০৮ আগস্ট ২০২১

১০০ হাদিস

(অন লাইন/ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা) 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর 

সহীহ হাদীস 

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


♥🕋 হাদীস নাম্বার-১

⇒ সালাত হলো ‘ নূর’ ।সালাত বেহেস্তের চাবি [ সহীহ মুসলিম ]

ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেনঃ আমার নিকট আবূ সুফ্ইয়ান ইবনু হারব (রাযি.) হিরাকল-এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি এ কথা বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালাত, সত্যবাদিতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার নির্দেশ দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ৮/ সালাত


♥🕋 হাদীস নাম্বার-২

⇒ “যারা সুদ খায়, যারা সুদ দেয়, যারা সুদের সাক্ষী হয় এবং যারা সুদের আদান প্রদান লেখে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সকলকে অভিশাপ দিয়েছেন।” (বুখারীঃ ইবনে মাসউদ রাঃ)


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৩

⇒ ঘুষদাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের উপর আল্লাহর অভিশাপ।” (বুখারী : ইবনে উমর রাঃ) 


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৪ 

⇒ যে পবিত্র থাকতে চায় , আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৫

⇒ বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৬ 

⇒ যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল ’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।[ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭ 

⇒ বলো : ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো । [ সহীহ মুসলিম ]


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৮ 

⇒ সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব । [ সহীহ মুসলিম ]

♥🕋 হাদীস নাম্বার-৯

⇒ যখন রমযান শুরু হয় , তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। [ সহীহ বুখারী ]


♥🕋 হাদীস নাম্বার-১০ 

⇒আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-১১ 

⇒আল্লাহর নবীর চরিত্র ছিলো ঠিক কুরআনের মতো।[আয়েশা রাঃ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-১২ 

⇒যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-১৩ 

⇒কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর।[ সহীহ বুখারী ]

এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সেরূপ ওয়াহী প্রেরণ করেছি যেরূপ নূহ ও তাঁর পরবর্তী নবীদের (নবীদের) প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১৬৩)


১. ‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরাত করেছে।] (৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; মুসলিম ২৩/৪৫ হাঃ ১৯০৭, আহমাদ ১৬৮) ( আধুনিক প্রকাশনী- ১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১)


♥ হাদীস নাম্বার-১৪ 

⇒প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।[সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-১৫

⇒আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেন না,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-১৬

⇒তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।[সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-১৭

⇒যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো । [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-১৮

⇒যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো । [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-১৯

⇒যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-২০

⇒সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-২১

⇒নিজের জন্যে যা পছন্দ করো , অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে , তবেই হতে পারবে মুমিন। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-২২

⇒দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-২৩

⇒কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। [ সহীহ মুসলিম ]

♥ হাদীস নাম্বার-২৪ 

⇒যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায় , আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-২৫  


⇒দীন হলো – কল্যাণ কামনা । [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-২৬ 


⇒আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-২৭ 

⇒আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-২৮

⇒পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। [ সহীহ মুসলিম ]


 ♥ হাদীস নাম্বার-২৯ 

⇒দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত। [ সহীহ মুসলিম ] 

হাদীস নাম্বার-৩০ 

⇒দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৩১ 

⇒দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। [ সহীহ মুসলিম ]


 ♥ হাদীস নাম্বার-৩২

⇒তোমাদের কেউ মুমিন হবেনা , যতোক্ষণ সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে , তার ভাইয়ের জন্যেও তাই পছন্দ না করবে । [ সহীহ বুখারী ]  

 ♥ হাদীস নাম্বার-৩৩ 

⇒কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা , যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। [ সহীহ মুসলিম ]

  ♥ হাদীস নাম্বার-৩৪ 

⇒যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। [ সহীহ বুখারী ]

 ♥ হাদীস নাম্বার-৩৫ 

⇒যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৩৬

⇒অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো , কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৩৭

⇒মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মত মজবুত সম্পর্ক রাখে। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৩৮

⇒মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। [ সহীহ মুসলিম ]

♥ হাদীস নাম্বার-৩৯ 

⇒যলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৪০  

⇒যুলম করা থেকে বিরত থাক । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪১  

⇒যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪২ 

⇒ যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো উত্তম কথা বলে। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪৩ 

⇒ সবর হলো আলো। [ সহীহ মুসলিম ]

♥ হাদীস নাম্বার-৪৪ 

⇒ ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪৫ 

⇒ মুহাজির সে ,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪৬ 

⇒ যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে । [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৪৭ 

⇒প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত , সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪৮

⇒প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৪৯ 

⇒মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৫০ 

⇒ইসলামে কোন্‌ জিনিসটি উত্তম?


১১. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা (সহাবাগণ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহবা ও হাত হতে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে। (মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০)

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ'আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ২/ ঈমান (বিশ্বাস) 


♥ হাদীস নাম্বার-৫১ 

⇒প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫২ 

⇒তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা । [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫৩  

⇒মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য । [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫৪  

⇒রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। [ সহীহ বুখারী ]

♥ হাদীস নাম্বার-৫৫  

⇒যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা , আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫৬  

⇒আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। [ সহীহ মুসলিম ]

♥ হাদীস নাম্বার-৫৭  

⇒তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫৮ 

⇒আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন , যতোক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৫৯ 

⇒যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে , সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৬০

⇒যে তার প্রভুকে স্মরণ করে , আর যে করেনা , তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৬১

⇒আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৬২

⇒শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ হাদীস নাম্বার-৬৩

⇒আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা । [ সহীহ বুখারী ]


♥ হাদীস নাম্বার-৬৪

⇒যার কর্ম তাকে ডুবায় , তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। [ সহীহ মুসলিম ]

♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৬৫

⇒আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋 হাদীস নাম্বার-৬৬

⇒যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে , আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৬৭

⇒রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘ না’ বলেছেন , এমন কখনো হয়নি। [ জাবির : সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৬৮

⇒প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে , যা নিয়ে সে মরেছে । [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৬৯ 

⇒গোটা সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের জন্যে বেশী উপকারী , সে তাঁর কাছে বেশী প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭০  

⇒মতভেদ করোনা। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল , তারা ধ্বংস হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭১   

⇒আমি প্রেরিত হয়েছি  শিক্ষক হিসেবে। [ মিশকাত ] 


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৭২   

⇒শিক্ষাদান করো এবং সহজ  করে শিখাও । [ আদাবুল  মুফরাদ ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭৩   

⇒সুধারণা করা একটি ইবাদত।


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭৪    

⇒নিজের জন্যে যা পছন্দ  করো , অন্যদের জন্যেও তাই  পছন্দ করবে , তবেই হতে  পারবে মুমিন। [ সহীহ মুসলিম ]

♥🕋 হাদীস নাম্বার-৭৫     

⇒প্রতিটি জ্ঞান তার  বাহকের জন্যে বিপদের  কারণ, তবে যে সে অনুযায়ী  আমল (কাজ) করে তার জন্যে  নয়। (তাবরানী) 


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৭৬     

⇒ তোমাদের কেউ মুমিন  হবেনা , যতোক্ষণ সে  নিজের জন্যে যা পছন্দ করে ,  তার ভাইয়ের জন্যেও তাই  পছন্দ না করবে । [ সহীহ  বুখারী ]  


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭৭     

⇒ যে আল্লাহর উপর ভরসা  করে , তার জন্যে আল্লাহই  যথেষ্ট। [ ইবনে মাজাহ ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭৮     

⇒ জ্ঞানীরা নবীদের  উত্তরাধিকারী ।  [ তিরমিযী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৭৯     

⇒ জ্ঞানবান আর দুনিয়াদার  সমান নয়। [ দারেমী ] 


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮০     

⇒ সবচেয়ে মন্দ লোক  জ্ঞানীদের মধ্যে যারা মন্দ  তারা, আর সবচেয়ে ভালো  লোক জ্ঞানীদের মধ্যে  যারা ভালো তারা। (দারমী)


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮১      

⇒কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরুপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন। (বোখারী)


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮২      

⇒আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৩      

⇒ওগো আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও , আমার প্রতি দয়া করো , আমাকে সঠিক পথ দেখাও , আমাকে স্বস্তি দান করো এবং আমাকে জীবিকা দাও। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৪      

⇒সব আদম সন্তানই ভুল করে । তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে। [ তিরমিযী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৫       

⇒বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে , তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৬       

⇒সুখবর তার জন্যে , যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি , অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। [ আহমদ ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৭       

⇒ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বোখারী)


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৮       

⇒হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে , মনোকষ্ট থেকে , বার্ধক্য থেকে , আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে । [ সহীহ বুখারী ]

♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৮৯       

⇒হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত , আল্লাহভীতি , পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য । [ সহীহ মুসলিম ]

♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯০      

⇒হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী । [ সহীহ মুসলিম ]


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৯১      

⇒আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [ সহীহ বুখারী ]


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৯২     

⇒মুসলমান মুসলমানের ভাই । [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৩     

⇒যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৪     

⇒ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৫     

⇒ যে লড়ে যায় আল্লাহর বাণীকে বিজয়ী করার জন্যে সেই আল্লাহর পথে ( জিহাদ করে ) । [ সহীহ বুখারী ]


♥🕋 হাদীস নাম্বার-৯৬     

⇒ যুলম করা থেকে বিরত থাক । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [ সহীহ মুসলিম ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৮     

⇒  মযলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৭     

⇒ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বাণীঃ ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায়।* আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান মজবুত করে নেয়- (সূরাহ্ ফাত্হ ৪৮/৪)। আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম- (সূরাহ্ কাহাফ ১৮/১৩)। এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ্ তাদের অধিক হিদায়াত দান করেন- (সূরাহ্ মারইয়াম ১৯/৭৬)। এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন- (সূরাহ্ মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। যাতে মু’মিনদের ঈমান বেড়ে যায়- (সূরাহ্ মুদ্দাসসির ৭৪/৩১)। আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বাড়িয়ে দিল? যারা মু’মিন এ তো তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়- (সূরাহ্ আত্-তওবা ৯/১২৪)। এবং তাঁর বাণী, ‘‘সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর; একথা তাদের ঈমানের দৃঢ়তা বাড়িয়ে দিল’’- (সূরাহ্ আলে-ইমরান ৩/১৭৩)। ‘‘এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্য আরও বৃদ্ধি পেল’’- (সূরাহ্ আহযাব ৩৩/২২)।


আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহ.) ‘আদী ইবনু ‘আদী (রহ.)-এর নিকট এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো ফার্য (ফরয), কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পরিপূর্ণরূপে আদায় করে তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট ব্যক্ত করব, যাতে তোমরা তার উপর ‘আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি আকাঙ্ক্ষিত নই।’


ইবরাহীম (‘আ.) বলেন, ‘তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ ২/২৬)। মু‘আয (রাঃ) বলেন, ‘‘এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি।’’ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান।’ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌঁছতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয় সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে।’ মুজাহিদ (রাঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘‘অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি’’- (সূরাহ্ শূরা ৪২/১৩)। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘‘অর্থাৎ পথ ও পন্থা’’- (সূরাহ্ আল-মায়িদাহ ৫/৪৮)।



এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘বলে দিন, আমার প্রতিপালক তোমাদের একটুও পরোয়া করবেন না যদি তোমরা ‘ইবাদাত না কর’’- (সূরাহ্ আল-ফুরক্বান ২৫/৭৭)। অভিধানে দু‘আর অর্থ করা হয়েছেঃ ‘‘ঈমান’’।


৮. ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. সালাত কায়িম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রমাযানের সিয়ামব্রত পালন করা। (৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭)


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-৯৯     

⇒ আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]


♥ 🕋হাদীস নাম্বার-১০০     

⇒  ৩. উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট সর্বপ্রথম যে ওয়াহী আসে, তা ছিল নিদ্রাবস্থায় বাস্তব স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে প্রভাতের আলোর ন্যায় প্রকাশিত হতো। অতঃপর তাঁর নিকট নির্জনতা পছন্দনীয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তিনি ‘হেরা’র গুহায় নির্জনে অবস্থান করতেন। আপন পরিবারের নিকট ফিরে এসে কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে- এভাবে সেখানে তিনি এক নাগাড়ে বেশ কয়েক দিন ‘ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। অতঃপর খাদীজাহ (রাঃ)-এর নিকট ফিরে এসে আবার একই সময়ের জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যেতেন। এভাবে ‘হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে তাঁর নিকট ওয়াহী আসলো। তাঁর নিকট ফেরেশতা এসে বললো, ‘পাঠ করুন’। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ [‘‘আমি বললাম, ‘আমি পড়তে জানি না।]

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ [অতঃপর সে আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলো যে, আমার খুব কষ্ট হলো। অতঃপর সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, ‘পাঠ করুন’। আমি বললামঃ আমি তো পড়তে জানি না।’ সে দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলো যে, আমার খুব কষ্ট হলো। অতঃপর সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললোঃ ‘পাঠ করুন’। আমি উত্তর দিলাম, ‘আমি তো পড়তে জানি না।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অতঃপর তৃতীয়বারে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। তারপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘‘পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত পিন্ড থেকে, পাঠ করুন, আর আপনার রব অতিশয় দয়ালু’’- (সূরাহ্ ‘আলাক্ব ৯৬/১-৩)।

অতঃপর এ আয়াত নিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর হৃদয় তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজাহ বিন্তু খুওয়ায়লিদের নিকট এসে বললেন, ‘আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত কর’, ‘আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত কর।’ তাঁরা তাঁকে চাদর দ্বারা আবৃত করলেন। এমনকি তাঁর শংকা দূর হলো। তখন তিনি খাদীজাহ (রাঃ)-এর নিকট ঘটনাবৃত্তান্ত জানিয়ে তাঁকে বললেন, আমি আমার নিজেকে নিয়ে শংকা বোধ করছি। খাদীজাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, কখনই নয়। আল্লাহ্ আপনাকে কখনও লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায় দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন। অতঃপর তাঁকে নিয়ে খাদীজাহ (রাঃ) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকাহ ইবনু নাওফাল ইবনু ‘আবদুল আসাদ ইবনু ‘আবদুল ‘উযযাহ’র নিকট গেলেন, যিনি অন্ধকার যুগে ‘ঈসায়ী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানী ভাষায় লিখতে পারতেন এবং আল্লাহর তাওফীক অনুযায়ী ইবরানী ভাষায় ইঞ্জিল হতে ভাষান্তর করতেন।


তিনি ছিলেন অতিবৃদ্ধ এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজাহ (রাঃ) তাঁকে বললেন, ‘হে চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজার কথা শুনুন।’ ওয়ারাকাহ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাতিজা! তুমি কী দেখ?’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দেখেছিলেন, সবই বর্ণনা করলেন। তখন ওয়ারাকাহ তাঁকে বললেন, এটা সেই বার্তাবাহক যাঁকে আল্লাহ মূসা (আঃ)-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। আফসোস! আমি যদি সেদিন থাকতাম। আফসোস! আমি যদি সেদিন জীবিত থাকতাম, যেদিন তোমার কওম তোমাকে বহিষ্কার করবে।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, [‘তারা কি আমাকে বের করে দেবে?’] তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি যা নিয়ে এসেছো অনুরূপ (ওয়াহী) কিছু যিনিই নিয়ে এসেছেন তাঁর সঙ্গেই বৈরিতাপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। সেদিন যদি আমি থাকি, তবে তোমাকে জোরালোভাবে সাহায্য করব।’ এর কিছুদিন পর ওয়ারাকাহ (রাঃ) ইন্তিকাল করেন। আর ওয়াহীর বিরতি ঘটে।

(৩৩৯২, ৪৯৫৩, ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৬৯৮২; মুসলিম ১/৭৩ হাঃ ১৬০, আহমাদ ২৬০১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩)




 হাদিস গ্রন্থের লিংক


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ