আসলে হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান মেলে হলুদে। হলুদ ওষুধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় যুগ যুগ ধরে এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তরকারিতে ব্যবহার করা ছাড়াও হলুদ পানি খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি মেলে। জানলে অবাক হবেন, এই পানীয় খেলেই ওজন কমবে এমনকি সারবে বাতের ব্যথাসহ নানা রোগ।
একইসঙ্গে হলুদ পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, টক্সিন দূর করে, মৌসুমি ঠান্ডা ও ফ্লুকে দূরে রাখে। হলুদ পানির আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
>> শুধু বয়স্করাই নন, বাতের ব্যথায় কমবয়সীরাও ভোগেন। বিশেষ করে নারীরা জয়েন্টের ব্যথায় বেশি কষ্ট পান। হলুদ পানি নিয়মিত খেলে জয়েন্টের ব্যথা সহজেই দূর হবে। কারণ হলুদে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
>> হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এমনকি এটি ফ্রি-র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। ফলে ক্যানসারসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
>> পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যদি আপনি অত্যধিক ওজনে ভোগেন তাহলে বুঝবেন আপনার বিপাকক্রিয়া কমে গেছে। এজন্য নিয়মিত হলুদ পানি খেয়ে হজমশক্তি বাড়াতে পারেন। এতে আপনার বিপাক আরও বাড়বে ও দ্রুত ওজন কমবে।
>> হলুদের ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহারের মাধ্যমে উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় দ্বিগুণ! শুধু ত্বকে ব্যবহারেই নয় বরং হলুদ খেলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য জরুরি। হলুদ পানি খেলে ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস হয়। ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে।
>> শরীর থেকে সব বর্জ্য ও টক্সিন দূর করে হলুদ পানি। খাদ্য, পরিবেশ ও বাতাসের মাধ্যমে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসি আমরা। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এই বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। এক গ্লাস হলুদ পানি খেলেই শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করতে পারে।
হলুদের পানি তৈরির সঠিক উপায়
প্রথমে একটি ছোট প্যানে এক কাপ পানি নিন। এতে ২ চিমটি হালুদ মিশিয়ে ১-২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ছেঁকে চায়ের মতো পান করুন। স্বাদ বাড়াতে মধুও যোগ করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া