Text Message

৬৮-আল কালাম

 ৬৮-আল-ক্বলম



(68:0)

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ




অনুবাদ:    পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে




(68:1)

نٓ وَ الْقَلَمِ وَ مَا یَسْطُرُوْنَۙ




অনুবাদ:    নূন, শপথ কলমের এবং লেখকরা যা লিখে চলেছে তার।




(68:2)

مَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُوْنٍۚ




অনুবাদ:    তোমার রবের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।




(68:3)

وَ اِنَّ لَكَ لَاَجْرًا غَیْرَ مَمْنُوْنٍۚ




অনুবাদ:    আর নিশ্চিতভাবেই তোমার জন্য এমন পুরস্কার রয়েছে যা কখনো ফুরাবে না।




(68:4)

وَ اِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِیْمٍ




অনুবাদ:    নিঃসন্দেহে তুমি নৈতিকতার অতি উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন।




(68:5)

فَسَتُبْصِرُ وَ یُبْصِرُوْنَۙ




অনুবাদ:    অচিরে তুমিও দেখতে পাবে এবং তারাও দেখতে পাবে যে,




(68:6)

بِاَىیِّكُمُ الْمَفْتُوْنُ




অনুবাদ:    তোমাদের উভয়ের মধ্যে কারা পাগলামীতে লিপ্ত।




(68:7)

اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ١۪ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ




অনুবাদ:    তোমার রব তাদেরকেও ভাল করে জানেন যারা তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। আর তাদেরকেও ভাল করে জানেন যারা সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়েছে।




(68:8)

فَلَا تُطِعِ الْمُكَذِّبِیْنَ




অনুবাদ:    কাজেই তুমি মিথ্যাচরীদের অনুসরণ করো না।




(68:9)

وَدُّوْا لَوْ تُدْهِنُ فَیُدْهِنُوْنَ




অনুবাদ:    তারা তো চায় তুমি নমনীয়তা দেখালে তারাও নমনীয়তা দেখাবে।




(68:10)

وَ لَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِیْنٍۙ




অনুবাদ:    তুমি অবদমিত হয়ো না তার দ্বারা যে কথায় কথায় শপথ করে, যে মর্যাদাহীন,




(68:11)

هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۭ بِنَمِیْمٍۙ




অনুবাদ:    যে গীবত করে, চোগল খোরী করে বেড়ায়,




(68:12)

مَّنَّاعٍ لِّلْخَیْرِ مُعْتَدٍ اَثِیْمٍۙ




অনুবাদ:    কল্যাণের কাজে বাধা দেয়, জুলুম ও বাড়াবাড়িতে সীমালংঘন করে,




(68:13)

عُتُلٍّۭ بَعْدَ ذٰلِكَ زَنِیْمٍۙ




অনুবাদ:    চরম পাপিষ্ঠ ঝগড়াটে ও হিংস্র এবং সর্বোপরি বজ্জাত।




(68:14)

اَنْ كَانَ ذَا مَالٍ وَّ بَنِیْنَؕ




অনুবাদ:    কারণ সে সম্পদশালী ও অনেক সন্তানের পিতা




(68:15)

اِذَا تُتْلٰى عَلَیْهِ اٰیٰتُنَا قَالَ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ




অনুবাদ:    তাকে যখন আমার আয়াতসমূহ শোনানো হয় তখন সে বলে এ তো প্রাচীনকালের কিস্সা-কাহিনী।




(68:16)

سَنَسِمُهٗ عَلَى الْخُرْطُوْمِ




অনুবাদ:    শিগগীরই আমি তার শুঁড় দাগিয়ে দেবো।




(68:17)

اِنَّا بَلَوْنٰهُمْ كَمَا بَلَوْنَاۤ اَصْحٰبَ الْجَنَّةِ١ۚ اِذْ اَقْسَمُوْا لَیَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِیْنَۙ




অনুবাদ:    আমি এদের (মক্কাবাসী)-কে পরীক্ষায় ফেলেছি যেভাবে পরীক্ষায় ফেলেছিলাম বাগানের মালিকদেরকে, যখন তারা শপথ করেছিল যে, তারা খুব ভোরে গিয়ে অবশ্যি নিজেদের বাগানের ফল আহরণ করবে।




(68:18)

وَ لَا یَسْتَثْنُوْنَ




অনুবাদ:    তারা এ ব্যাপারে কোন ব্যতিক্রমের সম্ভাবনা স্বীকার করছিলো না।




(68:19)

فَطَافَ عَلَیْهَا طَآئِفٌ مِّنْ رَّبِّكَ وَ هُمْ نَآئِمُوْنَ




অনুবাদ:    অতঃপর তোমার রবের পক্ষ থেকে একটি বিপর্যয় এসে সে বাগানে চড়াও হলো। তখন তারা ছিলো নিদ্রিত।




(68:20)

فَاَصْبَحَتْ كَالصَّرِیْمِۙ




অনুবাদ:    বাগানের অবস্থা হয়ে গেলো কর্তিত ফসলের ন্যায়।




(68:21)

فَتَنَادَوْا مُصْبِحِیْنَۙ




অনুবাদ:    ভোরে তারা একে অপরকে ডেকে বললোঃ




(68:22)

اَنِ اغْدُوْا عَلٰى حَرْثِكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صٰرِمِیْنَ




অনুবাদ:    তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও তাহলে সকাল সকাল ফসলের মাঠের দিকে বেরিয়ে পড়ো।




(68:23)

فَانْطَلَقُوْا وَ هُمْ یَتَخَافَتُوْنَۙ




অনুবাদ:    সুতরাং তারা বেরিয়ে পড়লো। তারা নীচু গলায় একে অপরকে বলছিলো,




(68:24)

اَنْ لَّا یَدْخُلَنَّهَا الْیَوْمَ عَلَیْكُمْ مِّسْكِیْنٌۙ




অনুবাদ:    আজ যেন কোন অভাবী লোক বাগানে তোমাদের কাছে না আসতে পারে।




(68:25)

وَّ غَدَوْا عَلٰى حَرْدٍ قٰدِرِیْنَ




অনুবাদ:    তারা কিছুই না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব ভোরে এমনভাবে দ্রুত সেখানে গেল যেন তারা (ফল আহরণ করতে) সক্ষম হয়।




(68:26)

فَلَمَّا رَاَوْهَا قَالُوْۤا اِنَّا لَضَآلُّوْنَۙ




অনুবাদ:    কিন্তু বাগানের অবস্থা দেখার পর বলে উঠলোঃ আমরা রাস্তা ভুলে গিয়েছি।




(68:27)

بَلْ نَحْنُ مَحْرُوْمُوْنَ




অনুবাদ:    (তাও না-) আমার বরং বঞ্চিত হয়েছি।




(68:28)

قَالَ اَوْسَطُهُمْ اَلَمْ اَقُلْ لَّكُمْ لَوْ لَا تُسَبِّحُوْنَ




অনুবাদ:    তাদের মধ্যকার সবচেয়ে ভাল লোকটি বললোঃ “আমি কি তোমাদের বলিনি তোমরা ‘তাসবীহ’ করছো না কেন?




(68:29)

قَالُوْا سُبْحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِیْنَ




অনুবাদ:    তখন তারা বলে উঠলোঃ আমাদের রব অতি পবিত্র। বাস্তবিকই আমরা গোনাহগার ছিলাম।




(68:30)

فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰى بَعْضٍ یَّتَلَاوَمُوْنَ




অনুবাদ:    এরপর তারা সবাই একে অপরকে তিরষ্কার করতে লাগলো।




(68:31)

قَالُوْا یٰوَیْلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا طٰغِیْنَ




অনুবাদ:    অবশেষে তারা বললোঃ “আমাদের এ অবস্থার জন্য আফসোস! আমরা তো বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিলাম।




(68:32)

عَسٰى رَبُّنَاۤ اَنْ یُّبْدِلَنَا خَیْرًا مِّنْهَاۤ اِنَّاۤ اِلٰى رَبِّنَا رٰغِبُوْنَ




অনুবাদ:    বিনিময়ে আমাদের রব হয়তো এর চেয়েও ভাল বাগান আমাদের দান করবেন। আমরা আমাদের রবের দিকে রুজু করছি




(68:33)

كَذٰلِكَ الْعَذَابُ١ؕ وَ لَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَكْبَرُ١ۘ لَوْ كَانُوْا یَعْلَمُوْنَ۠




অনুবাদ:    আযাব এরূপই হয়ে থাকে। আখেরাতের আযাব এর চেয়েও বড়। হায়! যদি তারা জানতো।




(68:34)

اِنَّ لِلْمُتَّقِیْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ




অনুবাদ:    নিশ্চিতভাবে মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিয়ামত ভরা জান্নাত।




(68:35)

اَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِیْنَ كَالْمُجْرِمِیْنَؕ




অনুবাদ:    আমি কি অনুগতদের অবস্থা অপরাধীদের মতো করবো?




(68:36)

مَا لَكُمْ١ٙ كَیْفَ تَحْكُمُوْنَۚ




অনুবাদ:    কি হয়েছে তোমাদের? এ কেমন বিচার তোমরা করছো?




(68:37)

اَمْ لَكُمْ كِتٰبٌ فِیْهِ تَدْرُسُوْنَۙ




অনুবাদ:    তোমাদের কাছে কি কোন কিতাব আছে যাতে তোমরা পাঠ করে থাকো যে,




(68:38)

اِنَّ لَكُمْ فِیْهِ لَمَا تَخَیَّرُوْنَۚ




অনুবাদ:    তোমাদের জন্য সেখানে তাই আছে যা তোমরা পছন্দ করো।




(68:39)

اَمْ لَكُمْ اَیْمَانٌ عَلَیْنَا بَالِغَةٌ اِلٰى یَوْمِ الْقِیٰمَةِ١ۙ اِنَّ لَكُمْ لَمَا تَحْكُمُوْنَۚ




অনুবাদ:    তোমাদের সাথে কি আমার কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন চুক্তি আছে যে, তোমরা নিজের জন্য যা চাইবে সেখানে তাই পাবে?




(68:40)

سَلْهُمْ اَیُّهُمْ بِذٰلِكَ زَعِیْمٌۚۛ




অনুবাদ:    তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখো এ ব্যাপারে কে দায়িত্বশীল?




(68:41)

اَمْ لَهُمْ شُرَكَآءُ١ۛۚ فَلْیَاْتُوْا بِشُرَكَآئِهِمْ اِنْ كَانُوْا صٰدِقِیْنَ




অনুবাদ:    কিংবা তাদের স্বনিয়োজিত কিছু অংশীদার আছে কি (যারা এ বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে)? তারা তাদের সেসব অংশীদারদের নিয়ে আসুক। যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে।




(68:42)

یَوْمَ یُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّ یُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَۙ




অনুবাদ:    যেদিন কঠিন সময় এসে পড়বে এবং সিজদা করার জন্য লোকদেরকে ডাকা হবে। কিন্তু তারা সিজদা করতে সক্ষম হবে না।




(68:43)

خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ١ؕ وَ قَدْ كَانُوْا یُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ وَ هُمْ سٰلِمُوْنَ




অনুবাদ:    তাদের দৃষ্টি হবে অবনত। হীনতা ও অপমানবোধ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। এর আগে যখন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো তখন সিজদার জন্য তাদেরকে ডাকা হতো (কিন্তু তারা অস্বীকৃতি জানাতো) ।




(68:44)

فَذَرْنِیْ وَ مَنْ یُّكَذِّبُ بِهٰذَا الْحَدِیْثِ١ؕ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِّنْ حَیْثُ لَا یَعْلَمُوْنَۙ




অনুবাদ:    তাই হে নবী! এ বাণী অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি ধীরে ধীরে এমনভাবে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবো যে, তারা বুঝতেই পারবে না।




(68:45)

وَ اُمْلِیْ لَهُمْ١ؕ اِنَّ كَیْدِیْ مَتِیْنٌ




অনুবাদ:    আমি এদের রশি ঢিলে করে দিচ্ছি। আমার কৌশল অত্যন্ত মজবুত।




(68:46)

اَمْ تَسْئَلُهُمْ اَجْرًا فَهُمْ مِّنْ مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُوْنَۚ




অনুবাদ:    তুমি কি এদের কাছে কোন পারিশ্রমিক দাবী করছো যে, সে জরিমানার বোঝা তাদের কাছে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে?




(68:47)

اَمْ عِنْدَهُمُ الْغَیْبُ فَهُمْ یَكْتُبُوْنَ




অনুবাদ:    তাদের কি গায়েবের বিষয় জানা আছে, যা তারা লিখে রাখছে?




(68:48)

فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَ لَا تَكُنْ كَصَاحِبِ الْحُوْتِ١ۘ اِذْ نَادٰى وَ هُوَ مَكْظُوْمٌؕ




অনুবাদ:    অতএব তোমার রবের চূড়ান্ত ফায়সালা পর্যন্ত ধের্য্যসহ অপেক্ষা করো। এবং মাছওয়ালার (ইউনুস আলাইহিস সালাম) মতো হয়ো না, যখন সে বিষাদ ভারাক্রান্ত হয়ে ডেকেছিলো।




(68:49)

لَوْ لَاۤ اَنْ تَدٰرَكَهٗ نِعْمَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ لَنُبِذَ بِالْعَرَآءِ وَ هُوَ مَذْمُوْمٌ




অনুবাদ:    তার রবের অনুগ্রহ যদি তার সহায়ক না হতো তাহলে সে অপমানিত হয়ে খোলা প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হতো।




(68:50)

فَاجْتَبٰىهُ رَبُّهٗ فَجَعَلَهٗ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ




অনুবাদ:    অবশেষে তার রব তাকে বেছে নিলেন এবং নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করলেন।




(68:51)

وَ اِنْ یَّكَادُ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا لَیُزْلِقُوْنَكَ بِاَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَ یَقُوْلُوْنَ اِنَّهٗ لَمَجْنُوْنٌۘ




অনুবাদ:    এ কাফেররা যখন উপদেশবাণী (কুরআন) শোনে তখন এমনভাবে তোমার দিকে তাকায় যেন তোমার পদযুগল উৎপাটিত করে ফেলবে আর বলে যে, এ তো অবশ্যি পাগল।




(68:52)

وَ مَا هُوَ اِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَ۠




অনুবাদ:    অথচ তা সারা বিশ্ব-জাহানের জন্য উপদেশ ছাড়া আর কিছুই নয়।


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

পারিবারিক সুখ শান্তির জন্য দোয়া।

 আল কুরআন, ২৫  আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪ وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ ا...

জনপ্রিয় লেখা সমূহ