Dr. Zakir Nayek লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Dr. Zakir Nayek লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৯ মে ২০২২

ড: জাকির নায়েকের লেকচার/ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বই

 ড: জাকির নায়েকঃ

বিঃদ্রঃ বর্তমানে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অনেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করে থাকেন। এসব অভিযোগের জবাব দেখুন: জাকির নায়েকের সমালোচনা ও বাস্তবতা ১ম অংশ | ২য় অংশ অথবা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব বিষয়ে বইটি ডাউনলোড করুন

ডাউনলোড করুন:

 

 

ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরঃ-

 

বাংলাদেশের আলেম সমাজের অন্যতম প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব ছিলেন ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। ইসলাম সম্পর্কে তাঁর সুগভীর পাণ্ডিত্য এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনার কারণে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের সব ধরনের ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু যুগে যুগে বিখ্যাত ব্যক্তিরা ক্ষণজন্মা হয়ে থাকে। আর প্রকৃতির সেই আমক সত্যকে বাস্তবে রূপদান করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সবার মন জয় করে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। কিন্তু তিনি ইসলামের সেবায় তার অবিনশ্বর কীর্তির মাধ্যমে চিরজীবন আমাদের মনের মনিকোঠায় বসবাস করবেন।

ড. জাহাঙ্গীর ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খোন্দকার আনওয়ারুজ্জামান ও মায়ের নাম বেগম লুৎফুন্নাহার।

তিনি ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৩ সালে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল ও ১৯৭৯ সালে হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করেন। এরপর তিনি সৌদি আরবের রিয়াদের ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে অনার্স, ১৯৯২ সালে মাস্টার্স ও ১৯৯৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

রিয়াদের অধ্যয়নবালে তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমানের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন। সৌদিতে তিনি শায়খ বিন বায, বিন উসায়মিন, আল জিবরিন ও আল ফাউজানসহ বিশ্ববরেণ্য স্কলারদের সান্নিধ্যে থেকে ইসলাম প্রচারে বিশেষ দীক্ষা গ্রহণ করেন।

রিয়াদে অধ্যয়নকালে তিনি উত্তর রিয়াদ ইসলামি সেন্টারে দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে প্রায় তিন বছর কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সৌদি আরবে শিক্ষা শেষে লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসলাম প্রচার ও সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে ফিরে আসেন বাংলাদেশে।

দেশে এসে ইসলাম প্রচারসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে তিনি একই বিভাগে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। এছাড়াও তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দারুস সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস হিসেবে সহিহ বোখারির ক্লাস নিতেন। তিনি ওয়াজ মাহফিলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন আলোচক ছিলেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করে তিনি মানুষকে শোনাতেন শাশ্বত ইসলামের বিশুদ্ধ বাণী।

বাংলা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় সমাজ সংস্কার, গবেষণা ও শিক্ষামূলক প্রায় পঞ্চাশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- এহয়াউস সুনান, তরিকে বেলায়েত, হাদিসের নামে জালিয়াতি, ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ইত্যাদি।

মরহুম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সদালাপী, বিনয়ী, উম্মাহর জন্য দরদী, মুখলিস, পরমত সম্মানকারী, যুগসচেতন, ভারসাম্যপূর্ণ, উম্মাহর ঐক্য ভাবনায় বিভোর, প্রাজ্ঞ ও পণ্ডিত হিসেবে সব মহলে সমাদৃত ছিলেন।

ফুরফুরা শরীফের পীর আবদুল কাহহার সিদ্দীকির মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

বই ডাউনলোড করুন:


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ