১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আল্লাহ এর আগেও এর নাম মুসলিম রেখেছেন-

 আল্ কুরআন, সুরা ২২-হাজ্জ

(২২:৭১)

অনুবাদ : ওরা (কাফেররা) আল্লাহ ছাড়া এবাদত করে এমন কিছুর যার সমর্থনে নাই কোনো প্রমাণ, নাই তাদের কাণ্ডজ্ঞান; নাই কোন সাহায্যকারী জালেমদের। 

(২২:৭২)

অনুবাদ: এবং যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াত পতিত হয় ,দেখিতে পাইবে তুমি এই কাফেরদের চেহারায় বিরক্তি; যেন এখনই আক্রমণ করে বসে পাঠকের উপর যারা তাদের কাছে আমার আয়াত পাঠ রত;বল, তবে কি তোমাদিগে এ অপেক্ষা অধিক মন্দ সংবাদ দিব?- আগুন, কাফেরদের জন্য আল্লাহ তা প্রতিশ্রুত ; নিকৃষ্ট আবাসস্থল । 

(22:72)

অনুবাদ:    আর যখন তাদেরকে আমার পরিষ্কার আয়াত শুনিয়ে দেয়া হয় তখন তোমরা দেখো সত্য অস্বীকারকারীদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে এবং মনে হতে থাকে এ-ই বুঝি যারা তাদেরকে আমার আয়াত শুনায় তাদের ওপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাদেরকে বলো, “আমি কি তোমাদের বলবো, এর চেয়ে খারাপ জিনিস কি? আগুন। আল্লাহ এরই প্রতিশ্রুতি তাদের জন্য দিয়ে রেখেছেন, যারা সত্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তা বড়ই খারাপ আবাস।”


(22:73)

অনুবাদ:    হে লোকেরা! একটি উপমা দেয়া হচ্ছে, মনোযোগ দিয়ে শোনো। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব উপাস্যকে তোমরা ডাকো তারা সবাই মিলে একটি মাছি সৃষ্টি করতে চাইলেও করতে পারবে না। বরং যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কোন জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাহলে তারা তা ছাড়িয়েও নিতে পারবে না। সাহায্য প্রার্থীও দুর্বল এবং যার কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে সেও দুর্বল।


(22:74)

অনুবাদ:    তারা আল্লাহর কদরই বুঝলো না যেমন তা বুঝা উচিত। আসল ব্যাপার হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহই শক্তিমান ও মর্যাদাসম্পন্ন।


(22:75)

অনুবাদ:    আসলে আল্লাহ‌ (নিজের ফরমান পাঠাবার জন্য) ফেরেশতাদের মধ্য থেকেও বাণীবাহক বাছাই করেন এবং মানুষদের মধ্য থেকেও। তিনি সবকিছু শোনেন ও দেখেন।


(22:76)

অনুবাদ:    যা কিছু তাদের সামনে আছে তাও তিনি জানেন এবং যা কিছু আছে তাদের অগোচরে তাও তিনি জানেন এবং যাবতীয় বিষয় তাঁরই দিকে ফিরে আসে।


(22:77)


অনুবাদ:    হে ঈমানদারগণ! রুকূ’ ও সিজদা করো, নিজের রবের বন্দেগী করো এবং নেক কাজ করো, হয়তো তোমাদের ভাগ্যে সফলতা আসবে।


(22:78)

অনুবাদঃ   আল্লাহর পথে জিহাদ করো যেমন জিহাদ করলে তার হক আদায় হয়। তিনি নিজের কাজের জন্য তোমাদেরকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন সংকীর্ণতা আরোপ করেননি। তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাও। আল্লাহ আগেও তোমাদের নাম রেখেছিলেন “মুসলিম” এবং এর (কুরআন) মধ্যেও (তোমাদের নাম এটিই) যাতে রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হন এবং তোমরা সাক্ষী হও লোকদের ওপর। কাজেই নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাও। তিনি তোমাদের অভিভাবক, বড়ই ভালো অভিভাবক তিনি, বড়ই ভালো সাহায্যকারী তিনি।


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Jamuna TV

  Jamuna TV  link

জনপ্রিয় লেখা সমূহ