Powered By Blogger
ফরজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফরজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২২ ডিসেম্বর ২০২০

ইসলামে ফরজ ও ওয়াজিব কাজ

ফরজ কাজ কাকে বলে? সব ফরজ কাজ কি কোরআনে বলা আছে? ফরজ আর ওয়াজিব এর পার্থক্য কি?
উত্তর: আমরা জানি, ফরজ কাজ হল-আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা,আসমানী কিতাব সমুহে ঈমান আনা, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, পিতা মাতার সেবা করা, ওয়াদা পালন করা, সত্য কথা বলা, ন্যায় বিচার করা ইত্যাদি। নবী ( সঃ) যে কাজ কখনো ছাড়েননি বা কখনও কখনও ছেড়ে দিয়েছেন তা সুন্নত। 
 ফরজ বা ওয়াজিব হলো সেই কাজগুলো যা কোনো মুসলমানকে অবশ্যই করতে হবে। ফরজ কাজ করলে সওয়াব আছে, না করলে গুনাহ হবে। যেমনঃ ফজরের ২ রাকা’আত ফরজ নামাজ।কিভাবে বুঝব কোনো কাজ ফরজ? আল্লাহ্‌ বা রাসূলুল্লাহ(সা) যে কাজগুলো আমাদেরকে পালন করতে বলেছেন এবং এর কোন ব্যতিক্রম (exception) করেন নাই, সেই কাজগুলি ফরজ বা ওয়াজিব। আল্লাহ্‌ সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতে বলেনঃনবী যা কিছু তোমাদের পালন করতে আদেশ করেন তা করো, আর তিনি যা কিছু করতে নিষেধ করেছেন তা ছাড়ো।  
 
ফরজ ও ওয়াজিব এর পার্থক্য:ফরজ বা ওয়াজিব এই দুইটি শব্দেরই অর্থ বাধ্যতামূলক। এই দুইয়ের মধ্যে শব্দগতভাবে কোনই পার্থক্য নাই। অধিকাংশ স্কলার এই দুইটি শব্দকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, আমাদের দেশে প্রচলিত ভাবে কোনও কোনও কাজকে ফরজ (যেমন জুমু’আর ২ রাক’আত নামাজ), আর কোনও কোনও কাজকে ওয়াজিব (যেমন নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া) বলা হয়ে থাকে হানাফী মাজহাবের প্রভাবের কারণে ।ইমাম আবু হানিফা কোনও কাজকে ফরজ বলেছেন যদি তার গবেষণায় সেই কাজের নির্দেশ তিনি কোরআনে বা আল্লাহ্‌র তরফ থেকে পেয়ে থাকেন। আর তিনি কোনো কাজকে ওয়াজিব বলেছেন, যদি কোনও কাজ বাধ্যতামূলক – এই নির্দেশ তিনি রাসূলুল্লাহ(সা) এর সুন্নাহ থেকে পেয়ে থাকেন। এই শ্রেনীবিভাগ কনফিউশন সৃষ্টি করে, তাই এই বিভাজন পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। আমরা ফরজ এবং ওয়াজিব শব্দ দুইটিকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করব।  

 কিছু ফরজ কাজের উদাহরণঃ ৫ ওয়াক্তে ১৭ রাক’আত ফরজ নামাজ পড়া, রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখা, সামর্থ্য থাকলে যাকাত দেয়া ও হজ্জ্ব করা, ছেলেদের দাড়ি রাখা, মেয়েদের পর্দার বিধান মেনে চলা ইত্যাদি। ফরজ নির্দেশগুলো পালন না করলে আল্লাহ্‌ শাস্তি দিবেন, ইসলামের বাকী নির্দেশগুলো - যেমন মুস্তাহাব, মুবাহ্‌ ইত্যাদি পালন না করলে কোনো শাস্তি হবে না। তাই, আমাদের উচিত সর্বপ্রথম আল্লাহ্‌র ফরজ হুকুমগুলো জানা এবং এগুলো ঠিকমত পালন করা।
সূত্রঃ Foundations of Islamic Studies: Dr. Bilal Philips.

 

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ