ফরজ কাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফরজ কাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মুসলমানের জন্য ফরজ বা অত্যাবশ্যক কাজ

    একজন মুসলমান যে কাজ অস্বীকার করলে মুসলমান বা ঈমান থাকে না, পালন না করলে আল্লাহ শাস্তি দিবেন তাই ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয় কাজ। 

যেমন-
১। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা,
২। ফেরেস্তা আছে বিশ্বাস করা,
৩। আল্লাহ হতে প্রেরিত আসমানী কিতাবে বিশ্বাস করা,
৪। রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা,
৫। আল্লাহ প্রদত্ত ভাগ্যের ভালো মন্দে বিশ্বাস করা,
৬। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার ও বিচার দিনের প্রতি বিশ্বাস  করা,
 ৭। ঈমান আনার পর নামাজ ফরজ, 
৮। নামাজের বাহিরে ৭টি ফরজ- ১) শরীর পবিত্র করা, ২) কাপড় পবিত্র, ৩) নামাজের জায়গা পবিত্র করা, ৪) নামাজের সময় হওয়া, ৫) সতর ঢাকা, ৬) কেবলা মুখী হওয়া, ৭) নিয়ত করা এবং নামজের
 ভিতরে ৬ টি ফরজ-১) আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করা,২) দাড়াইয়া নামাজ পড়া, ৩)কুরআন  তেলাওয়াত করা, ৪) রুকু করা, ৫) সেজদা করা, ৬)শেষে বসা। 
৯। পাচ ওয়াক্ত নামাজে ১৭ ফরজ। 
১০। রোজা ফরজ - ১) প্রতি রোজায় নিয়তে  এক ফরজ এবং পানাহার ও নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকা  এক ফরজ। 
১১। যাকাত দেওয়া ফরজ (ধনী ব্যক্তিদের জন্য)। 
১২। হজ্জ ফরজ (সুস্থ, সাবালক, সম্পদশালীদের জন্য), হজ্জে ফরজ কাজ তিনটি, ১) ইহরাম বাধা ২)আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা,৩) কাবা ঘর তাওয়াফ করা। 
১৩। পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই পরদা করা ফরজ। নারীর জন্য হিজাব এবং পুরুষদের জন্য বেগানা নারীর প্রতি না তাকানো। 
১৪। হারাম ও হালাল বিষয়ে মান্য করা
১৫। ন্যায়বিচার করা,
১৬। চুরি ও ডাকাতি না করা,
১৭। ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা  অর্জন করা। 
১৮। বাবা-মায়ের সেবা করা,
১৯। নাপাক হতে পাক বা পবিত্র হাওয়ার জন্য গোসল ফরজ, ফরজ গোসলে তিন ফরজ-কুলি করা, নাক পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, সম্পুর্ণ শরীর ধুয়ে ফেলা। 
২০। ওজুতে চার ফরজ-কনুইসহ হাত ধোয়া, মুখমন্ডল ধোয়া, মাথা মাসেহ করা, টাকনু সহ পা ধোয়া। 
২১।জানাজার নামাজ ( সামাজিক দায়িত্ব) ফরজ। 

"ফরজ কাজ কাকে বলে? সব ফরজ কাজ কি কোরআনে বলা আছে? ফরজ আর ওয়াজিব এর পার্থক্য কি?

উত্তর: 
ফরজ বা ওয়াজিব হলো সেই কাজগুলো যা কোনো মুসলমানকে অবশ্যই করতে হবে। ফরজ কাজ করলে সওয়াব আছে, না করলে গুনাহ হবে। যেমনঃ ফজরের ২ রাকা’আত ফরজ নামাজ।
কিভাবে বুঝব কোনো কাজ ফরজ? 
আল্লাহ্‌ বা রাসূলুল্লাহ(সা) যে কাজগুলো আমাদেরকে পালন করতে বলেছেন এবং এর কোন ব্যতিক্রম (exception) করেন নাই, সেই কাজগুলি ফরজ বা ওয়াজিব। 

আল্লাহ্‌ সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতে বলেনঃ
নবী যা কিছু তোমাদের পালন করতে আদেশ করেন তা করো, আর তিনি যা কিছু করতে নিষেধ করেছেন তা ছাড়ো। 
  
ফরজ ও ওয়াজিব এর পার্থক্য:
ফরজ বা ওয়াজিব এই দুইটি শব্দেরই অর্থ বাধ্যতামূলক। এই দুইয়ের মধ্যে শব্দগতভাবে কোনই পার্থক্য নাই। অধিকাংশ স্কলার এই দুইটি শব্দকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, আমাদের দেশে প্রচলিত ভাবে কোনও কোনও কাজকে ফরজ (যেমন জুমু’আর ২ রাক’আত নামাজ), আর কোনও কোনও কাজকে ওয়াজিব (যেমন নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া) বলা হয়ে থাকে হানাফী মাজহাবের প্রভাবের কারণে ।

ইমাম আবু হানিফা কোনও কাজকে ফরজ বলেছেন যদি তার গবেষণায় সেই কাজের নির্দেশ তিনি কোরআনে বা আল্লাহ্‌র তরফ থেকে পেয়ে থাকেন। আর তিনি কোনো কাজকে ওয়াজিব বলেছেন, যদি কোনও কাজ বাধ্যতামূলক – এই নির্দেশ তিনি রাসূলুল্লাহ(সা) এর সুন্নাহ থেকে পেয়ে থাকেন। এই শ্রেনীবিভাগ কনফিউশন সৃষ্টি করে, তাই এই বিভাজন পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। আমরা ফরজ এবং ওয়াজিব শব্দ দুইটিকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করব। 
  
কিছু ফরজ কাজের উদাহরণঃ ৫ ওয়াক্তে ১৭ রাক’আত ফরজ নামাজ পড়া, রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখা, সামর্থ্য থাকলে যাকাত দেয়া ও হজ্জ্ব করা, ছেলেদের দাড়ি রাখা, মেয়েদের পর্দার বিধান মেনে চলা ইত্যাদি। 

ফরজ নির্দেশগুলো পালন না করলে আল্লাহ্‌ শাস্তি দিবেন, ইসলামের বাকী নির্দেশগুলো - যেমন মুস্তাহাব, মুবাহ্‌ ইত্যাদি পালন না করলে কোনো শাস্তি হবে না। তাই, আমাদের উচিত সর্বপ্রথম আল্লাহ্‌র ফরজ হুকুমগুলো জানা এবং এগুলো ঠিকমত পালন করা।

সূত্রঃ Foundations of Islamic Studies: Dr. Bilal Philips."

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ