৪৭-মুহাম্মাদ
(47:0)
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
শব্দার্থ: بِسْمِ = নামে, اللَّهِ = আল্লাহ(র), الرَّحْمَٰنِ = পরমকরুণাময়, الرَّحِيمِ = অসীমদয়ালু,
অনুবাদ: পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে
(47:1)
اَلَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ صَدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ اَضَلَّ اَعْمَالَهُمْ
শব্দার্থ: الَّذِينَ = যারা, كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, وَصَدُّوا = ওবাধা দিয়েছে (লোকদেরকে) , عَنْ = হতে, سَبِيلِ = পথ, اللَّهِ = আল্লাহর, أَضَلَّ = ব্যর্থকরে দিয়েছেন তিনি , أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে বাধা দিয়েছে আল্লাহ তাদের সমস্ত কাজ-কর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
(47:2)
وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اٰمَنُوْا بِمَا نُزِّلَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّهِمْ١ۙ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَیِّاٰتِهِمْ وَ اَصْلَحَ بَالَهُمْ
শব্দার্থ: وَالَّذِينَ = আর যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছে, وَعَمِلُوا = ও কাজ করেছে, الصَّالِحَاتِ = সৎকর্মের, وَآمَنُوا = এবং ঈমান এনেছে, بِمَا = (তার উপর ) যা, نُزِّلَ = অবতীর্ণ করাহয়েছে, عَلَىٰ = উপর , مُحَمَّدٍ = মুহাম্মাদের, وَهُوَ = এবং তা, الْحَقُّ = সত্য, مِنْ = পক্ষ হতে , رَبِّهِمْ = তাদের রবের , كَفَّرَ = (আল্লাহ্) মিটিয়েদিয়েছেন, عَنْهُمْ = তাদের হতে, سَيِّئَاتِهِمْ = তাদের ত্রুটিসমুহ, وَأَصْلَحَ = ওশুধরেদিবেন, بَالَهُمْ = তাদের অবস্থা,
অনুবাদ: আর যারা ঈমান এনেছে নেক কাজ করেছে এবং মুহাম্মদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা মেনে নিয়েছে- বস্তুত তা তো তাদের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত অকাট্য সত্য কথা- আল্লাহ তাদের খারাপ কাজগুলো তাদের থেকে দূর করে দিয়েছেন এবং তাদের অবস্থা শুধরে দিয়েছেন।
(47:3)
ذٰلِكَ بِاَنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوا اتَّبَعُوا الْبَاطِلَ وَ اَنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّبَعُوا الْحَقَّ مِنْ رَّبِّهِمْ١ؕ كَذٰلِكَ یَضْرِبُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ اَمْثَالَهُمْ
শব্দার্থ: ذَٰلِكَ = এটা, بِأَنَّ = এ কারণে যে, الَّذِينَ = যারা, كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, اتَّبَعُوا = তারা অনুসরণ করেছে, الْبَاطِلَ = মিথ্যা কে, وَأَنَّ = আর নিশ্চয়ই , الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছে, اتَّبَعُوا = তারা অনুসরণ করেছে, الْحَقَّ = সত্যকে, مِنْ = (আগত) পক্ষ হতে , رَبِّهِمْ = তাদের রবের , كَذَٰلِكَ = এভাবে, يَضْرِبُ = বর্ণনা করেন , اللَّهُ = আল্লাহ্, لِلنَّاسِ = লোকদের জন্যে , أَمْثَالَهُمْ = তাদের দৃষ্টান্তসমুহ,
অনুবাদ: কারণ হলো, যারা কুফরী করেছে তারা বাতিলের আনুগত্য করেছে এবং ঈমান গ্রহণকারীগণ তাদের রবের পক্ষ থেকে আসা সত্যের অনুসরণ করেছে। আল্লাহ এভাবে মানুষের সঠিক মর্যাদা ও অবস্থান বলে দেন।
(47:4)
فَاِذَا لَقِیْتُمُ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا فَضَرْبَ الرِّقَابِ١ؕ حَتّٰۤى اِذَاۤ اَثْخَنْتُمُوْهُمْ فَشُدُّوا الْوَثَاقَ١ۙۗ فَاِمَّا مَنًّۢا بَعْدُ وَ اِمَّا فِدَآءً حَتّٰى تَضَعَ الْحَرْبُ اَوْزَارَهَا١ۛ۫ۚ۬ ذٰؔلِكَ١ۛؕ وَ لَوْ یَشَآءُ اللّٰهُ لَانْتَصَرَ مِنْهُمْ وَ لٰكِنْ لِّیَبْلُوَاۡ بَعْضَكُمْ بِبَعْضٍ١ؕ وَ الَّذِیْنَ قُتِلُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ فَلَنْ یُّضِلَّ اَعْمَالَهُمْ
শব্দার্থ: فَإِذَا = অতঃপর যখন, لَقِيتُمُ = তোমরা যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে , الَّذِينَ = তাদের সাথে (যারা) , كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, فَضَرْبَ = তখন আঘাত করা (প্রথমকাজ) , الرِّقَابِ = (তাদের ) ঘাড়ে-গর্দানে, حَتَّىٰ = এমনকি, إِذَا = যখন , أَثْخَنْتُمُوهُمْ = তাদের কেসম্পূর্ণভাবেপরাজিত করবে, فَشُدُّوا = তোমরা তখন শক্তকরেবাঁধবে, الْوَثَاقَ = (বন্দীদের) বাঁধন, فَإِمَّا = অতঃপর হয়তো, مَنًّا = অনুকম্পা করবে, بَعْدُ = পরে, وَإِمَّا = নাহয়, فِدَاءً = মুক্তিপণ নেবে, حَتَّىٰ = যতক্ষণ না, تَضَعَ = সংবরণ করবে, الْحَرْبُ = যুদ্ধ, أَوْزَارَهَا = তারঅস্ত্র সমূহ কে, ذَٰلِكَ = এটা (বিধান) , وَلَوْ = এবং যদি, يَشَاءُ = ইচ্ছেকরতেন, اللَّهُ = আল্লাহ্ (তবে) , لَانْتَصَرَ = অবশ্যই প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন, مِنْهُمْ = তাদের হতে, وَلَٰكِنْ = কিন্তু, لِيَبْلُوَ = (এপন্থানিয়েছেন) যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন, بَعْضَكُمْ = তোমাদের এককে, بِبَعْضٍ = অপরকেদিয়ে, وَالَّذِينَ = এবং যারা , قُتِلُوا = নিহতহয়, فِي = মধ্যে, سَبِيلِ = পথের, اللَّهِ = আল্লাহ্র , فَلَنْ = সেক্ষেত্রেকখনও না, يُضِلَّ = তিনি নিষ্ফল করবেন , أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্মসমুহকে,
অনুবাদ: অতএব এসব কাফেরের সাথে যখনই তোমাদের মোকাবিলা হবে তখন প্রথম কাজ হবে তাদেরকে হত্যা করা। এভাবে তোমরা যখন তাদেরকে আচ্ছাতম পর্যুদস্ত করে ফেলবে তখন বেশ শক্ত করে বাঁধো। এরপর (তোমাদের ইখতিয়ার আছে) হয় অনুকম্পা দেখাও, নতুবা মুক্তিপণ গ্রহণ করো যতক্ষণ না যুদ্ধবাজরা অস্ত্র সংবরণ করে। এটা হচ্ছে তোমাদের করণীয় কাজ। আল্লাহ চাইলে নিজেই তাদের সাথে বুঝাপড়া করতেন। কিন্তু (তিনি এ পন্থা গ্রহণ করেছেন এ জন্য) যাতে তোমাদেরকে পরস্পরের দ্বারা পরীক্ষা করেন। আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হবে আল্লাহ কখনো তাদের আমলসমূহ ধ্বংস করবেন না।
(47:5)
سَیَهْدِیْهِمْ وَ یُصْلِحُ بَالَهُمْۚ
শব্দার্থ: سَيَهْدِيهِمْ = তিনি অচিরেই তাদের কেপরিচালিত করবেন সৎপথে, وَيُصْلِحُ = ও ভালো করবেন , بَالَهُمْ = তাদের অবস্থা,
অনুবাদ: তিনি তাদের পথপ্রদর্শন করবেন। তাদের অবস্থা শুধরে দিবেন।
(47:6)
وَ یُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ عَرَّفَهَا لَهُمْ
শব্দার্থ: وَيُدْخِلُهُمُ = এবং তাদের প্রবেশ করাবেন, الْجَنَّةَ = জান্নাতে, عَرَّفَهَا = তারপরিচয় তিনি জানিয়েছেন, لَهُمْ = তাদের কে,
অনুবাদ: এবং তাদেরকে সেই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পরিচয় তিনি তাদেরকে আগেই অবহিত করেছেন।
(47:7)
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تَنْصُرُوا اللّٰهَ یَنْصُرْكُمْ وَ یُثَبِّتْ اَقْدَامَكُمْ
শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = হে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছ, إِنْ = যদি, تَنْصُرُوا = তোমরা সাহায্য কর, اللَّهَ = আল্লাহকে, يَنْصُرْكُمْ = তিনি তোমাদের কে সাহায্য করবেন , وَيُثَبِّتْ = ওসুদৃঢ় করবেন , أَقْدَامَكُمْ = তোমাদের পা গুলোকে ,
অনুবাদ: হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দিবেন।
(47:8)
وَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا فَتَعْسًا لَّهُمْ وَ اَضَلَّ اَعْمَالَهُمْ
শব্দার্থ: وَالَّذِينَ = এবং যারা , كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, فَتَعْسًا = দুর্গতিসেক্ষেত্রে, لَهُمْ = তাদের জন্যে , وَأَضَلَّ = এবং তিনি পণ্ডকরে দিয়েছেন, أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে শুধু ধ্বংস। আল্লাহ তাদের কাজ-কর্ম পণ্ড করে দিয়েছেন।
(47:9)
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ كَرِهُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاَحْبَطَ اَعْمَالَهُمْ
শব্দার্থ: ذَٰلِكَ = এটা, بِأَنَّهُمْ = এ কারণে যে তারা , كَرِهُوا = অপছন্দকরেছে, مَا = যা, أَنْزَلَ = নাযিল করেছেন , اللَّهُ = আল্লাহ্, فَأَحْبَطَ = অতএব তিনি নষ্টকরে দিয়েছেন, أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: কারণ আল্লাহ যে জিনিস নাযিল করেছেন তারা সে জিনিসকে অপছন্দ করেছে। অতএব, আল্লাহ তাদের আমলসমূহ ধ্বংস করে দিয়েছেন।
(47:10)
اَفَلَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ١ؕ دَمَّرَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ١٘ وَ لِلْكٰفِرِیْنَ اَمْثَالُهَا
শব্দার্থ: أَفَلَمْ = নি তবেকি , يَسِيرُوا = তারা ভ্রমণকরে, فِي = মধ্যে, الْأَرْضِ = পৃথিবীর, فَيَنْظُرُوا = তারা দেখে তখন (নাই) , كَيْفَ = কেমন, كَانَ = ছিল, عَاقِبَةُ = পরিণাম, الَّذِينَ = (তাদের ) যারা, مِنْ = মধ্য হতে , قَبْلِهِمْ = তাদের পূর্বে (ছিল) , دَمَّرَ = ধ্বংস করে দিয়েছেন, اللَّهُ = আল্লাহ্, عَلَيْهِمْ = তাদের কে, وَلِلْكَافِرِينَ = এবং কাফেরদেরজন্য (নির্দিষ্টহয়েআছে) , أَمْثَالُهَا = তারঅনুরূপপরিণতি,
অনুবাদ: . তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে সেসব লোকের পরিণাম দেখে না, যারা তাদের পূর্বে অতীত হয়েছে? আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। এসব কাফেরের জন্যও অনুরূপ পরিণাম নির্ধারিত হয়ে আছে।
(47:11)
ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ مَوْلَى الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ اَنَّ الْكٰفِرِیْنَ لَا مَوْلٰى لَهُمْ۠
শব্দার্থ: ذَٰلِكَ = এটা, بِأَنَّ = এ জন্যে যে, اللَّهَ = আল্লাহ্, مَوْلَى = অভিভাবক, الَّذِينَ = (তাদের ) যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছে, وَأَنَّ = এবং (এও) যে, الْكَافِرِينَ = কাফেরদের, لَا = নেই, مَوْلَىٰ = কোনোঅভিভাবক, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: এর কারণ, আল্লাহ নিজে ঈমান গ্রহণকারীদের সহযোগী ও সাহায্যকারী। কিন্তু কাফেরদের সহযোগী ও সাহায্যকারী কেউ নেই।
(47:12)
اِنَّ اللّٰهَ یُدْخِلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ١ؕ وَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا یَتَمَتَّعُوْنَ وَ یَاْكُلُوْنَ كَمَا تَاْكُلُ الْاَنْعَامُ وَ النَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়ই, اللَّهَ = আল্লাহ্, يُدْخِلُ = প্রবেশ করাবেন, الَّذِينَ = (তাদের কে) যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছে, وَعَمِلُوا = ও কাজ করেছে, الصَّالِحَاتِ = সৎকর্ম, جَنَّاتٍ = জান্নাতে, تَجْرِي = প্র্রবাহিতহয়, مِنْ = থেকে, تَحْتِهَا = তার নিচ, الْأَنْهَارُ = ঝর্নাধারাসমুহ, وَالَّذِينَ = এবং যারা , كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, يَتَمَتَّعُونَ = তারা ভোগবিলাসকরছে, وَيَأْكُلُونَ = ও তারা খাচ্ছে, كَمَا = যেমন, تَأْكُلُ = খায়, الْأَنْعَامُ = চতুষ্পদজন্তু, وَالنَّارُ = এবং জাহান্নামই, مَثْوًى = নিবাস, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: আল্লাহ ঈমান গ্রহণকারী ও সৎকর্মশীলদের সে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বয়ে যায়। আর কাফেররা দুনিয়ার ক’দিনের জীবনের মজা লুটছে, জন্তু-জানোয়ারের মত পানাহার করছে। ওদের চূড়ান্ত ঠিকানা জাহান্নাম।
(47:13)
وَ كَاَیِّنْ مِّنْ قَرْیَةٍ هِیَ اَشَدُّ قُوَّةً مِّنْ قَرْیَتِكَ الَّتِیْۤ اَخْرَجَتْكَ١ۚ اَهْلَكْنٰهُمْ فَلَا نَاصِرَ لَهُمْ
শব্দার্থ: وَكَأَيِّنْ = এবং কতইনা, مِنْ = থেকে, قَرْيَةٍ = জনপদ (বিলীনহয়েছে) , هِيَ = যা (ছিল) , أَشَدُّ = অধিকতরদৃঢ়, قُوَّةً = শক্তিতে, مِنْ = চেয়েও, قَرْيَتِكَ = তোমারজনপদের, الَّتِي = যা (হতে) , أَخْرَجَتْكَ = তোমাকে বেরকরেছে, أَهْلَكْنَاهُمْ = আমরা তাদের কে ধ্বংস করেদিয়েছি, فَلَا = অতঃপর না (ছিল) , نَاصِرَ = কোনো সাহায্যকারী, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: হে নবী, অতীতের কত জনপদ তো তোমার সে জনপদ থেকে অধিক শক্তিশালী ছিল, যারা তোমাকে বের করে দিয়েছিল। আমি তাদের এমনভাবে ধ্বংস করেছি যে, তাদের কোন রক্ষাকারী ছিল না।
(47:14)
اَفَمَنْ كَانَ عَلٰى بَیِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّهٖ كَمَنْ زُیِّنَ لَهٗ سُوْٓءُ عَمَلِهٖ وَ اتَّبَعُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ
শব্দার্থ: أَفَمَنْ = তবেকি যে, كَانَ = হয়, عَلَىٰ = (হেদায়াতের) উপর , بَيِّنَةٍ = সুস্পষ্ট, مِنْ = পক্ষ হতে , رَبِّهِ = তার রবের , كَمَنْ = (তার) মতো যাকে , زُيِّنَ = শোভনীয়করাহয়েছে, لَهُ = তার জন্যে , سُوءُ = খারাপ, عَمَلِهِ = তারকাজকে, وَاتَّبَعُوا = এবং তারা অনুসরণ করেছে, أَهْوَاءَهُمْ = তাদের খেয়ালখুশির,
অনুবাদ: এমনকি কখনো হয়, যে ব্যক্তি তার রবের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট হিদায়াতের ওপর আছে সে ঐ সব লোকের মত হবে যাদের মন্দ কাজকর্মকে সুদৃশ্য বানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তারা নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে গিয়েছে?
(47:15)
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِیْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ١ؕ فِیْهَاۤ اَنْهٰرٌ مِّنْ مَّآءٍ غَیْرِ اٰسِنٍ١ۚ وَ اَنْهٰرٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ یَتَغَیَّرْ طَعْمُهٗ١ۚ وَ اَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِیْنَ١ۚ۬ وَ اَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى١ؕ وَ لَهُمْ فِیْهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَ مَغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ١ؕ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِی النَّارِ وَ سُقُوْا مَآءً حَمِیْمًا فَقَطَّعَ اَمْعَآءَهُمْ
শব্দার্থ: مَثَلُ = একটিদৃষ্টান্ত, الْجَنَّةِ = জান্নাতের, الَّتِي = যা, وُعِدَ = প্রতিশ্রুতি দেওয়াহয়েছে, الْمُتَّقُونَ = মুত্তাকীদের ( জন্যে ) , فِيهَا = তার মধ্যে আছেে, أَنْهَارٌ = ঝর্নাধারা সমূহ , مِنْ = থেকে, مَاءٍ = পানির, غَيْرِ = নয়অ, آسِنٍ = পরিবর্তন ীয় (তার রংগন্ধ) , وَأَنْهَارٌ = এবং ঝর্ণা সমূহ , مِنْ = থেকে, لَبَنٍ = দুধের, لَمْ = না, يَتَغَيَّرْ = পরিবর্তন হয়, طَعْمُهُ = তারস্বাদ, وَأَنْهَارٌ = এবং ঝর্ণা সমূহ , مِنْ = থেকে, خَمْرٍ = সুধার, لَذَّةٍ = সুস্বাদু, لِلشَّارِبِينَ = পানকারীদের জন্যে , وَأَنْهَارٌ = এবং ঝর্ণা সমূহ , مِنْ = থেকে, عَسَلٍ = মধুর, مُصَفًّى = পরিশোধিতপরিচ্ছন্ন, وَلَهُمْ = এবং তাদের জন্যে (রয়েছে) , فِيهَا = তার মধ্যে , مِنْ = থেকে, كُلِّ = সব (ধরনের) , الثَّمَرَاتِ = ফলমূল, وَمَغْفِرَةٌ = এবং ক্ষমা, مِنْ = পক্ষ হতে , رَبِّهِمْ = তাদের রবের , كَمَنْ = (এসবেরঅধিকারীকি) তারমতো, هُوَ = যে, خَالِدٌ = স্থায়ী হবে , فِي = মধ্যে, النَّارِ = জাহান্নামের, وَسُقُوا = ওযাদেরকেপানকরানো হবে , مَاءً = পানি , حَمِيمًا = উত্তপ্তফুটন্ত, فَقَطَّعَ = ছিন্নবিচ্ছিন্নকরেদেবে, أَمْعَاءَهُمْ = তাদের নাড়িভুঁড়ি,
অনুবাদ: মুত্তাকীদের জন্য যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার অবস্থা এই যে, তার মধ্যে স্বচ্ছ ও নির্মল পানির নহর বইতে থাকবে। এমন সব দুধের নহর বইতে থাকবে যার স্বাদে সামান্য কোন পরিবর্তন বা বিকৃতিও আসবে না, শরাবের এমন নহর বইতে থাকবে পানকারীদের জন্য যা হবে অতীব সুস্বাদু এবং বইতে থাকবে স্বচ্ছ মধুর নহর। এছাড়াও তাদের জন্য সেখানে থাকবে সব রকমেরফল এবং তাদের রবের পক্ষ থেকে থাকবে ক্ষমা। (যে ব্যক্তি এ জান্নাত লাভ করবে সেকি) ঐ ব্যক্তির মত হতে পারে যে চিরদিন জাহান্নামে থাকবে, যাদের এমন গরম পানি পান করানো হবে যা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে?
(47:16)
وَ مِنْهُمْ مَّنْ یَّسْتَمِعُ اِلَیْكَ١ۚ حَتّٰۤى اِذَا خَرَجُوْا مِنْ عِنْدِكَ قَالُوْا لِلَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ مَا ذَا قَالَ اٰنِفًا١۫ اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ وَ اتَّبَعُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ
শব্দার্থ: وَمِنْهُمْ = এবং তাদের মধ্যে, مَنْ = কেউকেউ (এমনআছে) , يَسْتَمِعُ = যেশুনে, إِلَيْكَ = তোমারদিকেমনোযোগদিয়ে, حَتَّىٰ = এমনকি, إِذَا = যখন , خَرَجُوا = তারা বেরহয়েযায়, مِنْ = হতে, عِنْدِكَ = তোমারনিকট, قَالُوا = তারা বলে, لِلَّذِينَ = যাদের (আহলে-কিতাবদেরকে) , أُوتُوا = দেওয়াহয়েছে, الْعِلْمَ = জ্ঞান, مَاذَا = কি, قَالَ = বলল, آنِفًا = এইমাত্র, أُولَٰئِكَ = ঐসবলোক, الَّذِينَ = (তারা ই) যাদের, طَبَعَ = মোহরমেরে দিয়েছেন, اللَّهُ = আল্লাহ্, عَلَىٰ = উপর , قُلُوبِهِمْ = তাদের অন্তরগুলোর, وَاتَّبَعُوا = এবং তারা অনুসরণ করে, أَهْوَاءَهُمْ = তাদের খেয়ালখুশির,
অনুবাদ: তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা মনযোগ দিয়ে তোমার কথা শোনে এবং যখন তোমার কাছ থেকে চলে যায় তখন যাদেরকে জ্ঞানের নিয়ামত দান করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করে যে, এই মাত্র তিনি কী বললেন? এরাই সেসব লোক যাদের অন্তরে আল্লাহ তা’আলা মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে গিয়েছে।
(47:17)
وَ الَّذِیْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّ اٰتٰىهُمْ تَقْوٰىهُمْ
শব্দার্থ: وَالَّذِينَ = এবং যারা , اهْتَدَوْا = সৎপথঅবলম্বনকরেছে, زَادَهُمْ = তাদের কে (আল্লাহ্) বাড়িয়েদেন, هُدًى = সৎপথেচলারশক্তি, وَآتَاهُمْ = এবং তাদের দান করেন , تَقْوَاهُمْ = তাদের তাকওয়া,
অনুবাদ: আর যারা হিদায়াত লাভ করেছে আল্লাহ তাদেরকে আরো অধিক হিদায়াত দান করেন। এবং তাদেরকে তাদের অংশের তাকওয়া দান করেন।
(47:18)
فَهَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَاْتِیَهُمْ بَغْتَةً١ۚ فَقَدْ جَآءَ اَشْرَاطُهَا١ۚ فَاَنّٰى لَهُمْ اِذَا جَآءَتْهُمْ ذِكْرٰىهُمْ
শব্দার্থ: فَهَلْ = তবে (কি) , يَنْظُرُونَ = তারা অপেক্ষাকরছে, إِلَّا = এছাড়া, السَّاعَةَ = কিয়ামতের, أَنْ = যে, تَأْتِيَهُمْ = তাদের কাছে আসবে , بَغْتَةً = হঠাৎকরে, فَقَدْ = নিশ্চয়ই, جَاءَ = এসেছে, أَشْرَاطُهَا = তারলক্ষণ সমূহ , فَأَنَّىٰ = অতএব কেমন করে, لَهُمْ = তাদের জন্যে , إِذَا = যখন , جَاءَتْهُمْ = তাতাদের কাছে আসবে (কিয়ামত) , ذِكْرَاهُمْ = তাদের উপদেশ ( গ্রহণ সম্ভব হবে ?) ,
অনুবাদ: এখন কি এসব লোক শুধু কিয়ামতের জন্যই অপেক্ষা করছে যে, তা তাদের ওপর অকস্মাৎ এসে পড়ুক। তার আলামত তো এসে গিয়েছে। যখন কিয়ামতই এসে যাবে তখন তাদের জন্য উপদেশ গ্রহণের আর কি অবকাশ থাকবে?
(47:19)
فَاعْلَمْ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَ اسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ وَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَ مَثْوٰىكُمْ۠
শব্দার্থ: فَاعْلَمْ = অতএব জেনেরাখো, أَنَّهُ = যে, لَا = নেই, إِلَٰهَ = কোনোইলাহ (যেইবাদাতপেতেপারে) , إِلَّا = ছাড়া, اللَّهُ = আল্লাহ্, وَاسْتَغْفِرْ = এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকরো, لِذَنْبِكَ = তোমার পাপের জন্যে , وَلِلْمُؤْمِنِينَ = এবং মুমিন পুরুষদের জন্যে , وَالْمُؤْمِنَاتِ = এবং মুমিননারীদের জন্যে , وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ্, يَعْلَمُ = জানেন, مُتَقَلَّبَكُمْ = তোমাদের গতিবিধি, وَمَثْوَاكُمْ = এবং তোমাদের অবস্থান,
অনুবাদ: অতএব, হে নবী! ভাল করে জেনে নাও, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ইবাদাতের যোগ্য নয়। নিজের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং মু’মিন নারী ও পুরুষদের জন্যও। আল্লাহ তোমাদের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত এবং তোমাদের ঠিকানা সম্পর্কেও অবহিত।
(47:20)
وَ یَقُوْلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَوْ لَا نُزِّلَتْ سُوْرَةٌ١ۚ فَاِذَاۤ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ مُّحْكَمَةٌ وَّ ذُكِرَ فِیْهَا الْقِتَالُ١ۙ رَاَیْتَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ یَّنْظُرُوْنَ اِلَیْكَ نَظَرَ الْمَغْشِیِّ عَلَیْهِ مِنَ الْمَوْتِ١ؕ فَاَوْلٰى لَهُمْۚ
শব্দার্থ: وَيَقُولُ = এবং বলে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছে, لَوْلَا = কেননা, نُزِّلَتْ = নাযিলকরাহয়, سُورَةٌ = একটি সূরাহ (যুদ্ধাদেশ দিয়ে) , فَإِذَا = অতঃপর যখন, أُنْزِلَتْ = নাযিলকরা হলো , سُورَةٌ = একটি সূরাহ, مُحْكَمَةٌ = দ্ব্যর্থহীন, وَذُكِرَ = এবং উল্লেখকরাছিল, فِيهَا = তার মধ্যে , الْقِتَالُ = যুদ্ধের ( নির্দেশ ) , رَأَيْتَ = তুমি দেখলে, الَّذِينَ = তাদের কে (যাদের) , فِي = আছে, قُلُوبِهِمْ = তাদের অন্তর সমূহে, مَرَضٌ = রোগ, يَنْظُرُونَ = তারা তাকাচ্ছে, إِلَيْكَ = তোমারদিকে, نَظَرَ = (এমন) দৃষ্টিতে, الْمَغْشِيِّ = ছেয়েগেছে, عَلَيْهِ = যার উপর , مِنَ = থেকে, الْمَوْتِ = মৃত্যু, فَأَوْلَىٰ = সুতরাংদুর্ভোগ, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: যারা ঈমান আনায়ন করেছে তারা বলছিলো, এমন কোন সূরা কেন নাযিল করা হয় না (যাতে যুদ্ধের নির্দেশ থাকবে) ? কিন্তু যখন সুস্পষ্ট নির্দেশ সম্বলিত সূরা নাযিল করা হলো এবং তার মধ্যে যুদ্ধের কথা বলা হলো তখন তোমরা দেখলে, যাদের মনে রোগ ছিল তারা তোমার প্রতি সে ব্যক্তির মত তাকাচ্ছে যার ওপর মৃত্যু চেপে বসেছে। তাদের এ অবস্থার জন্য আফসোস।
(47:21)
طَاعَةٌ وَّ قَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ١۫ فَاِذَا عَزَمَ الْاَمْرُ١۫ فَلَوْ صَدَقُوا اللّٰهَ لَكَانَ خَیْرًا لَّهُمْۚ
শব্দার্থ: طَاعَةٌ = (তাদের মুখেতো) আনুগত্য, وَقَوْلٌ = ওকথা, مَعْرُوفٌ = ন্যায়সংগতভালোভালো, فَإِذَا = কিন্তুযখন , عَزَمَ = চূড়ান্ত হলো , الْأَمْرُ = (জিহাদের) বিষয়টি, فَلَوْ = তখন যদি, صَدَقُوا = তারা সত্য প্রমাণ করত, اللَّهَ = আল্লাহকে (দেওয়াওয়াদা) , لَكَانَ = অবশইহতো, خَيْرًا = উত্তম, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: (তাদের মুখে) আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি এবং ভাল ভাল কথা। কিন্তু যখন অলংঘনীয় নির্দেশ দেয়া হলো তখন যদি তারা আল্লাহর সাথে কৃত নিজেদের অঙ্গীকারের ব্যাপারে সত্যবাদী প্রমাণিত হতো তাহলে তা তাদের জন্যই কল্যাণকর হতো।
(47:22)
فَهَلْ عَسَیْتُمْ اِنْ تَوَلَّیْتُمْ اَنْ تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ وَ تُقَطِّعُوْۤا اَرْحَامَكُمْ
শব্দার্থ: فَهَلْ = তবেকি , عَسَيْتُمْ = তোমাদের হতেএসম্ভাবনাআছে?, إِنْ = যদি, تَوَلَّيْتُمْ = তোমরা ক্ষমতায়অধিষ্ঠিতহও, أَنْ = যে, تُفْسِدُوا = তোমরা বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, فِي = মধ্যে, الْأَرْضِ = পৃথিবীর, وَتُقَطِّعُوا = এবং তোমরা ছিন্ন করবে, أَرْحَامَكُمْ = তোমাদের আত্মীয়তারবন্ধন সমূহ কে,
অনুবাদ: এখন তোমাদের থেকে এছাড়া অন্য কিছুর কি আশা করা যায় যে, তোমরা যদি ইসলাম থেকে ফিরে যাও তাহলে পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং একে অপরের গলা কাটবে?
(47:23)
اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فَاَصَمَّهُمْ وَ اَعْمٰۤى اَبْصَارَهُمْ
শব্দার্থ: أُولَٰئِكَ = ঐসবলোক, الَّذِينَ = তারা ই, لَعَنَهُمُ = যাদেরকেঅভিশাপ দিয়েছেন, اللَّهُ = আল্লাহ্, فَأَصَمَّهُمْ = এরপরতাদের কেবধিরকরে দিয়েছেন, وَأَعْمَىٰ = ওঅন্ধকরে দিয়েছেন, أَبْصَارَهُمْ = তাদের দৃষ্টিশক্তিকে,
অনুবাদ: আল্লাহ তা’আলা এসব লোকের ওপর লা’নত করেছেন এবং তাদেরকে অন্ধ ও বধির বানিয়ে দিয়েছেন।
(47:24)
اَفَلَا یَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ اَمْ عَلٰى قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَا
শব্দার্থ: أَفَلَا = না তবেকি , يَتَدَبَّرُونَ = তারা চিন্তাগবেষণাকরে, الْقُرْآنَ = কুরআন (সম্বন্ধে) , أَمْ = অথবা, عَلَىٰ = উপর , قُلُوبٍ = অন্তর সমূহের, أَقْفَالُهَا = তাদের তালা (পড়েছে) ,
অনুবাদ: তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে?
(47:25)
اِنَّ الَّذِیْنَ ارْتَدُّوْا عَلٰۤى اَدْبَارِهِمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمُ الْهُدَى١ۙ الشَّیْطٰنُ سَوَّلَ لَهُمْ١ؕ وَ اَمْلٰى لَهُمْ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়ই, الَّذِينَ = যারা, ارْتَدُّوا = ফিরেযায়, عَلَىٰ = দিকে, أَدْبَارِهِمْ = তাদের পিছনের, مِنْ = থেকে, بَعْدِ = এরপরে ও, مَا = যা, تَبَيَّنَ = সুস্পষ্টহয়েছে, لَهُمُ = তাদের কাছে , الْهُدَى = (অর্থাৎ) সৎপথ, الشَّيْطَانُ = শয়তান, سَوَّلَ = শোভনকরেদেখায়, لَهُمْ = তাদের জন্যে (একাজ) , وَأَمْلَىٰ = মিথ্যা আশাদেয়, لَهُمْ = তাদের জন্যে ,
অনুবাদ: প্রকৃত ব্যাপার হলো, হিদায়াত সুস্পষ্ট হওয়ার পরও যারা তা থেকে ফিরে গেল শয়তান তাদের জন্য এরূপ আচরণ সহজ বানিয়ে দিয়েছে এবং মিথ্যা আশাবাদকে দীর্ঘায়িত করে রেখেছেন।
(47:26)
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْا لِلَّذِیْنَ كَرِهُوْا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ سَنُطِیْعُكُمْ فِیْ بَعْضِ الْاَمْرِ١ۖۚ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ اِسْرَارَهُمْ
শব্দার্থ: ذَٰلِكَ = এটা, بِأَنَّهُمْ = এ কারণে যে তারা , قَالُوا = বলে, لِلَّذِينَ = (তাদের ) -কেযারা, كَرِهُوا = অপছন্দকরেছে, مَا = যা, نَزَّلَ = অবতরণ করেছেন , اللَّهُ = আল্লাহ্, سَنُطِيعُكُمْ = অচিরেই আমরা তোমাদের আনুগত্যকরব, فِي = ক্ষেত্রে, بَعْضِ = কিছু, الْأَمْرِ = বিষয়ের, وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ্, يَعْلَمُ = জানেন, إِسْرَارَهُمْ = তাদের গোপনঅভিসন্ধি ( সম্পর্কে ) ,
অনুবাদ: এ কারণেই তারা আল্লাহর নাযিলকৃত দ্বীনকে যারা পছন্দ করে না তাদের বলেছে, কিছু ব্যাপারে আমরা তোমাদের অনুসরণ করবো। আল্লাহ তাদের এ সলা-পরামর্শ ভাল করেই জানেন।
(47:27)
فَكَیْفَ اِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ یَضْرِبُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَ اَدْبَارَهُمْ
শব্দার্থ: فَكَيْفَ = অতঃপর কেমন হবে , إِذَا = ( তখন ) যখন , تَوَفَّتْهُمُ = তাদের প্রানহরণ করবে, الْمَلَائِكَةُ = ফেরেশতারা , يَضْرِبُونَ = তারা মারবে, وُجُوهَهُمْ = তাদের মুখমন্ডলগুলোতে, وَأَدْبَارَهُمْ = ও তাদের পিঠে,
অনুবাদ: সে সময় কী অবস্থা হবে যখন ফেরেশতারা তাদের রূহ কবজ করবে এবং তাদের মুখ ও পিঠের ওপর আঘাত করতে করতে নিয়ে যাবে।
(47:28)
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمُ اتَّبَعُوْا مَاۤ اَسْخَطَ اللّٰهَ وَ كَرِهُوْا رِضْوَانَهٗ فَاَحْبَطَ اَعْمَالَهُمْ۠
শব্দার্থ: ذَٰلِكَ = এটা, بِأَنَّهُمُ = এ কারণে যে তারা , اتَّبَعُوا = অনুসরণ করেছিল (সেইপথের) , مَا = যা, أَسْخَطَ = অসন্তুষ্টকরেছে, اللَّهَ = আল্লাহকে, وَكَرِهُوا = ও তারা অপছন্দকরেছে, رِضْوَانَهُ = তাঁরসন্তুষ্টির (পথ) , فَأَحْبَطَ = ফলে তিনি নষ্টকরে দিয়েছেন, أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: এসব হওয়ার কারণ হচ্ছে, তারা এমন পন্থার অনুসরণ করেছে যা আল্লাহর অসন্তুষ্টি উৎপাদন করে এবং তাঁর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করা পছন্দ করেনি। এ কারণে তিনি তাদের সব কাজ-কর্ম নষ্ট করে দিয়েছেন।
(47:29)
اَمْ حَسِبَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ اَنْ لَّنْ یُّخْرِجَ اللّٰهُ اَضْغَانَهُمْ
শব্দার্থ: أَمْ = কি, حَسِبَ = মনেকরেছে, الَّذِينَ = তারা , فِي = আছে, قُلُوبِهِمْ = যাদেরঅন্তর সমূহে, مَرَضٌ = রোগ (আছে) , أَنْ = যে, لَنْ = কখনও না, يُخْرِجَ = প্রকাশ করবেন , اللَّهُ = আল্লাহ্, أَضْغَانَهُمْ = তাদের বিদ্বেষ গুলোকে ,
অনুবাদ: যেসব লোকের মনে রোগ আছে তারা কি মনে করে নিয়েছে যে, আল্লাহ তাদের মনের ঈর্ষা ও বিদ্বেষ প্রকাশ করবেন না?
(47:30)
وَ لَوْ نَشَآءُ لَاَرَیْنٰكَهُمْ فَلَعَرَفْتَهُمْ بِسِیْمٰىهُمْ١ؕ وَ لَتَعْرِفَنَّهُمْ فِیْ لَحْنِ الْقَوْلِ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ اَعْمَالَكُمْ
শব্দার্থ: وَلَوْ = এবং যদি, نَشَاءُ = আমরা ইচ্ছে করি, لَأَرَيْنَاكَهُمْ = আমরা অবশ্যই তাদের দেখাতেপারি, فَلَعَرَفْتَهُمْ = তুমি তখন তাদের চিনবেই, بِسِيمَاهُمْ = দ্বারাতাদের লক্ষণগুলো, وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ = এবং তাদের কে তুমি অবশ্যই চিনবে, فِي = আছে, لَحْنِ = ভংগিতে, الْقَوْلِ = কথা (বলার) , وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ্ই, يَعْلَمُ = জানেন, أَعْمَالَكُمْ = তোমাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: আমি চাইলে তাদেরকে চাক্ষুষ দেখিয়ে দিতাম আর তুমি তাদের চেহারা দেখেই চিনতে পারতে। তবে তাদের বাচনভঙ্গি থেকে তুমি তাদেরকে অবশ্যই চিনে ফেলবে। আল্লাহ তোমাদের সব আমল ভাল করেই জানেন।
(47:31)
وَ لَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتّٰى نَعْلَمَ الْمُجٰهِدِیْنَ مِنْكُمْ وَ الصّٰبِرِیْنَ١ۙ وَ نَبْلُوَاۡ اَخْبَارَكُمْ
শব্দার্থ: وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ = এবং তোমাদের পরীক্ষাকরবআমরা অবশ্যই , حَتَّىٰ = যতক্ষণ না, نَعْلَمَ = আমরা জানবো, الْمُجَاهِدِينَ = মুজাহিদদেরকে, مِنْكُمْ = তোমাদের মধ্যকার, وَالصَّابِرِينَ = ওধৈর্যশীলদেরকে, وَنَبْلُوَ = এবং আমরা পরীক্ষা করবো , أَخْبَارَكُمْ = তোমাদের খবরাদি,
অনুবাদ: আমি তোমাদের কে অবশ্যই পরীক্ষা করবো যাতে আমি তোমাদের অবস্থা যাচাই করে দেখে নিতে পারি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদকারী এবং কে ধৈর্যশীল।
(47:32)
اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ صَدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ شَآقُّوا الرَّسُوْلَ مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمُ الْهُدٰى١ۙ لَنْ یَّضُرُّوا اللّٰهَ شَیْئًا١ؕ وَ سَیُحْبِطُ اَعْمَالَهُمْ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়ই, الَّذِينَ = যারা, كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, وَصَدُّوا = ও বাধাদিয়েছে (লোকদেরকে) , عَنْ = হতে, سَبِيلِ = পথ, اللَّهِ = আল্লাহ্র , وَشَاقُّوا = এবং বিরোধিতাকরেছে, الرَّسُولَ = রাসুলের, مِنْ = মধ্য হতে , بَعْدِ = এরপরে ও, مَا = যা, تَبَيَّنَ = সুস্পষ্টহয়েছে, لَهُمُ = তাদের কাছে , الْهُدَىٰ = (অর্থাৎ) সৎপথ, لَنْ = কখনও না, يَضُرُّوا = তারা ক্ষতি করতে পারবে, اللَّهَ = আল্লাহকে, شَيْئًا = কিছুমাত্রও, وَسَيُحْبِطُ = এবং অচিরেই তিনি বিনষ্ট করে দিবেন, أَعْمَالَهُمْ = তাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: যারা কুফরী করেছে, আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সামনে সঠিক পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর রসূলের সাথে বিরোধ করেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বরং আল্লাহই তাদের সব কৃতকর্ম ধ্বংস করে দিবেন।
(47:33)
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوا الرَّسُوْلَ وَ لَا تُبْطِلُوْۤا اَعْمَالَكُمْ
শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = হে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছ, أَطِيعُوا = তোমরা আনুগত্যকরো, اللَّهَ = আল্লাহ্র , وَأَطِيعُوا = ওআনুগত্যকরো, الرَّسُولَ = রাসুলের, وَلَا = এবং না , تُبْطِلُوا = তোমরা বিনষ্টকরো, أَعْمَالَكُمْ = তোমাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রসূলের আনুগত্য করো এবং নিজেদের আমল ধ্বংস করো না।
(47:34)
اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ صَدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ثُمَّ مَاتُوْا وَ هُمْ كُفَّارٌ فَلَنْ یَّغْفِرَ اللّٰهُ لَهُمْ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়ই, الَّذِينَ = যারা, كَفَرُوا = অস্বীকার করেছে, وَصَدُّوا = ও বাধাদিয়েছে (লোকদেরকে) , عَنْ = হতে, سَبِيلِ = পথ, اللَّهِ = আল্লাহ্র , ثُمَّ = তারপর, مَاتُوا = তারা মারাগেছে, وَهُمْ = এমতাবস্থায় যে , كُفَّارٌ = কাফের (ছিল) , فَلَنْ = ফলেকখনও না, يَغْفِرَ = ক্ষমা করবেন , اللَّهُ = আল্লাহ্, لَهُمْ = তাদের কে,
অনুবাদ: কুফর অবলম্বনকারী, আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টিকারী এবং কুফরীসহ, মৃত্যুবরণকারীকে আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।
(47:35)
فَلَا تَهِنُوْا وَ تَدْعُوْۤا اِلَى السَّلْمِ١ۖۗ وَ اَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ١ۖۗ وَ اللّٰهُ مَعَكُمْ وَ لَنْ یَّتِرَكُمْ اَعْمَالَكُمْ
শব্দার্থ: فَلَا = অতএব না , تَهِنُوا = তোমরা সাহসহারিয়োনা, وَتَدْعُوا = এবং তোমরা আহবানকরো (না) , إِلَى = দিকে, السَّلْمِ = সন্ধির, وَأَنْتُمُ = এবং তোমরা ই ( হবে ) , الْأَعْلَوْنَ = বিজয়ী, وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ্, مَعَكُمْ = তোমাদের সাথে (আছেন) , وَلَنْ = এবংকখনও না, يَتِرَكُمْ = তোমাদের কমাবেন, أَعْمَالَكُمْ = তোমাদের কর্ম সমূহ কে,
অনুবাদ: তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং সন্ধির জন্য আহ্বান করো না। তোমরাই বিজয়ী থাকবে। আল্লাহ তোমাদের সাথে আছেন। তিনি তোমাদের আমল কখনো নষ্ট করবেন না।
(47:36)
اِنَّمَا الْحَیٰوةُ الدُّنْیَا لَعِبٌ وَّ لَهْوٌ١ؕ وَ اِنْ تُؤْمِنُوْا وَ تَتَّقُوْا یُؤْتِكُمْ اُجُوْرَكُمْ وَ لَا یَسْئَلْكُمْ اَمْوَالَكُمْ
শব্দার্থ: إِنَّمَا = প্রকৃতপক্ষে, الْحَيَاةُ = জীবন, الدُّنْيَا = পার্থিব, لَعِبٌ = খেলা, وَلَهْوٌ = ওতামাশা (মাত্র) , وَإِنْ = এবং যদি, تُؤْمِنُوا = তোমরা ঈমান আন, وَتَتَّقُوا = ও তোমরা ভয়করেচল, يُؤْتِكُمْ = তিনি তোমাদের দান করবেন , أُجُورَكُمْ = তোমাদের কর্মফল সমূহ কে, وَلَا = এবং না , يَسْأَلْكُمْ = তোমাদের থেকে তিনি চান, أَمْوَالَكُمْ = তোমাদের সম্পদ গুলোকে ,
অনুবাদ: দুনিয়ার এ জীবন তাতো খেল তামাশা মাত্র। তোমরা যদি ঈমানদার হও এবং তাকওয়ার পথে চলতে থাক তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদেরকে তোমাদের ন্যায্য প্রতিদান অবশ্যই দিবেন। আর তিনি তোমাদের সম্পদ চাইবেন না।
(47:37)
اِنْ یَّسْئَلْكُمُوْهَا فَیُحْفِكُمْ تَبْخَلُوْا وَ یُخْرِجْ اَضْغَانَكُمْ
শব্দার্থ: إِنْ = যদি, يَسْأَلْكُمُوهَا = তা তোমাদের থেকেচান তিনি , فَيُحْفِكُمْ = অতঃপর তোমাদের কেচাপদেন, تَبْخَلُوا = তোমরা কৃপণতা করবে, وَيُخْرِجْ = এবং তিনি প্রকাশ করবেন , أَضْغَانَكُمْ = তোমাদের গোপনত্রুটিকে,
অনুবাদ: তিনি যদি কখনো তোমাদের সম্পদ চান এবং সবটাই চান তাহলে তোমরা কৃপণতা করবে এবং তিনি তোমাদের ঈর্ষা পরায়ণতা প্রকাশ করে দিবেন।
(47:38)
هٰۤاَنْتُمْ هٰۤؤُلَآءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ١ۚ فَمِنْكُمْ مَّنْ یَّبْخَلُ١ۚ وَ مَنْ یَّبْخَلْ فَاِنَّمَا یَبْخَلُ عَنْ نَّفْسِهٖ١ؕ وَ اللّٰهُ الْغَنِیُّ وَ اَنْتُمُ الْفُقَرَآءُ١ۚ وَ اِنْ تَتَوَلَّوْا یَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَیْرَكُمْ١ۙ ثُمَّ لَا یَكُوْنُوْۤا اَمْثَالَكُمْ۠
শব্দার্থ: هَاأَنْتُمْ = তোমরা দেখ, هَٰؤُلَاءِ = ঐসবলোক (যাদের) , تُدْعَوْنَ = আহবানকরাহচ্ছে, لِتُنْفِقُوا = তোমরা খরচকরযেন, فِي = মধ্যে, سَبِيلِ = পথের, اللَّهِ = আল্লাহ্র , فَمِنْكُمْ = তখন তোমাদের মধ্য হতে , مَنْ = কেউকেউ, يَبْخَلُ = কৃপণতাকরে, وَمَنْ = অথচযে, يَبْخَلْ = কৃপণতাকরে, فَإِنَّمَا = প্রকৃতপক্ষে, يَبْخَلُ = সেকৃপণতাকরে, عَنْ = প্রতি, نَفْسِهِ = তারনিজের, وَاللَّهُ = এবং আলাহ, الْغَنِيُّ = অভাবমুক্ত, وَأَنْتُمُ = কিন্তু তোমরা , الْفُقَرَاءُ = অভাবগ্রস্ত, وَإِنْ = আরযদি, تَتَوَلَّوْا = তোমরা মুখফিরাও (তবে) , يَسْتَبْدِلْ = তিনি পরিবর্তন করেআনবেন, قَوْمًا = (অন্যএক) জাতিকে, غَيْرَكُمْ = তোমাদের ব্যতীত, ثُمَّ = এরপর, لَا = না, يَكُونُوا = তারা হবে , أَمْثَالَكُمْ = তোমাদের মতো,
অনুবাদ: দেখো, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে অথচ তোমাদের মধ্যকার কিছু লোক কৃপণতা করেছে। যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ তো অভাব শূন্য। তোমরাই তার মুখাপেক্ষী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের স্থানে অন্য কোন জাতিকে নিয়ে আসবেন। তারা তোমাদের মত হবে না।