Text Message

ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৭ অক্টোবর ২০২০

নবীজি (সা.)–এর সুন্নাত

      মুসলমানের জন্য এই মাস অতীব তাৎপর্যমণ্ডিত।রাসুলুল্লাহ (সা.)এর জন্মের দিনটি ছিল সোমবার এবং তিনি মাতৃগর্ভে আগমন করেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বা শবে জুমুআয়। প্রিয় নবীজি (সা.) ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ভোরের শেষে, প্রভাতকালে উষালগ্নে। তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন দিবা শেষে গোধূলিলগ্নে।

সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন নবীজি (সা.) বেশি রোজা পালন করতেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, আমি চাই আমার আমল আমার রোজা অবস্থায় পেশ করা হোক।’ (তিরমিজি: ৭৪৭, সহিহ্ আলবানী)।

নবীজি (সা.) বিশেষত প্রতি সোমবার রোজা পালন করতেন। সাহাবাগণ এর কারণ জানতে চাইলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে।’ (মুসলিম: ১১৬২, নাসায়ী ও আবুদাঊদ)।

মদিনায় এখনো সোমবার রোজা পালনের নিয়ম ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে এবং মক্কা শরিফে বৃহস্পতিবার রোজা পালনের রীতি রয়েছে। মদিনা শরিফে প্রতি সোমবার মসজিদে নববীসহ বিভিন্ন মসজিদে স্থানীয় জনগণ ইফতারের বিশাল আয়োজন করে থাকে, মক্কা শরিফে মসজিদুল হারামে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

সুন্নাত হলো নবী কারিম (সা.) যে অবস্থায় যে কাজ যতটুকু গুরুত্বসহকারে করেছেন বা ছেড়েছেন, সে অবস্থায় সে কাজ ততটুকু গুরুত্বসহকারে করা বা ছাড়া। অনুরাগে নবীজির প্রতিটি কাজ অনুকরণ করা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) যা যা করেছেন, সবই সুন্নাত। তাঁর জীবনের প্রধান অবলম্বন ছিল সত্য, পবিত্রতা ও প্রেম। সত্যবাদিতার জন্য তিনি আশৈশব আল আমিনঅর্থাৎ সত্যবাদী, বিশ্বাসী ও বিশ্বস্ত উপাধি পেয়েছিলেন। আজীবন কোনো শত্রুও তাঁকে কখনো মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেনি।

সুন্নাতের কথা যখন আসে, ফরজ ও ওয়াজিব তার আগেই থাকে। ফরজ ও ওয়াজিব পরিত্যাগ করে সুন্নাত পালনের দাবি অসার। সৎ উপার্জন, হালাল খাবার ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। নবীজি (সা.)এর জীবন, দর্শন ও কর্ম যে যতটুকু অনুসরণ করবে, সে ততটুকু সফলতা ও কল্যাণ লাভ করবে |

ইসলাম পবিত্র ধর্ম। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক সব পর্যায়ে এটি পরিব্যাপ্ত।

প্রেম সৃষ্টির অনুপ্রেরণা। প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহ তাআলা কুল মাখলুকাত সৃজন করেছেন। প্রেমেই আনুগত্য, আনুগত্যই ইবাদত। প্রেম আল্লাহর প্রতি, রাসুল (সা.)এর প্রতি ও সমগ্র সৃষ্টির প্রতি।

নবীজি (সা.)এর ভালোবাসা মুমিনের ইমান; সুন্নাতের অনুসরণই ভালোবাসার প্রমাণ। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো; ফলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা-৩, আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার সুন্নাতকে ভালোবাসে, সে অবশ্যই আমাকে ভালোবাসে; আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।’ (তিরমিজি: ২৭২৬)। যে আমার সুন্নাতকে জিন্দা করবে সে আমাকে ভালোবাসে, যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।’ (মুসলিম)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি (নবীজি সা.) তার নিকট তার সন্তান অপেক্ষা, তার পিতা অপেক্ষা এবং সকল মানুষ অপেক্ষা বেশি প্রিয় না হই।’ (বুখারি: ১৩-১৪)। যে যাকে ভালোবাসবে, তার সঙ্গে তার হাশর নশর হবে।’ (বুখারি: ৬১৬৯ ৩৬৮৮, মুসলিম: ২৬৩৯)। হাদিসে আরও রয়েছে, ‘সর্বোত্তম আমল হলো আল্লাহর জন্য ভালোবাসা।’ (জামে সহিহ্: ২৫৩৯)। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মহব্বত করে ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে এবং আল্লাহর জন্য দান করে ও আল্লাহর জন্য বিরত থাকে; অবশ্যই তার ইমান পূর্ণ হলো।’ (আবুদাঊদ: ৪০৬৪)।

জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)এর সুন্নাত আদর্শ অনুকরণ ও অনুসরণ করাই ইসলাম। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাসুল (সা.) তোমাদের যা দিয়েছেন তোমরা তা ধারণ করো আর তিনি যা বারণ করেছেন তা হতে বিরত থাকো।’ (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ৭)।

সুন্নাতের কথা যখন আসে ফরজ ও ওয়াজিব তার আগেই থাকে। ফরজ ও ওয়াজিব পরিত্যাগ করে সুন্নাত পালনের দাবি অসার। সৎ উপার্জন, হালাল খাবার ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। নবীজি (সা.)এর জীবন, দর্শন ও কর্ম যে যতটুকু অনুসরণ করবে, সে ততটুকু সফলতা ও কল্যাণ লাভ করবে।


Source : Prothom Alo 

২৬ অক্টোবর ২০২০

ইসলাম ও হযরত মুহাম্মদ সঃ সম্প‌র্কে জানার আগ্রহ বাড়‌বে

পু‌লিশের ছত্রছায়ায় ফ্রান্স ইসলা‌মের অবমাননা ক‌রে কাজটা ভাল ক‌রে নি। মুস‌লিম জনগণ এ‌তে ক্ষুব্দ  ও রো‌ষে জ্ব‌লে ও‌ঠ‌েছে। ফরা‌সি পন্য বর্জ‌নের ডাক এ‌সে‌ছে । বিশ্ব‌ের  জনগণ সচেতন হ‌চ্ছে ।
    অন্য দি‌কে মানু‌ষের ইসলাম এবং হযরত মুহাম্মদ সঃ সম্প‌র্কে জানার আগ্রহ বাড়‌বে । ইসলাম সম্প‌র্কে জানার পর ইসলাম ধর্ম  বে‌শি গ্রহন কর‌বে ব‌লে আশা করা যায়। টুইন টাওয়ার ধ্বং‌সের পরও মান‌ুষের আগ্রহ বেশী ছিল ইসলাম সম্প‌র্কে । আল্লাহ জা‌নেন কি মঙ্গল আর কি‌সে অমঙ্গল । আল্লাহ যেন ইসলাম বি‌ষ‌য়ে  মানু‌ষের জানার আগ্রহ বা‌ড়ি‌য়ে দেন । আ‌মিন।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ