Text Message

Al Quran লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Al Quran লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৯ মে ২০২১

১৬ নাহল

  ১৬-নহল

(16:0)

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ


অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

(16:1)

اَتٰۤى اَمْرُ اللّٰهِ فَلَا تَسْتَعْجِلُوْهُ١ؕ سُبْحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰى عَمَّا یُشْرِكُوْنَ




অনুবাদ:    এসে গেছে আল্লাহর ফায়সালা। এখন আর একে ত্বরান্বিত করতে বলো না। পবিত্র তিনি এবং এরা যে শিরক করছে তার ঊর্ধ্বে তিনি অবস্থান করেন।




(16:2)

یُنَزِّلُ الْمَلٰٓئِكَةَ بِالرُّوْحِ مِنْ اَمْرِهٖ عَلٰى مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖۤ اَنْ اَنْذِرُوْۤا اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاتَّقُوْنِ




অনুবাদ:    তিনি এ রূহকে তাঁর নির্দেশানুসারে ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার ওপর চান নাযিল করেন। (এ হেদায়াত সহকারে যে, লোকদের) “জানিয়ে দাও, আমি ছাড়া তোমাদের আর কোনো মাবুদ নেই। কাজেই তোমরা আমাকেই ভয় করো।”




(16:3)

خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ١ؕ تَعٰلٰى عَمَّا یُشْرِكُوْنَ




অনুবাদ:    তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে সত্য সহকারে সৃষ্টি করেছেন। এরা যে শিরক করছে তাঁর অবস্থান তার অনেক ঊর্ধ্বে।




(16:4)

خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَةٍ فَاِذَا هُوَ خَصِیْمٌ مُّبِیْنٌ




অনুবাদ:    তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ছোট্ট একটি ফোঁটা থেকে। তারপর দেখতে দেখতে সে এক কলহপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে।




(16:5)

وَ الْاَنْعَامَ خَلَقَهَا١ۚ لَكُمْ فِیْهَا دِفْءٌ وَّ مَنَافِعُ وَ مِنْهَا تَاْكُلُوْنَ۪




অনুবাদ:    তিনি পশু সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য পোশাক, খাদ্য এবং অন্যান্য নানাবিধ উপকারিতাও।




(16:6)

وَ لَكُمْ فِیْهَا جَمَالٌ حِیْنَ تُرِیْحُوْنَ وَ حِیْنَ تَسْرَحُوْنَ۪




অনুবাদ:    তাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সৌন্দর্য যখন সকালে তোমরা তাদেরকে চারণভূমিতে পাঠাও এবং সন্ধ্যায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনো।




(16:7)

وَ تَحْمِلُ اَثْقَالَكُمْ اِلٰى بَلَدٍ لَّمْ تَكُوْنُوْا بٰلِغِیْهِ اِلَّا بِشِقِّ الْاَنْفُسِ١ؕ اِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌۙ




অনুবাদ:    তারা তোমাদের জন্য বোঝা বহন করে এমন সব জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তোমরা কঠোর প্রাণান্ত পরিশ্রম না করে পৌঁছতে পারো না। আসলে তোমার রব বড়ই স্নেহশীল ও করুণাময়।




(16:8)

وَّ الْخَیْلَ وَ الْبِغَالَ وَ الْحَمِیْرَ لِتَرْكَبُوْهَا وَ زِیْنَةً١ؕ وَ یَخْلُقُ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    তোমাদের আরোহণ করার এবং তোমাদের জীবনের শোভা-সৌন্দর্য সৃষ্টির জন্য তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। তিনি (তোমাদের উপকারার্থে) আরো অনেক জিনিস সৃষ্টি করেছেন, যেগুলো তোমরা জানোই না।




(16:9)

وَ عَلَى اللّٰهِ قَصْدُ السَّبِیْلِ وَ مِنْهَا جَآئِرٌ١ؕ وَ لَوْ شَآءَ لَهَدٰىكُمْ اَجْمَعِیْنَ۠




অনুবাদ:    আর যেখানে বাঁকা পথও রয়েছে সেখানে সোজা পথ দেখাবার দায়িত্ব আল্লাহর ওপরই বর্তেছে। তিনি চাইলে তোমাদের সবাইকে সত্য-সোজা পথে পরিচালিত করতেন।




(16:10)

هُوَ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً لَّكُمْ مِّنْهُ شَرَابٌ وَّ مِنْهُ شَجَرٌ فِیْهِ تُسِیْمُوْنَ




অনুবাদ:    তিনিই আকাশ থেকে তোমাদের জন্য পানি বর্ষণ করেন, যা পান করে তোমরা নিজেরাও পরিতৃপ্ত হও এবং যার সাহায্যে তোমাদের পশুদের জন্যও খাদ্য উৎপন্ন হয়।




(16:11)

یُنْۢبِتُ لَكُمْ بِهِ الزَّرْعَ وَ الزَّیْتُوْنَ وَ النَّخِیْلَ وَ الْاَعْنَابَ وَ مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    এ পানির সাহায্যে তিনি শস্য উৎপন্ন করেন এবং জয়তুন, খেজুর, আংগুর ও আরো নানাবিধ ফল জন্মান। এর মধ্যে যারা চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য রয়েছে একটি বড় নিদর্শন।




(16:12)

وَ سَخَّرَ لَكُمُ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ١ۙ وَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ١ؕ وَ النُّجُوْمُ مُسَخَّرٰتٌۢ بِاَمْرِهٖ١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَۙ




অনুবাদ:    তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে বশীভূত করে রেখেছেন এবং সমস্ত তারকাও তাঁরই হুকুমে বশীভূত রয়েছে। যারা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায় তাদের জন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর নিদর্শন।




(16:13)

وَ مَا ذَرَاَ لَكُمْ فِی الْاَرْضِ مُخْتَلِفًا اَلْوَانُهٗ١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّذَّكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    আর এই যে বহু রং বেরংয়ের জিনিস তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীতে সৃষ্টি করে রেখেছেন এগুলোর মধ্যেও অবশ্যি নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা শিক্ষাগ্রহণ করে।




(16:14)

وَ هُوَ الَّذِیْ سَخَّرَ الْبَحْرَ لِتَاْكُلُوْا مِنْهُ لَحْمًا طَرِیًّا وَّ تَسْتَخْرِجُوْا مِنْهُ حِلْیَةً تَلْبَسُوْنَهَا١ۚ وَ تَرَى الْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِیْهِ وَ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ




অনুবাদ:    তিনিই তোমাদের জন্য সাগরকে করায়ত্ত করে রেখেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তরতাজা গোশত নিয়ে খাও এবং তা থেকে এমন সব সৌন্দর্য সামগ্রী আহরণ করো যা তোমরা অংগের ভূষণরূপে পরিধান করে থাকো। তোমরা দেখছো, সমুদ্রের বুক চিরে নৌযান চলাচল করে। এসব এজন্য, যাতে তোমরা তোমাদের রবের অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো।




(16:15)

وَ اَلْقٰى فِی الْاَرْضِ رَوَاسِیَ اَنْ تَمِیْدَ بِكُمْ وَ اَنْهٰرًا وَّ سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَۙ




অনুবাদ:    তিনি পৃথিবীতে পাহাড়সমূহ গেঁড়ে দিয়েছেন, যাতে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে হেলে না পড়ে। তিনি নদী প্রবাহিত করেছেন এবং প্রাকৃতিক পথ নির্মাণ করেছেন, যাতে তোমরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারো।




(16:16)

وَ عَلٰمٰتٍ١ؕ وَ بِالنَّجْمِ هُمْ یَهْتَدُوْنَ




অনুবাদ:    তিনি ভূপৃষ্ঠে পথনির্দেশক চিহ্নসমূহ রেখে দিয়েছেন এবং তারকার সাহায্যেও মানুষ পথনির্দেশ পায়।




(16:17)

اَفَمَنْ یَّخْلُقُ كَمَنْ لَّا یَخْلُقُ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    তাহলে ভেবে দেখতো যিনি সৃষ্টি করেন এবং যে কিছুই সৃষ্টি করে না তারা উভয় কি সমান? তোমরা কি সজাগ হবে না?




(16:18)

وَ اِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَةَ اللّٰهِ لَا تُحْصُوْهَا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ




অনুবাদ:    যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামতসমূহ গুণতে চাও তাহলে গুণতে পারবে না। আসলে তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।




(16:19)

وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تُسِرُّوْنَ وَ مَا تُعْلِنُوْنَ




অনুবাদ:    অথচ তিনি তোমাদের প্রকাশ্যও জানেন এবং গোপনও জানেন।




(16:20)

وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا یَخْلُقُوْنَ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَؕ




অনুবাদ:    আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য যেসব সত্তাকে লোকেরা ডাকে তারা কোন একটি জিনিসেরও স্রষ্টা নয় বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি।




(16:21)

اَمْوَاتٌ غَیْرُ اَحْیَآءٍ١ۚ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ١ۙ اَیَّانَ یُبْعَثُوْنَ۠




অনুবাদ:    তারা মৃত, জীবিত নয় এবং তারা কিছুই জানেনা তাদেরকে কবে (পুনর্বার জীবিত করে) উঠানো হবে।




(16:22)

اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ١ۚ فَالَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ قُلُوْبُهُمْ مُّنْكِرَةٌ وَّ هُمْ مُّسْتَكْبِرُوْنَ




অনুবাদ:    এক ইলাহই তোমাদের আল্লাহ। কিন্তু যারা আখেরাত মানে না তাদের অন্তরে অস্বীকৃতি বদ্ধমূল হয়ে গেছে এবং তারা অহংকারে ডুবে গেছে।




(16:23)

لَا جَرَمَ اَنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا یُسِرُّوْنَ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ١ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِیْنَ




অনুবাদ:    নিঃসন্দেহে আল্লাহ‌ তাদের সমস্ত কার্যকলাপ জানেন, যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে। তিনি তাদেরকে মোটেই পছন্দ করেন না যারা আত্মগরিমায় ডুবে থাকে।




(16:24)

وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ مَّا ذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ١ۙ قَالُوْۤا اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَۙ




অনুবাদ:    আর যখন কেউ তাদেরকে জিজ্ঞেস করে, তোমাদের রব এ কী জিনিস নাযিল করেছেন? তারা বলে, “জ্বী, ওগুলো তো আগের কালের বস্তাপচা গপ্প।”




(16:25)

لِیَحْمِلُوْۤا اَوْزَارَهُمْ كَامِلَةً یَّوْمَ الْقِیٰمَةِ١ۙ وَ مِنْ اَوْزَارِ الَّذِیْنَ یُضِلُّوْنَهُمْ بِغَیْرِ عِلْمٍ١ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَزِرُوْنَ۠




অনুবাদ:    এসব কথা তারা এজন্য বলছে যে, কিয়ামতের দিন তারা নিজেদের বোঝা পুরোপুরি উঠাবে আবার সাথে সাথে তাদের বোঝাও কিছু উঠাবে যাদেরকে তারা অজ্ঞতার কারণে পথভ্রষ্ট করছে। দেখো, কেমন কঠিন দায়িত্ব, যা তারা নিজেদের মাথায় নিয়ে নিচ্ছে।




(16:26)

قَدْ مَكَرَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَاَتَى اللّٰهُ بُنْیَانَهُمْ مِّنَ الْقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَیْهِمُ السَّقْفُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَ اَتٰىهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَیْثُ لَا یَشْعُرُوْنَ




অনুবাদ:    তাদের আগেও বহু লোক (সত্যকে খাটো করে দেখাবার জন্য) এমনি ধরনের চক্রান্ত করেছিল। তবে দেখে নাও, আল্লাহ তাদের চক্রান্তের ইমারত সমূলে উৎপাটিত করেছেন এবং তার ছাদ ওপর থেকে তাদের মাথার ওপর ধ্বসে পড়ছে এবং এমন দিক থেকে তাদের ওপর আযাব এসেছে যেদিক থেকে তার আসার কোন ধারণাই তাদের ছিল না।




(16:27)

ثُمَّ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُخْزِیْهِمْ وَ یَقُوْلُ اَیْنَ شُرَكَآءِیَ الَّذِیْنَ كُنْتُمْ تُشَآقُّوْنَ فِیْهِمْ١ؕ قَالَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ اِنَّ الْخِزْیَ الْیَوْمَ وَ السُّوْٓءَ عَلَى الْكٰفِرِیْنَۙ




অনুবাদ:    তারপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং তাদেরকে বলবেন, “বলো, এখন কোথায় গেলো আমার সেই শরীকরা যাদের জন্য তোমরা (সত্যপন্থীদের সাথে) ঝগড়া করতে?”---যারা দুনিয়ায় জ্ঞানের অধিকারী হয়েছিল তারা বলবে, “আজ কাফেরদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনা ও দুর্ভাগ্য।”




(16:28)

الَّذِیْنَ تَتَوَفّٰىهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ ظَالِمِیْۤ اَنْفُسِهِمْ١۪ فَاَلْقَوُا السَّلَمَ مَا كُنَّا نَعْمَلُ مِنْ سُوْٓءٍ١ؕ بَلٰۤى اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌۢ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ




অনুবাদ:    হ্যাঁ, এমন কাফেরদের জন্য, যারা নিজেদের ওপর জুলুম করতে থাকা অবস্থায় যখন ফেরেশতাদের হাতে পাকড়াও হয় তখন সঙ্গে সঙ্গেই (অবাধ্যতা ত্যাগ করে) আত্মসমর্পণ করে এবং বলে, “আমরা তো কোন দোষ করছিলাম না।” ফেরেশতারা জবাব দেয়, “কেমন করে দোষ করছিলে না! তোমাদের কার্যকলাপ আল্লাহ খুব ভালো করেই জানেন।




(16:29)

فَادْخُلُوْۤا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا١ؕ فَلَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِیْنَ




অনুবাদ:    এখন যাও, জাহান্নামের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ো, ওখানেই তোমাদের থাকতে হবে চিরকাল।” সত্য বলতে কি, অহংকারীদের এই ঠিকানা বড়ই নিকৃষ্ট।




(16:30)

وَ قِیْلَ لِلَّذِیْنَ اتَّقَوْا مَا ذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ١ؕ قَالُوْا خَیْرًا١ؕ لِلَّذِیْنَ اَحْسَنُوْا فِیْ هٰذِهِ الدُّنْیَا حَسَنَةٌ١ؕ وَ لَدَارُ الْاٰخِرَةِ خَیْرٌ١ؕ وَ لَنِعْمَ دَارُ الْمُتَّقِیْنَۙ




অনুবাদ:    অন্যদিকে যখন মুত্তাকীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে কী নাযিল হয়েছে, তারা জবাব দেয়, “সর্বোত্তম জিনিস নাযিল হয়েছে।” এ ধরনের সৎকর্মশীলদের জন্য এ দুনিয়াতেও মঙ্গল রয়েছে এবং আখেরাতের আবাস তো তাদের জন্য অবশ্যি উত্তম। বড়ই ভালো আবাস মুত্তাকীদের,




(16:31)

جَنّٰتُ عَدْنٍ یَّدْخُلُوْنَهَا تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ لَهُمْ فِیْهَا مَا یَشَآءُوْنَ١ؕ كَذٰلِكَ یَجْزِی اللّٰهُ الْمُتَّقِیْنَۙ




অনুবাদ:    চিরন্তন অবস্থানের জান্নাত, যার মধ্যে তারা প্রবেশ করবে, পাদদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে নদী এবং সবকিছুই সেখানে তাদের কামনা অনুযায়ী থাকবে। এ পুরস্কার দেন আল্লাহ‌ মুত্তাকীদেরকে।




(16:32)

الَّذِیْنَ تَتَوَفّٰىهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ طَیِّبِیْنَ١ۙ یَقُوْلُوْنَ سَلٰمٌ عَلَیْكُمُ١ۙ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ




অনুবাদ:    এমন মুত্তাকীদেরকে, যাদের পবিত্র থাকা অবস্থায় ফেরেশতারা যখন মৃত্যু ঘটায় তখন বলে, “তোমাদের প্রতি শান্তি, যাও নিজেদের কর্মকাণ্ডের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ করো।”




(16:33)

هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِیَهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ اَوْ یَاْتِیَ اَمْرُ رَبِّكَ١ؕ كَذٰلِكَ فَعَلَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ١ؕ وَ مَا ظَلَمَهُمُ اللّٰهُ وَ لٰكِنْ كَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ یَظْلِمُوْنَ




অনুবাদ:    হে মুহাম্মাদ! এখন যে এরা অপেক্ষা করছে, এক্ষেত্রে এখন ফেরেশতাদের এসে যাওয়া অথবা তোমার রবের ফায়সালা প্রকাশিত হওয়া ছাড়া আর কী বাকি রয়ে গেছে? এ ধরনের হঠকারিতা এদের আগে আরো অনেক লোক করেছে। তারপর তাদের সাথে যা কিছু হয়েছে তা তাদের ওপর আল্লাহর জুলুম ছিল না বরং তাদের নিজেদেরই জুলুম ছিল যা তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর করেছিল।




(16:34)

فَاَصَابَهُمْ سَیِّاٰتُ مَا عَمِلُوْا وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ۠




অনুবাদ:    তাদের কৃতকর্মের অনিষ্ঠকারিতা শেষ পর্যন্ত তাদের ওপরই আপতিত হয়েছে এবং যেসব জিনিসকে তারা ঠাট্টা করতো সেগুলোই তাদের ওপর চেপে বসেছে।




(16:35)

وَ قَالَ الَّذِیْنَ اَشْرَكُوْا لَوْ شَآءَ اللّٰهُ مَا عَبَدْنَا مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَیْءٍ نَّحْنُ وَ لَاۤ اٰبَآؤُنَا وَ لَا حَرَّمْنَا مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَیْءٍ١ؕ كَذٰلِكَ فَعَلَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ١ۚ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ




অনুবাদ:    এ মুশরিকরা বলে, “আল্লাহ চাইলে তাঁর ছাড়া আর কারো ইবাদাত আমরাও করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও করতো না এবং তাঁর হুকুম ছাড়া কোন জিনিসকে হারামও গণ্য করতো না।” এদের আগের লোকেরাও এমনি ধরনের বাহানাবাজীই চালিয়ে গেছে। তাহলে কি রসূলদের ওপর সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোন দায়িত্ব আছে?




(16:36)

وَ لَقَدْ بَعَثْنَا فِیْ كُلِّ اُمَّةٍ رَّسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ اجْتَنِبُوا الطَّاغُوْتَ١ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ هَدَى اللّٰهُ وَ مِنْهُمْ مَّنْ حَقَّتْ عَلَیْهِ الضَّلٰلَةُ١ؕ فَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِیْنَ




অনুবাদ:    প্রত্যেক জাতির মধ্যে আমি একজন রসূল পাঠিয়েছি এবং তার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি যে, “আল্লাহর বন্দেগী করো এবং তাগূতের বন্দেগী পরিহার করো।” এরপর তাদের মধ্য থেকে কাউকে আল্লাহ‌ সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন এবং কারোর ওপর পথভ্রষ্টতা চেপে বসেছে। তারপর পৃথিবীর বুকে একটু ঘোরাফেরা করে দেখে নাও যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে তাদের পরিণাম কি হয়েছে।




(16:37)

اِنْ تَحْرِصْ عَلٰى هُدٰىهُمْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ یُّضِلُّ وَ مَا لَهُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ




অনুবাদ:    হে মুহাম্মাদ! তুমি এদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দেবার জন্য যতই আগ্রহী হও না কেন, আল্লাহ‌ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে আর সঠিক পথে পরিচালিত করেন না আর এ ধরনের লোকদের সাহায্য কেউ করতে পারে না।




(16:38)

وَ اَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَیْمَانِهِمْ١ۙ لَا یَبْعَثُ اللّٰهُ مَنْ یَّمُوْتُ١ؕ بَلٰى وَعْدًا عَلَیْهِ حَقًّا وَّ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَۙ




অনুবাদ:    এরা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলে, “আল্লাহ কোন মৃতকে পুনর্বার জীবিত করে উঠাবেন না।” ---কেন উঠাবেন না? এতো একটি ওয়াদা, যেটি পুরা করা তিনি নিজের ওপর ওয়াজিব করে নিয়েছেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না,




(16:39)

لِیُبَیِّنَ لَهُمُ الَّذِیْ یَخْتَلِفُوْنَ فِیْهِ وَ لِیَعْلَمَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْۤا اَنَّهُمْ كَانُوْا كٰذِبِیْنَ




অনুবাদ:    আর এটি এজন্য প্রয়োজন যে, এরা যে সত্যটি সম্পর্কে মতবিরোধ করছে আল্লাহ‌ সেটি এদের সামনে উন্মুক্ত করে দেবেন এবং সত্য অস্বীকারকারীরা জানতে পারবে যে, তারাই ছিল মিথ্যাবাদী।




(16:40)

اِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَیْءٍ اِذَاۤ اَرَدْنٰهُ اَنْ نَّقُوْلَ لَهٗ كُنْ فَیَكُوْنُ۠




অনুবাদ:    (এর সম্ভাবনার ব্যাপারে বলা যায়) কোন জিনিসকে অস্তিত্বশীল করার জন্য এর চেয়ে বেশী কিছু করতে হয় না যে, তাকে হুকুম দিই “হয়ে যাও” এবং তা হয়ে যায়।




(16:41)

وَ الَّذِیْنَ هَاجَرُوْا فِی اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوْا لَنُبَوِّئَنَّهُمْ فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً١ؕ وَ لَاَجْرُ الْاٰخِرَةِ اَكْبَرُ١ۘ لَوْ كَانُوْا یَعْلَمُوْنَۙ




অনুবাদ:    যারা জুলুম সহ্য করার পর আল্লাহর খাতিরে হিজরত করে গেছে তাদেরকে আমি দুনিয়াতেই ভালো আবাস দেবো এবং আখেরাতের পুরস্কার তো অনেক বড়।




(16:42)

الَّذِیْنَ صَبَرُوْا وَ عَلٰى رَبِّهِمْ یَتَوَكَّلُوْنَ




অনুবাদ:    হায়! যে মজলুমরা সবর করেছে এবং যারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে কাজ করছে তারা যদি জানতো (কেমন চমৎকার পরিণাম তাদের জন্য অপেক্ষা করছে) ।




(16:43)

وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِیْۤ اِلَیْهِمْ فَسْئَلُوْۤا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَۙ




অনুবাদ:    হে মুহাম্মাদ! তোমার আগে আমি যখনই রসূল পাঠিয়েছি, মানুষই পাঠিয়েছি, যাদের কাছে আমি নিজের অহী প্রেরণ করতাম। যদি তোমরা নিজেরা না জেনে থাকো তাহলে বাণীওয়ালাদেরকে জিজ্ঞেস করো।




(16:44)

بِالْبَیِّنٰتِ وَ الزُّبُرِ١ؕ وَ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْكَ الذِّكْرَ لِتُبَیِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ اِلَیْهِمْ وَ لَعَلَّهُمْ یَتَفَكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    আগের রসূলদেরকেও আমি উজ্জ্বল নিদর্শন ও কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছিলাম এবং এখন এ বাণী তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদের সামনে সেই শিক্ষার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে যেতে থাকো। যা তাদের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যাতে লোকেরা (নিজেরাও) চিন্তা-ভাবনা করে।




(16:45)

اَفَاَمِنَ الَّذِیْنَ مَكَرُوا السَّیِّاٰتِ اَنْ یَّخْسِفَ اللّٰهُ بِهِمُ الْاَرْضَ اَوْ یَاْتِیَهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَیْثُ لَا یَشْعُرُوْنَۙ




অনুবাদ:    তারপর যারা (নবীর দাওয়াতের বিরোধিতায়) নিকৃষ্টতম চক্রান্ত করছে তারা কি এ ব্যাপারে একেবারে নির্ভয় হয়ে গেছে যে, আল্লাহ তাদেরকে ভূগর্ভে প্রোথিত করে দেবেন না অথবা এমন দিক থেকে তাদের ওপর আযাব আসবে না যেদিক থেকে তার আসার ধারণা-কল্পনাও তারা করেনি?




(16:46)

اَوْ یَاْخُذَهُمْ فِیْ تَقَلُّبِهِمْ فَمَا هُمْ بِمُعْجِزِیْنَۙ




অনুবাদ:    অথবা আচম্‌কা চলাফেরার মধ্যে তাদেরকে পাকড়াও করবেন না?




(16:47)

اَوْ یَاْخُذَهُمْ عَلٰى تَخَوُّفٍ١ؕ فَاِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ




অনুবাদ:    কিংবা এমন অবস্থায় তাদেরকে পাকড়াও করবেন না যখন তারা নিজেরাই আগামী বিপদের জন্য উৎকণ্ঠায় দিন কাটাবে এবং তার হাত থেকে বাঁচার চিন্তায় সতর্ক হবে? তিনি যাই কিছু করতে চান তারা তাঁকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে না। আসল ব্যাপার হচ্ছে, তোমাদের রব বড়ই কোমল হৃদয় ও করুণাময়।




(16:48)

اَوَ لَمْ یَرَوْا اِلٰى مَا خَلَقَ اللّٰهُ مِنْ شَیْءٍ یَّتَفَیَّؤُا ظِلٰلُهٗ عَنِ الْیَمِیْنِ وَ الشَّمَآئِلِ سُجَّدًا لِّلّٰهِ وَ هُمْ دٰخِرُوْنَ




অনুবাদ:    আর তারা কি আল্লাহর সৃষ্ট কোনো জিনিসই দেখে না, কিভাবে তার ছায়া ডাইনে বাঁয়ে ঢলে পড়ে আল্লাহকে সিজদা করছে? সবাই এভাবে দ্বীনতার প্রকাশ করে চলছে।




(16:49)

وَ لِلّٰهِ یَسْجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ مِنْ دَآبَّةٍ وَّ الْمَلٰٓئِكَةُ وَ هُمْ لَا یَسْتَكْبِرُوْنَ




অনুবাদ:    পৃথিবী ও আকাশে যত সৃষ্টি আছে প্রাণসত্তা সম্পন্ন এবং যত ফেরেশতা আছে তাদের সবাই রয়েছে আল্লাহর সামনে সিজদাবনত। তারা কখনো অবাধ্যতা প্রকাশ করে না।




(16:50)

یَخَافُوْنَ رَبَّهُمْ مِّنْ فَوْقِهِمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ۠۩

সেজদা



অনুবাদ:    ভয় করে নিজেদের রবকে যিনি তাদের ওপরে আছেন এবং যা কিছু হুকুম দেয়া হয় সেই অনুযায়ী কাজ করে।




(16:51)

وَ قَالَ اللّٰهُ لَا تَتَّخِذُوْۤا اِلٰهَیْنِ اثْنَیْنِ١ۚ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ١ۚ فَاِیَّایَ فَارْهَبُوْنِ




অনুবাদ:    আল্লাহর ফরমান হলো, দুই ইলাহ গ্রহণ করো না, ইলাহ তো মাত্র একজন, কাজেই তোমরা আমাকেই ভয় করো।




(16:52)

وَ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَهُ الدِّیْنُ وَاصِبًا١ؕ اَفَغَیْرَ اللّٰهِ تَتَّقُوْنَ




অনুবাদ:    সবকিছুই তাঁরই, যা আকাশে আছে এবং যা আছে পৃথিবীতে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে একমাত্র তাঁরই দ্বীন (সমগ্র বিশ্ব-জাহানে) চলছে। এরপর কি তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভয় করবে?




(16:53)

وَ مَا بِكُمْ مِّنْ نِّعْمَةٍ فَمِنَ اللّٰهِ ثُمَّ اِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَاِلَیْهِ تَجْئَرُوْنَۚ




অনুবাদ:    তোমরা যে নিয়ামতই লাভ করেছো তাতো আল্লাহরই পক্ষ থেকে, তারপর যখন তোমরা কোন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হও তখন তোমরা নিজেরাই নিজেদের ফরিয়াদ নিয়ে তাঁরই দিকে দৌঁড়াতে থাকো।




(16:54)

ثُمَّ اِذَا كَشَفَ الضُّرَّ عَنْكُمْ اِذَا فَرِیْقٌ مِّنْكُمْ بِرَبِّهِمْ یُشْرِكُوْنَۙ




অনুবাদ:    কিন্তু যখন আল্লাহ‌ সেই সময়কে হটিয়ে দেন তখন সহসাই তোমাদের একটি দল নিজেদের রবের সাথে অন্যকে (এ অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে) শরীক করতে থাকে




(16:55)

لِیَكْفُرُوْا بِمَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ١ؕ فَتَمَتَّعُوْا١۫ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    যাতে আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করা যায়। বেশ, ভোগ করে নাও শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।




(16:56)

وَ یَجْعَلُوْنَ لِمَا لَا یَعْلَمُوْنَ نَصِیْبًا مِّمَّا رَزَقْنٰهُمْ١ؕ تَاللّٰهِ لَتُسْئَلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَفْتَرُوْنَ




অনুবাদ:    এরা যাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানেনা, আমার দেয়া রিযিক থেকে তাদের অংশ নির্ধারণ করে -আল্লাহর কসম, অবশ্যি তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, কেমন করে তোমরা এ মিথ্যা রচনা করেছিলে?




(16:57)

وَ یَجْعَلُوْنَ لِلّٰهِ الْبَنٰتِ سُبْحٰنَهٗ١ۙ وَ لَهُمْ مَّا یَشْتَهُوْنَ




অনুবাদ:    এরা আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে কন্যা সন্তান, সুবহানাল্লাহ! এবং নিজেদের জন্য নির্ধারণ করে তাদের কাছে যা কাংখিত




(16:58)

وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِالْاُنْثٰى ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّ هُوَ كَظِیْمٌۚ




অনুবাদ:    যখন এদের কাউকে কন্যা সন্তান জন্মের সুখবর দেয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং সে ভিতরে ভিতরে গুমরে মরতে থাকে।




(16:59)

یَتَوَارٰى مِنَ الْقَوْمِ مِنْ سُوْٓءِ مَا بُشِّرَ بِهٖ١ؕ اَیُمْسِكُهٗ عَلٰى هُوْنٍ اَمْ یَدُسُّهٗ فِی التُّرَابِ١ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَحْكُمُوْنَ




অনুবাদ:    লোকদের থেকে লুকিয়ে ফিরতে থাকে, কারণ এ দুঃসংবাদের পর সে লোকদের মুখ দেখাবে কেমন করে। ভাবতে থাকে, অবমাননার সাথে মেয়েকে রেখে দেবে, না তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে? ---দেখো, কেমন খারাপ কথা যা এরা আল্লাহর ওপর আরোপ করে।




(16:60)

لِلَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ مَثَلُ السَّوْءِ١ۚ وَ لِلّٰهِ الْمَثَلُ الْاَعْلٰى١ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ۠




অনুবাদ:    যারা আখেরাত বিশ্বাস করে না তারাই তো খারাপ গুণের অধিকারী হবার যোগ্য। আর আল্লাহর জন্য তো রয়েছে মহত্তম গুণাবলী, তিনিই তো সবার ওপর পরাক্রমশালী এবং জ্ঞানের দিক দিয়ে পূর্ণতার অধিকারী।




(16:61)

وَ لَوْ یُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِظُلْمِهِمْ مَّا تَرَكَ عَلَیْهَا مِنْ دَآبَّةٍ وَّ لٰكِنْ یُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰۤى اَجَلٍ مُّسَمًّى١ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ لَا یَسْتَاْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّ لَا یَسْتَقْدِمُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের বাড়াবাড়ি করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করতেন তাহলে ভূপৃষ্ঠে কোন একটি জীবকেও ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি সবাইকে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। তারপর যখন সেই সময়টি এসে যায় তখন তা থেকে এক মুহূর্তও আগে পিছে হতে পারে না।




(16:62)

وَ یَجْعَلُوْنَ لِلّٰهِ مَا یَكْرَهُوْنَ وَ تَصِفُ اَلْسِنَتُهُمُ الْكَذِبَ اَنَّ لَهُمُ الْحُسْنٰى١ؕ لَا جَرَمَ اَنَّ لَهُمُ النَّارَ وَ اَنَّهُمْ مُّفْرَطُوْنَ




অনুবাদ:    আজ এরা দু’টি জিনিস আল্লাহর জন্য স্থির করছে যা এরা নিজেদের জন্য অপছন্দ করে। আর এদের কণ্ঠ মিথ্যা উচ্চারণ করে যে, এদের জন্য শুধু মঙ্গলই মঙ্গল। এদের জন্য তো শুধু একটি জিনিসই আছে এবং তা হচ্ছে দোযখের আগুন। নিশ্চয়ই এদেরকে সবার আগে তার মধ্যে পৌঁছানো হবে।




(16:63)

تَاللّٰهِ لَقَدْ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰۤى اُمَمٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَزَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ فَهُوَ وَلِیُّهُمُ الْیَوْمَ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ




অনুবাদ:    আল্লাহর কসম, হে মুহাম্মাদ! তোমার আগেও বহু জাতির মধ্যে আমি রসূল পাঠিয়েছি। (এর আগেও এ রকমই হতো) শয়তান তাদের খারাপ কার্যকলাপকে তাদের সামনে সুশোভন করে দেখিয়েছে (এবং রসূলদের কথা তারা মানেনি) । সেই শয়তানই আজ এদেরও অভিভাবক সেজে বসে আছে এবং এরা মর্মন্তুদ শাস্তির উপযুক্ত হচ্ছে।




(16:64)

وَ مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْكَ الْكِتٰبَ اِلَّا لِتُبَیِّنَ لَهُمُ الَّذِی اخْتَلَفُوْا فِیْهِ١ۙ وَ هُدًى وَّ رَحْمَةً لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ




অনুবাদ:    আমি তোমার প্রতি এ কিতাব এজন্য অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি এ মতভেদের তাৎপর্য এদের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরো। যার মধ্যে এরা ডুবে আছে। এ কিতাব পথনির্দেশ ও রহমত হয়ে নাযিল হয়েছে তাদের জন্য যারা একে মেনে নেবে।




(16:65)

وَ اللّٰهُ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّسْمَعُوْنَ۠




অনুবাদ:    (তুমি দেখছো প্রত্যেক বর্ষাকালে) আল্লাহ‌ আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন এবং তার বদৌলতে তিনি সহসাই মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চার করেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে একটি নিদর্শন রয়েছে যারা শোনে তাদের জন্য।-(ক)




(16:66)

وَ اِنَّ لَكُمْ فِی الْاَنْعَامِ لَعِبْرَةً١ؕ نُسْقِیْكُمْ مِّمَّا فِیْ بُطُوْنِهٖ مِنْۢ بَیْنِ فَرْثٍ وَّ دَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشّٰرِبِیْنَ




অনুবাদ:    আর তোমাদের জন্য গবাদি পশুর মধ্যেও একটি শিক্ষা রয়েছে। তাদের পেট থেকে গোবর ও রক্তের মাঝখানে বিদ্যমান একটি জিনিস আমি তোমাদের পান করাই, অর্থাৎ নির্ভেজাল দুধ, যা পানকারীদের জন্য বড়ই সুস্বাদু ও তৃপ্তিকর।




(16:67)

وَ مِنْ ثَمَرٰتِ النَّخِیْلِ وَ الْاَعْنَابِ تَتَّخِذُوْنَ مِنْهُ سَكَرًا وَّ رِزْقًا حَسَنًا١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ




অনুবাদ:    (অনুরূপভাবে) খেজুর গাছ ও আংগুর লতা থেকেও আমি একটি জিনিস তোমাদের পান করাই, যাকে তোমরা মাদকেও পরিণত করো এবং পবিত্র খাদ্যেও। বুদ্ধিমানদের জন্য এর মধ্যে রয়েছে একটি নিশানী।




(16:68)

وَ اَوْحٰى رَبُّكَ اِلَى النَّحْلِ اَنِ اتَّخِذِیْ مِنَ الْجِبَالِ بُیُوْتًا وَّ مِنَ الشَّجَرِ وَ مِمَّا یَعْرِشُوْنَۙ




অনুবাদ:    আর দেখো তোমার রব মৌমাছিদেরকে একথা অহীর মাধ্যমে বলে দিয়েছেনঃ তোমরা পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ও মাচার ওপর ছড়ানো লতাগুল্মে নিজেদের চাক নির্মাণ করো।




(16:69)

ثُمَّ كُلِیْ مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسْلُكِیْ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا١ؕ یَخْرُجُ مِنْۢ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ اَلْوَانُهٗ فِیْهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    তারপর সব রকমের ফলের রস চোসো এবং নিজের রবের তৈরি করা পথে চলতে থাকো। এ মাছির ভেতর থেকে একটি বিচিত্র রংগের শরবত বের হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিরাময় মানুষের জন্য। অবশ্যি এর মধ্যেও একটি নিশানী রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।




(16:70)

وَ اللّٰهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ یَتَوَفّٰىكُمْ١ۙ۫ وَ مِنْكُمْ مَّنْ یُّرَدُّ اِلٰۤى اَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَیْ لَا یَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَیْئًا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ قَدِیْرٌ۠




অনুবাদ:    আর দেখো, আল্লাহ‌ তোমাদের সৃষ্টি করেছেন তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যুদান করেন, আবার তোমাদের কাউকে নিকৃষ্টতম বয়সে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়, যখন সবকিছু জানার পরেও যেন কিছুই জানে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, আল্লাহই জ্ঞানেও পরিপূর্ণ এবং ক্ষমতায়ও।




(16:71)

وَ اللّٰهُ فَضَّلَ بَعْضَكُمْ عَلٰى بَعْضٍ فِی الرِّزْقِ١ۚ فَمَا الَّذِیْنَ فُضِّلُوْا بِرَآدِّیْ رِزْقِهِمْ عَلٰى مَا مَلَكَتْ اَیْمَانُهُمْ فَهُمْ فِیْهِ سَوَآءٌ١ؕ اَفَبِنِعْمَةِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ




অনুবাদ:    আর দেখো, আল্লাহ তোমাদের একজনকে আর একজনের ওপর রিযিকের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তারপর যাদেরকে এ শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে তারা এমন নয় যে নিজেদের রিযিক নিজেদের গোলামদের দিকে ফিরিয়ে দিয়ে থাকে, যাতে উভয়ে এ রিযিকে সমান অংশীদার হয়ে যায়। তাহলে কি এরা শুধু আল্লাহরই অনুগ্রহ মেনে নিতে অস্বীকার করে?




(16:72)

وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا وَّ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ اَزْوَاجِكُمْ بَنِیْنَ وَ حَفَدَةً وَّ رَزَقَكُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ١ؕ اَفَبِالْبَاطِلِ یُؤْمِنُوْنَ وَ بِنِعْمَتِ اللّٰهِ هُمْ یَكْفُرُوْنَۙ




অনুবাদ:    আর আল্লাহই তোমাদের জন্য তোমাদের সমজাতীয় স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই এ স্ত্রীদের থেকে তোমাদের পুত্র-পৌত্রাদি দান করেছেন এবং ভালো ভালো জিনিস তোমাদের খেতে দিয়েছেন। তারপর কি এরা (সবকিছু দেখার ও জানার পরও) বাতিলকে মেনে নেয় এবং আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করে?




(16:73)

وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَمْلِكُ لَهُمْ رِزْقًا مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ شَیْئًا وَّ لَا یَسْتَطِیْعُوْنَۚ




অনুবাদ:    আর তারা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্ত্বার পূজা করে যাদের না আকাশ থেকে তাদের কিছু রিযিক দেবার ক্ষমতা ও অধিকার আছে, না পৃথিবী থেকে?




(16:74)

فَلَا تَضْرِبُوْا لِلّٰهِ الْاَمْثَالَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ وَ اَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    কাজেই আল্লাহর জন্য সদৃশ তৈরি করো না, আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।




(16:75)

ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا عَبْدًا مَّمْلُوْكًا لَّا یَقْدِرُ عَلٰى شَیْءٍ وَّ مَنْ رَّزَقْنٰهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ یُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَّ جَهْرًا١ؕ هَلْ یَسْتَوٗنَ١ؕ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ١ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহ একটি উপমা দিচ্ছেন। একজন হচ্ছে গোলাম, যে অন্যের অধিকারভুক্ত এবং নিজেও কোন ক্ষমতা রাখে না। দ্বিতীয়জন এমন এক ব্যক্তি যাকে আমি নিজের পক্ষ থেকে ভালো রিযিক দান করেছি এবং সে তা থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে খুব খরচ করে। বলো, এরা দু’জন কি সমান? ---আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু অধিকাংশ লোক (এ সোজা কথাটি) জানে না।




(16:76)

وَ ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا رَّجُلَیْنِ اَحَدُهُمَاۤ اَبْكَمُ لَا یَقْدِرُ عَلٰى شَیْءٍ وَّ هُوَ كَلٌّ عَلٰى مَوْلٰىهُ١ۙ اَیْنَمَا یُوَجِّهْهُّ لَا یَاْتِ بِخَیْرٍ١ؕ هَلْ یَسْتَوِیْ هُوَ١ۙ وَ مَنْ یَّاْمُرُ بِالْعَدْلِ١ۙ وَ هُوَ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ۠




অনুবাদ:    আল্লাহ আর একটি উপমা দিচ্ছেন। দু’জন লোক। একজন বধির ও বোবা, কোন কাজ করতে পারে না। নিজের প্রভুর ঘাড়ে বোঝা হয়ে চেপে আছে। যেদিকেই তাকে পাঠায় কোন ভালো কাজ তার দ্বারা হয়ে ওঠে না। দ্বিতীয়জন ইনসাফের হুকুম দেয় এবং নিজে সত্য সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত আছে। বলো, এরা দু’জন কি সমান?




(16:77)

وَ لِلّٰهِ غَیْبُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ١ؕ وَ مَاۤ اَمْرُ السَّاعَةِ اِلَّا كَلَمْحِ الْبَصَرِ اَوْ هُوَ اَقْرَبُ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ




অনুবাদ:    আর আকাশ ও পৃথিবীর যাবতীয় গোপন সত্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই আছে এবং কিয়ামত সংঘটিত হবার ব্যাপারটি মোটেই দেরী হবে না, চোখের পলকেই ঘটে যাবে বরং তার চেয়েও কম সময়ে। আসলে আল্লাহ‌ সবকিছুই করতে পারেন।




(16:78)

وَ اللّٰهُ اَخْرَجَكُمْ مِّنْۢ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِكُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ شَیْئًا١ۙ وَّ جَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْاَفْئِدَةَ١ۙ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহ তোমাদের মায়ের পেট থেকে তোমাদের বের করেছেন এমন অবস্থায় যখন তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের কান দিয়েছেন, চোখ দিয়েছেন, চিন্তা-ভাবনা করার মতো হৃদয় দিয়েছেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।




(16:79)

اَلَمْ یَرَوْا اِلَى الطَّیْرِ مُسَخَّرٰتٍ فِیْ جَوِّ السَّمَآءِ١ؕ مَا یُمْسِكُهُنَّ اِلَّا اللّٰهُ١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ




অনুবাদ:    এরা কি কখনো পাখিদের দেখেনি, আকাশ নিঃসীমে কিভাবে তারা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে? আল্লাহ‌ ছাড়া কে তাদেরকে ধরে রেখেছে? এর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে যারা ঈমান আনে তাদের জন্য।




(16:80)

وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْۢ بُیُوْتِكُمْ سَكَنًا وَّ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ جُلُوْدِ الْاَنْعَامِ بُیُوْتًا تَسْتَخِفُّوْنَهَا یَوْمَ ظَعْنِكُمْ وَ یَوْمَ اِقَامَتِكُمْ١ۙ وَ مِنْ اَصْوَافِهَا وَ اَوْبَارِهَا وَ اَشْعَارِهَاۤ اَثَاثًا وَّ مَتَاعًا اِلٰى حِیْنٍ




অনুবাদ:    আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরগুলোকে বানিয়েছেন শান্তির আবাস। তিনি পশুদের চামড়া থেকে তোমাদের জন্য এমনসব ঘর তৈরি করে দিয়েছেন যেগুলোকে তোমরা সফর ও স্বগৃহে অবস্থান উভয় অবস্থায়ই সহজে বহন করতে পারো। তিনি পশুদের পশম, লোম ও চুল থেকে তোমাদের জন্য পরিধেয় ও ব্যবহার-সামগ্রীসমূহ সৃষ্টি করেছেন, যা জীবনের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তোমাদের কাজে লাগবে।




(16:81)

وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَكُمْ مِّمَّا خَلَقَ ظِلٰلًا وَّ جَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الْجِبَالِ اَكْنَانًا وَّ جَعَلَ لَكُمْ سَرَابِیْلَ تَقِیْكُمُ الْحَرَّ وَ سَرَابِیْلَ تَقِیْكُمْ بَاْسَكُمْ١ؕ كَذٰلِكَ یُتِمُّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْلِمُوْنَ




অনুবাদ:    তিনি নিজের সৃষ্ট বহু জিনিস থেকে তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন, পাহাড়ে তোমাদের জন্য আশ্রয় তৈরি করেছেন এবং তোমাদের এমন পোশাক দিয়েছেন, যা তোমাদের গরম থেকে বাঁচায় আবার এমন কিছু অন্যান্য পোশাক তোমাদের দিয়েছেন যা পারস্পরিক যুদ্ধে তোমাদের হেফাজত করে। এভাবে তিনি তোমাদের প্রতি তাঁর নিয়ামতসমূহ সম্পূর্ণ করেন, হয়তো তোমরা অনুগত হবে।




(16:82)

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّمَا عَلَیْكَ الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ




অনুবাদ:    এখন যদি এরা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে হে মুহাম্মাদ! পরিষ্কারভাবে সত্যের পয়গাম পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া তোমার আর কোন দায়িত্ব নেই।




(16:83)

یَعْرِفُوْنَ نِعْمَتَ اللّٰهِ ثُمَّ یُنْكِرُوْنَهَا وَ اَكْثَرُهُمُ الْكٰفِرُوْنَ۠




অনুবাদ:    এরা আল্লাহর অনুগ্রহ জানে, কিন্তু সেগুলো অস্বীকার করে, আর এদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোক এমন যারা সত্যকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।




(16:84)

وَ یَوْمَ نَبْعَثُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ شَهِیْدًا ثُمَّ لَا یُؤْذَنُ لِلَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ لَا هُمْ یُسْتَعْتَبُوْنَ




অনুবাদ:    (সেদিন কি ঘটবে, সে ব্যাপারে এদের কি কিছুমাত্র হুঁশও আছে) যেদিন আমি উম্মতের মধ্য থেকে একজন করে সাক্ষী দাঁড় করাবো, তারপর কাফেরদের যুক্তি-প্রমাণ ও সাফাই পেশ করার সুযোগও দেয়া হবে না। আর তাদের কাছে তাওবা ও ইসতিগফারেরও দাবী জানানো হবে না।




(16:85)

وَ اِذَا رَاَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوا الْعَذَابَ فَلَا یُخَفَّفُ عَنْهُمْ وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَ




অনুবাদ:    জালেমরা যখন একবার আযাব দেখে নেবে তখন তাদের আযাব আর হালকা করা হবে না এবং তাদেরকে এক মুহূর্তের জন্য বিরামও দেয়া হবে না।




(16:86)

وَ اِذَا رَاَ الَّذِیْنَ اَشْرَكُوْا شُرَكَآءَهُمْ قَالُوْا رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ شُرَكَآؤُنَا الَّذِیْنَ كُنَّا نَدْعُوْا مِنْ دُوْنِكَ١ۚ فَاَلْقَوْا اِلَیْهِمُ الْقَوْلَ اِنَّكُمْ لَكٰذِبُوْنَۚ




অনুবাদ:    আর দুনিয়ায় যারা শিরক করেছিল তারা যখন নিজেদের তৈরি করা শরীকদেরকে দেখবে তখন বলবে, “হে আমাদের রব! এরাই হচ্ছে আমাদের তৈরি করা শরীক, যাদেরকে আমরা তোমাকে বাদ দিয়ে ডাকতাম।” একথায় তাদের ঐ মাবুদরা তাদের পরিষ্কার জবাব দিয়ে বলবে, “তোমরা মিথ্যুক।”




(16:87)

وَ اَلْقَوْا اِلَى اللّٰهِ یَوْمَئِذِ اِ۟لسَّلَمَ وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا یَفْتَرُوْنَ




অনুবাদ:    সে সময় এরা সবাই আল্লাহর সামনে ঝুঁকে পড়বে এবং এদের সমস্ত মিথ্যা উদ্ভাবন হাওয়া হয়ে যাবে, যা এরা দুনিয়ায় করে বেড়াতো।




(16:88)

اَلَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ صَدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ زِدْنٰهُمْ عَذَابًا فَوْقَ الْعَذَابِ بِمَا كَانُوْا یُفْسِدُوْنَ




অনুবাদ:    যারা নিজেরাই কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে এবং অন্যদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়েছে তাদেরকে আমি আযাবের পর আযাব দেবো, দুনিয়ায় তারা যে বিপর্যয় সৃষ্টি করতো তার বদলায়।




(16:89)

وَ یَوْمَ نَبْعَثُ فِیْ كُلِّ اُمَّةٍ شَهِیْدًا عَلَیْهِمْ مِّنْ اَنْفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِیْدًا عَلٰى هٰۤؤُلَآءِ١ؕ وَ نَزَّلْنَا عَلَیْكَ الْكِتٰبَ تِبْیَانًا لِّكُلِّ شَیْءٍ وَّ هُدًى وَّ رَحْمَةً وَّ بُشْرٰى لِلْمُسْلِمِیْنَ۠




অনুবাদ:    (হে মুহাম্মাদ! এদেরকে সেই দিন সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দাও) যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্যে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে একজন সাক্ষী দাঁড় করিয়ে দেবো, যে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং এদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য আমি তোমাকে নিয়ে আসবো। (আর এ সাক্ষ্যের প্রস্তুতি হিসেবে) আমি এ কিতাব তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যা সব জিনিস পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে এবং যা সঠিক পথনির্দেশনা, রহমত ও সুসংবাদ বহন করে তাদের জন্য যারা আনুগত্যের শির নত করে দিয়েছে।




(16:90)

اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآئِ ذِی الْقُرْبٰى وَ یَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ وَ الْبَغْیِ١ۚ یَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে দান করার হুকুম দেন এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো।




(16:91)

وَ اَوْفُوْا بِعَهْدِ اللّٰهِ اِذَا عٰهَدْتُّمْ وَ لَا تَنْقُضُوا الْاَیْمَانَ بَعْدَ تَوْكِیْدِهَا وَ قَدْ جَعَلْتُمُ اللّٰهَ عَلَیْكُمْ كَفِیْلًا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করো যখনই তোমরা তাঁর সাথে কোন অঙ্গীকার করো এবং নিজেদের কসম দৃঢ় করার পর আবার তা ভেঙে ফেলো না যখন তোমরা আল্লাহকে নিজের ওপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছো। আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত।




(16:92)

وَ لَا تَكُوْنُوْا كَالَّتِیْ نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْۢ بَعْدِ قُوَّةٍ اَنْكَاثًا١ؕ تَتَّخِذُوْنَ اَیْمَانَكُمْ دَخَلًۢا بَیْنَكُمْ اَنْ تَكُوْنَ اُمَّةٌ هِیَ اَرْبٰى مِنْ اُمَّةٍ١ؕ اِنَّمَا یَبْلُوْكُمُ اللّٰهُ بِهٖ١ؕ وَ لَیُبَیِّنَنَّ لَكُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ مَا كُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ




অনুবাদ:    তোমাদের অবস্থা যেন সেই মহিলাটির মতো না হয়ে যায় যে নিজ পরিশ্রমে সূতা কাটে এবং তারপর নিজেই তা ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে। তোমরা নিজেদের কসমকে পারস্পরিক ব্যাপারে ধোঁকা ও প্রতারণার হাতিয়ারে পরিণত করে থাকো, যাতে এক দল অন্য দলের তুলনায় বেশী ফায়দা হাসিল করতে পারো। অথচ আল্লাহ‌ এ অঙ্গীকারের মাধ্যমে তোমাদেরকে পরীক্ষার মুখোমুখি করেন। আর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তিনি তোমাদের সমস্ত মতবিরোধের রহস্য উন্মোচিত করে দেবেন।




(16:93)

وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّ لٰكِنْ یُّضِلُّ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ١ؕ وَ لَتُسْئَلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ




অনুবাদ:    যদি (তোমাদের মধ্যে কোন মতবিরোধ না হোক) এটাই আল্লাহর ইচ্ছা হতো তাহলে তিনি তোমাদের সবাইকে একই উম্মতে পরিণত করতেন। কিন্তু তিনি যাকে চান গোমরাহীর মধ্যে ঠেলে দেন এবং যাকে চান সরল সঠিক পথ দেখান। আর অবশ্যই তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।




(16:94)

وَ لَا تَتَّخِذُوْۤا اَیْمَانَكُمْ دَخَلًۢا بَیْنَكُمْ فَتَزِلَّ قَدَمٌۢ بَعْدَ ثُبُوْتِهَا وَ تَذُوْقُوا السُّوْٓءَ بِمَا صَدَدْتُّمْ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ١ۚ وَ لَكُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ




অনুবাদ:    (আর হে মুসলমানরা!) তোমরা নিজেদের কসমসমূহকে পরস্পরকে ধোঁকা দেবার মাধ্যমে পরিণত করো না। কোন পদক্ষেপ একবার দৃঢ় হবার পর আবার যেন পিছলে না যায় এবং তোমরা লোকদেরকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করেছো এ অপরাধে যেন তোমরা অশুভ পরিণামের সম্মুখীন না হও এবং কঠিন শাস্তি ভোগ না করো।




(16:95)

وَ لَا تَشْتَرُوْا بِعَهْدِ اللّٰهِ ثَمَنًا قَلِیْلًا١ؕ اِنَّمَا عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহর অঙ্গীকারকে সামান্য লাভের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়ো না। যা কিছু আল্লাহর কাছে আছে তা তোমাদের জন্য বেশী ভালো, যদি তোমরা জানতে।




(16:96)

مَا عِنْدَكُمْ یَنْفَدُ وَ مَا عِنْدَ اللّٰهِ بَاقٍ١ؕ وَ لَنَجْزِیَنَّ الَّذِیْنَ صَبَرُوْۤا اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ




অনুবাদ:    তোমাদের কাছে যা কিছু আছে খরচ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা কিছু আছে তাই স্থায়ী হবে এবং আমি অবশ্যই যারা সবরের পথ অবলম্বন করবে তাদের প্রতিদান তাদের সর্বোত্তম কাজ অনুযায়ী দেবো।




(16:97)

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْیِیَنَّهٗ حَیٰوةً طَیِّبَةً١ۚ وَ لَنَجْزِیَنَّهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ




অনুবাদ:    পুরুষ বা নারী যে-ই সৎকাজ করবে, সে যদি মু’মিন হয়, তাহলে তাকে আমি দুনিয়ায় পবিত্র-পরিচ্ছন্ন জীবন দান করবো এবং (আখেরাতে) তাদের প্রতিদান দেবো তাদের সর্বোত্তম কাজ অনুসারে।




(16:98)

فَاِذَا قَرَاْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ




অনুবাদ:    তারপর যখন তোমরা কুরআন পড়ো তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর শরণ নিতে থাকো।




(16:99)

اِنَّهٗ لَیْسَ لَهٗ سُلْطٰنٌ عَلَى الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَلٰى رَبِّهِمْ یَتَوَكَّلُوْنَ




অনুবাদ:    যারা ঈমান আনে এবং নিজেদের রবের প্রতি আস্থা রাখে তাদের ওপর তার কোন আধিপত্য নেই।




(16:100)

اِنَّمَا سُلْطٰنُهٗ عَلَى الَّذِیْنَ یَتَوَلَّوْنَهٗ وَ الَّذِیْنَ هُمْ بِهٖ مُشْرِكُوْنَ۠




অনুবাদ:    তার আধিপত্য ও প্রতিপত্তি চলে তাদের ওপর যারা তাকে নিজেদের অভিভাবক বানিয়ে নেয় এবং তার প্ররোচনায় শিরক করে।




(16:101)

وَ اِذَا بَدَّلْنَاۤ اٰیَةً مَّكَانَ اٰیَةٍ١ۙ وَّ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا یُنَزِّلُ قَالُوْۤا اِنَّمَاۤ اَنْتَ مُفْتَرٍ١ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    যখন আমি একটি আয়াতের জায়গায় অন্য একটি আয়াত নাযিল করি--- আর আল্লাহ ভালো জানেন তিনি কি নাযিল করবেন--- তখন এরা বলে, তুমি নিজেই এ কুরআন রচনা কর। আসলে এদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না।




(16:102)

قُلْ نَزَّلَهٗ رُوْحُ الْقُدُسِ مِنْ رَّبِّكَ بِالْحَقِّ لِیُثَبِّتَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ هُدًى وَّ بُشْرٰى لِلْمُسْلِمِیْنَ




অনুবাদ:    এদেরকে বলো, একে তো রূহুল কুদ্দুস ঠিক ঠিকভাবে তোমার তোমার রবের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নাযিল করেছে, যাতে মুমিনদের ঈমান সুদৃঢ় করা যায়, অনুগতদেরকে জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে সোজা পথ দেখানো যায় এবং তাদেরকে সাফল্য ও সৌভাগ্যের সুসংবাদ দান করা যায়।




(16:103)

وَ لَقَدْ نَعْلَمُ اَنَّهُمْ یَقُوْلُوْنَ اِنَّمَا یُعَلِّمُهٗ بَشَرٌ١ؕ لِسَانُ الَّذِیْ یُلْحِدُوْنَ اِلَیْهِ اَعْجَمِیٌّ وَّ هٰذَا لِسَانٌ عَرَبِیٌّ مُّبِیْنٌ




অনুবাদ:    আমি জানি এরা তোমার সম্পর্কে বলে, এ ব্যক্তিকে একজন লোক শিক্ষা দেয়। অথচ এরা যে ব্যক্তির দিকে ইঙ্গিত করে তার ভাষা তো আরবী নয়। আর এটি হচ্ছে পরিষ্কার আরবী ভাষা।




(16:104)

اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ١ۙ لَا یَهْدِیْهِمُ اللّٰهُ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ




অনুবাদ:    আসলে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ মানে না আল্লাহ‌ কখনো তাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার সুযোগ দেন না এবং এ ধরনের লোকদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।




(16:105)

اِنَّمَا یَفْتَرِی الْكَذِبَ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ١ۚ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْكٰذِبُوْنَ




অনুবাদ:    (নবী মিথ্যা কথা তৈরি করে না বরং) মিথ্যা তারাই তৈরি করছে যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ মানে না, তারাই আসলে মিথ্যেবাদী।




(16:106)

مَنْ كَفَرَ بِاللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ اِیْمَانِهٖۤ اِلَّا مَنْ اُكْرِهَ وَ قَلْبُهٗ مُطْمَئِنٌّۢ بِالْاِیْمَانِ وَ لٰكِنْ مَّنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَیْهِمْ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰهِ١ۚ وَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ




অনুবাদ:    যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর কুফরী করে, (তাকে যদি) বাধ্য করা হয় এবং তার অন্তর ঈমানের ওপর নিশ্চিন্ত থাকে (তাহলে তো ভালো কথা), কিন্তু যে ব্যক্তি পূর্ণ মানসিক তৃপ্তিবোধ ও নিশ্চিন্ততা সহকারে কুফরীকে গ্রহণ করে নিয়েছে তার ওপর আল্লাহর গযব আপতিত হয় এবং এ ধরনের সব লোকদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।




(16:107)

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الْحَیٰوةَ الدُّنْیَا عَلَى الْاٰخِرَةِ١ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْكٰفِرِیْنَ




অনুবাদ:    এটা এজন্য যে, তারা আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করে নিয়েছে এবং আল্লাহর নিয়ম হলো, তিনি এমনসব লোককে মুক্তির পথ দেখান না যারা তাঁর নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়।




(16:108)

اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ وَ سَمْعِهِمْ وَ اَبْصَارِهِمْ١ۚ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ




অনুবাদ:    এরা হচ্ছে এমনসব লোক যাদের অন্তর, কান ও চোখের ওপর আল্লাহ‌ মোহর মেরে দিয়েছেন। এরা গাফলতির মধ্যে ডুবে গেছে।




(16:109)

لَا جَرَمَ اَنَّهُمْ فِی الْاٰخِرَةِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ




অনুবাদ:    নিঃসন্দেহে আখেরাতে এরাই ক্ষতিগ্রস্ত




(16:110)

ثُمَّ اِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِیْنَ هَاجَرُوْا مِنْۢ بَعْدِ مَا فُتِنُوْا ثُمَّ جٰهَدُوْا وَ صَبَرُوْۤا١ۙ اِنَّ رَبَّكَ مِنْۢ بَعْدِهَا لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ۠




অনুবাদ:    পক্ষান্তরে যাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, (ঈমান আনার কারণে) যখন তারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে কষ্ট সহ্য করেছে এবং সবর করেছে, তাদের জন্য অবশ্যই তোমার রব ক্ষমাশীল ও করুণাময়।




(16:111)

یَوْمَ تَاْتِیْ كُلُّ نَفْسٍ تُجَادِلُ عَنْ نَّفْسِهَا وَ تُوَفّٰى كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ




অনুবাদ:    (এদের সবার ফায়সালা সেদিন হবে) যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি আত্মরক্ষার চিন্তায় মগ্ন থাকবে এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিদান পুরোপুরি দেয়া হবে আর কারো প্রতি সামান্যতমও জুলুম হবে না।




(16:112)

وَ ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا قَرْیَةً كَانَتْ اٰمِنَةً مُّطْمَئِنَّةً یَّاْتِیْهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِّنْ كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِاَنْعُمِ اللّٰهِ فَاَذَاقَهَا اللّٰهُ لِبَاسَ الْجُوْعِ وَ الْخَوْفِ بِمَا كَانُوْا یَصْنَعُوْنَ




অনুবাদ:    আল্লাহ একটি জনপদের দৃষ্টান্ত দেন। সেটি শান্তি ও নিরাপত্তার জীবন যাপন করছিল এবং সবদিক দিয়ে সেখানে আসছিল ব্যাপক রিযিক, এ সময় তাঁর অধিবাসীরা আল্লাহর নিয়ামতসমূহ অস্বীকার করলো। তখন আল্লাহ‌ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের স্বাদ আস্বাদন করালেন এভাবে যে, ক্ষুধা ও ভীতি তাদেরকে গ্রাস করলো।




(16:113)

وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مِّنْهُمْ فَكَذَّبُوْهُ فَاَخَذَهُمُ الْعَذَابُ وَ هُمْ ظٰلِمُوْنَ




অনুবাদ:    তাদের কাছে তাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে একজন রসূল এলো। কিন্তু তারা তাঁকে অমান্য করলো। শেষ পর্যন্ত আযাব তাদেরকে পাকড়াও করলো, যখন তারা জালেম হয়ে গিয়েছিল।




(16:114)

فَكُلُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُ حَلٰلًا طَیِّبًا١۪ وَّ اشْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ اِیَّاهُ تَعْبُدُوْنَ




অনুবাদ:    কাজেই হে লোকেরা! আল্লাহ‌ তোমাদের যা কিছু পাক-পবিত্র ও হালাল রিযিক দিয়েছেন তা খাও এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা সত্যিই তাঁর বন্দেগী করতে বদ্ধপরিকর হয়ে থাকো




(16:115)

اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیْكُمُ الْمَیْتَةَ وَ الدَّمَ وَ لَحْمَ الْخِنْزِیْرِ وَ مَاۤ اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ١ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَیْرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ




অনুবাদ:    আল্লাহ যা কিছু তোমাদের ওপর হারাম করেছেন তা হচ্ছে, মৃতদেহ, রক্ত, শূয়োরের গোশত এবং যে প্রাণীর ওপর আল্লাহ‌ ছাড়া অন্য কারোর নাম নেয়া হয়েছে। তবে যদি কেউ আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধাচরণ করার ইচ্ছা পোষণ না করে অথবা প্রয়োজনের সীমা না ছাড়িয়ে ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে এসব খেয়ে নেয় তাহলে নিশ্চিতই আল্লাহ‌ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।




(16:116)

وَ لَا تَقُوْلُوْا لِمَا تَصِفُ اَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هٰذَا حَلٰلٌ وَّ هٰذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُوْا عَلَى اللّٰهِ الْكَذِبَ١ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَفْتَرُوْنَ عَلَى اللّٰهِ الْكَذِبَ لَا یُفْلِحُوْنَؕ




অনুবাদ:    আর এই যে, তোমাদের কণ্ঠ ভুয়া হুকুম জারী করে বলতে থাকে এটি হালাল এবং ওটি হারাম, এভাবে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তারা কখনোই সফলকাম হবে না।




(16:117)

مَتَاعٌ قَلِیْلٌ١۪ وَّ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ




অনুবাদ:    দুনিয়ার সুখ-সম্ভোগ মাত্র কয়েকদিনের এবং পরিশেষে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।




(16:118)

وَ عَلَى الَّذِیْنَ هَادُوْا حَرَّمْنَا مَا قَصَصْنَا عَلَیْكَ مِنْ قَبْلُ١ۚ وَ مَا ظَلَمْنٰهُمْ وَ لٰكِنْ كَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ یَظْلِمُوْنَ




অনুবাদ:    ইতিপূর্বে আমি তোমাকে যেসব জিনিসের কথা বলেছি সেগুলো আমি বিশেষ করে ইহুদীদের জন্য হারাম করেছিলাম। আর এটা তাদের প্রতি আমার জুলুম ছিল না বরং তাদের নিজেদেরই জুলুম ছিল, যা তারা নিজেদের ওপর করছিল।




(16:119)

ثُمَّ اِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِیْنَ عَمِلُوا السُّوْٓءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَ اَصْلَحُوْۤا١ۙ اِنَّ رَبَّكَ مِنْۢ بَعْدِهَا لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ۠




অনুবাদ:    তবে যারা অজ্ঞতার কারণে খারাপ কাজ করেছে এবং তারপর তাওবা করে নিজেদের কাজের সংশোধন করে নিয়েছে, নিশ্চিতভাবেই তোমার রব তাওবা ও সংশোধনের পর তাদের জন্য ক্ষমাশীল ও করুণাময়।




(16:120)

اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ كَانَ اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ حَنِیْفًا١ؕ وَ لَمْ یَكُ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَۙ




অনুবাদ:    প্রকৃতপক্ষে ইবরাহীম নিজেই ছিল একটি পরিপূর্ণ উম্মত, আল্লাহর হুকুমের অনুগত এবং একনিষ্ঠ। সে কখনো মুশরিক ছিল না।




(16:121)

شَاكِرًا لِّاَنْعُمِهٖ١ؕ اِجْتَبٰىهُ وَ هَدٰىهُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ




অনুবাদ:    সে ছিল আল্লাহর নিয়ামতের শোকরকারী। আল্লাহ তাঁকে বাছাই করে নেন এবং সরল সঠিক পথ দেখান।




(16:122)

وَ اٰتَیْنٰهُ فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً١ؕ وَ اِنَّهٗ فِی الْاٰخِرَةِ لَمِنَ الصّٰلِحِیْنَؕ




অনুবাদ:    দুনিয়ায় তাঁকে কল্যাণ দান করেন এবং আখেরাতে নিশ্চিতভাবেই সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।




(16:123)

ثُمَّ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْكَ اَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ اِبْرٰهِیْمَ حَنِیْفًا١ؕ وَ مَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ




অনুবাদ:    তারপর আমি তোমার কাছে এ মর্মে অহী পাঠাই যে, একাগ্র হয়ে ইবরাহীমের পথে চলো এবং সে মুশরিকদের দলভুক্ত ছিল না।




(16:124)

اِنَّمَا جُعِلَ السَّبْتُ عَلَى الَّذِیْنَ اخْتَلَفُوْا فِیْهِ١ؕ وَ اِنَّ رَبَّكَ لَیَحْكُمُ بَیْنَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ فِیْمَا كَانُوْا فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ




অনুবাদ:    বাকী রইলো শনিবারের ব্যাপারটি, সেটি আসলে আমি এমনসব লোকের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলাম যারা এর বিধানের মধ্যে মতবিরোধ করেছিল। আর নিশ্চয়ই তারা যেসব ব্যাপারে মতবিরোধ করেছে তোমার রব কিয়ামতের দিন সেসব ব্যাপারে ফায়সালা দিয়ে দেবেন।




(16:125)

اُدْعُ اِلٰى سَبِیْلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَ الْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَ جَادِلْهُمْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ١ؕ اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ




অনুবাদ:    হে নবী! প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা এবং সদুপদেশ সহকারে তোমার রবের পথের দিকে দাওয়াত দাও এবং লোকদের সাথে বিতর্ক করো সর্বোত্তম পদ্ধতিতে। তোমার রবই বেশী ভালো জানেন কে তাঁর পথচ্যুত হয়ে আছে এবং সে আছে সঠিক পথে।




(16:126)

وَ اِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوْا بِمِثْلِ مَا عُوْقِبْتُمْ بِهٖ١ؕ وَ لَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَیْرٌ لِّلصّٰبِرِیْنَ




অনুবাদ:    আর যদি তোমরা প্রতিশোধ নাও, তাহলে ঠিক ততটুকু নাও যতটুকু তোমাদের ওপর বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। কিন্তু যদি তোমরা সবর করো তাহলে নিশ্চিতভাবেই এটা সবরকারীদের পক্ষে উত্তম।




(16:127)

وَ اصْبِرْ وَ مَا صَبْرُكَ اِلَّا بِاللّٰهِ وَ لَا تَحْزَنْ عَلَیْهِمْ وَ لَا تَكُ فِیْ ضَیْقٍ مِّمَّا یَمْكُرُوْنَ




অনুবাদ:    হে মুহাম্মাদ! সবর অবলম্বন করো--- আর তোমার এ সবর আল্লাহরই সুযোগ দানের ফলমাত্র--- এদের কার্যকলাপে দুঃখ করো না এবং এদের চক্রান্তের কারণে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ো না।




(16:128)

اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا وَّ الَّذِیْنَ هُمْ مُّحْسِنُوْنَ۠




অনুবাদ:    আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ।


১৫ হিজর

  ১৫-হিজর

(15:0)

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ


শব্দার্থ:   بِسْمِ = নামে,     اللَّهِ = আল্লাহ(র),     الرَّحْمَٰنِ = পরমকরুণাময়,     الرَّحِيمِ = অসীমদয়ালু,


অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে




(15:1)

الٓرٰ١۫ تِلْكَ اٰیٰتُ الْكِتٰبِ وَ قُرْاٰنٍ مُّبِیْنٍ


শব্দার্থ:        الر =  আলিফলা-মরা-,     تِلْكَ =  এগুলো,     آيَاتُ =  আয়াত,     الْكِتَابِ =  কিতাবের,     وَقُرْآنٍ =  এবংকুরআনের,     مُبِينٍ =  (যা)সুষ্পষ্ট,


অনুবাদ:    আলিফ-লাম-র। এগুলো আল্লাহ্‌র কিতাব ও সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াত।




(15:2)

رُبَمَا یَوَدُّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا لَوْ كَانُوْا مُسْلِمِیْنَ


শব্দার্থ:        رُبَمَا =  কখনওকখনও,     يَوَدُّ =  আকাঙ্ক্ষাকরবে,     الَّذِينَ =  যারা,     كَفَرُوا =  অস্বীকারকরেছে,     لَوْ =  যদি,     كَانُوا =  তারাহতো,     مُسْلِمِينَ =  (আত্মসমর্পণকারী)মুসলমান,


অনুবাদ:    এমন এক সময় আসা বিচিত্র নয় যখন আজ যারা (ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করতে) অস্বীকার করছে, তারা অনুশোচনা করে বলবেঃ হায়, যদি আমরা আনুগত্যের শির নত করে দিতাম!




(15:3)

ذَرْهُمْ یَاْكُلُوْا وَ یَتَمَتَّعُوْا وَ یُلْهِهِمُ الْاَمَلُ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ


শব্দার্থ:        ذَرْهُمْ =  তাদেরকেছেড়েদাও,     يَأْكُلُوا =  তারাখেতেথাকুক,     وَيَتَمَتَّعُوا =  ওতারাভোগকরুক,     وَيُلْهِهِمُ =  এবংতাদেরকেমোহাচ্ছন্নরাখুক,     الْأَمَلُ =  আশাআকাঙ্ক্ষা,     فَسَوْفَ =  অতঃপরশীঘ্রই,     يَعْلَمُونَ =  তারাজানবে,


অনুবাদ:    ছেড়ে দাও এদেরকে, খানাপিনা করুক, আমোদ ফূর্তি করুক এবং মিথ্যা প্রত্যাশা এদেরকে ভুলিয়ে রাখুক। শিগ্‌গির এরা জানতে পারবে।




(15:4)

وَ مَاۤ اَهْلَكْنَا مِنْ قَرْیَةٍ اِلَّا وَ لَهَا كِتَابٌ مَّعْلُوْمٌ


শব্দার্থ:        وَمَا =   এবং না ,     أَهْلَكْنَا =  আমরাধ্বংসকরি,     مِنْ =  কোনো,     قَرْيَةٍ =  জনবসতিকে,     إِلَّا =  এছাড়াযে,     وَلَهَا =  এবংতারজন্যেছিলো,     كِتَابٌ =  লিখিতমেয়াদ,     مَعْلُومٌ =  নির্দিষ্ট,


অনুবাদ:    ইতিপূর্বে আমি যে জনবসতিই ধ্বংস করেছি তার জন্য একটি বিশেষ কর্ম-অবকাশ লেখা হয়ে গিয়েছিল।




(15:5)

مَا تَسْبِقُ مِنْ اُمَّةٍ اَجَلَهَا وَ مَا یَسْتَاْخِرُوْنَ


শব্দার্থ:        مَا =  না,     تَسْبِقُ =  এগিয়েআনতেপারে,     مِنْ =  কোনো,     أُمَّةٍ =  জাতি,     أَجَلَهَا =  তারকালকে,     وَمَا =  আরনা,     يَسْتَأْخِرُونَ =  দেরিকরতেপারে,


অনুবাদ:    কোন জাতি তার নিজের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে যেমন ধ্বংস হতে পারে না, তেমনি সময় এসে যাওয়ার পরে অব্যাহতিও পেতে পারে না।




(15:6)

وَ قَالُوْا یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْ نُزِّلَ عَلَیْهِ الذِّكْرُ اِنَّكَ لَمَجْنُوْنٌؕ


শব্দার্থ:        وَقَالُوا =  এবংতারাবলে,     يَاأَيُّهَا =  হে,     الَّذِي =  যে,     نُزِّلَ =  অবতীর্ণহয়েছে,     عَلَيْهِ =  তারউপর,     الذِّكْرُ =  উপদেশবাণী(কুরআন),     إِنَّكَ =  নিশ্চয়ইতুমি,     لَمَجْنُونٌ =  অবশ্যইপাগল,


অনুবাদ:    এরা বলে, “ওহে যার প্রতি বাণী অবতীর্ণ হয়েছে, তুমি নিশ্চয়ই উন্মাদ!




(15:7)

لَوْ مَا تَاْتِیْنَا بِالْمَلٰٓئِكَةِ اِنْ كُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ


শব্দার্থ:        لَوْ =  কেন,     مَا =  না,     تَأْتِينَا =  আমাদেরকাছেআসো,     بِالْمَلَائِكَةِ =  নিয়েফেরেশতাদের,     إِنْ =  যদি,     كُنْتَ =  তুমিহয়েথাকো,     مِنَ =  অন্তর্ভুক্ত,     الصَّادِقِينَ =  সত্যবাদীদের,


অনুবাদ:    যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো তাহলে আমাদের সামনে ফেরেশতাদেরকে আনছো না কেন?”




(15:8)

مَا نُنَزِّلُ الْمَلٰٓئِكَةَ اِلَّا بِالْحَقِّ وَ مَا كَانُوْۤا اِذًا مُّنْظَرِیْنَ


শব্দার্থ:        مَا =  না,     نُنَزِّلُ =  আমরাঅবতীর্ণকরি,     الْمَلَائِكَةَ =  ফেরেশতাদেরকে,     إِلَّا =  ছাড়া,     بِالْحَقِّ =  দিয়েসত্য,     وَمَا =   এবং না ,     كَانُوا =  তারাহবে,     إِذًا =  তখন,     مُنْظَرِينَ =  অবকাশপ্রাপ্ত,


অনুবাদ:    ---আমি ফেরেশতাদেরকে এমনিই অবতীর্ণ করি না, তারা যখনই অবতীর্ণ হয় সত্য সহকারে অবতীর্ণ হয়, তারপর লোকদেরকে আর অবকাশ দেয়া হয় না।




(15:9)

اِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَ اِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ


শব্দার্থ:        إِنَّا =  নিশ্চয়ই,     نَحْنُ =  আমরা,     نَزَّلْنَا =  আমরাঅবতীর্ণকরেছি,     الذِّكْرَ =  উপদেশবাণী(কুরআন),     وَإِنَّا =  এবংনিশ্চয়ইআমরা,     لَهُ =  জন্যেতার,     لَحَافِظُونَ =  অবশ্যইসংরক্ষক,


অনুবাদ:    আর এই বাণী, একে তো আমিই অবতীর্ণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।




(15:10)

وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِیْ شِیَعِ الْاَوَّلِیْنَ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     أَرْسَلْنَا =  আমরাপাঠিয়েছি,     مِنْ =  থেকে,     قَبْلِكَ =  তোমারপূর্ব,     فِي =  কাছে(রাসূলদেরকে),     شِيَعِ =  জাতিগুলোর,     الْأَوَّلِينَ =  পূর্ববর্তী,


অনুবাদ:    হে মুহাম্মাদ! তোমার পূর্বে আমি অতীতের অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল পাঠিয়েছিলাম।




(15:11)

وَ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا كَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ


শব্দার্থ:        وَمَا =  এবংনি,     يَأْتِيهِمْ =  তাদেরকাছেআসে,     مِنْ =  কোনো,     رَسُولٍ =  রাসূল,     إِلَّا =  এছাড়াযে,     كَانُوا =  তারাছিলো,     بِهِ =  সাথেতার,     يَسْتَهْزِئُونَ =  তারাবিদ্রুপকরতো,


অনুবাদ:    তাদের কাছে কোন রসূল এসেছে এবং তারা তাঁকে বিদ্রূপ করেনি, এমনটি কখনো হয়নি।




(15:12)

كَذٰلِكَ نَسْلُكُهٗ فِیْ قُلُوْبِ الْمُجْرِمِیْنَۙ


শব্দার্থ:        كَذَٰلِكَ =  এভাবে,     نَسْلُكُهُ =  তাপ্রবেশকরাইআমরা,     فِي =  মধ্যে,     قُلُوبِ =  অন্তরসমূহের,     الْمُجْرِمِينَ =  অপরাধীদের,


অনুবাদ:    এ বাণীকে অপরাধীদের অন্তরে আমি এভাবেই (লৌহ শলাকার মতো) প্রবেশ করাই।




(15:13)

لَا یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ قَدْ خَلَتْ سُنَّةُ الْاَوَّلِیْنَ


শব্দার্থ:        لَا =  না,     يُؤْمِنُونَ =  তারাঈমানআনে,     بِهِ =  উপরতার,     وَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     خَلَتْ =  চলেগেছে,     سُنَّةُ =  রীতি,     الْأَوَّلِينَ =  পূর্ববর্তীদের,


অনুবাদ:    তারা এর প্রতি ঈমান আনে না। এ ধরনের লোকদের এ রীতি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে।




(15:14)

وَ لَوْ فَتَحْنَا عَلَیْهِمْ بَابًا مِّنَ السَّمَآءِ فَظَلُّوْا فِیْهِ یَعْرُجُوْنَۙ


শব্দার্থ:        وَلَوْ =  এবংযদি,     فَتَحْنَا =  আমরাখুলেদিই,     عَلَيْهِمْ =  তাদেরউপর,     بَابًا =  কোনোদরজা,     مِنَ =  থেকে,     السَّمَاءِ =  আকাশ,     فَظَلُّوا =  অতঃপরতারাথাকতো,     فِيهِ =  তারমধ্যে,     يَعْرُجُونَ =  চড়তে,


অনুবাদ:    যদি আমি তাদের সামনে আকাশের কোন দরজা খুলে দিতাম এবং তারা দিন দুপুরে তাতে আরোহণও করতে থাকতো




(15:15)

لَقَالُوْۤا اِنَّمَا سُكِّرَتْ اَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُوْرُوْنَ۠


শব্দার্থ:        لَقَالُوا =  অবশ্যইতারাবলতো,     إِنَّمَا =  প্রকৃতপক্ষে,     سُكِّرَتْ =  সম্মোহিতকরাহয়েছে,     أَبْصَارُنَا =  আমাদেরদৃষ্টিগুলো,     بَلْ =  বরং,     نَحْنُ =  আমরা,     قَوْمٌ =  সম্প্রদায়,     مَسْحُورُونَ =  জাদুগ্রস্ত,


অনুবাদ:    তবুও তারা একথাই বলতো, আমাদের দৃষ্টি বিভ্রম হচ্ছে বরং আমাদের ওপর যাদু করা হয়েছে।




(15:16)

وَ لَقَدْ جَعَلْنَا فِی السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّ زَیَّنّٰهَا لِلنّٰظِرِیْنَۙ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     جَعَلْنَا =  আমরাবানিয়েছি,     فِي =  মধ্যে,     السَّمَاءِ =  আকাশের,     بُرُوجًا =  গ্রহনক্ষত্র,     وَزَيَّنَّاهَا =  ওতাআমরাসুশোভিতকরেছি,     لِلنَّاظِرِينَ =  দর্শকদেরজন্যে,


অনুবাদ:    আকাশে আমি অনেক মজবুত দূর্গ নির্মাণ করেছি, দর্শকদের জন্য সেগুলো সুসজ্জিত করেছি,




(15:17)

وَ حَفِظْنٰهَا مِنْ كُلِّ شَیْطٰنٍ رَّجِیْمٍۙ


শব্দার্থ:        وَحَفِظْنَاهَا =  এবংআমরারক্ষাকরেছিতা,     مِنْ =  থেকে,     كُلِّ =  প্রত্যেক,     شَيْطَانٍ =  শয়তান,     رَجِيمٍ =  অভিশপ্ত,


অনুবাদ:    এবং প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান থেকে সেগুলোকে সংরক্ষণ করেছি। কোন শয়তান সেখানে অনুপ্রবেশ করতে পারে না,




(15:18)

اِلَّا مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ مُّبِیْنٌ


শব্দার্থ:        إِلَّا =  কিন্তু,     مَنِ =  যে,     اسْتَرَقَ =  চুরিকরে,     السَّمْعَ =  শুনতেচায়,     فَأَتْبَعَهُ =  তখনতারপিছুধাওয়াকরে,     شِهَابٌ =  অগ্নিশিখা,     مُبِينٌ =  উজ্জ্বল,


অনুবাদ:    তবে আড়ি পেতে বা চুরি করে কিছু শুনতে পারে। আর যখন সে চুরি করে শোনার চেষ্টা করে তখন একটি জ্বলন্ত অগ্নিশিখা তাকে ধাওয়া করে।




(15:19)

وَ الْاَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَ اَلْقَیْنَا فِیْهَا رَوَاسِیَ وَ اَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ كُلِّ شَیْءٍ مَّوْزُوْنٍ


শব্দার্থ:        وَالْأَرْضَ =  এবংজমিনকে,     مَدَدْنَاهَا =  আমরাবিস্তৃতকরেছিতা,     وَأَلْقَيْنَا =  ওআমরাস্থাপনকরেছি,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     رَوَاسِيَ =  পর্বতমালা,     وَأَنْبَتْنَا =  এবংআমরাউদগতকরেছি,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     مِنْ =  থেকে,     كُلِّ =  প্রত্যেক,     شَيْءٍ =  বস্তু,     مَوْزُونٍ =  সুপরিমিত,


অনুবাদ:    পৃথিবীকে আমি বিস্তৃত করেছি, তার মধ্যে পাহাড় স্থাপন করেছি, সকল প্রজাতির উদ্ভিদ তার মধ্যে সুনির্দিষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন করেছি




(15:20)

وَ جَعَلْنَا لَكُمْ فِیْهَا مَعَایِشَ وَ مَنْ لَّسْتُمْ لَهٗ بِرٰزِقِیْنَ


শব্দার্থ:        وَجَعَلْنَا =  এবংআমরাব্যবস্হাকরেছি,     لَكُمْ =  তোমাদেরজন্যে,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     مَعَايِشَ =  জীবিকারউপকরণসমূহ,     وَمَنْ =  এবং যা কে,     لَسْتُمْ =  তোমরানও,     لَهُ =  জন্যেতার,     بِرَازِقِينَ =  জীবিকাদাতা,


অনুবাদ:    এবং তার মধ্যে জীবিকার উপকরণাদি সরবরাহ করেছি তোমাদের জন্যও এবং এমন বহু সৃষ্টির জন্যও যাদের আহারদাতা তোমরা নও।




(15:21)

وَ اِنْ مِّنْ شَیْءٍ اِلَّا عِنْدَنَا خَزَآئِنُهٗ١٘ وَ مَا نُنَزِّلُهٗۤ اِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُوْمٍ


শব্দার্থ:        وَإِنْ =  এবংনেই,     مِنْ =  কোনো,     شَيْءٍ =  জিনিস,     إِلَّا =  এছাড়াযে,     عِنْدَنَا =  আমাদেরকাছেআছে,     خَزَائِنُهُ =  তারভান্ডারসমূহ,     وَمَا =  (,     نُنَزِّلُهُ =  আমরাঅবতরণকরিতা,     إِلَّا =  এছাড়াযে,     بِقَدَرٍ =  সহপরিমাণ,     مَعْلُومٍ =  নির্দিষ্ট,


অনুবাদ:    এমন কোন জিনিস নেই যার ভাণ্ডার আমার কাছে নেই এবং আমি যে জিনিসই অবতীর্ণ করি একটি নির্ধারিত পরিমাণেই করে থাকি।




(15:22)

وَ اَرْسَلْنَا الرِّیٰحَ لَوَاقِحَ فَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَسْقَیْنٰكُمُوْهُ١ۚ وَ مَاۤ اَنْتُمْ لَهٗ بِخٰزِنِیْنَ


শব্দার্থ:        وَأَرْسَلْنَا =  এবংআমরাপাঠাই,     الرِّيَاحَ =  বাতাস,     لَوَاقِحَ =  বৃষ্টিবাহী,     فَأَنْزَلْنَا =  অতপরআমরাবর্ষণকরি,     مِنَ =  থেকে,     السَّمَاءِ =  আকাশ,     مَاءً =  পানি,     فَأَسْقَيْنَاكُمُوهُ =  অতঃপরপানকরাইতাআমরাতোমাদের,     وَمَا =  এবংনও,     أَنْتُمْ =  তোমরা,     لَهُ =  তারজন্যে,     بِخَازِنِينَ =  ভান্ডাররক্ষাকারী,


অনুবাদ:    বৃষ্টিবাহী বায়ূ আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই।




(15:23)

وَ اِنَّا لَنَحْنُ نُحْیٖ وَ نُمِیْتُ وَ نَحْنُ الْوٰرِثُوْنَ


শব্দার্থ:        وَإِنَّا =  এবংনিশ্চয়ইআমরা,     لَنَحْنُ =  অবশ্যইআমরা,     نُحْيِي =  আমরাজীবনদিই,     وَنُمِيتُ =  ওআমরামৃত্যুদিই,     وَنَحْنُ =  এবংআমরাই,     الْوَارِثُونَ =  উত্তরাধিকারী(সকলেরই),


অনুবাদ:    জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী।




(15:24)

وَ لَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَقْدِمِیْنَ مِنْكُمْ وَ لَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَاْخِرِیْنَ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     عَلِمْنَا =  আমরাজানি,     الْمُسْتَقْدِمِينَ =  অগ্রগামীদেরকে,     مِنْكُمْ =  তোমাদেরমধ্যথেকে,     وَلَقَدْ =  ওনিশ্চয়ই,     عَلِمْنَا =  আমরাজানি,     الْمُسْتَأْخِرِينَ =  পরেআগমনকারীদেরকে,


অনুবাদ:    তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদেরকে আমি দেখে রেখেছি এবং পরবর্তী আগমনকারীরাও আমার দৃষ্টি সমক্ষে আছে।




(15:25)

وَ اِنَّ رَبَّكَ هُوَ یَحْشُرُهُمْ١ؕ اِنَّهٗ حَكِیْمٌ عَلِیْمٌ۠


শব্দার্থ:        وَإِنَّ =  এবংনিশ্চয়ই,     رَبَّكَ =  তোমাররব,     هُوَ =  তিনিই,     يَحْشُرُهُمْ =  তাদেরএকত্রকরবেন,     إِنَّهُ =  নিশ্চয়ইতিনি,     حَكِيمٌ =  প্রজ্ঞাময়,     عَلِيمٌ =  জ্ঞানময়,


অনুবাদ:    অবশ্যি তোমার রব তাদের সবাইকে একত্র করবেন। তিনি জ্ঞানময় ও সবকিছু জানেন।




(15:26)

وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍۚ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     خَلَقْنَا =  আমরাসৃষ্টিকরেছি,     الْإِنْسَانَ =  মানুষকে,     مِنْ =  থেকে,     صَلْصَالٍ =  শুকনোঠনঠনেমাটি,     مِنْ =  (তৈরী)থেকে,     حَمَإٍ =  কাদা,     مَسْنُونٍ =  দুর্গন্ধযুক্ত,


অনুবাদ:    আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠন্‌ঠনে পচা মাটি থেকে।




(15:27)

وَ الْجَآنَّ خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ مِنْ نَّارِ السَّمُوْمِ


শব্দার্থ:        وَالْجَانَّ =  এবংজিন,     خَلَقْنَاهُ =  আমরাসৃষ্টিকরেছিতাকে,     مِنْ =  থেকে,     قَبْلُ =  পূর্ব,     مِنْ =  থেকে,     نَارِ =  আগুন,     السَّمُومِ =  অতিউত্তপ্ত,


অনুবাদ:    আর এর আগে জিনদের সৃষ্টি করেছি আগুনের শিখা থেকে।




(15:28)

وَ اِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلٰٓئِكَةِ اِنِّیْ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍ


শব্দার্থ:        وَإِذْ =  এবং(স্মরণকরো)যখন,     قَالَ =  বলেছিলেন,     رَبُّكَ =  তোমাররব,     لِلْمَلَائِكَةِ =  ফেরেশতাদেরকে,     إِنِّي =  নিশ্চয়ইআমি,     خَالِقٌ =  (শীঘ্র)সৃষ্টিকারী,     بَشَرًا =  মানুষ,     مِنْ =  থেকে,     صَلْصَالٍ =  শুকনোঠনঠনেমাটি,     مِنْ =  থেকে(তৈরী),     حَمَإٍ =  কাদা,     مَسْنُونٍ =  দুর্গন্ধযুক্ত,


অনুবাদ:    তারপর তখনকার কথা স্মরণ করো যখন তোমার রব ফেরেশতাদের বললেন, আমি শুকনো ঠন্‌ঠনে পচা মাটি থেকে একটি মানুষ সৃষ্টি করছি।




(15:29)

فَاِذَا سَوَّیْتُهٗ وَ نَفَخْتُ فِیْهِ مِنْ رُّوْحِیْ فَقَعُوْا لَهٗ سٰجِدِیْنَ


শব্দার্থ:        فَإِذَا =  অতঃপরযখন,     سَوَّيْتُهُ =  আমিসুঠামকরবোতাকে,     وَنَفَخْتُ =  ওআমিফুঁকেদিবো,     فِيهِ =  তারমধ্যে,     مِنْ =  থেকেকিছু,     رُوحِي =  আমাররুহ,     فَقَعُوا =  তোমারতখনহয়েপড়ো,     لَهُ =  তারজন্যে,     سَاجِدِينَ =  সিজদাকারী,


অনুবাদ:    যখন আমি তাকে পূর্ণ অবয়ব দান করবো এবং তার মধ্যে আমার রূহ থেকে কিছু ফুঁকে দেবো তখন তোমরা সবাই তার সামনে সিজদাবনত হয়ো।




(15:30)

فَسَجَدَ الْمَلٰٓئِكَةُ كُلُّهُمْ اَجْمَعُوْنَۙ


শব্দার্থ:        فَسَجَدَ =  অতঃপরসিজদাকরলো,     الْمَلَائِكَةُ =  ফেরেশতারা,     كُلُّهُمْ =  তাদেরসবাই,     أَجْمَعُونَ =  একত্রে,


অনুবাদ:    সেমতে সকল ফেরেশতা একযোগে তাকে সিজ্দা করলো,




(15:31)

اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ١ؕ اَبٰۤى اَنْ یَّكُوْنَ مَعَ السّٰجِدِیْنَ


শব্দার্থ:        إِلَّا =  ছাড়া,     إِبْلِيسَ =  ইবলীস,     أَبَىٰ =  সেঅস্বীকারকরলো,     أَنْ =  যে,     يَكُونَ =  হবে,     مَعَ =  অন্তর্ভুক্ত,     السَّاجِدِينَ =  সিজদাকারীদের,


অনুবাদ:    ইবলীস ছাড়া, কারণ সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার করলো।




(15:32)

قَالَ یٰۤاِبْلِیْسُ مَا لَكَ اَلَّا تَكُوْنَ مَعَ السّٰجِدِیْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  তিনিবললেন,     يَاإِبْلِيسُ =  হেইবলীস,     مَا =  কি,     لَكَ =  তোমারহয়েছে,     أَلَّا =  যেনা,     تَكُونَ =  তুমিহলে,     مَعَ =  সাথে,     السَّاجِدِينَ =  সিজদাকারীদের,


অনুবাদ:    আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, “হে ইবলীস! তোমার কি হলো, তুমি সিজ্দাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলে না?”




(15:33)

قَالَ لَمْ اَكُنْ لِّاَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهٗ مِنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     لَمْ =  নি,     أَكُنْ =  আমিহই,     لِأَسْجُدَ =  জন্যেআমিসিজদাকরার,     لِبَشَرٍ =  মানুষকে,     خَلَقْتَهُ =  আপনিসৃষ্টিকরেছেনতাকে,     مِنْ =  হতে,     صَلْصَالٍ =  শুকনোঠনঠনেমাটি,     مِنْ =  তৈরী(থেকে),     حَمَإٍ =  কাদা,     مَسْنُونٍ =  দুর্গন্ধযুক্ত,


অনুবাদ:    সে জবাব দিল, “এমন একটি মানুষকে সিজ্দা করা আমার মনোপূত নয় যাকে তুমি শুকনো ঠন্ঠনে পচা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছো।”




(15:34)

قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَاِنَّكَ رَجِیْمٌۙ


শব্দার্থ:        قَالَ =  তিনিবললেন,     فَاخْرُجْ =  তাহলেবেরহও,     مِنْهَا =  তাথেকে,     فَإِنَّكَ =  কারণনিশ্চয়ইতুমি,     رَجِيمٌ =  বিতাড়িত,


অনুবাদ:    আল্লাহ বললেন, “তবে তুমি বের হয়ে যাও এখান থেকে, কেননা তুমি ধিকৃত।




(15:35)

وَّ اِنَّ عَلَیْكَ اللَّعْنَةَ اِلٰى یَوْمِ الدِّیْنِ


শব্দার্থ:        وَإِنَّ =  এবংনিশ্চয়ই,     عَلَيْكَ =  তোমারউপর,     اللَّعْنَةَ =  অভিশাপ,     إِلَىٰ =  পর্যন্ত,     يَوْمِ =  দিন,     الدِّينِ =  বিচারের,


অনুবাদ:    আর এখন কর্মফল দিবস পর্যন্ত তোমার ওপর অভিসম্পাত!”




(15:36)

قَالَ رَبِّ فَاَنْظِرْنِیْۤ اِلٰى یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     رَبِّ =  হেআমাররব,     فَأَنْظِرْنِي =  তবেআমাকেঅবকাশদিন,     إِلَىٰ =  পর্যন্ত,     يَوْمِ =  দিবস,     يُبْعَثُونَ =  উত্থান,


অনুবাদ:    সে আরয করলো, “হে আমার রব! যদি তাই হয়, তাহলে সেই দিন পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দাও যেদিন সকল মানুষকে পুনর্বার উঠানো হবে।”




(15:37)

قَالَ فَاِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِیْنَۙ


শব্দার্থ:        قَالَ =  তিনিবললেন,     فَإِنَّكَ =  তাহলেনিশ্চয়ইতুমি,     مِنَ =  অন্তর্ভুক্ত,     الْمُنْظَرِينَ =  অবকাশপ্রাপ্তদের,


অনুবাদ:    বললেন, “ঠিক আছে, তোমাকে অবকাশ দেয়া হলো




(15:38)

اِلٰى یَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُوْمِ


শব্দার্থ:        إِلَىٰ =  পর্যন্ত,     يَوْمِ =  (ক্বিয়ামাতের)দিন,     الْوَقْتِ =  (যার)সময়,     الْمَعْلُومِ =  অবধারিত,


অনুবাদ:    সেদিন পর্যন্ত যার সময় আমার জানা আছে।”




(15:39)

قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَغْوَیْتَنِیْ لَاُزَیِّنَنَّ لَهُمْ فِی الْاَرْضِ وَ لَاُغْوِیَنَّهُمْ اَجْمَعِیْنَۙ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     رَبِّ =  হেআমাররব,     بِمَا =  যেকারণে,     أَغْوَيْتَنِي =  আমাকেআপনিবিপথগামীকরলেন,     لَأُزَيِّنَنَّ =  অবশ্যইআমিসুশোভনকরবো,     لَهُمْ =  জন্যেতাদের,     فِي =  মধ্যে,     الْأَرْضِ =  পৃথিবীর,     وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ =  এবংঅবশ্যইআমিবিপথগামীকরবোতাদেরকে,     أَجْمَعِينَ =  সকলকে,


অনুবাদ:    সে বললো, “হে আমার রব! তুমি যেমন আমাকে বিপথগামী করলে ঠিক তেমনিভাবে আমি পৃথিবীতে এদের জন্য প্রলোভন সৃষ্টি করে এদের সবাইকে বিপথগামী করবো,




(15:40)

اِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِیْنَ


শব্দার্থ:        إِلَّا =  ছাড়া,     عِبَادَكَ =  আপনারদাসদের,     مِنْهُمُ =  তাদেরমধ্যহতে,     الْمُخْلَصِينَ =  একনিষ্ঠ,


অনুবাদ:    তবে এদের মধ্য থেকে তোমার যেসব বান্দাকে তুমি নিজের জন্য নির্বাচিত করে নিয়েছো তাদের ছাড়া।”




(15:41)

قَالَ هٰذَا صِرَاطٌ عَلَیَّ مُسْتَقِیْمٌ


শব্দার্থ:        قَالَ =  তিনিবললেন,     هَٰذَا =  এটা,     صِرَاطٌ =  পথ,     عَلَيَّ =  আমারদিকে,     مُسْتَقِيمٌ =  সরল,


অনুবাদ:    বললেন, “এটিই আমার নিকট পৌঁছবার সোজা পথ।




(15:42)

اِنَّ عِبَادِیْ لَیْسَ لَكَ عَلَیْهِمْ سُلْطٰنٌ اِلَّا مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْغٰوِیْنَ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই(যারা),     عِبَادِي =  আমারদাসরা,     لَيْسَ =  নেই,     لَكَ =  তোমারজন্যে,     عَلَيْهِمْ =  তাদেরউপর,     سُلْطَانٌ =  কোনপ্রভাব,     إِلَّا =  এছাড়া,     مَنِ =  যে,     اتَّبَعَكَ =  তোমারঅনুসরণকরবে,     مِنَ =  থেকে,     الْغَاوِينَ =  পথভ্রষ্ট,


অনুবাদ:    অবশ্যি যারা আমার প্রকৃত বান্দা হবে তাদের ওপর তোমার কোন জোর খাটবে না। তোমার জোর খাটবে শুধুমাত্র এমন বিপথগামীদের ওপর যারা তোমার অনুসরণ করবে




(15:43)

وَ اِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ اَجْمَعِیْنَ۫ۙ


শব্দার্থ:        وَإِنَّ =  এবংনিশ্চয়ই,     جَهَنَّمَ =  জাহান্নাম,     لَمَوْعِدُهُمْ =  অবশ্যইপ্রতিশ্রুতস্হানতাদের,     أَجْمَعِينَ =  সকলের,


অনুবাদ:    এবং তাদের সবার জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তির অঙ্গীকার।”




(15:44)

لَهَا سَبْعَةُ اَبْوَابٍ١ؕ لِكُلِّ بَابٍ مِّنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُوْمٌ۠


শব্দার্থ:        لَهَا =  তারআছে,     سَبْعَةُ =  সাতটি,     أَبْوَابٍ =  দরজা,     لِكُلِّ =  জন্যেপ্রত্যেকটির,     بَابٍ =  দরজার,     مِنْهُمْ =  তাদেরথেকে,     جُزْءٌ =  অংশ(দল),     مَقْسُومٌ =  পৃথকপৃথক,


অনুবাদ:    এ জাহান্নাম (ইবলীসের অনুসারীদের জন্য যার শাস্তির অঙ্গীকার করা হয়েছে) সাতটি দরজা বিশিষ্ট। প্রত্যেকটি দরজার জন্য তাদের মধ্য থেকে একটি অংশ নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে।




(15:45)

اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍؕ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     الْمُتَّقِينَ =  মুত্তাকীরা,     فِي =  মধ্যে(থাকবে),     جَنَّاتٍ =  জান্নাতের,     وَعُيُونٍ =  ওঝর্ণাধারাসমূহের,


অনুবাদ:    অন্যদিকে মুত্তাকীরা থাকবে বাগানে ও নির্ঝরিণীসমূহে




(15:46)

اُدْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ اٰمِنِیْنَ


শব্দার্থ:        ادْخُلُوهَا =  তাতেতোমরাপ্রবেশকরো,     بِسَلَامٍ =  সাথেশান্তির,     آمِنِينَ =  নিরাপদে,


অনুবাদ:    এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা এগুলোতে প্রবেশ করো শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে।




(15:47)

وَ نَزَعْنَا مَا فِیْ صُدُوْرِهِمْ مِّنْ غِلٍّ اِخْوَانًا عَلٰى سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیْنَ


শব্দার্থ:        وَنَزَعْنَا =  এবংআমরাদূরকরেদিবো,     مَا =  যা,     فِي =  মধ্যেআছে,     صُدُورِهِمْ =  তাদেরঅন্তরসমূহের,     مِنْ =  থেকে,     غِلٍّ =  ঈর্ষা,     إِخْوَانًا =  ভাইভাইহয়ে(তারাবসবে),     عَلَىٰ =  উপর,     سُرُرٍ =  আসনসমূহের,     مُتَقَابِلِينَ =  মুখোমুখিহয়ে,


অনুবাদ:    তাদের মনে যে সামান্য কিছু মনোমালিন্য থাকবে তা আমি বের করে দেবো, তারা পরস্পর ভাই ভাইয়ে পরিণত হয়ে মুখোমুখি আসনে বসবে।




(15:48)

لَا یَمَسُّهُمْ فِیْهَا نَصَبٌ وَّ مَا هُمْ مِّنْهَا بِمُخْرَجِیْنَ


শব্দার্থ:        لَا =  না,     يَمَسُّهُمْ =  তাদেরস্পর্শকরবে,     فِيهَا =  তারমধ্যে,     نَصَبٌ =  কোনোঅবসাদ,     وَمَا =  আছেনা,     هُمْ =  তারা,     مِنْهَا =  তাথেকে,     بِمُخْرَجِينَ =  বহিষ্কৃতহবে,


অনুবাদ:    সেখানে তাদের না কোন পরিশ্রম করতে হবে আর না তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃত হবে।




(15:49)

نَبِّئْ عِبَادِیْۤ اَنِّیْۤ اَنَا الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُۙ


শব্দার্থ:        نَبِّئْ =  জানিয়েদাও,     عِبَادِي =  আমারদাসদের,     أَنِّي =  যেআমি,     أَنَا =  আমিই,     الْغَفُورُ =  ক্ষমাশীল,     الرَّحِيمُ =  পরম দয়ালু,


অনুবাদ:    হে নবী! আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দাও যে, আমি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।




(15:50)

وَ اَنَّ عَذَابِیْ هُوَ الْعَذَابُ الْاَلِیْمُ


শব্দার্থ:        وَأَنَّ =  এবং(এও)যে,     عَذَابِي =  আমারশাস্তিও,     هُوَ =  তা,     الْعَذَابُ =  শাস্তি,     الْأَلِيمُ =  নিদারুণ,


অনুবাদ:    কিন্তু এ সঙ্গে আমার আযাবও ভয়ংকর যন্ত্রণাদায়ক।




(15:51)

وَ نَبِّئْهُمْ عَنْ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَۘ


শব্দার্থ:        وَنَبِّئْهُمْ =  এবংতাদেরজানিয়েদাও,     عَنْ =  সম্পর্কে,     ضَيْفِ =  মেহমান,     إِبْرَاهِيمَ =  ইবরাহীমের,


অনুবাদ:    আর তাদেরকে ইবরাহীমের মেহমানদের কাহিনী একটু শুনিয়ে দাও।




(15:52)

اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا١ؕ قَالَ اِنَّا مِنْكُمْ وَ جِلُوْنَ


শব্দার্থ:        إِذْ =  যখন,     دَخَلُوا =  তারাপ্রবেশকরেছিলো,     عَلَيْهِ =  তারকাছে,     فَقَالُوا =  অতঃপরতারাবলেছিলো,     سَلَامًا =  (তোমাকে)সালাম,     قَالَ =  সেবললো,     إِنَّا =  নিশ্চয়ইআমরা,     مِنْكُمْ =  তোমাদেরথেকে,     وَجِلُونَ =  আতঙ্কিত,


অনুবাদ:    যখন তারা এলো তাঁর কাছে এবং বললো, “সালাম তোমার প্রতি।” সে বললো, “আমরা তোমাদের দেখে ভয় পাচ্ছি।”




(15:53)

قَالُوْا لَا تَوْجَلْ اِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবললো,     لَا =  না,     تَوْجَلْ =  আতঙ্কিতহয়ো,     إِنَّا =  নিশ্চয়ইআমরা,     نُبَشِّرُكَ =  তোমাকেসুসংবাদদিচ্ছি,     بِغُلَامٍ =  একটিছেলের,     عَلِيمٍ =  বড়জ্ঞানী,


অনুবাদ:    তারা জবাব দিল, “ভয় পেয়ো না, আমরা তোমাকে এক পরিণত জ্ঞান সম্পন্ন পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি।”




(15:54)

قَالَ اَبَشَّرْتُمُوْنِیْ عَلٰۤى اَنْ مَّسَّنِیَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     أَبَشَّرْتُمُونِي =  কিআমাকেতোমরাসুসংবাদদিচ্ছো,     عَلَىٰ =  এঅবস্থায়,     أَنْ =  যে,     مَسَّنِيَ =  আমাকেপেয়েছে,     الْكِبَرُ =  বার্ধক্য,     فَبِمَ =  অতএবকিধরণের,     تُبَشِّرُونَ =  তোমরাসুসংবাদদিচ্ছো,


অনুবাদ:    ইবরাহীম বললো, “তোমরা কি বার্ধক্যবস্থায় আমাকে সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছো? একটু ভেবে দেখো তো এ কোন্‌ ধরনের সুসংবাদ তোমরা আমাকে দিচ্ছো?”




(15:55)

قَالُوْا بَشَّرْنٰكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِّنَ الْقٰنِطِیْنَ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবলেছিলো,     بَشَّرْنَاكَ =  তোমাকেসুসংবাদদিচ্ছিআমরা,     بِالْحَقِّ =  সহকারেসত্য,     فَلَا =  অতএবনা,     تَكُنْ =  তুমিহয়ো,     مِنَ =  অন্তর্ভুক্ত,     الْقَانِطِينَ =  হতাশদের,


অনুবাদ:    তারা জবাব দিল, “আমরা তোমাকে সত্য সুসংবাদ দিচ্ছি, তুমি নিরাশ হয়ো না।”




(15:56)

قَالَ وَ مَنْ یَّقْنَطُ مِنْ رَّحْمَةِ رَبِّهٖۤ اِلَّا الضَّآلُّوْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     وَمَنْ =  এবংকে,     يَقْنَطُ =  নিরাশহয়,     مِنْ =  থেকে,     رَحْمَةِ =  অনুগ্রহ,     رَبِّهِ =  তাররবের,     إِلَّا =  এছাড়া,     الضَّالُّونَ =  পথভ্রষ্টরা,


অনুবাদ:    ইবরাহীম বললো, “পথভ্রষ্ট লোকেরাই তো তাদের রবের রহমত থেকে নিরাশ হয়।”




(15:57)

قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ اَیُّهَا الْمُرْسَلُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     فَمَا =  অতএবকি,     خَطْبُكُمْ =  আপনাদেরউদ্দেশ্য,     أَيُّهَا =  হে,     الْمُرْسَلُونَ =  প্রেরিত(ফেরেশতারা),


অনুবাদ:    তারপর ইবরাহীম জিজ্ঞেস করলো, “হে আল্লাহর প্রেরিতরা! তোমরা কোন্ অভিযানে বের হয়েছো?”




(15:58)

قَالُوْۤا اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰى قَوْمٍ مُّجْرِمِیْنَۙ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবললো,     إِنَّا =  নিশ্চয়ইআমরা,     أُرْسِلْنَا =  আমরাপ্রেরিতহয়েছি,     إِلَىٰ =  প্রতি,     قَوْمٍ =  সম্প্রদায়ের,     مُجْرِمِينَ =  অপরাধী,


অনুবাদ:    তারা বললো, “আমাদের একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের দিকে পাঠানো হয়েছে।




(15:59)

اِلَّاۤ اٰلَ لُوْطٍ١ؕ اِنَّا لَمُنَجُّوْهُمْ اَجْمَعِیْنَۙ


শব্দার্থ:        إِلَّا =  ছাড়া,     آلَ =  পরিবার,     لُوطٍ =  লূতের,     إِنَّا =  নিশ্চয়ইআমরা,     لَمُنَجُّوهُمْ =  অবশ্যইরক্ষাকারীতাদের,     أَجْمَعِينَ =  সকলকে,


অনুবাদ:    শুধুমাত্র লূতের পরিবারবর্গ এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের সবাইকে আমরা বাঁচিয়ে নেবো,




(15:60)

اِلَّا امْرَاَتَهٗ قَدَّرْنَاۤ١ۙ اِنَّهَا لَمِنَ الْغٰبِرِیْنَ۠


শব্দার্থ:        إِلَّا =  ছাড়া,     امْرَأَتَهُ =  তারস্ত্রী,     قَدَّرْنَا =  আমরাস্থিরকরেছি,     إِنَّهَا =  নিশ্চয়ইসে,     لَمِنَ =  অব্যশইঅন্তর্ভুক্ত,     الْغَابِرِينَ =  পিছনেথেকেযাওয়ালোকদের,


অনুবাদ:    তার স্ত্রী ছাড়া, যার জন্য (আল্লাহ বলেনঃ) আমি স্থির করেছি, সে পেছনে অবস্থানকারীদের সাথে থাকবে।”




(15:61)

فَلَمَّا جَآءَ اٰلَ لُوْطِ اِ۟لْمُرْسَلُوْنَۙ


শব্দার্থ:        فَلَمَّا =  অতঃপরযখন,     جَاءَ =  আসলো,     آلَ =  পরিবারেরকাছে,     لُوطٍ =  লূতের,     الْمُرْسَلُونَ =  প্রেরিত(ফেরেশতারা),


অনুবাদ:    প্রেরিতরা যখন লূতের পরিবারের কাছে পৌঁছল




(15:62)

قَالَ اِنَّكُمْ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     إِنَّكُمْ =  নিশ্চয়ইতোমরা,     قَوْمٌ =  লোক,     مُنْكَرُونَ =  অপরিচিত,


অনুবাদ:    তখন সে বললো, “আপনারা অপরিচিত মনে হচ্ছে।”




(15:63)

قَالُوْا بَلْ جِئْنٰكَ بِمَا كَانُوْا فِیْهِ یَمْتَرُوْنَ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবললো,     بَلْ =  বরং,     جِئْنَاكَ =  তোমারকাছেআমরাএসেছি,     بِمَا =  ঐবিষয়নিয়েযা,     كَانُوا =  তারাছিলো,     فِيهِ =  সেব্যাপারে,     يَمْتَرُونَ =  সন্দেহকরতো,


অনুবাদ:    তারা জবাব দিল, “না, বরং আমরা তাই এনেছি যার আসার ব্যাপারে এরা সন্দেহ করছিল।




(15:64)

وَ اَتَیْنٰكَ بِالْحَقِّ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوْنَ


শব্দার্থ:        وَأَتَيْنَاكَ =  এবংতোমারকাছেআমরাএসেছি,     بِالْحَقِّ =  নিয়েসত্য,     وَإِنَّا =  এবংনিশ্চয়ইআমরা,     لَصَادِقُونَ =  অবশ্যইসত্যবাদী,


অনুবাদ:    আমরা তোমাকে যথার্থই বলছি, আমরা সত্য সহকারে তোমার কাছে এসেছি।




(15:65)

فَاَسْرِ بِاَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِّنَ الَّیْلِ وَ اتَّبِعْ اَدْبَارَهُمْ وَ لَا یَلْتَفِتْ مِنْكُمْ اَحَدٌ وَّ امْضُوْا حَیْثُ تُؤْمَرُوْنَ


শব্দার্থ:        فَأَسْرِ =  সুতরাংচলেযাও,     بِأَهْلِكَ =  নিয়েতোমারপরিবার,     بِقِطْعٍ =  অংশে,     مِنَ =  কিছু,     اللَّيْلِ =  রাতের,     وَاتَّبِعْ =  এবংতুমিচলবে,     أَدْبَارَهُمْ =  তাদেরপিছনেপিছনে,     وَلَا =   এবং না ,     يَلْتَفِتْ =  তাকাবে(পিছনে),     مِنْكُمْ =  তোমাদেরমধ্যথেকে,     أَحَدٌ =  কেউ,     وَامْضُوا =  এবংতোমরাচলেযাও,     حَيْثُ =  যেখানে,     تُؤْمَرُونَ =  তোমাদেরনির্দেশদেয়াহয়েছে,


অনুবাদ:    কাজেই এখন তুমি কিছু রাত থাকতে নিজের পরিবারবর্গকে নিয়ে বের হয়ে যাও এবং তুমি তাদের পেছনে পেছনে চলো। তোমাদের কেউ যেন পেছন ফিরে না তাকায়। ব্যাস, সোজা চলে যাও যেদিকে যাবার জন্য তোমাদের হুকুম দেয়া হচ্ছে।”




(15:66)

وَ قَضَیْنَاۤ اِلَیْهِ ذٰلِكَ الْاَمْرَ اَنَّ دَابِرَ هٰۤؤُلَآءِ مَقْطُوْعٌ مُّصْبِحِیْنَ


শব্দার্থ:        وَقَضَيْنَا =  এবংআমরাজানিয়েদিয়েছিলাম,     إِلَيْهِ =  তারপ্রতি,     ذَٰلِكَ =  এই,     الْأَمْرَ =  বিষয়ের,     أَنَّ =  যে,     دَابِرَ =  মূল,     هَٰؤُلَاءِ =  ঐসবলোকদের,     مَقْطُوعٌ =  কেটেফেলাহবে,     مُصْبِحِينَ =  সকালনাহতেই,


অনুবাদ:    আর তাকে আমি এ ফায়সালা পৌঁছিয়ে দিলাম যে, সকাল হতে হতেই এদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হবে।




(15:67)

وَ جَآءَ اَهْلُ الْمَدِیْنَةِ یَسْتَبْشِرُوْنَ


শব্দার্থ:        وَجَاءَ =  এবংআসলো,     أَهْلُ =  অধিবাসীরা,     الْمَدِينَةِ =  শহরের,     يَسْتَبْشِرُونَ =  উল্লসিত,


অনুবাদ:    ইত্যবসরে নগরবাসীরা মহা উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হয়ে লূতের বাড়ি চড়াও হলো।




(15:68)

قَالَ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ ضَیْفِیْ فَلَا تَفْضَحُوْنِۙ


শব্দার্থ:        قَالَ =  (লূত)বললো,     إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     هَٰؤُلَاءِ =  ঐসবলোক,     ضَيْفِي =  আমারঅতিথি,     فَلَا =  অতএবনা,     تَفْضَحُونِ =  আমাকেতোমরাঅপমানকরো,


অনুবাদ:    লূত বললো, “ভাইয়েরা আমার! এরা হচ্ছে আমার মেহমান, আমাকে বে-ইজ্জত করো না।




(15:69)

وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ لَا تُخْزُوْنِ


শব্দার্থ:        وَاتَّقُوا =  এবংতোমরাভয়করো,     اللَّهَ =  আল্লাহকে,     وَلَا =   এবং না ,     تُخْزُونِ =  আমাকেতোমরালাঞ্ছিতকরো,


অনুবাদ:    আল্লাহকে ভয় করো, আমাকে লাঞ্ছিত করো না।‌”




(15:70)

قَالُوْۤا اَوَ لَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ


শব্দার্থ:        قَالُوا =  তারাবললো,     أَوَلَمْ =  কিনি,     نَنْهَكَ =  তোমাকেআমরানিষেধকরি,     عَنِ =  সম্পর্কে,     الْعَالَمِينَ =  সারাদুনিয়ার(দায়িত্বনেয়া),


অনুবাদ:    তারা বললো, “আমরা না তোমাকে বারবার মানা করেছি, সারা দুনিয়ার ঠিকেদারী নিয়ো না?‌”




(15:71)

قَالَ هٰۤؤُلَآءِ بَنٰتِیْۤ اِنْ كُنْتُمْ فٰعِلِیْنَؕ


শব্দার্থ:        قَالَ =  সেবললো,     هَٰؤُلَاءِ =  এইসব,     بَنَاتِي =  আমারমেয়েরা,     إِنْ =  যদি,     كُنْتُمْ =  তোমরাহও,     فَاعِلِينَ =  সম্পাদনকারী,


অনুবাদ:    লূত লাচার হয়ে বললো, “যদি তোমাদের একান্তই কিছু করতেই হয় তাহলে এই যে আমার মেয়েরা রয়েছে।”




(15:72)

لَعَمْرُكَ اِنَّهُمْ لَفِیْ سَكْرَتِهِمْ یَعْمَهُوْنَ


শব্দার্থ:        لَعَمْرُكَ =  শপথতোমারজীবনের,     إِنَّهُمْ =  নিশ্চয়ইতারা,     لَفِي =  অবশ্যইমধ্যে(ছিলো),     سَكْرَتِهِمْ =  তাদেরনেশার,     يَعْمَهُونَ =  উদভ্রান্তহয়েফিরছিলো,


অনুবাদ:    তোমার জীবনের কসম হে নবী! সে সময় তারা যেন একটি নেশায় বিভোর হয়ে মাতালের মতো আচরণ করে চলছিল।




(15:73)

فَاَخَذَتْهُمُ الصَّیْحَةُ مُشْرِقِیْنَۙ


শব্দার্থ:        فَأَخَذَتْهُمُ =  অতঃপরতাদেরধরলো,     الصَّيْحَةُ =  বিরাটআওয়াজ,     مُشْرِقِينَ =  সূর্যোদয়হতেই,


অনুবাদ:    অবশেষে প্রভাত হতেই একটি বিকট আওয়াজ তাদেরকে আঘাত করলো




(15:74)

فَجَعَلْنَا عَالِیَهَا سَافِلَهَا وَ اَمْطَرْنَا عَلَیْهِمْ حِجَارَةً مِّنْ سِجِّیْلٍؕ


শব্দার্থ:        فَجَعَلْنَا =  অতঃপরআমরারাখলাম,     عَالِيَهَا =  তারউপরভাগকে,     سَافِلَهَا =  তারনীচেরভাগে,     وَأَمْطَرْنَا =  এবংআমরাবর্ষণকরলাম,     عَلَيْهِمْ =  তাদেরউপর,     حِجَارَةً =  পাথরসমূহ,     مِنْ =  তৈরী,     سِجِّيلٍ =  পোড়ামাটির,


অনুবাদ:    এবং আমি সেই জনপদটি ওলট পালট করে রেখে দিলাম আর তাদের ওপর পোড়া মাটির পাথর বর্ষণ করলাম।




(15:75)

اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّلْمُتَوَسِّمِیْنَ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     فِي =  মধ্যেআছে,     ذَٰلِكَ =  এর,     لَآيَاتٍ =  অবশ্যইনিদর্শনসমূহ,     لِلْمُتَوَسِّمِينَ =  অন্তর্দৃষ্টি-সম্পন্নদেরজন্য,


অনুবাদ:    প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ লোকদের জন্য এ ঘটনার মধ্যে বিরাট নিদর্শন রয়েছে।




(15:76)

وَ اِنَّهَا لَبِسَبِیْلٍ مُّقِیْمٍ


শব্দার্থ:        وَإِنَّهَا =  এবংনিশ্চয়ইতা,     لَبِسَبِيلٍ =  অবশ্যইপথেরসাথে,     مُقِيمٍ =  অবস্থিত,


অনুবাদ:    আর সেই এলাকাটি (যেখানে এটা ঘটেছিল) লোক চলাচলের পথের পাশে অবস্থিত।




(15:77)

اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّلْمُؤْمِنِیْنَؕ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     فِي =  (রয়েছে)মধ্যে,     ذَٰلِكَ =  এর,     لَآيَةً =  অবশ্যইনিদর্শন,     لِلْمُؤْمِنِينَ =  ঈমানদারদেরজন্যে,


অনুবাদ:    ঈমানদার লোকদের জন্য এর মধ্যে শিক্ষার বিষয় রয়েছে।




(15:78)

وَ اِنْ كَانَ اَصْحٰبُ الْاَیْكَةِ لَظٰلِمِیْنَۙ


শব্দার্থ:        وَإِنْ =  এবংনিশ্চয়ই,     كَانَ =  ছিলো,     أَصْحَابُ =  অধিবাসীরা,     الْأَيْكَةِ =  আইকার,     لَظَالِمِينَ =  অবশ্যইসীমালঙ্ঘনকারী,


অনুবাদ:    আর আইকাবাসীরা জালেম ছিল।




(15:79)

فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ١ۘ وَ اِنَّهُمَا لَبِاِمَامٍ مُّبِیْنٍؕ۠


শব্দার্থ:        فَانْتَقَمْنَا =  অতঃপরআমরাপ্রতিশোধনিই,     مِنْهُمْ =  থেকেতাদের,     وَإِنَّهُمَا =  এবংনিশ্চয়ইউভয়েই,     لَبِإِمَامٍ =  অবশ্যইপথেরসাথে,     مُبِينٍ =  প্রকাশ্য,


অনুবাদ:    কাজেই দেখে নাও আমিও তাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছি। আর এ উভয় সম্প্রদায়ের বিরাণ এলাকা প্রকাশ্য পথের ধারে অবস্থিত।




(15:80)

وَ لَقَدْ كَذَّبَ اَصْحٰبُ الْحِجْرِ الْمُرْسَلِیْنَۙ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     كَذَّبَ =  মিথ্যারোপকরেছিলো,     أَصْحَابُ =  অধিবাসীরা,     الْحِجْرِ =  হিজরের,     الْمُرْسَلِينَ =  রাসূলদেরকে,


অনুবাদ:    হিজ্‌রবাসীরাও রসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল।




(15:81)

وَ اٰتَیْنٰهُمْ اٰیٰتِنَا فَكَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِیْنَۙ


শব্দার্থ:        وَآتَيْنَاهُمْ =  এবংতাদেরআমরাদিয়েছিলাম,     آيَاتِنَا =  আমাদেরনিদর্শনাবলী,     فَكَانُوا =  তবুওতারাছিলো,     عَنْهَا =  তাসম্পর্কে,     مُعْرِضِينَ =  উপেক্ষাকারী,


অনুবাদ:    আমি তাদের কাছে আমার নিদর্শন পাঠাই, নিশানী দেখাই কিন্তু তারা সবকিছু উপেক্ষা করতে থাকে।




(15:82)

وَ كَانُوْا یَنْحِتُوْنَ مِنَ الْجِبَالِ بُیُوْتًا اٰمِنِیْنَ


শব্দার্থ:        وَكَانُوا =  এবংতারাছিলো,     يَنْحِتُونَ =  তারাখোদাইকরতো,     مِنَ =  থেকে,     الْجِبَالِ =  পাহাড়সমূহ,     بُيُوتًا =  ঘরসমূহ(বানাতে),     آمِنِينَ =  নিরাপদে,


অনুবাদ:    তারা পাহাড় কেটে কেটে গৃহ নির্মাণ করতো এবং নিজেদের বাসস্থানে একেবারেই নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত ছিল।




(15:83)

فَاَخَذَتْهُمُ الصَّیْحَةُ مُصْبِحِیْنَۙ


শব্দার্থ:        فَأَخَذَتْهُمُ =  অতঃপরতাদেরআঘাতকরলো,     الصَّيْحَةُ =  বিকটশব্দে,     مُصْبِحِينَ =  সকালহতেনাহতেই,


অনুবাদ:    শেষ পর্যন্ত প্রভাত হতেই একটি প্রচণ্ড বিষ্ফোরণ তাদেরকে আঘাত হানলো




(15:84)

فَمَاۤ اَغْنٰى عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَؕ


শব্দার্থ:        فَمَا =  অতঃপরনা,     أَغْنَىٰ =  কাজেআসলো,     عَنْهُمْ =  জন্যেতাদের,     مَا =  যা,     كَانُوا =  তারাছিলো,     يَكْسِبُونَ =  তারাউপার্জনকরে,


অনুবাদ:    এবং তাদের উপার্জন তাদের কোন কাজে লাগলো না।




(15:85)

وَ مَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَاۤ اِلَّا بِالْحَقِّ١ؕ وَ اِنَّ السَّاعَةَ لَاٰتِیَةٌ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِیْلَ


শব্দার্থ:        وَمَا =  এবংনি,     خَلَقْنَا =  আমরাসৃষ্টিকরেছি,     السَّمَاوَاتِ =  আকাশমন্ডলী,     وَالْأَرْضَ =  এবংপৃথিবী,     وَمَا =  এবং যা (আছে),     بَيْنَهُمَا =  উভয়েরমাঝে,     إِلَّا =  এছাড়া,     بِالْحَقِّ =  মহাসত্যসহকারে,     وَإِنَّ =  এবংনিশ্চয়ই,     السَّاعَةَ =  ক্বিয়ামাত,     لَآتِيَةٌ =  অবশ্যইআসবে,     فَاصْفَحِ =  সুতরাংক্ষমাকরো,     الصَّفْحَ =  সৌজন্যে,     الْجَمِيلَ =  পরম,


অনুবাদ:    আমি পৃথিবী ও আকাশকে এবং তাদের মধ্যকার সকল জিনিসকে সত্য ছাড়া অন্য কিছুর ভিত্তিতে সৃষ্টি করিনি এবং ফায়সালার সময় নিশ্চিতভাবেই আসবে। কাজেই হে মুহাম্মাদ! (এই লোকদের আজেবাজে আচরণগুলোকে) ভদ্রভাবে উপেক্ষা করে যাও।




(15:86)

اِنَّ رَبَّكَ هُوَ الْخَلّٰقُ الْعَلِیْمُ


শব্দার্থ:        إِنَّ =  নিশ্চয়ই,     رَبَّكَ =  তোমাররব,     هُوَ =  তিনিই,     الْخَلَّاقُ =  মহাস্রষ্টা,     الْعَلِيمُ =  মহাজ্ঞানী,


অনুবাদ:    নিশ্চিতভাবে তোমার রব সবার স্রষ্টা এবং সবকিছু জানেন।




(15:87)

وَ لَقَدْ اٰتَیْنٰكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِیْ وَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِیْمَ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     آتَيْنَاكَ =  তোমাকেদিয়েছি,     سَبْعًا =  সাত(আয়াত),     مِنَ =  থেকে,     الْمَثَانِي =  বারবারআবৃত্তিযোগ্য,     وَالْقُرْآنَ =  ওকুরআন,     الْعَظِيمَ =  মহান,


অনুবাদ:    আমি তোমাকে এমন সাতটি আয়াত দিয়ে রেখেছি, যা বারবার আবৃত্তি করার মতো এবং তোমাকে দান করেছি মহান কুরআন।




(15:88)

لَا تَمُدَّنَّ عَیْنَیْكَ اِلٰى مَا مَتَّعْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ وَ لَا تَحْزَنْ عَلَیْهِمْ وَ اخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ


শব্দার্থ:        لَا =  না,     تَمُدَّنَّ =  কখনওপ্রসারিতকরোতুমি,     عَيْنَيْكَ =  তোমারদুচোখ,     إِلَىٰ =  প্রতি,     مَا =  যা,     مَتَّعْنَا =  আমরাভোগবিলাসদিয়েছি,     بِهِ =  দিয়েতা,     أَزْوَاجًا =  বিভিন্নশ্রেণীতে,     مِنْهُمْ =  তাদেরমধ্যকার,     وَلَا =  ওনা,     تَحْزَنْ =  চিন্তাকরো,     عَلَيْهِمْ =  তাদেরসম্বন্ধে,     وَاخْفِضْ =  অবনমিতকরো,     جَنَاحَكَ =  তোমারবাহু,     لِلْمُؤْمِنِينَ =  মুমিনদেরজন্যে,


অনুবাদ:    আমি তাদের মধ্য থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের দুনিয়ার যে সম্পদ দিয়েছি সেদিকে তুমি চোখ উঠিয়ে দেখো না এবং তাদের অবস্থা দেখে মুনঃক্ষুণ্নও হয়ো না। তাদেরকে বাদ দিয়ে মু’মিনদের প্রতি ঘনিষ্ঠ হও




(15:89)

وَ قُلْ اِنِّیْۤ اَنَا النَّذِیْرُ الْمُبِیْنُۚ


শব্দার্থ:        وَقُلْ =  এবংবলো,     إِنِّي =  নিশ্চয়ইআমি,     أَنَا =  আমিই,     النَّذِيرُ =  সতর্ককারী,     الْمُبِينُ =  সুস্পষ্ট,


অনুবাদ:    এবং (অমান্যকারীদেরকে) বলে দাও--- আমিতো প্রকাশ্য সতর্ককারী।




(15:90)

كَمَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَى الْمُقْتَسِمِیْنَۙ


শব্দার্থ:        كَمَا =  যেমন,     أَنْزَلْنَا =  আমরাঅবতীর্ণকরেছিলাম,     عَلَى =  উপর,     الْمُقْتَسِمِينَ =  বিভক্তকারীদের,


অনুবাদ:    এটা ঠিক তেমনি ধরনের সতর্কীকরণ যেমন সেই বিভক্তকারীদের দিকে আমি পাঠিয়েছিলাম




(15:91)

الَّذِیْنَ جَعَلُوا الْقُرْاٰنَ عِضِیْنَ


শব্দার্থ:        الَّذِينَ =  যারা,     جَعَلُوا =  করেছে,     الْقُرْآنَ =  কুরআনকে,     عِضِينَ =  টুকরোটুকরো,


অনুবাদ:    যারা নিজেদের কুরআনকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলে।




(15:92)

فَوَرَبِّكَ لَنَسْئَلَنَّهُمْ اَجْمَعِیْنَۙ


শব্দার্থ:        فَوَرَبِّكَ =  সুতরাংতোমাররবেরশপথ,     لَنَسْأَلَنَّهُمْ =  অবশ্যইআমরাজিজ্ঞাসাকরবোতাদের,     أَجْمَعِينَ =  সকলকে,


অনুবাদ:    তোমার রবের কসম, আমি অবশ্যি তাদের সবাইকে জিজ্ঞেস করবো,




(15:93)

عَمَّا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ


শব্দার্থ:        عَمَّا =  যাথেকে,     كَانُوا =  তারাছিলো,     يَعْمَلُونَ =  তারাকাজকরতো,


অনুবাদ:    তোমরা কি কাজে নিয়োজিত ছিলে?




(15:94)

فَاصْدَعْ بِمَا تُؤْمَرُ وَ اَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِكِیْنَ


শব্দার্থ:        فَاصْدَعْ =  সুতরাংপ্রকাশ্যেপ্রচারকরো,     بِمَا =   ঐ বিষয়ে যা ,     تُؤْمَرُ =  তোমাকেআদেশকরাহয়েছে,     وَأَعْرِضْ =  ওউপেক্ষাকরো,     عَنِ =  থেকে,     الْمُشْرِكِينَ =  মুশরিকদের,


অনুবাদ:    কাজেই হে নবী! তোমাকে যে বিষয়ের হুকুম দেয়া হচ্ছে তা সরবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করো এবং শিরককারীদের মোটেই পরোয়া করো না।




(15:95)

اِنَّا كَفَیْنٰكَ الْمُسْتَهْزِءِیْنَۙ


শব্দার্থ:        إِنَّا =  নিশ্চয়ইআমরা,     كَفَيْنَاكَ =  তোমারজন্যেআমরাইযথেষ্ট,     الْمُسْتَهْزِئِينَ =  বিদ্রুপকারীদের(বিরুদ্ধে),


অনুবাদ:    যেসব বিদ্রূপকারী আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও ইলাহ বলে গণ্য করে




(15:96)

الَّذِیْنَ یَجْعَلُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ١ۚ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ


শব্দার্থ:        الَّذِينَ =  যারা,     يَجْعَلُونَ =  বানিয়েছে,     مَعَ =  সাথে,     اللَّهِ =  আল্লাহর,     إِلَٰهًا =  ইলাহ,     آخَرَ =  অন্যকে,     فَسَوْفَ =  অতঃপরশীঘ্রই,     يَعْلَمُونَ =  তারাজানবে,


অনুবাদ:    তোমাদের পক্ষ থেকে তাদের ব্যবস্থা করার জন্য আমিই যথেষ্ট। শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।




(15:97)

وَ لَقَدْ نَعْلَمُ اَنَّكَ یَضِیْقُ صَدْرُكَ بِمَا یَقُوْلُوْنَۙ


শব্দার্থ:        وَلَقَدْ =  এবংনিশ্চয়ই,     نَعْلَمُ =  আমরাজানি,     أَنَّكَ =  তুমিযে,     يَضِيقُ =  সংকুচিতহয়,     صَدْرُكَ =  তোমারঅন্তর,     بِمَا =  একারণেযা,     يَقُولُونَ =  তারাবলে,


অনুবাদ:    আমি জানি, এরা তোমার সম্বন্ধে যেসব কথা বানিয়ে বলে তাতে তুমি মনে ভীষণ ব্যথা পাও।




(15:98)

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَ كُنْ مِّنَ السّٰجِدِیْنَۙ


শব্দার্থ:        فَسَبِّحْ =  সুতরাংপবিত্রতাঘোষণাকরো,     بِحَمْدِ =  সহপ্রশংসা,     رَبِّكَ =  তোমাররবের,     وَكُنْ =  এবংহও,     مِنَ =  অন্তর্ভুক্ত,     السَّاجِدِينَ =  সিজদাকারীদের,


অনুবাদ:    এর প্রতিকার এই যে, তুমি নিজের রবের প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করতে থাকো, তাঁর সকাশে সিজ্‌দাবনত হও




(15:99)

وَ اعْبُدْ رَبَّكَ حَتّٰى یَاْتِیَكَ الْیَقِیْنُ۠


শব্দার্থ:        وَاعْبُدْ =  ওইবাদতকরো,     رَبَّكَ =  তোমাররবের,     حَتَّىٰ =  যতক্ষণনা,     يَأْتِيَكَ =  তোমারকাছেআসে,     الْيَقِينُ =  মৃত্যু,


অনুবাদ:    এবং যে চূড়ান্ত সময়টি আসা অবধারিত সেই সময় পর্যন্ত নিজের রবের বন্দেগী করে যেতে থাকো।


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ