০৫ জুলাই ২০২০

নবী করিম (স) এর যুদ্ধনীতি

নবী করিম সঃ এর মানবতাবোধ ও উদারতা আদর্শনীয়। বাইজানটাইনদের বিরুদ্ধে সমরাভিযানে তিনি দলপতিকে নির্দেশ দেন,
 "আমাদের প্রতি শত্রুপক্ষ কোন হামলা করে আহত করলে তার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে শিশু এবং  অসহায় নারীদের প্রতি সদয়  হবে। দুর্বল ও দুস্থ দের সাহায্য করবে। নারীদের অত্যাচার (ধর্ষণ) করবে না।দুধের শিশু এবং সয্যাশায়ী রোগীদের ক্ষতিকরবে না।
শত্রুদের এলাকায় নিরীহ ও নিরস্ত্র অধিবাসীদের ঘর ধ্বংস করবে না। তাদের খাদ্যদ্রব্য বা শস্য ক্ষেত্রের কোন ক্ষতি করবে না। তাল ও খেজুর গাছ  ধ্বংস করবে না।   যাত্রাপথে মঠে সাধু উপাসনায় মগ্ন ধর্মীয় পুরুষদের হত্যা করবে না। গীর্জা ও মঠ   ধ্বংস করবে না। "
মহানবী সঃ এর মহানুভবতা,  উদারতা ও সহিষ্ণুতা ইহুদি- খ্রিস্টান  জগতের হিংস্রতা,  বর্বরতা, নৃশংস হত্যাকান্ডের সম্পুর্ন  বিপরীত। ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্ট্যান্ট খ্রিস্টান এবং গ্রীক সম্প্রদায়ের নৃশংসতা ও উচ্ছৃঙ্খল আচরন ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে।   
  মহানবী সঃ কতৃক সম্পাদিত হুদায়বিয়ার সন্ধি শর্তাবলী ছিল নিম্নোক্তঃ
১) মুসলমান এবং বিধর্মী কুরাইশদের মধ্যে এই চুক্তি দশ বছর বলবৎ থাকবে।   
২)এই সময়ের মধ্যে কোন রক্তপাত ঘটানো যাবে না। 
৩) কুরাইশদের পক্ষের কেউ বিনা অনুমতিতে হযরত মুহাম্মদ সঃ এর কাছে আসেন তাহলে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে। 
অপরদিকে নবীজি সঃ এর পক্ষের কোন   ব্যক্তি কুরাইশদের কাছে গেলে ফেরত   পাঠাতে হবে   না। 
৪)উভয়পক্ষের মধ্যে   দ্বন্দ্ব, রেষারেষি, লুটতরাজ বা অভিযান করা   যাবে না  । 
৫) এ সময়ের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি বা গোত্র হযরত মুহাম্মদ সঃ    অথবা কুরাইশদের মধ্যে সখ্যতা স্থাপন করতে  চাইলে কোন বাধা থাকবে না। 
৬) এ বছর অর্থাৎ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের মদিনায় ফিরে যেতে হবে  ।মক্কায় প্রবেশ করবে না। 
৭) পরের বছর হজ্ব পালন  করবে মুসলমানগণ। কুরাইশরা শহর ছেড়ে চলে যাবে। মুসলমানগণ মক্কায় তিন দিন অবস্থান করতে পারবে। 
৮) মক্কায় আগমনকালের মুসলমানগণ শুধুমাত্র কোষবদ্ধ তরবারি আত্নরক্ষায় সংগে আনতে পারবে। 

হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পাদনে মহানবী সঃ যে, উদারতা, নমনীয়তা এবং মহানুভবতা প্রদর্শন করেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।      
সংগৃহিত:



   
    
      

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ