Bangladesh Newspaper :-
TV Chanel :-
All Bangla TV Chanels & Media Link
Web Site :-
ই-কমার্স SDE
Videoes
Mizanur Rahman Azhari Bangla Waz
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম # Islamic News * নামাজ পড়ুন, * আল কুরআন বুঝে পড়ুন. *কালেকশন বাই মো: জালাল উদ্দিন, বি,এসসি,(গণিত, পদার্থ বিদ্যা,রসায়ন বিদ্যা), বি,এড।ব্যাংকার।
Bangladesh Newspaper :-
TV Chanel :-
All Bangla TV Chanels & Media Link
Web Site :-
ই-কমার্স SDE
Videoes
Mizanur Rahman Azhari Bangla Waz
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন রক গান শোনার কারণে ছেলে মেয়েরা হিংস্র খুনি হয়ে ওঠে। এক তরুণী তার বাবা মাকে হত্যা করে ফেলেছে কোনো কারণ ছাড়াই। পরে তাকে নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হলে দেখা গেল তার মস্তিষ্কে কেবল রক গানের মিউজিক ঘুরছে। মিউজিকটি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে দেখা গেল তাতে বলা হচ্ছে কিল্ হিম্, কিল্ হার। কিল্ ইয়োর ফাদার কিল্ ইয়োর মাদার। কিল্ কিল্ কিল্। কিল্ হিম্ কিল্ হার। দেখা যাচ্ছে এসব মিউজিকের কোনো অর্থ বোঝা না গেলেও অবচেতনে এটি মানব মস্তিষ্কে বিভিন্ন ম্যাসেজ দিতে পারে। চেতন মনের চেয়েও যা অধিক কাজ করে।নবীজীর সাহাবিদের যুগেই পবিত্র কোরআন অনারব সব অঞ্চলে প্রবেশ করে। সাহাবিরা কখনও এমন ফতোয়া দেননি যে, কোরআন না বুঝে পড়লে কোনো সওয়াব হবে না।
তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়ি থেকে নিয়ে চৌদ্দশ বছর ধরে একজন মনীষীও এমন ফতোয়া দেননি। কিন্তু সময় বদলেছে। ইদানিং দেখতে পাচ্ছি কিছু স্কলার বলতে চাচ্ছেন আরবি কোরআন যদি কেউ আরবি থেকে না বোঝে তাহলে তার জন্য আরবি না বুঝে তেলাওয়াতের চেয়ে বাংলা বা ইংলিশ ট্রান্সলেট পড়া অধিক উত্তম।
বিভিন্ন হাদীসে কোরআন পড়ার যে ফজীলতের কথা রয়েছে তা এই বাংলা বা ইংরেজিতে পড়লেও অর্জিত হবে। আর আরবি না বুঝে তেলাওয়াত করলে বিন্দু মাত্র ফায়দা নেই, সওয়াবও নেই। কারণ কোরআনকে বলা হয়েছে হেদায়াত ও পথনির্দেশ। যদি কেউ না বুঝে কোরআন পড়ে তাহলে তোতা পাখির মত উচ্চারণ করার দ্বারা তার জন্য কোনো পথনির্দেশ সে অর্জন করতে পারছে না। কাজেই তার কোনো সওয়াব হবে না। অর্থহীন যারা খতমের পর খতম করছে অথচ একটি আয়াতের অর্থও বুঝতে পারছে না তারা এত খতম না করে একটি সুরা বাংলা বা ইংলিশ তরজমা দেখে পড়লে আরও বেশি সওয়াব লাভ হবে।
এর সপক্ষে তারা নানা যুক্তি উপস্থাপন করছেন। কোরআন হাদীস থেকেও দলীল দেয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বলছেন, ‘না বুঝেও কোরআন পড়লে সওয়াব হবে’ এমন একটি আয়াত বা হাদীস নেই। অথচ না বুঝে পড়লে সওয়াব হবে না এমন কোনো দলীলও তাদের সামনে নেই। মূলত যেসব বর্ণনায় কোরআন পাঠের সওয়াবের কথা লেখা আছে সেগুলোতে বুঝে বা না বুঝে এমন কোনো কথা যুক্ত নেই।
সে হিসেবে যে কোনো ভাবেই পাঠ করুক বর্ণিত সওয়াব অর্জিত হবার কথা। কুতর্ক করে তারা বলছেন, ‘না, এখানে পড়ার দ্বারা বুঝে পড়া উদ্দেশ্য।’ অথচ কেরাআত ও তেলাওয়াতের অর্থ আরবি অভিধানসমূহের কোথাও বুঝে পড়ার কথা নেই।
সমাজের কিছু মানুষ এমন আছে যারা একজীবন পার হয়ে যায় কখনও পবিত্র কোরআন বোঝার চেষ্টাটুকুও করেন না। অথচ তারা দ্বীনদার। কেবল তেলাওয়াতেই সন্তুষ্ট থাকেন। অন্য নতুন শ্রেণী গড়ে উঠছে, যারা কখনও তেলাওয়াত করবেন না। না বুঝে তেলাওয়াতকে অনর্থক মনে করেন। বাংলা বা ইংরেজি থেকে তরজমা পড়ে কোরআন চর্চা করেন। এই দুই দলই প্রান্তিকতার শিকার।
প্রথম দল কোরআনকে বরকত মনে করছেন। কোরআন অবশ্যই বরকতের। কিন্তু এই বরকতের পূর্ণতা এটি বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার মাঝে। নিঃসন্দেহে তারা কোরআনের বিধান আলেমদের কাছ থেকে শুনে আমল করছেন। কিন্তু তারা ইচ্ছা করলে নিজেরা বুঝে বিধানসমূহের জ্ঞান অর্জন করতে পারতেন। তাদের এ জ্ঞান চর্চার দ্বারা হৃদয় প্রশস্ত হতো এবং অন্তর আলোকিত হতো। তাদের ভেতর অন্যরকম এক নুরানিয়াত ও রুহানিয়াত তারা উপলব্ধি করতে পারতেন। এই বিরাট অর্জন থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
দ্বিতীয় দল কোরআনকে অন্য সাধারণ বই পুস্তকের মত মনে করছেন, যা না বুঝে পড়লে কোনো উপকারিতা নেই। মূলত তাদের ইমানের ত্রুটি রয়েছে।
পবিত্র কোরআনের আছে তুলনাহীন এক সুর আর ছন্দ। কবিতার ছন্দ নয়, অপার্থিব অলৌকিক এক তাল লয় ও শৈলী। হৃদয়ের পরতে পরতে রেখাপাত করে যায় এর শব্দের ঝংকার।
অন্তরে দোলা দিয়ে যায় কোরআনের তেলাওয়াত। কি যে মধু মাখা। কি যে স্বাদ আর গন্ধ। সত্যি পবিত্র কোরআনের সেই স্বাদ যে পায়নি তার জীবনটা শুষ্ক মরুভূমি। অশান্ত জীবনে কোরআনের একটি আয়াতের তেলাওয়াত এনে দিতে পারে পরম শান্তি।
কোরআন পড়তে পড়তে সুফি সাধকরা চলে যান আরশে আযীমের কাছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, সুফিবাদের এসব কথা হয়ত নাও বুঝতে পারি কিন্তু আমরা কোরআন তেলাওয়াতের স্বাদ হৃদয়ঙ্গম করতে পারি যে কোনো সময়।
বুঝুক আর না বুঝুক সে তো পাঠ করছে মহান মালিকের কালাম। সাত আকাশের ওপর থেকে আসা এক অনন্য বাণী। যা স্রষ্টার পক্ষ থেকে নাযিল । পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে কোরান হেদায়েত ও বাইয়িনাত। এ থেকেই এ দ্বিতীয় শ্রেণীর সরল মুসলিমরা এটাকে কোরআনের একমাত্র বৈশিষ্ট্য মনে করে বসে আছেন অথচ এ বৈশিষ্ট্যের পূর্বে আল্লাহ সবখানে প্রধান বৈশিষ্ট্য নিজেই বলে দিয়েছেন, আর তা হচ্ছে, উনযিলা, আনযালা, নাযযালা, নুযযিলা..। অর্থাৎ কোরআন এমন এক গ্রন্থ যা সপ্তাকাশের ওপার থেকে আরশে আযীম ও লাওহে মাহফুজ থেকে মুহাম্মাদের সিনা মুবারকে নাযিল হয়েছে। মুনাযযাল মিনাল্লাহ। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।
মহান সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। এর প্রতিটি শব্দ আল্লাহর কালাম। এ কালাম কোনো সৃষ্ট বস্তু নয়। পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াতে একথা ঘোষণা করা হচ্ছে।
পাঠকারী কোরআন পাঠের সময় এ ইমান নিয়ে যখন পাঠ করে তখন না বুঝলেও প্রতিটি আয়াত তার ভেতর যিকর হিসেবে প্রবেশ করে। বের হয় তাকওয়ার রূপ নিয়ে।
কারণ যতই যে পড়ে ততই তার ভেতর তাকওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। তবে এর পূর্ণতা হয় যদি সে বুঝে আত্মনিমগ্ন হয়ে পড়তে পারে। কোরআনের কোনো তুলনা নেই, তার কালামেরও কোনো তুলনা
দিন দিন কোরআন আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। হাদীসে আছে কেয়ামতের আগে একসময় কোরআনকে আকাশে উঠিয়ে নেয়া হবে। সেসময় কোরআন খুলে কেবল সাদা পাতা দেখতে পাবেন।
আল্লাহর কালাম আল্লাহ রাখবেন না। এমন দিন আসার আগেই কোরআন পড়তে শিখুন। যারা তেলাওয়াত শিখেছেন তারা এর অনুবাদ পড়ুন। আর সবচেয়ে ভালো হয় আরবি ভাষা শিখে সরাসরি আরবি কোরআন বোঝার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।
আমিন ।
Source :Jugantor
খ্রিস্টান ধর্মের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। বিভিন্ন অনলাইন গবেষণা অনুসারে বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম। ২০২০ সালের সাম্প্রতিক জরিপগুলি বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১.৯ বিলিয়ন বা ২৪.৫ শতাংশ মুসলমান এবং প্রতি বছর ৫ হাজারেও বেশি ব্রিটিশ ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন যাদের বেশিরভাগই মহিলা।
জরিপের গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৩০ হাজার লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। প্রতি বছর ইসলামে ধর্মান্তরিতদের সংখ্যা নরওয়েতে ৩ হাজার। ধর্মান্তরিতরা বলছেন যে, তাদের কাছে ইসলাম ধর্মকে অপেক্ষাকৃত যুক্তিযুক্ত এবং সত্য মনে হয়েছে। এবং তাদের ইশ্বরই ইসলামের পথে তাদেরকে চালিত করেছেন। সিএনএন’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বস্তরের লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, বিশেষত হিস্পানিক এবং আফ্রিকান-আমেরিকানরা।’
মার্কিন পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ বা ২.৮ বিলিয়ন এবং খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৩১ শতাংশ বা ২.৯ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক কাউফম্যান বলেছেন যে, মুসলিমরা ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু হবে এবং ২০৫০ সালে পশ্চিম ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের মতো উচ্চ অভিবাসনপ্রাপ্ত দেশে ১০-১৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকবে। ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান সাংবাদিক এবং লেখক ডগ স্যান্ডার্স বলেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি, গ্রীস, স্পেন এবং ডেনমার্কে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্মের হার সমান হবে।
পিউ রিসার্চের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের ১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১.২ বিলিয়ন পৌঁছবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলেও মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ২০১০ সালের প্রায় ৩ শ’ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ৫ শ’ ৫০ মিলিয়নেরও পৌছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের প্রায় ২৫০ মিলিয়ন থেকে ২০৫০ সালে প্রায় ৬ শ’ ৭০ মিলিয়নে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে যা দ্বিগুণেরও বেশি। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মতো ছোট মুসলিম জনসংখ্যার অঞ্চলগুলিতেও মুসলমানদের সংখ্যা ২০৫০ সালে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬ শতাংশ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ৩০ শতাংশ হবে। উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যা ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া অঞ্চলে মুসলিমরা ২০৫০ সালের মধ্যে সময়ের মধ্যে হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে। ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়ায় বিশ্বের ৪৮ শতংশ মুসলিম ছিল। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতের পর ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মুসলমানের বাসস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : পিউ রিসার্চ স্টোর, উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।
Source: Islamic Online Media
Click to view
Why islamic culture is absent in media?
এদেশের মিডিয়া এদেশর মানুষের চিন্তাধারা ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে?
নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশের সংবাদমাধ্যমে মুসলমানের সিম্বলের উপস্থিতি নাই কেন? পত্রিকার পাতা বা টিভির স্ক্রিন দেখলে কি কোথাও মুসলমানের সিম্বলগুলো দেখা যায়? শাড়ি, লুঙ্গি, শার্ট, প্যান্টের পাশাপাশি দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব, মাথায় কাপড় ইত্যাদি যে স্বাভাবিক বাংলাদেশি কালচারের পোশাক- তা কি বাংলাদেশের টিভির পর্দায় তাকালে বুঝবে কোনো বিদেশি লোক?
বাংলাদেশি টিভির পর্দায় কি কোনো হিজাব পরিহিতা নারী, কিম্বা দাড়ি টুপিওয়ালা পুরুষ উপস্থাপক দেখা যায়? এই দেশের কোনো হিজাবী নারী বা দাড়ি টুপি ওয়ালা পুরুষ কি টিভি উপস্থাপক হিসেবে চাকরি করতে চান না? বিশ্ববিদ্যলায়গুলোর জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টগুলিতে কি হিজাবি বা দাড়িটুপি ওয়ালা ছাত্ররা নেই যারা মিডিয়াতে ক্যারিয়ার করতে চায়? নাকি এইসব পোশাকওয়ালাদেরকে ইচ্ছা করে দূরে ঠেলে রাখা হয় টিভির পর্দা থেকে?
বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি থাকার পরও স্কুল লেভেলে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট থাকার কারণে অনেককে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে চাকরি দেয়া হয়না। এর কারণ কী? কেন দাড়িটুপিওয়ালাদের জায়গা হয় শুধু পত্রিকার ‘ধর্ম পাতায়’?
দাড়িটুপি থাকলে কি সাধারণ সাংবাদিকতা করা যায় না? নাকি দাড়িটুপি পাঞ্জাবিওয়ালা বাংলাদেশিদের কেউই সাংবাদিকতা করতে চান না? এমন তো হওয়ার কথা নয়!পশ্চিমা দেশগুলোর মিডিয়াতেও তো ধর্মীয়, বর্ণগত, অঞ্চলগত ডাইভার্সিটি বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের মিডিয়ার জনশক্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বৈচিত্রের রিপ্রেজেন্টেশন কোথায়? কেন নির্দিষ্ট ধর্মের সিম্বলধারণকারীদেরকে মিডিয়া থেকে দূরে রাখা হয়?
টিভিগুলিতে বা পত্রিকার ছবিতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়/স্কুলের পরীক্ষা/ফলাফলের খবর দেখানো হয় তখন দাড়িটুপিওয়ালা শিক্ষার্থীদের ছবি দেখা যায় না কেন? অথচ কিছু দিন আগে কোনো এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের তরুণীদের অধিকাংশই এখন হিজাব পরিধান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ হিজাব পরছেন। ইচ্ছা করেই মিডিয়ায় হিজাবী নারী শিক্ষার্থীদের ছবি পরিহার করা হয়?
দেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের অর্ধেকর মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও রয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দাড়িটুপিওয়ালা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ছবির উপস্থিতি নেতিবাচক খবর ছাড়া কি কোথাও দেখা যায়?
কনসার্ট কিম্বা নাচের সমাবেশের খবর ও ছবি তো নিয়মিতই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ভালো ভালো নামকরা অনেক আলেমের ওয়াজ মাহফিলের (বিশ্ব ইজতেমা ছাড়া) ছবি ও খবর কি মূলধারার মিডিয়ায় কখনো দেখেছেন? কনসার্ট আর নাচ বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর ওয়াজ কি আবহমান বাংলার সংষ্কৃতি নয়? শত শত বছর ধরে এই সংস্কৃতি চলছে না এ দেশে? বরং ওয়াজ মাহফিলের একটা ক্ষুদ্রাংশে যেসব ভুল পাওয়া যায় সেগুলোকে হাইলাইট করে পুরো ওয়াজের সংস্কৃতিকে নেতিবাচকভাবে কি উপস্থাপন করা হয় না?
মিডিয়াতে আলেম উলামাদের উপস্থাপনা কি ইতিবাচকভাবে হয়? মূলধারার মিডিয়াতে আলেমদের ডাকা হয় দুই কারণে। এক. রমজান উপলক্ষ্যে দর্শক/পাঠক ধরার স্বার্থে। দুই. কোনো বিতর্কিত ইস্যুতে আলেমদেরকে হাজির করে কয়েকজনে মিলে একসাথে ন্যাস্তনাবুদ করতে। কোথাও কি দেখেছেন কোনো ইস্যুতে অন্যান্য ফিল্ডের বিশেষজ্ঞদের মতো করে সম্মান প্রদর্শনস্বরূপ আলেমদের মতামত নিতে মূল ধারার মিডিয়ায়?
চলমান ধর্ষণের মহামারি ইস্যুতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সমাজবিজ্ঞানী, রাজনীতিক
ব্যক্তি, আইনজীবী, সেলিব্রিটি ইত্যাদির মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন দেখবেন।
কিন্তু কোনো আলেমের মতামত নিতে দেখেছেন কোনো মিডিয়ায়? যে কোনো অপরাধ
মোকাবেলার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধের তো একটা ভূমিকা আছে। সে হিসেবে
বিশ্বেষজ্ঞ আলেমদের মতামত তো এক্ষেত্রে নেয়াই যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু
বাংলাদেশের মূলধারার কোনো মিডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটি কখনো দেখবেন না। কারণ
কী?
মুসলমানের ধর্মীয় দিবস ইত্যাদির সংবাদ প্রচার করতে গিয়েও টিভির মুসলিম
উপস্থাপকদের মুখে কি ‘আল্লাহ’ শব্দের উচ্চারণ কখনো শুনেছেন? বাংলাদেশের
মিডিয়ায় ‘আল্লাহ’ উচ্চারিত হয় না। বলা হয়, ‘সৃষ্টিকর্তা’। অথচ এদেশের প্রায়
নব্বই ভাগ লোক কথায় কথায় ‘আল্লাহ’ বলে থাকেন।
তবে কি এদেশের মিডিয়া এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচার ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে?
Source : Islamic Online Media
Islamic World