


(১৯) যারা মসজিদে জামাআতে আসতো না মক্কার এককালীন আমীর আত্তাব বিন উসাইদ উমাযী তার গর্দান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন।


(২০) আজও কাবার দেশে আযান দেওয়ার সাথে সাথে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ইউনিভার্সিটি, অফিস, আদালত, কলকারখানা ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকেরা তখন দলে দলে মসজিদে জামাআতে শরীক হয়।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

বরকতময় কুরআন

 ◑ অপমান নয়, সম্মান চান? যে পাঠক এই লেখা পড়ার তাওফীক লাভ করেছেন, তাঁকে বলছি।  আমার ধারণা, মহান আল্লাহ আপনার মঙ্গল চান।  সুতরাং আপনি কয়েক মিন...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ