Powered By Blogger
সুরা মুলক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুরা মুলক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৩ জুন ২০২৩

৩৪৩।। আল কুরআন ৬৭-সুরা মুলক বাংলা অনুবাদ

 ৬৭-মুলক



(67:0)



অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে




(67:1)



অনুবাদ:    অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি যাঁর হাতে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের কর্তৃত্ব। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতা রাখেন।




(67:2)



অনুবাদ:    কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীলও।




(67:3)



অনুবাদ:    তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?




(67:4)



অনুবাদ:    তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে।




(67:5)



অনুবাদ:    আমি তোমাদের কাছের আসমানকে সুবিশাল প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি। আর সেগুলোকে শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি। এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।




(67:6)



অনুবাদ:    যেসব লোক তাদের রবকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটি অত্যন্ত খারাপ জায়গা।




(67:7)



অনুবাদ:    তাদেরকে যখন সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তার ভয়ানক গর্জনের শব্দ শুনতে পাবে এবং তা টগবগ করে ফুটতে থাকবে।




(67:8)



অনুবাদ:    অত্যধিক রোষে তা ফেটে পড়ার উপক্রম হবে। যখনই তার মধ্যে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে তখনই তার ব্যবস্থাপকরা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সাবধানকারী আসেনি?




(67:9)



অনুবাদ:    তারা জবাব দেবে, হ্যাঁ, আমাদের কাছে সাবধানকারী এসেছিলো। কিন্তু আমরা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিলাম এবং বলেছিলাম আল্লাহ‌ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরাই বরং বিরাট ভুলের মধ্যে পড়ে আছো।




(67:10)



অনুবাদ:    তারা আরো বলবেঃ আহা! আমরা যদি শুনতাম এবং বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বুঝতাম, তাহলে আজ এ জ্বলন্ত আগুনে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে গণ্য হতাম না।




(67:11)



অনুবাদ:    এভাবে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে। এ দোযখবাসীদের ওপর আল্লাহর লানত।




(67:12)



অনুবাদ:    যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে, নিশ্চয়ই তারা লাভ করবে ক্ষমা এবং বিরাট পুরস্কার।




(67:13)



অনুবাদ:    তোমরা নীচু স্বরে চুপে চুপে কথা বলো কিংবা উচ্চস্বরে কথা বলো (আল্লাহর কাছে দু'টোই সমান) তিনি তো মনের অবস্থা পর্যন্ত জানেন।




(67:14)



অনুবাদ:    যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই কি জানবেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয় ভালভাবে অবগত।




(67:15)



অনুবাদ:    তিনিই তো সেই মহান সত্তা যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। তোমরা এর বুকের ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও। আবার জীবিত হয়ে তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।




(67:16)



অনুবাদ:    যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের মাটির মধ্যে ধসিয়ে দেবেন এবং অকস্মাৎ ভুপৃষ্ঠ জোরে ঝাঁকুনি খেতে থাকবে, এ ব্যাপারে কি তোমরা নির্ভয় হয়ে গিয়েছো?




(67:17)



অনুবাদ:    যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী হাওয়া পাঠাবেন ---এ ব্যাপরেও কি তোমরা নির্ভয় হয়ে গিয়েছো? তখন তোমরা জানতে পারবে আমার সাবধানবাণী কেমন?




(67:18)



অনুবাদ:    তাদের পূর্বের লোকেরাও মিথ্যা আরোপ করেছিল। ফলে দেখো, আমার পাকড়াও কত কঠিন হয়েছিল।




(67:19)



অনুবাদ:    তারা কি মাথার ওপর উড়ন্ত পাখীগুলোকে ডানা মেলতে ও গুটিয়ে নিতে দেখে না? রহমান ছাড়া আর কেউ নেই যিনি তাদেরকে ধরে রাখেন। তিনিই সবকিছুর রক্ষক।




(67:20)



অনুবাদ:    বলো তো, তোমাদের কাছে কি এমন কোন বাহিনী আছে যা রহমানের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারে? বাস্তব অবস্থা হলো, এসব কাফেররা ধোঁকায় পড়ে আছে মাত্র।




(67:21)



অনুবাদ:    অথবা বলো, রহমান যদি তোমাদের রিযিক বন্ধ করে দেন তাহলে এমন কেউ আছে, যে তোমাদের রিযিক দিতে পারে? প্রকৃতপক্ষে এসব লোক বিদ্রোহ ও সত্য বিমুখতায় বদ্ধপরিকর।




(67:22)



অনুবাদ:    ভেবে দেখো, যে ব্যক্তি মুখ নিচু করে পথ চলছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত, না যে ব্যক্তি মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে সমতল পথে হাঁটছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত?




(67:23)



অনুবাদ:    এদেরকে বলো, আল্লাহই তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো।




(67:24)



অনুবাদ:    এদেরকে বলো, আল্লাহই সেই সত্তা যিনি তোমাদের পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাঁরই কাছে তোমাদের সমবেত করা হবে।




(67:25)



অনুবাদ:    এরা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে বলো এ ওয়াদা কবে বাস্তবায়িত হবে?




(67:26)



অনুবাদ:    বলো, এ বিষয়ে জ্ঞান আছে শুধু আল্লাহর নিকট। আমি স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।




(67:27)



অনুবাদ:    তারপর এরা যখন ঐ জিনিসকে কাছেই দেখতে পাবে তখন যারা অস্বীকার করেছে তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে যাবে। আর তাদেরকে বলা হবে, এতো সেই জিনিস যা তোমরা চাচ্ছিলে।




(67:28)



অনুবাদ:    তুমি এদেরকে বলো, তোমরা কখনো এ বিষয়টি ভেবে দেখেছো কি যে, আল্লাহ‌ যদি আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করে দেন কিংবা আমাদের ওপর রহম করেন তাতে কাফেরদেরকে কঠিন শাস্তি থেকে কে রক্ষা করবে?




(67:29)



অনুবাদ:    এদেরকে বলো, তিনি অত্যন্ত দয়ালু, আমরা তাঁর ওপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই ওপর নির্ভর করেছি। তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছে?




(67:30)



অনুবাদ:    এদেরকে বলো, তোমরা কি এ বিষয়ে কখনো চিন্তা-ভাবনা করে দেখছো যে, যদি তোমাদের কুয়াগুলোর পানি মাটির গভীরে নেমে যায় তাহলে পানির এ বহমান স্রোত কে তোমাদের ফিরিয়ে এনে দেবে?




০৩ জানুয়ারী ২০২১

আল কুরআন, সুরা মুলক ৬৭(১-৩০)


আল কুরআন,  সুরা মুলক

(67:0)
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

শব্দার্থ:   بِسْمِ = নামে,     اللَّهِ = আল্লাহ(র),     الرَّحْمَٰنِ = পরমকরুণাময়,     الرَّحِيمِ = অসীমদয়ালু,

অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে



(67:1)
تَبٰرَكَ الَّذِیْ بِیَدِهِ الْمُلْكُ٘  وَ هُوَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرُۙ

শব্দার্থ:        تَبَارَكَ =  বড়বরকতময়,     الَّذِي =  সেই(সত্তা),     بِيَدِهِ =  যারহাতে,     الْمُلْكُ =  কর্তৃত্ব,     وَهُوَ =  এবংতিনিই,     عَلَىٰ =  উপর,     كُلِّ =  সব,     شَيْءٍ =  কিছুর,     قَدِيرٌ =  ক্ষমতাবান,

অনুবাদ:    অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি যাঁর হাতে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের কর্তৃত্ব। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতা রাখেন।



(67:2)
الَّذِیْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوةَ لِیَبْلُوَكُمْ اَیُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًاؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفُوْرُۙ

শব্দার্থ:        الَّذِي =  যিনি,     خَلَقَ =  সৃষ্টিকরেছেন,     الْمَوْتَ =  মৃত্যু,     وَالْحَيَاةَ =  এবংজীবন,     لِيَبْلُوَكُمْ =  তোমাদেরপরীক্ষাকরারজন্য,     أَيُّكُمْ =  তোমাদেরমধ্যেকে,     أَحْسَنُ =  সর্বোত্তম,     عَمَلًا =  আমলে,     وَهُوَ =  এবংতিনিই,     الْعَزِيزُ =  পরাক্রমশালী,     الْغَفُورُ =  ক্ষমাশীল,

অনুবাদ:    কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীলও।



(67:3)
الَّذِیْ خَلَقَ سَبْعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًاؕ مَا تَرٰى فِیْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفٰوُتٍؕ فَارْجِعِ الْبَصَرَۙ هَلْ تَرٰى مِنْ فُطُوْرٍ

শব্দার্থ:        الَّذِي =  তিনিই,     خَلَقَ =  সৃষ্টিকরেছেন,     سَبْعَ =  সাত,     سَمَاوَاتٍ =  আকাশ,     طِبَاقًا =  স্তরেস্তরে,     مَا =  না,     تَرَىٰ =  দেখতেপাবে,     فِي =  মধ্যে,     خَلْقِ =  সৃষ্টির,     الرَّحْمَٰنِ =  দয়াবানের,     مِنْ =  কোন,     تَفَاوُتٍ =  অসঙ্গতি,     فَارْجِعِ =  অতএবফিরাও,     الْبَصَرَ =  দৃষ্টিশক্তি,     هَلْ =  কি,     تَرَىٰ =  দেখতেপাও,     مِنْ =  কোন,     فُطُورٍ =  ত্রুটি,

অনুবাদ:    তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?



(67:4)
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَیْنِ یَنْقَلِبْ اِلَیْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِیْرٌ

শব্দার্থ:        ثُمَّ =  আবার,     ارْجِعِ =  ফিরাও,     الْبَصَرَ =  দৃষ্টি,     كَرَّتَيْنِ =  বারবার,     يَنْقَلِبْ =  ফিরেআসবে,     إِلَيْكَ =  তোমারদিকে,     الْبَصَرُ =  দৃষ্টি,     خَاسِئًا =  ব্যর্থহয়ে,     وَهُوَ =  এবংতা(হবে),     حَسِيرٌ =  ক্লান্তশ্রান্ত,

অনুবাদ:    তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে।



(67:5)
وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیْحَ وَ جَعَلْنٰهَا رُجُوْمًا لِّلشَّیٰطِیْنِ وَ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِیْرِ

শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়,     زَيَّنَّا =  আমরাসাজিয়েছি,     السَّمَاءَ =  আকাশকে,     الدُّنْيَا =  নিকটবর্তী,     بِمَصَابِيحَ =  প্রদীপরাশিদিয়ে,     وَجَعَلْنَاهَا =  এবংতাআমরাবানিয়েছি,     رُجُومًا =  নিক্ষেপউপকরণ,     لِلشَّيَاطِينِ =  শয়তানদেরজন্য,     وَأَعْتَدْنَا =  এবংআমরাপ্রস্তুতকরেরেখেছি,     لَهُمْ =  তাদেরজন্যে,     عَذَابَ =  শাস্তি,     السَّعِيرِ =  প্রজ্জ্বলিতআগুনের,

অনুবাদ:    আমি তোমাদের কাছের আসমানকে সুবিশাল প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি। আর সেগুলোকে শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি। এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।



(67:6)
وَ لِلَّذِیْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ

শব্দার্থ:        وَلِلَّذِينَ =  এবংযারাজন্যে,     كَفَرُوا =  অস্বীকারকরেছে,     بِرَبِّهِمْ =  তাদেররবকে,     عَذَابُ =  শাস্তি,     جَهَنَّمَ =  জাহান্নামের,     وَبِئْسَ =  এবংঅত্যন্তখারাপ,     الْمَصِيرُ =  প্রত্যাবর্তনস্থল,

অনুবাদ:    যেসব লোক তাদের রবকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটি অত্যন্ত খারাপ জায়গা।



(67:7)
اِذَاۤ اُلْقُوْا فِیْهَا سَمِعُوْا لَهَا شَهِیْقًا وَّ هِیَ تَفُوْرُۙ

শব্দার্থ:        إِذَا =  যখন,     أُلْقُوا =  নিক্ষিপ্তহবে,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     سَمِعُوا =  তারাশুনবে,     لَهَا =  তারজন্য,     شَهِيقًا =  বিকটশব্দ,     وَهِيَ =  এবংতা,     تَفُورُ =  উদ্বেলিতহবে,

অনুবাদ:    তাদেরকে যখন সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তার ভয়ানক গর্জনের শব্দ শুনতে পাবে এবং তা টগবগ করে ফুটতে থাকবে।



(67:8)
تَكَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الْغَیْظِؕ كُلَّمَاۤ اُلْقِیَ فِیْهَا فَوْجٌ سَاَلَهُمْ خَزَنَتُهَاۤ اَلَمْ یَاْتِكُمْ نَذِیْرٌ

শব্দার্থ:        تَكَادُ =  উপক্রমহবে,     تَمَيَّزُ =  ফেটেপড়ার,     مِنَ =  মধ্যহতে,     الْغَيْظِ =  রোষে,     كُلَّمَا =  যখনই,     أُلْقِيَ =  নিক্ষিপ্তহবে,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     فَوْجٌ =  কোনদল,     سَأَلَهُمْ =  জিজ্ঞেসতাদেরকরবে,     خَزَنَتُهَا =  তাররক্ষীরা,     أَلَمْ =  নাইকি,     يَأْتِكُمْ =  তোমাদেরকাছেআসে,     نَذِيرٌ =  সতর্ককারী,

অনুবাদ:    অত্যধিক রোষে তা ফেটে পড়ার উপক্রম হবে। যখনই তার মধ্যে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে তখনই তার ব্যবস্থাপকরা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সাবধানকারী আসেনি?



(67:9)
قَالُوْا بَلٰى قَدْ جَآءَنَا نَذِیْرٌ  فَكَذَّبْنَا وَ قُلْنَا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ مِنْ شَیْءٍ ۚۖ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ كَبِیْرٍ

শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবলবে,     بَلَىٰ =  হ্যাঁ,     قَدْ =  অবশ্যই,     جَاءَنَا =  এসেছিলআমাদের(কাছে),     نَذِيرٌ =  সতর্ককারী,     فَكَذَّبْنَا =  তবেআমরামিথ্যারোপকরেছিলাম,     وَقُلْنَا =  এবংআমরাবলেছিলাম,     مَا =  নাই,     نَزَّلَ =  নাযিলকরেন,     اللَّهُ =  আল্লাহ্‌,     مِنْ =  কোন,     شَيْءٍ =  কিছু,     إِنْ =  নও,     أَنْتُمْ =  তোমরা,     إِلَّا =  এছাড়া,     فِي =  মধ্যে,     ضَلَالٍ =  গুমরাহীর,     كَبِيرٍ =  বড়,

অনুবাদ:    তারা জবাব দেবে, হ্যাঁ, আমাদের কাছে সাবধানকারী এসেছিলো। কিন্তু আমরা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিলাম এবং বলেছিলাম আল্লাহ‌ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরাই বরং বিরাট ভুলের মধ্যে পড়ে আছো।



(67:10)
وَ قَالُوْا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ اَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِیْۤ اَصْحٰبِ السَّعِیْرِ

শব্দার্থ:        وَقَالُوا =  এবংতারাবলবে,     لَوْ =  যদি,     كُنَّا =  আমরা,     نَسْمَعُ =  শুনতাম,     أَوْ =  অথবা,     نَعْقِلُ =  আমরাবিবেচনাকরতাম,     مَا =  না,     كُنَّا =  আমরাহতাম,     فِي =  মধ্যে,     أَصْحَابِ =  অধিবাসীদের,     السَّعِيرِ =  প্রজ্বলিতআগুনের,

অনুবাদ:    তারা আরো বলবেঃ আহা! আমরা যদি শুনতাম এবং বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বুঝতাম, তাহলে আজ এ জ্বলন্ত আগুনে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে গণ্য হতাম না।



(67:11)
فَاعْتَرَفُوْا بِذَنْۢبِهِمْۚ فَسُحْقًا لِّاَصْحٰبِ السَّعِیْرِ

শব্দার্থ:        فَاعْتَرَفُوا =  এভাবেতারাস্বীকারকরবে,     بِذَنْبِهِمْ =  তাদেরঅপরাধকে,     فَسُحْقًا =  অভিশাপঅতএব,     لِأَصْحَابِ =  অধিবাসীদেরজন্য,     السَّعِيرِ =  প্রজ্বলিতআগুনের,

অনুবাদ:    এভাবে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে। এ দোযখবাসীদের ওপর আল্লাহর লানত।



(67:12)
اِنَّ الَّذِیْنَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَیْبِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّ اَجْرٌ كَبِیْرٌ

শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়,     الَّذِينَ =  যারা,     يَخْشَوْنَ =  ভয়করে,     رَبَّهُمْ =  তাদেররবকে,     بِالْغَيْبِ =  অদেখাঅবস্থায়,     لَهُمْ =  তাদেরজন্য,     مَغْفِرَةٌ =  ক্ষমা,     وَأَجْرٌ =  এবংপ্রতিদান,     كَبِيرٌ =  বড়,

অনুবাদ:    যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে, নিশ্চয়ই তারা লাভ করবে ক্ষমা এবং বিরাট পুরস্কার।



(67:13)
وَ اَسِرُّوْا قَوْلَكُمْ اَوِ اجْهَرُوْا بِهٖؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ

শব্দার্থ:        وَأَسِرُّوا =  এবংতোমরাগোপনকর,     قَوْلَكُمْ =  তোমাদেরকথা,     أَوِ =  অথবা,     اجْهَرُوا =  প্রকাশকর,     بِهِ =  তাকে,     إِنَّهُ =  তিনিনিশ্চয়ই,     عَلِيمٌ =  খুবজ্ঞাত,     بِذَاتِ =  অবস্থাসম্পর্কে,     الصُّدُورِ =  অন্তরগুলোর,

অনুবাদ:    তোমরা নীচু স্বরে চুপে চুপে কথা বলো কিংবা উচ্চস্বরে কথা বলো (আল্লাহর কাছে দু'টোই সমান) তিনি তো মনের অবস্থা পর্যন্ত জানেন।



(67:14)
اَلَا یَعْلَمُ مَنْ خَلَقَؕ وَ هُوَ اللَّطِیْفُ الْخَبِیْرُ۠

শব্দার্থ:        أَلَا =  নাকি,  জ   يَعْلَمُ =  তিনিজানেন,     مَنْ =  যিনি,     خَلَقَ =  সৃষ্টিকরেছেন,     وَهُوَ =  অথচতিনি,     اللَّطِيفُ =  সূক্ষ্মদর্শী,     الْخَبِيرُ =  খুবঅবগত,

অনুবাদ:    যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই কি জানবেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয় ভালভাবে অবগত।



(67:15)
هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ ذَلُوْلًا فَامْشُوْا فِیْ مَنَاكِبِهَا وَ كُلُوْا مِنْ رِّزْقِهٖؕ وَ اِلَیْهِ النُّشُوْرُ

শব্দার্থ:        هُوَ =  তিনিই,     الَّذِي =  যিনি,     جَعَلَ =  বানিয়েছেন,     لَكُمُ =  তোমাদেরজন্য,     الْأَرْضَ =  ভূতলকে,     ذَلُولًا =  অধীন,     فَامْشُوا =  তোমরাঅতঃপরচল,     فِي =  উপর,     مَنَاكِبِهَا =  তারবক্ষের,     وَكُلُوا =  এবংতোমরাখাও,     مِنْ =  হতে,     رِزْقِهِ =  তাররিযক,     وَإِلَيْهِ =  এবংতাঁরইদিকে,     النُّشُورُ =  পুনরুত্থান,

অনুবাদ:    তিনিই তো সেই মহান সত্তা যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। তোমরা এর বুকের ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও। আবার জীবিত হয়ে তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।



(67:16)
ءَاَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَآءِ اَنْ یَّخْسِفَ بِكُمُ الْاَرْضَ فَاِذَا هِیَ تَمُوْرُۙ

শব্দার্থ:        أَأَمِنْتُمْ =  তোমরানিরাপদকিহয়েছ,     مَنْ =  (তাঁরথেকে)যিনি,     فِي =  আছেন,     السَّمَاءِ =  আসমানে,     أَنْ =  যে,     يَخْسِفَ =  ধসিয়েদেবেন,     بِكُمُ =  তোমাদেরসহ,     الْأَرْضَ =  মাটিকে,     فَإِذَا =  অতঃপর,     هِيَ =  তা,     تَمُورُ =  কাঁপবে,

অনুবাদ:    যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের মাটির মধ্যে ধসিয়ে দেবেন এবং অকস্মাৎ ভুপৃষ্ঠ জোরে ঝাঁকুনি খেতে থাকবে, এ ব্যাপারে কি তোমরা নির্ভয় হয়ে গিয়েছো?



(67:17)
اَمْ اَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَآءِ اَنْ یُّرْسِلَ عَلَیْكُمْ حَاصِبًاؕ فَسَتَعْلَمُوْنَ كَیْفَ نَذِیْرِ

শব্দার্থ:        أَمْ =  অথবা,     أَمِنْتُمْ =  তোমরানির্ভয়হয়েছ,     مَنْ =  (তাঁরথেকে)যিনি,     فِي =  আছেন,     السَّمَاءِ =  আসমানে,     أَنْ =  যে,     يُرْسِلَ =  পাঠাবেন,     عَلَيْكُمْ =  তোমাদেরউপর,     حَاصِبًا =  কঙ্করবর্ষীঝঞ্ঝা,     فَسَتَعْلَمُونَ =  তোমরাজানবেতখন,     كَيْفَ =  কেমন,     نَذِيرِ =  আমারসতর্কীকরণ,

অনুবাদ:    যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী হাওয়া পাঠাবেন ---এ ব্যাপরেও কি তোমরা নির্ভয় হয়ে গিয়েছো? তখন তোমরা জানতে পারবে আমার সাবধানবাণী কেমন?



(67:18)
وَ لَقَدْ كَذَّبَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَكَیْفَ كَانَ نَكِیْرِ

শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংকরেছিলনিশ্চয়,     كَذَّبَ =  মিথ্যারোপ,     الَّذِينَ =  যারা,     مِنْ =  (ছিল),     قَبْلِهِمْ =  তাদেরপূর্বে,     فَكَيْفَ =  কেমনফলে,     كَانَ =  ছিল,     نَكِيرِ =  আমারপাক্‌ড়াও,

অনুবাদ:    তাদের পূর্বের লোকেরাও মিথ্যা আরোপ করেছিল। ফলে দেখো, আমার পাকড়াও কত কঠিন হয়েছিল।



(67:19)
اَوَ لَمْ یَرَوْا اِلَى الطَّیْرِ فَوْقَهُمْ صٰٓفّٰتٍ وَّ یَقْبِضْنَ    م    مَا یُمْسِكُهُنَّ اِلَّا الرَّحْمٰنُؕ اِنَّهٗ بِكُلِّ شَیْءٍۭ بَصِیْرٌ

শব্দার্থ:        أَوَلَمْ =  কিনাই,     يَرَوْا =  তারাদেখে,     إِلَى =  প্রতি,     الطَّيْرِ =  পাখিগুলির,     فَوْقَهُمْ =  তাদেরউপরে,     صَافَّاتٍ =  পাখাবিস্তারকরে,     وَيَقْبِضْنَ =  ওগুটিয়েনেয়,     مَا =  না,     يُمْسِكُهُنَّ =  তাদেরধরেধরে(অন্যকেউ),     إِلَّا =  ছাড়া,     الرَّحْمَٰنُ =  দয়াবান,     إِنَّهُ =  তিনিনিশ্চয়,     بِكُلِّ =  সবউপর,     شَيْءٍ =  কিছুর,     بَصِيرٌ =  দৃষ্টিবান,

অনুবাদ:    তারা কি মাথার ওপর উড়ন্ত পাখীগুলোকে ডানা মেলতে ও গুটিয়ে নিতে দেখে না? রহমান ছাড়া আর কেউ নেই যিনি তাদেরকে ধরে রাখেন। তিনিই সবকিছুর রক্ষক।



(67:20)
اَمَّنْ هٰذَا الَّذِیْ هُوَ جُنْدٌ لَّكُمْ یَنْصُرُكُمْ مِّنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِؕ اِنِ الْكٰفِرُوْنَ اِلَّا فِیْ غُرُوْرٍۚ

শব্দার্থ:        أَمَّنْ =  অথবাকোন,     هَٰذَا =  এমন,     الَّذِي =  যা,     هُوَ =  সেই,     جُنْدٌ =  সৈন্যবাহিনী,     لَكُمْ =  তোমাদেরজন্যআছে,     يَنْصُرُكُمْ =  তোমাদেরসাহায্যকরবে,     مِنْ =  থেকে,     دُونِ =  ছাড়া,     الرَّحْمَٰنِ =  রহমান,     إِنِ =  নয়,     الْكَافِرُونَ =  আমান্যকারীরা,     إِلَّا =  এছাড়া,     فِي =  মধ্যে,     غُرُورٍ =  ধোঁকার,

অনুবাদ:    বলো তো, তোমাদের কাছে কি এমন কোন বাহিনী আছে যা রহমানের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারে? বাস্তব অবস্থা হলো, এসব কাফেররা ধোঁকায় পড়ে আছে মাত্র।



(67:21)
اَمَّنْ هٰذَا الَّذِیْ یَرْزُقُكُمْ اِنْ اَمْسَكَ رِزْقَهٗۚ بَلْ لَّجُّوْا فِیْ عُتُوٍّ وَّ نُفُوْرٍ

শব্দার্থ:        أَمَّنْ =  কেঅথবাআছে,     هَٰذَا =  এমন,     الَّذِي =  যে,     يَرْزُقُكُمْ =  তোমাদেররিযকদেবে,     إِنْ =  যদি,     أَمْسَكَ =  তিনিবন্ধকরেন,     رِزْقَهُ =  তাররিযক,     بَلْ =  বরং,     لَجُّوا =  তারাঅবিচল,     فِي =  মধ্যে,     عُتُوٍّ =  খোদাদ্রোহিতার,     وَنُفُورٍ =  এবংসত্যপরিহারে,

অনুবাদ:    অথবা বলো, রহমান যদি তোমাদের রিযিক বন্ধ করে দেন তাহলে এমন কেউ আছে, যে তোমাদের রিযিক দিতে পারে? প্রকৃতপক্ষে এসব লোক বিদ্রোহ ও সত্য বিমুখতায় বদ্ধপরিকর।



(67:22)
اَفَمَنْ یَّمْشِیْ مُكِبًّا عَلٰى وَجْهِهٖۤ اَهْدٰۤى اَمَّنْ یَّمْشِیْ سَوِیًّا عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ

শব্দার্থ:        أَفَمَنْ =  যেঅতএবকি,     يَمْشِي =  চলে,     مُكِبًّا =  অধঃগতি,     عَلَىٰ =  উপর,     وَجْهِهِ =  তারমুখের,     أَهْدَىٰ =  অধিকসত্যপথপ্রাপ্ত,     أَمَّنْ =  যেঅথবা,     يَمْشِي =  চলে,     سَوِيًّا =  সোজাসুজি,     عَلَىٰ =  উপর,     صِرَاطٍ =  পথের,     مُسْتَقِيمٍ =  সরল,

অনুবাদ:    ভেবে দেখো, যে ব্যক্তি মুখ নিচু করে পথ চলছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত, না যে ব্যক্তি মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে সমতল পথে হাঁটছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত?



(67:23)
قُلْ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْشَاَكُمْ وَ جَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْأَفْئِدَةَ قَلِیْلًا مَّا تَشْكُرُوْنَ

শব্দার্থ:        قُلْ =  বল,     هُوَ =  তিনিই,     الَّذِي =  যিনি,     أَنْشَأَكُمْ =  তোমাদেরসৃষ্টিকরেছেন,     وَجَعَلَ =  এবংদিয়েছেন,     لَكُمُ =  তোমাদেরজন্য,     السَّمْعَ =  শ্রবণশক্তি,     وَالْأَبْصَارَ =  ওদৃষ্টিশক্তি,     وَالْأَفْئِدَةَ =  এবংঅন্তঃকরণ,     قَلِيلًا =  কমই,     مَا =  যা,     تَشْكُرُونَ =  তোমরাশোকরকর,

অনুবাদ:    এদেরকে বলো, আল্লাহই তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো।



(67:24)
قُلْ هُوَ الَّذِیْ ذَرَاَكُمْ فِی الْاَرْضِ وَ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ

শব্দার্থ:        قُلْ =  বল,     هُوَ =  তিনিই,     الَّذِي =  যিনি,     ذَرَأَكُمْ =  তোমাদেরছড়িয়েদিয়েছেন,     فِي =  মধ্যে,     الْأَرْضِ =  পৃথিবীর,     وَإِلَيْهِ =  এবংতাঁরইদিকে,     تُحْشَرُونَ =  তোমাদেরএকত্রিতকরাহবে,

অনুবাদ:    এদেরকে বলো, আল্লাহই সেই সত্তা যিনি তোমাদের পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাঁরই কাছে তোমাদের সমবেত করা হবে।



(67:25)
وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰى هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ

শব্দার্থ:        وَيَقُولُونَ =  এবংতারাবলে,     مَتَىٰ =  কখন,     هَٰذَا =  এই,     الْوَعْدُ =  প্রতিশ্রুতি,     إِنْ =  যদি,     كُنْتُمْ =  তোমরাহও,     صَادِقِينَ =  সত্যবাদী,

অনুবাদ:    এরা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে বলো এ ওয়াদা কবে বাস্তবায়িত হবে?



(67:26)
قُلْ اِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللّٰهِ۪ وَ اِنَّمَاۤ اَنَا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ

শব্দার্থ:        قُلْ =  তুমিবল,     إِنَّمَا =  শুধুমাত্র,     الْعِلْمُ =  (তার)জ্ঞান,     عِنْدَ =  কাছে,     اللَّهِ =  আল্লাহর,     وَإِنَّمَا =  এবংশুধুমাত্র,     أَنَا =  আমি,     نَذِيرٌ =  সাবধানকারী,     مُبِينٌ =  স্পষ্ট,

অনুবাদ:    বলো, এ বিষয়ে জ্ঞান আছে শুধু আল্লাহর নিকট। আমি স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।



(67:27)
فَلَمَّا رَاَوْهُ زُلْفَةً سِیْٓــٴَـتْ وُجُوْهُ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ قِیْلَ هٰذَا الَّذِیْ كُنْتُمْ بِهٖ تَدَّعُوْنَ

শব্দার্থ:        فَلَمَّا =  যখনপরে,     رَأَوْهُ =  তাদেখবে,     زُلْفَةً =  নিকটে,     سِيئَتْ =  মলিনহবে,     وُجُوهُ =  মুখগুলো,     الَّذِينَ =  যারা(তাদের),     كَفَرُوا =  অস্বীকারকরেছে,     وَقِيلَ =  এবংবলাহবে,     هَٰذَا =  এই,     الَّذِي =  যা(সেই),     كُنْتُمْ =  তোমরাছিলে,     بِهِ =  তাসম্পর্কে,     تَدَّعُونَ =  দাবিকরতে,

অনুবাদ:    তারপর এরা যখন ঐ জিনিসকে কাছেই দেখতে পাবে তখন যারা অস্বীকার করেছে তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে যাবে। আর তাদেরকে বলা হবে, এতো সেই জিনিস যা তোমরা চাচ্ছিলে।



(67:28)
قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ اَهْلَكَنِیَ اللّٰهُ وَ مَنْ مَّعِیَ اَوْ رَحِمَنَاۙ فَمَنْ یُّجِیْرُ الْكٰفِرِیْنَ مِنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ

শব্দার্থ:        قُلْ =  বল,     أَرَأَيْتُمْ =  তোমরাচিন্তাকিকরেছ,     إِنْ =  যদি,     أَهْلَكَنِيَ =  আমাকেধ্বংসকরেন,     اللَّهُ =  আল্লাহ,     وَمَنْ =  এবংযারা,     مَعِيَ =  আমারসাথে,     أَوْ =  অথবা,     رَحِمَنَا =  আমাদেরপ্রতিদয়াকরেন,     فَمَنْ =  কেকিন্তু,     يُجِيرُ =  আশ্রয়দেবে,     الْكَافِرِينَ =  অস্বীকারকারীদের,     مِنْ =  থেকে,     عَذَابٍ =  আযাব,     أَلِيمٍ =  অত্যন্তপীড়াদায়ক,

অনুবাদ:    তুমি এদেরকে বলো, তোমরা কখনো এ বিষয়টি ভেবে দেখেছো কি যে, আল্লাহ‌ যদি আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করে দেন কিংবা আমাদের ওপর রহম করেন তাতে কাফেরদেরকে কঠিন শাস্তি থেকে কে রক্ষা করবে?

(67:29)
قُلْ هُوَ الرَّحْمٰنُ اٰمَنَّا بِهٖ وَ عَلَیْهِ تَوَكَّلْنَاۚ فَسَتَعْلَمُوْنَ مَنْ هُوَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ

শব্দার্থ:        قُلْ =  বল,     هُوَ =  তিনিই,     الرَّحْمَٰنُ =  পরমকরুণাময়,     آمَنَّا =  আমরাঈমানএনেছি,     بِهِ =  তারউপর,     وَعَلَيْهِ =  এবংতারউপর,     تَوَكَّلْنَا =  আমরানির্ভরকরেছি,     فَسَتَعْلَمُونَ =  অতএবশীঘ্রইতোমরাজানতেপারবে,     مَنْ =  কে,     هُوَ =  সে,     فِي =  মধ্যে,     ضَلَالٍ =  গুমরাহীর,     مُبِينٍ =  সুস্পষ্ট,

অনুবাদ:    এদেরকে বলো, তিনি অত্যন্ত দয়ালু, আমরা তাঁর ওপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই ওপর নির্ভর করেছি। তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছে?



(67:30)
قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ اَصْبَحَ مَآؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ یَّاْتِیْكُمْ بِمَآءٍ مَّعِیْنٍ۠

শব্দার্থ:        قُلْ =  বলো,     أَرَأَيْتُمْ =  তোমরাভেবেকিদেখেছ,     إِنْ =  যদি,     أَصْبَحَ =  হয়েযায়,     مَاؤُكُمْ =  তোমাদেরপানি,     غَوْرًا =  ভূগর্ভস্থ,     فَمَنْ =  কেতবে,     يَأْتِيكُمْ =  তোমাদেরকাছেআনবে,     بِمَاءٍ =  পানি,     مَعِينٍ =  প্রবহমান,

অনুবাদ:    এদেরকে বলো, তোমরা কি এ বিষয়ে কখনো চিন্তা-ভাবনা করে দেখছো যে, যদি তোমাদের কুয়াগুলোর পানি মাটির গভীরে নেমে যায় তাহলে পানির এ বহমান স্রোত কে তোমাদের ফিরিয়ে এনে দেবে?

 

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ