বিপদ ও মসিবতে পড়লে দোয়া
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
(সুরা বাকারা , আয়াত ১৫৬, ২:১৫৬)
উচ্চারণ: ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন।
অর্থ: আমরা তো আল্লাহ্রই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।
সকাল সন্ধ্যার যিকির
সকাল সন্ধ্যায় একবার করে আয়াতুল কুরসী পড়া
সকাল সন্ধ্যায় তিন বার করে সূরা নাস, ফালাক, ইখলাস তিলাওয়াত করা
সকাল সন্ধ্যায় সাত বার করে সাসবি ইয়াল্লাহু . . .দোয়াটি পড়া
‘হাসবি ইয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশীল আযীম।’
সকাল সন্ধ্যায় তিন বার করে বিসমিল্লা হিল্লাযী. . .দোয়াটি পড়া
বিসমিল্লা হিল্লাযী লা য়্যাদুর্রূ মাআসমিহী শাইইন ফিল আরদি ওলা ফিসসামা-ই ওয়া হুওয়াস সামীউল আলীম
সকাল সন্ধ্যায় একশত বার করে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ পড়া
সকাল সন্ধ্যায় একবার বার করে সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়া
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু,আউযুবিকা মিন শার্রি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইইয়া ওয়া আবুঊ বিযামবি ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।”
সকাল সন্ধ্যায় ৪ বার করে নিম্নের দোয়া পড়া
“আল্লাহম্মা ইন্নী আসবাহতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা, ওয়া মালাইকাতাকা ওয়া জামি-আ খালী-কিকা, আন্নাকা আনতাল্লাহা লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকালাক, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রসূলুক”-
সকাল সন্ধ্যায় তিন বার করে নিম্নের দোয়া পড়া
“রাদীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দিনান, ওয়া বি মুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাবিয়ান।”
প্রতিদিন বেশী বেশী করে নিম্নের দোয়া পড়া
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর”-
সকাল সন্ধ্যার যিকির - বিস্তারিত
আয়াতুল কুরসী
আল হাকীম, আন নাসাঈ ও আত তাবারানীতে উল্লেখ আছে,
“যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে ওঠে সকালে এটি (আয়াতুল কুরসী) তিলাওয়াত করে, তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন থেকে রক্ষা করা হয় এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এটি তিলাওয়াত করে, তাকে সকাল পর্যন্ত জ্বিন থেকে রক্ষা করা হয়।”
সকাল সন্ধ্যার তিন বার করে সূরা নাস, ফালাক, ইখলাস তিলাওয়াত করা
“সকাল-সন্ধ্যায় ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’, ‘কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক্ব’, ‘কুল আঊযু বিরাব্বিন নাস’ তিন বার করে পড়। তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (আবু দাউদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)
সকাল সন্ধ্যায় তিন বার করে বিসমিল্লা হিল্লাযী. . .দোয়াটি পড়া
বিসমিল্লা হিল্লাযী লা য়্যাদুর্রূ মাআসমিহী শাইইন ফিল আরদি ওলা ফিসসামা-ই ওয়া হুওয়াস সামীউল আলীম
“যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দু’আ তিনবার করে পড়বে কোন কিছুই সে ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবে না।” (আবু দাউদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)
সকাল সন্ধ্যায় একশত বার করে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ পড়া
“যে ব্যক্তি সকাল – সন্ধ্যায় ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ’- একশত বার পাঠ করবে, কিয়ামাতের দিনে ওর চাইতে উত্তম আমল কেউ আনতে পারবেনা। কিন্তু যদি কেউ তার সমান বা তার চেয়ে বেশী সয়খ্যায় ঐ পাঠ করে থাকে (তবে ভিন্ন কথা)।” [মুসলিম]
সকাল সন্ধ্যার সাত বার করে সাসবি ইয়াল্লাহু . . .দোয়াটি পড়া
‘হাসবি ইয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশীল আযীম।’”
“যে ব্যক্তি এই দু’আটি সকালে সাত বার এবং সন্ধ্যায় সাত বার বলবে তার দুনিয়া ও আখিরাতের সকল চিন্তা ভাবনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন [আবু দাউদ]
সকাল সন্ধ্যায় একবার বার করে সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়া
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু,আউযুবিকা মিন শার্রি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইইয়া ওয়া আবুঊ বিযামবি ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।”
অর্থঃ ‘ইয়া আল্লাহ! তুমি আমার রব, তুমি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। যতদূর আমার পক্ষে সম্ভব, আমি তোমার অঙ্গীকার এবং আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি। সৃষ্টির অমঙ্গল থেকে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি কবুল করি আমার ওপর তোমার আশীর্বাদ এবং আমি আমার গুনাহ গুলি স্বীকার করি। আমাকে মাফ করে দাও, কারন তুমি ছাড়া পাপ মাফ করার আর কেউ নেই।’ “দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে সন্ধ্যায় উক্ত দু’আ পড়ে রাত্রে মারা গেলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে এবং দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে সকালে উক্ত দু’আ পড়ে ঐ দিনে মারা গেলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।”
সকাল সন্ধ্যায় ৪ বার করে নিম্নের দোয়া পড়া
“আল্লাহম্মা ইন্নী আসবাহতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা, ওয়া মালাইকাতাকা ওয়া জামি-আ খালী-কিকা, আন্নাকা আনতাল্লাহা লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকালাক, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রসূলুক”- অর্থঃ “ইয়া আল্লাহ! আমি একটি নতুন সকালে প্রবেশ করেছি এবং তোমাকে, তোমার আরশের বাহক, তোমার ফিরিশতা গন এবং তোমার সকল সৃষ্টিকে স্বাক্ষী রেখে বলছি যে, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ, একমাত্র তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, তোমার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তোমার বান্দা ও রসূল।” “যে সকাল এবং সন্ধ্যায় উক্ত দু’আ ৪ বার করে পড়বে আল্লাহ তাকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।” [বুখারী, আন নাসাঈ (হাসান), আবু দাউদ ৪/৩১৭ (হাসান)]
সকাল সন্ধ্যায় তিন বার করে নিম্নের দোয়া পড়া
“রাদীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দিনান, ওয়া বি মুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাবিয়ান।”
অর্থঃ ‘আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নাবী হিসেবে পেয়ে পরিতুষ্ট।’ “আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় উক্ত দু’আটি তিন বার করে পড়লে, সে পুনরুত্থান দিবসের দিনে আনন্দিত হবে।” [আহমাদ ৪/৩৩৭, আন নাসাঈ, আত তিরমিজি ৫/৪৬৫ (হাসান)]
প্রতিদিন বেশী বেশী করে নিম্নের দোয়া পড়া
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর”-
অর্থঃ ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর, প্রশংসা তাঁর এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।’ ‘যিনি দিনে একশত বার উক্ত দু’আটি পড়বেন, তিনি দশজন দাস মুক্ত করার সওয়াব পাবেন। তার নামে একশত হাসানা লিখা হবে এবং তার একশত গুনাহ মুছে ফেলা হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করা হবে। এর থেকে বেশী পড়া একজন ব্যতীত অন্য কেউ তার থেকে বেশী ভাল কিছু উপস্থাপন করতে পারবে না।’ [বুখারী, মুসলিম]