# মুফতী আতাউর রহমান # দৈনিক কালের কন্ঠঃ
মহান আল্লাহ তাঁর বিশেষ বাহিনী ফেরেশতাদের বিশেষ শক্তি ও সামর্থ্য দান করেছেন। ফলে তাঁরা বিভিন্ন অবয়ব ধারণ করতে পারেন এবং যেকোনো স্থানে গমন করতে পারেন। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ফেরেশতারা ডানাবিশিষ্ট এবং এর সাহায্যে যাতায়াত করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সব প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই, যিনি বাণীবাহক করেন ফেরেশতাদের, যাঁরা দুই দুই, তিন তিন অথবা চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ১)। (তাফসির তাবারি : ১৯/৩২৬)
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ ফেরেশতাদের তাঁর ও রাসুলদের মধ্যে বাণীবাহক হিসেবে প্রেরণ করেন। তাষ্টয্যে তাঁরা উড়ে দ্রুততম সময়ে নির্দেশিত স্থানে পৌঁছে যান। তাঁদের কারো ডানা দুটি করে, কারো ডানা তিনটি করে এবং কারো ডানা চারটি করে। তবে তাঁদের কারো কারো ডানার সংখ্যা চারের চেয়েও বেশি। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৫৩২)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে ৬০০ ডানাবিশিষ্ট অবস্থায় দেখেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৮৫৭)
অবশ্য ফেরেশতারা তাঁদের ডানা শুধু ওড়ার কাজে ব্যবহার করেন না; বরং এর মাধ্যমে তাঁরা আল্লাহর প্রতি বিনয় ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করে থাকেন। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ তাআলা আকাশে কোনো বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন ফেরেশতারা তাঁর কথা শোনার জন্য অতি বিনয়ের সঙ্গে নিজ নিজ পালক ঝাড়তে থাকেন মসৃণ পাথরের ওপর শেকলের শব্দের মতো। এভাবে আল্লাহ তাঁর বাণী ফেরেশতাদের পৌঁছান। যখন ফেরেশতাদের অন্তর থেকে ভয় দূর হয়, তখন তাঁরা একে অপরে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের প্রভু কী বলেছেন? তখন তাঁরা বলেন, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন, এবং তিনি অতি উচ্চ মহান।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৭০১)
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, উহুদের যুদ্ধ শেষে আমার পিতাকে নবী (সা.)-এর কাছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা অবস্থায় আনা হলো এবং তাঁর সামনে রাখা হলো। আমি তাঁর চেহারা খুলতে চাইলাম। আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে নিষেধ করল। এমন সময় তিনি কোনো বিলাপকারিণীর বিলাপ ধ্বনি শুনতে পেলেন। বলা হলো, সে ‘আমরের কন্যা বা ভগ্নি। অতঃপর নবী (সা.) বললেন, সে কাঁদছে কেন? অথবা বলেছিলেন, সে যেন না কাঁদে। ফেরেশতামণ্ডলী তাকে ডানা দ্বারা ছায়াদান করছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস ন্ন অবয়ব ধারণ করতে পারেন এবং যেকোনো স্থানে গমন করতে পারেন। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ফেরেশতারা ডানাবিশিষ্ট এবং এর সাহায্যে যাতায়াত করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সব প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই, যিনি বাণীবাহক করেন ফেরেশতাদের, যাঁরা দুই দুই, তিন তিন অথবা চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ১)