Text Message

Islamic লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Islamic লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৪ অক্টোবর ২০২০

বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম

 

খ্রিস্টান ধর্মের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। বিভিন্ন অনলাইন গবেষণা অনুসারে বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম। ২০২০ সালের সাম্প্রতিক জরিপগুলি বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১.৯ বিলিয়ন বা ২৪.৫ শতাংশ মুসলমান এবং প্রতি বছর ৫ হাজারেও বেশি ব্রিটিশ ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন যাদের বেশিরভাগই মহিলা।

জরিপের গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৩০ হাজার লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। প্রতি বছর ইসলামে ধর্মান্তরিতদের সংখ্যা নরওয়েতে ৩ হাজার। ধর্মান্তরিতরা বলছেন যে, তাদের কাছে ইসলাম ধর্মকে অপেক্ষাকৃত যুক্তিযুক্ত এবং সত্য মনে হয়েছে। এবং তাদের ইশ্বরই ইসলামের পথে তাদেরকে চালিত করেছেন। সিএনএন’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বস্তরের লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, বিশেষত হিস্পানিক এবং আফ্রিকান-আমেরিকানরা।’

মার্কিন পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ বা ২.৮ বিলিয়ন এবং খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৩১ শতাংশ বা ২.৯ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক কাউফম্যান বলেছেন যে, মুসলিমরা ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু হবে এবং ২০৫০ সালে পশ্চিম ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের মতো উচ্চ অভিবাসনপ্রাপ্ত দেশে ১০-১৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকবে। ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান সাংবাদিক এবং লেখক ডগ স্যান্ডার্স বলেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি, গ্রীস, স্পেন এবং ডেনমার্কে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্মের হার সমান হবে।

পিউ রিসার্চের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের ১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১.২ বিলিয়ন পৌঁছবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলেও মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ২০১০ সালের প্রায় ৩ শ’ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ৫ শ’ ৫০ মিলিয়নেরও পৌছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের প্রায় ২৫০ মিলিয়ন থেকে ২০৫০ সালে প্রায় ৬ শ’ ৭০ মিলিয়নে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে যা দ্বিগুণেরও বেশি। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মতো ছোট মুসলিম জনসংখ্যার অঞ্চলগুলিতেও মুসলমানদের সংখ্যা ২০৫০ সালে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬ শতাংশ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ৩০ শতাংশ হবে। উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যা ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া অঞ্চলে মুসলিমরা ২০৫০ সালের মধ্যে সময়ের মধ্যে হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে। ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়ায় বিশ্বের ৪৮ শতংশ মুসলিম ছিল। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতের পর ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মুসলমানের বাসস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র : পিউ রিসার্চ স্টোর, উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।

 

Source: Islamic Online Media

১৯ অক্টোবর ২০২০

Islamic News

  


 Click to view

Why islamic culture is absent in media?

এদেশের মিডিয়া এদেশর মানুষের চিন্তাধারা ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে?

নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশের সংবাদমাধ্যমে মুসলমানের সিম্বলের উপস্থিতি নাই কেন? পত্রিকার পাতা বা টিভির স্ক্রিন দেখলে কি কোথাও মুসলমানের সিম্বলগুলো দেখা যায়? শাড়ি, লুঙ্গি, শার্ট, প্যান্টের পাশাপাশি দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব, মাথায় কাপড় ইত্যাদি যে স্বাভাবিক বাংলাদেশি কালচারের পোশাক- তা কি বাংলাদেশের টিভির পর্দায় তাকালে বুঝবে কোনো বিদেশি লোক?

বাংলাদেশি টিভির পর্দায় কি কোনো হিজাব পরিহিতা নারী, কিম্বা দাড়ি টুপিওয়ালা পুরুষ উপস্থাপক দেখা যায়? এই দেশের কোনো হিজাবী নারী বা দাড়ি টুপি ওয়ালা পুরুষ কি টিভি উপস্থাপক হিসেবে চাকরি করতে চান না? বিশ্ববিদ্যলায়গুলোর জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টগুলিতে কি হিজাবি বা দাড়িটুপি ওয়ালা ছাত্ররা নেই যারা মিডিয়াতে ক্যারিয়ার করতে চায়? নাকি এইসব পোশাকওয়ালাদেরকে ইচ্ছা করে দূরে ঠেলে রাখা হয় টিভির পর্দা থেকে?

বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি থাকার পরও স্কুল লেভেলে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট থাকার কারণে অনেককে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে চাকরি দেয়া হয়না। এর কারণ কী? কেন দাড়িটুপিওয়ালাদের জায়গা হয় শুধু পত্রিকার ‘ধর্ম পাতায়’?

দাড়িটুপি থাকলে কি সাধারণ সাংবাদিকতা করা যায় না? নাকি দাড়িটুপি পাঞ্জাবিওয়ালা বাংলাদেশিদের কেউই সাংবাদিকতা করতে চান না? এমন তো হওয়ার কথা নয়!

পশ্চিমা দেশগুলোর মিডিয়াতেও তো ধর্মীয়, বর্ণগত, অঞ্চলগত ডাইভার্সিটি বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের মিডিয়ার জনশক্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বৈচিত্রের রিপ্রেজেন্টেশন কোথায়? কেন নির্দিষ্ট ধর্মের সিম্বলধারণকারীদেরকে মিডিয়া থেকে দূরে রাখা হয়?

টিভিগুলিতে বা পত্রিকার ছবিতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়/স্কুলের পরীক্ষা/ফলাফলের খবর দেখানো হয় তখন দাড়িটুপিওয়ালা শিক্ষার্থীদের ছবি দেখা যায় না কেন? অথচ কিছু দিন আগে কোনো এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের তরুণীদের অধিকাংশই এখন হিজাব পরিধান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ হিজাব পরছেন। ইচ্ছা করেই মিডিয়ায় হিজাবী নারী শিক্ষার্থীদের ছবি পরিহার করা হয়?

দেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের অর্ধেকর মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও রয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দাড়িটুপিওয়ালা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ছবির উপস্থিতি নেতিবাচক খবর ছাড়া কি কোথাও দেখা যায়?

কনসার্ট কিম্বা নাচের সমাবেশের খবর ও ছবি তো নিয়মিতই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ভালো ভালো নামকরা অনেক আলেমের ওয়াজ মাহফিলের (বিশ্ব ইজতেমা ছাড়া) ছবি ও খবর কি মূলধারার মিডিয়ায় কখনো দেখেছেন? কনসার্ট আর নাচ বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর ওয়াজ কি আবহমান বাংলার সংষ্কৃতি নয়? শত শত বছর ধরে এই সংস্কৃতি চলছে না এ দেশে? বরং ওয়াজ মাহফিলের একটা ক্ষুদ্রাংশে যেসব ভুল পাওয়া যায় সেগুলোকে হাইলাইট করে পুরো ওয়াজের সংস্কৃতিকে নেতিবাচকভাবে কি উপস্থাপন করা হয় না?

মিডিয়াতে আলেম উলামাদের উপস্থাপনা কি ইতিবাচকভাবে হয়? মূলধারার মিডিয়াতে আলেমদের ডাকা হয় দুই কারণে। এক. রমজান উপলক্ষ্যে দর্শক/পাঠক ধরার স্বার্থে। দুই. কোনো বিতর্কিত ইস্যুতে আলেমদেরকে হাজির করে কয়েকজনে মিলে একসাথে ন্যাস্তনাবুদ করতে। কোথাও কি দেখেছেন কোনো ইস্যুতে অন্যান্য ফিল্ডের বিশেষজ্ঞদের মতো করে সম্মান প্রদর্শনস্বরূপ আলেমদের মতামত নিতে মূল ধারার মিডিয়ায়?

চলমান ধর্ষণের মহামারি ইস্যুতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সমাজবিজ্ঞানী, রাজনীতিক ব্যক্তি, আইনজীবী, সেলিব্রিটি ইত্যাদির মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন দেখবেন। কিন্তু কোনো আলেমের মতামত নিতে দেখেছেন কোনো মিডিয়ায়? যে কোনো অপরাধ মোকাবেলার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধের তো একটা ভূমিকা আছে। সে হিসেবে বিশ্বেষজ্ঞ আলেমদের মতামত তো এক্ষেত্রে নেয়াই যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মূলধারার কোনো মিডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটি কখনো দেখবেন না। কারণ কী?
মুসলমানের ধর্মীয় দিবস ইত্যাদির সংবাদ প্রচার করতে গিয়েও টিভির মুসলিম উপস্থাপকদের মুখে কি ‘আল্লাহ’ শব্দের উচ্চারণ কখনো শুনেছেন? বাংলাদেশের মিডিয়ায় ‘আল্লাহ’ উচ্চারিত হয় না। বলা হয়, ‘সৃষ্টিকর্তা’। অথচ এদেশের প্রায় নব্বই ভাগ লোক কথায় কথায় ‘আল্লাহ’ বলে থাকেন।

তবে কি এদেশের মিডিয়া এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচার ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে?

Source : Islamic Online Media

 

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ