৩০ মে ২০২১

ই-পাসপোর্টে "ইসরায়েল " ব্যতিত

  


আল্লাহ বলেন - "কুরানের আয়াতে "। ব্লগে ইসরাইল নামক একটি  দেশ এর তাবেদারির পক্ষে পোস্ট এবং কমেন্ট এর ফ্লাডিং চলছে।এসব পোস্ট এবং কমেন্ট দেখে বোঝার উপায় নাই যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ । এক ব্লগার বলেছেন যে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হলে বাংলাদেশী শ্রমিকরা সেখানে কাজ পাবে!! আরেক ব্লগার দাবী করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেরই নাকি ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক আছে!!! আরেক ব্লগার ফিলিস্তিনীদের উদ্বাস্তু , গুন্ডা বলে অভিহিত করেছেন। যারা ইসরাইলের পক্ষে লেখালেখি করেন তারা খুব সম্ভবত সংবাদপত্র পড়েন না। ঠিক কি উদ্দেশ্যে এবং কেন তারা ইসরাইল এর পক্ষে লেখেন বোধগম্য নয়। অবস্য ব্লগার জটিল ভাই বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে শুধু এটাই বলবো, যাদের কথা আপনি উল্লেখ করছেন আমার মনে হয়না তারা ফিলিস্তিন বা ইজরাঈলের প্রতি ভালবাসা/বিরোধীতা হতে এমনটা করছে। আমার মনে হচ্ছে এর মূলে রয়েছে গাজাপ্রেম।  আর সেখানে গাজা অবস্থিত তা আপনার পোস্টেও বলা রয়েছে।


ইসরাইল এর সাথে যে সব দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক নাই , সেই দেশগুলো হচ্ছে -
[sb]UN member states that do not have relations with Israel include Algeria, Comoros, Djibouti, Iraq, Kuwait, Lebanon, Libya, Mauritania, Oman, Qatar, Saudi Arabia, Somalia, Syria, Tunisia and Yemen, as well as 10 members of the Organisation of Islamic Cooperation (Afghanistan, Bangladesh, Brunei, Indonesia, Iran, Malaysia, Maldives, Mali, Niger and Pakistan), as well as Cuba, North Korea and Venezuela.[2]

অতি সম্প্রতি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে প্রায় দুই হাজার হাউজিং ইউনিট, ৭৪টি সরকারি ভবন, ৩টি মজসিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়াও ১৬৮০০ হাউজিং ইউনিট, ৬৬টি স্কুল, ৪০টি মসজিদ আংশিক ধসে গেছে তাদের বোমার আঘাতে। সেখানকার পুলিশ হেড কোয়ার্টারও ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৩ তলাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট সেবাদানকারী বহুতল ভবনটি বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি হায়েনারা। গাজা ভূখণ্ডে বিশাল এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। অন্যদিকে ২৫৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। যাদের ৬৫ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং ১৭ জন বয়স্ক মানুষ। সমূলে শেষ করে দেওয়া হয়েছে বহু পরিবারকে। আট হাজার লোক আহত হয়েছেন। হাসপাতালগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ইলেকট্রিক পাওয়ার সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। [sb ইসরাইলের সাম্প্রতিক ধংসযজ্ঞে সাবেক এক ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা কোনো রাখঢাক ছাড়া স্পষ্টই বলেছেন যে, ইসরাইলের সরকার, তার সেনাবাহিনী এবং সেনা কর্মকর্তারা যুদ্ধাপরাধী। তাদের বিচার হওয়া উচিত।
সুত্র ঃ যুগান্তর

ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখন শুধু মুসলিমরাই নন, মানবতাবাদী ভিন্ন ধর্মের মানুষেরাও সরব। ইসরাইলি সাম্প্রতিক ধংসযজ্ঞের খবরে যখন সারাবিশ্বব্যপী নিন্দার ঝড় উঠেছে, তখন হঠাত করে আমাদের পত্রিকায় খবর আসে যে -বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রে বৈধ’ কথাটি আর লেখা থাকছে না। ইসরাইলের গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইসরাইল এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইসরাইলের জন্য খবরটি অপ্রত্যাশিত, সুখকর এবং চমকপ্রদই বটে! ফিলিস্তিনে তান্ডবলীলা চালানোর এই সময়ে একটি মুসলিম দেশ তাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করতে আগ্রহী!!

ঠিক কি কারনে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বোধগম্য নয়। ব্লগে ইসরাইল ভ্রমন বা ইসরাইলে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর যে সব আইডিয়াব্যক্ত করা হয়েছে তা কেবল হাস্যকরই নয় , পুরোপুরি আত্মঘাতি। যে কোন মুসলিমেরই ধর্মীয় কারনে জেরুজালেম গেলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়া এবং মুসলিমদের দুর্দশা দেখলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই অবস্থায় কাজের সন্ধানে যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকেদের বেশিরভাগেরই হামাসে যোগদান করার সম্ভাবনা প্রবল।আর স্বল্প কিছু ভ্রমন বিলাসিদের জন্য কেন সরকার মুসলিম জাতির শত্রুর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করবে?

সরকারের উচিত অবস্থান স্পষ্ট করা। ''আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজার রাখার উদ্দেশ্যে '' জাতীয় বায়বীয় বক্তব্য না দিয়ে , সরাসরি বক্তব্য দেয়া ইসরাইল ভ্রমনে নিশেধাজ্ঞা তুলে নেয়া বিষয়ে।
সৌজন্যে : ঢানিয়ান, সামহোয়্যার ব্লগ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Islamic world

  Islamic World

জনপ্রিয় লেখা সমূহ