১৯ অক্টোবর ২০২০

Islamic News

  


 Click to view

Why islamic culture is absent in media?

এদেশের মিডিয়া এদেশর মানুষের চিন্তাধারা ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে?

নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশের সংবাদমাধ্যমে মুসলমানের সিম্বলের উপস্থিতি নাই কেন? পত্রিকার পাতা বা টিভির স্ক্রিন দেখলে কি কোথাও মুসলমানের সিম্বলগুলো দেখা যায়? শাড়ি, লুঙ্গি, শার্ট, প্যান্টের পাশাপাশি দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব, মাথায় কাপড় ইত্যাদি যে স্বাভাবিক বাংলাদেশি কালচারের পোশাক- তা কি বাংলাদেশের টিভির পর্দায় তাকালে বুঝবে কোনো বিদেশি লোক?

বাংলাদেশি টিভির পর্দায় কি কোনো হিজাব পরিহিতা নারী, কিম্বা দাড়ি টুপিওয়ালা পুরুষ উপস্থাপক দেখা যায়? এই দেশের কোনো হিজাবী নারী বা দাড়ি টুপি ওয়ালা পুরুষ কি টিভি উপস্থাপক হিসেবে চাকরি করতে চান না? বিশ্ববিদ্যলায়গুলোর জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টগুলিতে কি হিজাবি বা দাড়িটুপি ওয়ালা ছাত্ররা নেই যারা মিডিয়াতে ক্যারিয়ার করতে চায়? নাকি এইসব পোশাকওয়ালাদেরকে ইচ্ছা করে দূরে ঠেলে রাখা হয় টিভির পর্দা থেকে?

বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি থাকার পরও স্কুল লেভেলে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট থাকার কারণে অনেককে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে চাকরি দেয়া হয়না। এর কারণ কী? কেন দাড়িটুপিওয়ালাদের জায়গা হয় শুধু পত্রিকার ‘ধর্ম পাতায়’?

দাড়িটুপি থাকলে কি সাধারণ সাংবাদিকতা করা যায় না? নাকি দাড়িটুপি পাঞ্জাবিওয়ালা বাংলাদেশিদের কেউই সাংবাদিকতা করতে চান না? এমন তো হওয়ার কথা নয়!

পশ্চিমা দেশগুলোর মিডিয়াতেও তো ধর্মীয়, বর্ণগত, অঞ্চলগত ডাইভার্সিটি বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের মিডিয়ার জনশক্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বৈচিত্রের রিপ্রেজেন্টেশন কোথায়? কেন নির্দিষ্ট ধর্মের সিম্বলধারণকারীদেরকে মিডিয়া থেকে দূরে রাখা হয়?

টিভিগুলিতে বা পত্রিকার ছবিতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়/স্কুলের পরীক্ষা/ফলাফলের খবর দেখানো হয় তখন দাড়িটুপিওয়ালা শিক্ষার্থীদের ছবি দেখা যায় না কেন? অথচ কিছু দিন আগে কোনো এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের তরুণীদের অধিকাংশই এখন হিজাব পরিধান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ হিজাব পরছেন। ইচ্ছা করেই মিডিয়ায় হিজাবী নারী শিক্ষার্থীদের ছবি পরিহার করা হয়?

দেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের অর্ধেকর মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও রয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দাড়িটুপিওয়ালা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ছবির উপস্থিতি নেতিবাচক খবর ছাড়া কি কোথাও দেখা যায়?

কনসার্ট কিম্বা নাচের সমাবেশের খবর ও ছবি তো নিয়মিতই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ভালো ভালো নামকরা অনেক আলেমের ওয়াজ মাহফিলের (বিশ্ব ইজতেমা ছাড়া) ছবি ও খবর কি মূলধারার মিডিয়ায় কখনো দেখেছেন? কনসার্ট আর নাচ বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর ওয়াজ কি আবহমান বাংলার সংষ্কৃতি নয়? শত শত বছর ধরে এই সংস্কৃতি চলছে না এ দেশে? বরং ওয়াজ মাহফিলের একটা ক্ষুদ্রাংশে যেসব ভুল পাওয়া যায় সেগুলোকে হাইলাইট করে পুরো ওয়াজের সংস্কৃতিকে নেতিবাচকভাবে কি উপস্থাপন করা হয় না?

মিডিয়াতে আলেম উলামাদের উপস্থাপনা কি ইতিবাচকভাবে হয়? মূলধারার মিডিয়াতে আলেমদের ডাকা হয় দুই কারণে। এক. রমজান উপলক্ষ্যে দর্শক/পাঠক ধরার স্বার্থে। দুই. কোনো বিতর্কিত ইস্যুতে আলেমদেরকে হাজির করে কয়েকজনে মিলে একসাথে ন্যাস্তনাবুদ করতে। কোথাও কি দেখেছেন কোনো ইস্যুতে অন্যান্য ফিল্ডের বিশেষজ্ঞদের মতো করে সম্মান প্রদর্শনস্বরূপ আলেমদের মতামত নিতে মূল ধারার মিডিয়ায়?

চলমান ধর্ষণের মহামারি ইস্যুতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সমাজবিজ্ঞানী, রাজনীতিক ব্যক্তি, আইনজীবী, সেলিব্রিটি ইত্যাদির মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন দেখবেন। কিন্তু কোনো আলেমের মতামত নিতে দেখেছেন কোনো মিডিয়ায়? যে কোনো অপরাধ মোকাবেলার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধের তো একটা ভূমিকা আছে। সে হিসেবে বিশ্বেষজ্ঞ আলেমদের মতামত তো এক্ষেত্রে নেয়াই যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মূলধারার কোনো মিডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটি কখনো দেখবেন না। কারণ কী?
মুসলমানের ধর্মীয় দিবস ইত্যাদির সংবাদ প্রচার করতে গিয়েও টিভির মুসলিম উপস্থাপকদের মুখে কি ‘আল্লাহ’ শব্দের উচ্চারণ কখনো শুনেছেন? বাংলাদেশের মিডিয়ায় ‘আল্লাহ’ উচ্চারিত হয় না। বলা হয়, ‘সৃষ্টিকর্তা’। অথচ এদেশের প্রায় নব্বই ভাগ লোক কথায় কথায় ‘আল্লাহ’ বলে থাকেন।

তবে কি এদেশের মিডিয়া এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচার ও জীবনাচারকে রিপ্রেজেন্ট করে? নাকি সুপরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে?

Source : Islamic Online Media

 

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ