Powered By Blogger

০৫ মে ২০২৪

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪


وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ اجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِیْنَ اِمَامًا


তারা প্রার্থনা করে থাকে, “হে আমাদের রব! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম।”


২৬ জানুয়ারী ২০২৪

সুরা ফাতিহার অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

১-ফাতিহা

(1:1)

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

(1:2)

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ

(1:3)

الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِۙ

(1:4)

مٰلِكِ یَوْمِ الدِّیْنِؕ

(1:5)

اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُؕ

(1:6)

اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَۙ

(1:7)

صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ١ۙ۬ۦ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّیْنَ۠

1:1

প্রচন্ড দয়ালু, সবসময় দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে [2]


1:2

সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদ আল্লাহ্‌র [3], বিশ্বজগতের প্রভু ও প্রতিপালনকারী [4]


1:3

প্রচন্ড দয়ালু, সবসময় দয়ালু


1:4

বিচার দিবসের মালিক ও অধিপতি [5]


1:5

আমরা শুধু তোমারই ইবাদত ও দাসত্ব করি [6] এবং সাধ্যমতো চেষ্টার পাশাপাশি তোমার কাছেই সাহায্য চাই [7]


1:6

আমাদেরকে সরল, উর্দ্ধগামী পথটি দেখাও


1:7

তাদের পথ যারা তোমার অনুগ্রহ পেয়ে গেছে [9] তাদের নয় যারা রাগের কারণ অথবা যারা পথ হারিয়েছে [10]


সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

[1] “ফাতিহা” শব্দের অর্থ opening বা উদ্বোধন। সূরা ফাতিহাকে সমস্ত কুরআনের সারমর্ম বলা হয়।


[2] “রহমান” বলতে বোঝায় প্রচন্ড দয়ালু । এটা এমন দয়া যা এই মুহুর্তে করা হচ্ছে, অর্থাৎ এটা ক্রিয়া বুঝায়। রহমান এমন দয়া যা অনুপস্থিতও হয়ে যেতে পারে। যেমন – আল্লাহ যখন আমাদের শাস্তি দেন, তখন সেখানে আল্লাহর দয়া অনুপস্থিত থাকে।


অন্যদিকে “রহিম” বলতে বোঝানো হয় যে দয়া সবসবময় থাকে। যেমন – সর্বদাই কোনো না কোনোভাবে আমরা আল্লাহর দয়ার ছায়ায় থাকি। রহিম কাজ করে বিশেষণের মতো – আল্লাহ দয়ালু – অর্থাৎ কিনা আল্লাহ সবসময় দয়ালু।


[3] “হামদ” শব্দের দুটি অর্থ হয় – প্রশংসা ও ধন্যবাদ। লক্ষ্যণীয়, এই বাক্যটির একটি স্বাভাবিক গঠন হতে পারত – “আমি/আমরা আল্লাহ্‌র প্রশংসা করি”। কিন্ত সেক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও ধন্যবাদপ্রাপ্তি আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যেত। তা না করে কুরআনে বাক্যটি এমনভাবে গঠন করা হয়েছে যাতে আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও ধন্যবাদ প্রাপ্তিকে কোনো কিছুর উপর নির্ভরতাহীন ও চির সত্য রূপে বলা হয়েছে। কারণ, মহান আল্লাহর প্রশংসা কোনো প্রাণী বা বস্তুর মুখাপেক্ষি নয়।


সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করা ও তাঁকে মেনে নেয়ার সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে কৃতজ্ঞতাবোধ। যারা নাস্তিক ও অবিশ্বাসী তাদের মূল বিষয়টা হলো স্রষ্টার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব। যে স্রষ্টা মানুষকে প্রাণ দিলেন, প্রজ্ঞা দিলেন, ভালোবাসা ও রিজিক দিলেন – সেই স্রষ্টাকে অস্বীকার করা বা চেনার চেষ্টা না করা চরম অকৃতজ্ঞতা, আর তাই ইসলামে শিরক সবচাইতে বড় অপরাধ।


[4] “রব” শব্দের অনেক অর্থ হয় – স্রষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক, উপহারদানকারী, রক্ষনাবেক্ষণকারী ও প্রতিপালনকারি। তবে রব শব্দের মূল যে অর্থ এখানে প্রযোজ্য তা হলো – প্রভু ও প্রতিপালক । আল্লাহ্‌ আমাদের প্রভু আর আমরা তাঁর দাস। একজন দাস ২৪ ঘন্টাই তার প্রভুর দাস। দাস কখনো তার প্রভুর আদেশ-নিষেধের বাইরে কিছু করতে পারে না। পৃথিবীতে কোনো দাস তার মালিকের অবাধ্য হলেই শাস্তি পায়। কিন্তু আল্লাহ দয়াময়, তাই তাঁর দাসেরা বারবার ভুল করা সত্ত্বেও তিনি তাদের মাফ করতে থাকেন, তাদের গুনাহগুলো অন্যদের থেকে গোপন করে রাখেন। আমৃত্যু দাসকে তাওবাহ করার সুযোগ দেন –তিনি যে রহমান ও রহিম। আল্লাহর ইবাদত (ritual) করতে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের সমস্যা নেই, কিন্তু আল্লাহর দাসত্ব করা আমাদের জন্য অনেক বেশী কঠিন। কারণ, দাসত্ব করতে হলে অনেক ছাড় দিতে হয়, নিজেকে অহংকারমুক্ত হতে হয় এবং নিজের ইচ্ছাকে বিসর্জন দিতে হয়। ইবাদত করা কয়েক মিনিটের কাজ, কিন্তু দাসত্ব করা ২৪ ঘন্টার দায়িত্ব।


[5] এর আগে আল্লাহ বলছিলেন – আমরা তাঁর প্রশংসা করব ও তাঁকে রব বলে মানব – কারণ তিনি রহমান ও রহিম – তিনি দয়াময়। আর এবার তিনি জানিয়ে দিলেন – তিনি কিন্তু বিচারও করবেন। কাজেই আমরা যদি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং তাঁকে আমাদের রব না মানি – তিনি বিচারের মাধ্যমে আমাদের প্রাপ্য শাস্তি আমাদেরকে বুঝিয়ে দিবেন।


লক্ষ্যণীয় – আল্লাহ নিজেকে বিচারক বা বিচারের মালিক বলেননি, বলেছেন বিচার দিবস তথা সময়ের মালিক। নিজেকে সময়ের মালিক দাবি করা একমাত্র আল্লাহকেই মানায়। আর, যেহেতু আল্লাহ পুরো দিবসটির মালিক – কাজেই এদিন যতকিছু হবে, যে যা বলবে-করবে, যত সুপারিশ হবে, যা পুরষ্কার বা শাস্তি প্রদান করা হবে – তার সবকিছুই হবে আল্লাহর হুকুমে।


আরেকটা বিষয় হলো: এখানে আরবী “মালিক” শব্দটিকে দুইভাবে উচ্চারণ করা যায় – “মা-লিক” (এক আলিফ টান সহ) ও মালিক (টান ছাড়া)। মা-লিক শব্দের অর্থ হলো স্বত্বাধিকারী (owner) বা সোজা বাংলায় মালিক। আর “মালিক” শব্দের অর্থ হলো রাজা (King) বা অধিপতি। অর্থাৎ বিচার দিবসের স্বত্ব ও কর্তৃত্ব – দুইটাই কেবল আল্লাহর। আবার আরেকভাবে চিন্তা করলে –বিশাল কিছুর ওপর কর্তৃত্ব বুঝাতে আমরা রাজা / অধিপতি শব্দটি ব্যবহার করি, আর সাধারণ কিছুর উপর কর্তৃত্ব বুঝাতে আমরা মালিক শব্দটি ব্যবহার করি। আল্লাহ বিচার দিবসের মালিক ও অধিপতি – অর্থাৎ সেদিনের বড় ও ছোট সবকিছুরই পূর্ণ কর্তৃত্ব কেবল আল্লাহর।


[6] আরবী ইবাদত বলতে – প্রার্থনা ও দাসত্ব দুইই বুঝায়


[7] আরবী ইস্তি’আনা বলতে বুঝায় – নিজের সাধ্যমতো চেষ্টার পাশাপাশি সাহায্য চাওয়া


[8] “সিরাত” এমন একটি পথ যা সরল, লম্বা ও প্রশস্ত। সরল মনে মানুষ যা চিন্তা করে তার সাথে এই পথ মিলে যাবে – কাজেই এটা সরল পথ। এই পথ প্রশস্ত, যত মানুষ আসতে চায় আসতে পারবে; তবে যাত্রাটা হবে দীর্ঘ। সিরাতের কোনো বিকল্প রাস্তা হয় না – অর্থাৎ আল্লাহকে পেতে হলে এই এক পথেই (অর্থাৎ ইসলামের পথে) পাওয়া যাবে।


“মুস্তাকিম” বলতে বোঝায় সোজা হয়ে দাঁড়ানো। এর আরো অর্থ হলো – ভারসাম্যমূলক ও উর্দ্ধগামী। আমরা আল্লাহর কাছে সিরাতুল মুস্তাকিম চাচ্ছি – অর্থাৎ এমন এক উর্দ্ধমূখী সরল পথের দিশা চাচ্ছি যা আমাদের চিন্তা-চেতনাকে পার্থিব সংকীর্নতা থেকে, লোভ-লালসার মধ্যাকর্ষীয় শক্তি থেকে সমূলে বিচ্ছিন্ন করে বিশাল আকাশের দিকে নিয়ে যাবে, কিন্তু আমাদেরকে এমন ভারসাম্য শেখাবে যে আমরা আমাদের পৃথিবীর জীবনের দায়িত্বগুলোও সমান তালে পালন করতে পারব। সিরাতুল মুস্তাকিম আমাদেরকে খোদা-ভীরু ও দায়িত্ববান হতে শেখায়, চরমপন্থী হতে নিষেধ করে।


[9] এই আয়াতে আল্লাহ অতীতকাল ব্যবহার করেছেন, অর্থাৎ যারা সরল পথের উপর মৃত্যুবরণ করেছে তাদের কথা বলছেন। কারন, আজ যে ব্যক্তি সরল পথে আছে, আগামীকালও যে সে তা থাকতে পারবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।


[10] আগের আয়াতে বলা হয়েছিল সুপথপ্রাপ্ত শ্রেনীর কথা। আর এই আয়াতে বলা হচ্ছে আরো দুই শ্রেণীর কথা – “মাগদুব” ও “দল্লিন”। “মাগদুব” হলো তারা – যাদের মধ্যে সঠিক ও ভুল পথের পার্থক্যমূলক জ্ঞান আছে, কিন্তু তারপরেও তারা ভুল পথকেই বেছে নেয়, অবাধ্যতাকে বেছে নেয়। রাসূলুল্লাহ (সা) এর সময়ে ইহুদীরা এই শ্রেণির ছিল – কারণ তারা সত্য নবী বুঝার পরেও তাঁকে মেনে নেয়নি।


এই আয়াতে যখন রাগের কথা বলে হয়েছে – তখন “মাগদুব” দের উপর কে রাগ করেছে তা উহ্য রাখা হয়েছে। কিছু না বলেও বলে দেয়া ভালো সাহিত্যের একটি গুণ। “মাগদুব”দের প্রতি আল্লাহর রাগ এতই বেশী যে তাদের উপর কে কে রেগে আছে আল্লাহ তা নির্দিষ্ট করে বলার প্রয়োজন অনুভব করলেন না। আয়াতের প্রেক্ষাপট (context) অনুসারে বোঝা যায় – “মাগদুব”রা মহান আল্লাহ, ফেরেশতা ও মুমিনদের রাগ ও অসন্তোষের কারণ।


আর “দল্লিন” হলো যারা পথ হারিয়েছে, যারা ঠিকমতো জানে না, বোঝে না এদের কী করা উচিত, সঠিক পথ সম্পর্কে এদের কাছে যথেষ্ট জ্ঞান নেই। রাসূলুল্লাহ (সা) এর সময়ে খ্রিষ্টানরা এই শ্রেণির ছিল – কারণ ধর্ম সম্পর্কে তাদের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল না। তাদের কিতাব বিকৃত হয়ে পড়েছিল বহু আগেই এবং কী করা উচিত তা তারা বুঝত না।


স্কলারেরা বলেন – উপরে বর্ণিত এই তিন শ্রেনী তিনটি ভিন্ন গোষ্ঠি হতে পারে, আবার একই লোক এই তিন শ্রেণীতেই পড়তে পারে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায় – যখন আমরা আল্লাহর ইবাদত করি ও প্রতিনিয়ত আল্লাহর দেয়া আদেশ-নিষেধ মাথায় রেখে কাজ-কর্ম করি তখন আমরা সরল পথে থাকি। আবার সেই আমিই যখন গুনাহ হবে জেনেও কোনো পাপকাজে জড়িয়ে পড়ি, তখন আমি “মাগদুব”-দের একজন। আর, জীবনের কোনো বিষয়ে আমি যা করছি সেটা হালাল বা হারাম তা যদি না জেনে থাকি এবং জানার চেষ্টা না করে নিজের মনমতো চলতে থাকি – তখন আমি পথহারা “দল্লিন”।


আমরা কেউ যদি ইসলামের আলোর সন্ধান পাওয়ার পরেও বারবার আল্লাহর অবাধ্যতা করি বা নিজেকে “মাগদুব”দের অন্তর্ভুক্ত করি, তাহলে মহান আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের কাজের শাস্তিস্বরূপ আরেক স্তর নামিয়ে দিয়ে “দল্লীন” করে ফেলতে পারেন, যখন আমাদের হৃদয়ে এমন মোহর লেগে যাবে যে আমরা আর আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার ভয় পর্যন্ত করব না। আল্লাহ আমাদেরকে এহেন বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।


উস্তাদ নুমান আলি খানের লেকচার অনুসরণ করে অনুবাদটি করা হয়েছে – যেখানে আরবী শব্দগুলোকে কেবল আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভেঙে বোঝানোর চেষ্টা করানো হয়েছে।



০১ নভেম্বর ২০২৩

তুলসী পাতা

 


তুলসী গাছ। ছবি: সংগৃহীত

তুলসী একটি ঔষধি গাছ। তুলসী গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। ঔষধিগুণের এই তুলসী বিভিন্ন রোগ সারাতে কাজ করে। 


ফুসফুসের দুর্বলতা, কাশি, কুষ্ঠ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর, চর্মরোগ, বক্ষবেদনা ও হাঁপানি, হাম, বসন্ত, কৃমি, ঘামাচি, রক্তে চিনির পরিমাণ হ্রাস, কীটের দংশন, কানব্যথা, ব্রংকাইটিস, আমাশয় ও অজীর্ণে তুলসী দিয়ে তৈরি ওষুধ বিশেষভাবে কার্যকর। 


আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন রোগে কিভাবে খাবেন রসুন


তুলসীর আরও একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। সেটি হচ্ছে মশা তাড়ানো। অবাক হওয়ার কিছু নেই, সত্যি সত্যিই মশা তাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে তুলসীর। মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে মশারি টানানো, অ্যারোসল স্প্রে করা অথবা তীব্র ধোঁয়াযুক্ত কয়েল জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না। যদি তুলসী থাকে ঘরে। 


আসুন জেনে নেই যেসব রোগ সারাবে তুলসী পাতার রস।


১. তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। জ্বর ও ঠাণ্ডা লাগায় প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।


২. তুলসী পাতা বেটে তার সঙ্গে মধু ও আদা মিশিয়ে খান। জমে থাকা সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন।


৩.তুলসী পাতা ও চন্দনের সঙ্গে বেটে কপালে লাগিয়ে দেখুন, মাথাব্যথা চলে যাবে।


৪. তুলসী পাতা বমিভাব কমাতে যথেষ্ট কার্যকর।


৫. তুলসীর মধ্যে আছে ময়েশ্চারাইজার। এর গুণে আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল।


[

১৫ অক্টোবর ২০২৩

কেন মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরালো সমর্থন করতে পারে না?

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্ব শক্ত অবস্থান নিতে পারে না কেন?

 বিবিসি বাংলা 
 ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১৫ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

হামাস ইসরাইল সংঘাত

বাংলাদেশসহ মুসলমান প্রধান দেশগুলো সবসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসলেও বড় ধরণের সংকট এলে পুরো মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে খুব একটা শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় না।

এমনকি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরাইলের সঙ্গে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোন ভূমিকা নিতে পারে না।

এবার গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডে অতর্কিতে ভয়াবহ হামলার পর নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। উভয় পক্ষের আক্রমণে বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের সর্বাত্মক সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।

এর বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া আর কোন দেশকেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে না। বরং কোন কোন মুসলিম দেশের প্রতিক্রিয়া ছিলো একেবারেই নখদন্তহীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুসলিম বিশ্বের জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে একাট্টা হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে সরকারগুলোর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া অসম্ভব।

সৌদি আরবে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বা শক্ত অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো পশ্চিমাদের অবস্থান।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ইসরাইল একা প্রতিপক্ষ হলে এতদিনে পরিস্থিতি অন্যরকম দেখা যেত। তবে ইসরাইলেও অনেকে শান্তি চায়। সে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সাথে এখন তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। এমন নানা কারণে মুসলিম বিশ্বের এমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। 

এবার ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামাস এমন সময় হামলা চালিয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে কাজ করছিলো সৌদি আরব ও ইসরাইল। গত সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে রিয়াদে এসে কথা বলে গেছেন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারাও।

এর আগে আমেরিকার তত্ত্বাবধানেই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছে আরব বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে একটি সমঝোতা বা চুক্তি স্বাক্ষরের সফলতা অর্জন করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন।

তবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে সৌদি আরব।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তার দেশ ‘ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সবসময় তাদের পাশে থাকবে।’  

আরেক প্রভাবশালী আরব দেশ কাতার বরাবরই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিরোধী। দেশটি তাদের বিবৃতিতে পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকেই দায়ী করেছে। দেশটি ফিলিস্তিনের জন্য পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের ভূখণ্ডকে সমর্থন করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত হামাসের হামলার সমালোচনাও করেছে। এমনকি দেশটির বিবৃতিতে ইসরাইলি নাগরিক জিম্মি করার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু ইসরাইলের প্রাণঘাতী হামলার বিষয়টি সেখানে আসেনি।

বাহরাইন হামাসের হামলার সমালোচনা করেছে। আর কুয়েত ও ওমানের প্রতিক্রিয়া ছিলো অনেকটাই কৌশলী।

অন্যদিকে ইসরাইলের সাথে ১৯৮০ সালেই চুক্তি করা মিসর উভয় পক্ষকে সংযত হতে বলেছে। মরক্কো অবশ্য গাজায় সামরিক হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিরিয়া অবশ্য হামাসের হামলাকে বড় অর্জন বলেছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনও হামাসকে সমর্থন দিয়েছে।

আর আরব বিশ্বের বাইরে অনেকটা একই সুরে কথা বলেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল-ফিলিস্তিনি বিরোধে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। ফিলিস্তিনিদের স্বতন্ত্র-স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছে একেবারে শুরু থেকেই।

এর কারণ যতটা না আন্তর্জাতিক, তার চেয়ে অনেক বেশি বাংলাদেশের জনমত এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্র এবং প্রতিনিধিত্বশীল সরকার মুসলিম বিশ্বে খুবই কম এবং এ ধরনের দেশগুলোর সরকারকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় বলে পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে যাওয়ার সুযোগ তাদের নেই।

আবার ফিলিস্তিনে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন পিএলও, গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসের পাশাপাশি আরেক সংগঠন হেজবুল্লাহকেও বিভিন্ন প্রভাবশালী মুসলিম দেশ সমর্থন দিয়ে থাকে বলে প্রচার আছে।

যেমন হামাস ইরান-সমর্থিত বলে বর্ণনা করে পশ্চিমারা।

অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী আরব দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলের সাথে তাদের সম্পর্ক জোরদার করেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনিদের স্বার্থকে দুর্বল করেছে বলেও মনে করেন অনেকে।

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলছিলেন যে মুসলিম বিশ্বে প্রভাবশালী আরব দেশগুলোর, কেউ কেউ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে আবার কেউ কেউ স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় আছে। নিজেদের ক্ষমতাকে তারা চিরস্থায়ী করে রাখতে চায়। সংগত কারণেই তারা হয়তো মনে করে পপুলার সেন্টিমেন্ট যাই হোক ইসরাইলকে ঘাঁটানো তাদের ঠিক হবে না। এ কারণেই তাদের কণ্ঠ উচ্চকিত দেখা যায় না। 

জার্মানি ভিত্তিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলছেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে প্রভাবশালী আরব বিশ্বে গণতন্ত্র বা নির্বাচনের বালাই নেই। ইসরাইলের সাথে সমঝোতা বা ভারসাম্য রক্ষা করে চলা তাদের জন্য জরুরি।  

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শাসক পরিবারগুলো ক্ষমতার প্রশ্নে কোন ধরনের আপোষ কখনোই করে না। আবার এসব দেশে গণতন্ত্র বা জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাও কাজ করে না।

তারপরেও অনেকেই মনে করেন লিবিয়া ও সিরিয়ার ঘটনার পর আরব দেশগুলোর রাজপরিবারগুলো নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন।

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন, মুসলিম দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ জটিল রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পাশ্চাত্য নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারছে না।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বেশিরভাগ দেশেই দুটি প্রবণতা—জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশি কিন্তু সরকারগুলোর কথায় জোর কম। তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থার জটিলতার কারণেই তারা শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে না। 

আবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসক নির্বাচন করার সুযোগ আছে ইরানে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বলয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল শক্ত অবস্থান নিয়ে আসছে।

অন্যদিকে তুরস্ক বিবৃতিতে শক্ত ভাষা ব্যবহার করলেও ন্যাটোর সদস্যপদসহ বেশ কিছু বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে কৌশলী ভূমিকা নিতে হচ্ছে।

এর বাইরে অন্য দেশগুলোর সরকার ও জনগণের চিন্তার মধ্যেই প্রচুর ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। 

বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলছেন মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গণতন্ত্র নেই এবং সে কারণে এসব দেশের সরকারকে সমঝোতা করে চলতে হয়।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের চটিয়ে কেউ নিজের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে চায় না। মিসর, তিউনিসিয়ার মতো দেশও এর বাইরে নয়। সবাই জানে সোচ্চার হলেই চাপ আসবে। বরং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইসরাইলের সাথে তাদের সমঝোতা জরুরি।  

একই কারণে ওআইসি বা আরব লীগও চুপচাপ থাকে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি তার মতে রাজতন্ত্রের বাইরে থাকা দেশগুলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সোচ্চার হওয়ার মতো প্রভাবই নেই।

যদিও এ নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ শোনা যায় বিভিন্ন মহল থেকে। অনেকে মনে করেন ইসরাইলকে ঘিরে আরব দেশগুলোতে চিন্তার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকে।

আরব-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ট্রাম্পের ভূমিকা আর ওই অঞ্চলে ইরানের সাথে বিরোধিতার কারণেই অনেক আরব দেশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িয়েছে।

তবে সবমিলিয়ে এসব কিছুই মূলত ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বকে শক্ত অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বল করে রেখেছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন।

বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা মনে করেন, আরব দেশগুলো রাজতন্ত্র বা একক শাসন থাকায় যেভাবে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেটি আবার বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে সম্ভব হবে না।

তাই প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা না থাকলেও এসব দেশকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে শক্ত ভাষাতেই কথা বলতে হয়।

https://www.facebook.com/100078324804106/posts/pfbid031fTcX5k3H2FFHFxWwda41JL9VVnzEJGd42jywXoZVM8qVyRYiYVrfA1h6xZTd8Zgl/?sfnsn=mo&mibextid=VhDh1V

https://www.jugantor.com/location/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8

১০ অক্টোবর ২০২৩

where Prophet Ibrahim (Abraham) migrated (Jerusalem)." [Abu Dawud]

 Zaid lbn Thabit (ra) reports that the Prophet (s) said, "'How blessed is Al-Sham!" The Companions

(ra) asked, "Why is that?". The Messenger (s) replied, "I see the Angels of Allah spreading their wings over Al-Sham". Ibn Abbas (ra) added, "And the Prophets lived therein. There is not a singleinch in Al-Quds (Jerusalem) where a Prophet has not prayed or an Angel not stood". [Tirmidhi, Ahmad]


Abu Hurayrah (ra) narrates that the Prophet (s) said, "On the night journey Allah's Apostle (s) was taken on a night journey (Al-Isra and Al-Miraj), two cups, one containing wine and the other containing milk were presented to him (s) at Al-Quds (Jerusalem). He looked at them and took the

cup of milk. Angel Gabriel said, "Praise be to Allah, who guided you to Al-Fitrah (the right path); if you

had taken (the cup of) wine, your Ummah would have gone astray". [Bukhari]


Maymunah Bint Sa'd (ra) reports that she asked the Prophet (s), ""O Messenger of Allah, give us a

pronouncement about Al-Quds (Jerusalem)". The Prophet s replied, "It is the land where they will

be raised (Al-Hashr) and gathered (Al-Mahshar). " [Ahmad, Tabarani]


Umamah Al-Bahili (ee M rs) reports that the Prophet (#) said, "A group of my Ummah will remain on truth, they will resist their enemy and those who disappoint them will not be able to harm them until Allah commands." "Where are these people?" the companions (ra) asked. The Prophet (s) said, "In and around Al-Quds  (Jerusalem)". [Ahmad]


Abdullah Ibn Umar (ra) reports that the Prophet s said, "There will be migration upon migration. The best of the inhabitants of earth will reside 


Shadad lbn Aws (ra) reports that the Prophet (s) said, "Al-Sham will be conquered and Al-Quds (Jerusalem) will be conquered and you or your sons will be lmams there, if Allah wills". [Tabarani]


Abu Umama (ra) reports that the Prophet (s) said, "Prophethood descended upon me in three

places: Makkah, Madinah and Al-Sham. Once it is brought out from any of them, it shall never return

to it". (Abu Dawud) 


In another narration it states, "The Quran was revealed in three places - Makkah,

Madinah and Al-Sham." (Tab

০৪ অক্টোবর ২০২৩

মৃত্যুযন্ত্রণা

 মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পূর্বে কী ঘটে ! 


হযরত মুহাম্মদ সা. এ বিষয়ে বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পূর্বে এটা ঘটে থাকে। এটা মৃত্যুর সিগন্যাল। মৃত্যুর প্রথম লক্ষণ হলো সাকারাতুল মাউত তথা মৃত্যু যন্ত্রণা। কুরআন ও হাদিসে সাকারাতুল মাউত সম্পর্কে বিবরণ এসেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ

মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে। এ থেকেই তুমি পালাতে চাচ্ছিলে। [ সুরা ক্বাফ : ১৯ ]


সাকারাতুল মাউত অর্থ মৃত্যুযন্ত্রণা। এটা খুবই অসহনীয় যন্ত্রণা। রাসূল সা. নিজে এ যন্ত্রনা ভোগ করেছেন।  


আয়িশা রা. বলেন। আমি রাসূল সা.-এর কক্ষে প্রবেশ করি। রাসূল সা. সে সময় বিছানায় ছটফট করছিলেন এবং তার খুবই ঘাম বের হচ্ছিল। তিনি কপাল থেকে ঘাম মুচছিলেন। তিনি সে সময় বলেন, নিশ্চয় মৃত্যুর যন্ত্রণা রয়েছে। নিশ্চয় মৃত্যুর যন্ত্রণা রয়েছে। 


মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ মানুষের খারাপ হওয়ার চিহ্ন নয়। স্বয়ং রাসূল সা. তা ভোগ করেছেন। এটা মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত হওয়ার পূর্বের কমন ঘটনা। 


মৃত্যুর ফেরেশতা যখন উপস্থিত হয়, মৃত্যুপথযাত্রী তাকে দেখতে পান। রাসূল সা. আমাদের বলেন, এর ব্যপ্তি হবে মিলি সেকেন্ডের মতো। যখন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। ফেরেশতাকে তার সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি তখনো এই দুনিয়ার অংশ। কিন্তু মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত এবং আপনি তা দেখতে পাবেন। আল্লাহ তাআলা এ সময় সম্পর্কে কুরআনে বলেন,

لَقَدْ كُنتَ فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ


তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন। [ সুরা ক্বাফ ৫০:২২ ]


অর্থাৎ, তোমরা এ থেকে পলায়ন করতে চেয়েছিলে। তোমরা তা থেকে অমনোযোগী ছিলে। তুমি আজ সত্যিকারের দুনিয়া দেখতে পাবে। তা হলো পরবর্তী জীবন। তুমি আজ সব কিছুই দেখতে পাবে। 


অতএব যখন মৃত্যুর ফেরেশতা দৃশ্যমান হবে এবং আপনি এই পৃথিবীতেই আছেন। রাসূল সা. বলেন, তখনই তাওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যখন মৃত্যুর ফেরেশতাকে দেখবেন তারপর আর তওবার কোনো সুযোগ নেই। তখন অনুশোচনার এবং মুক্তির সকল আশা শেষ হয়ে গেছে।


 আপনি যদি ভাল মানুষ না হন, তবে এখন আর আপনার ভালো হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মৃত্যুর ফেরেশতা আপনার আত্মা নিয়ে যাবে। রাসূল সা. বলেন, "যখন আত্মা (রুহ) শরীর ত্যাগ করবে, তখন চোখ রুহের দিকে চেয়ে থাকবে।" এটা মুসনাদে আহমদের সহিহ হাদিস। 


রাসূল সা. বলেন, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি রুহের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমরা সকলেই তা দেখি। প্রত্যেক ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে,  তার চোখ খোলা থাকে। কেন? কারণ, আল্লাহ তায়ালা সে সময় আমাদেরকে রুহ দেখার সুযোগ দেন।


- ড. ইয়াসির ক্বাদি

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ